আজকে আমরা জানাবো বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার নিয়ম নিয়ে বোর্ড চ্যালেঞ্জ করতে কত টাকা লাগে এবং বোর্ড চ্যালেঞ্জ করতে হলে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা এই কনটেন্ট এর মধ্যে তুলে ধরব। আশা করি সম্পূর্ণ কন্ট্রোলে আপনি চেঞ্জ করার নিয়ম সম্পর্কে এবং বোর্ড চ্যালেঞ্জ করতে কত টাকা লাগে এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।
SSC পরীক্ষা অথবা HSC পরীক্ষা দেওয়ার পরে যদি আপনি দেখেন আপনার রেজাল্ট ভালো আসেনি তাহলে আপনি চাইলেই বোর্ড চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন। আমাদের এই পোস্টটি আজকে সম্পূর্ণ পড়লেই আপনার বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার পদ্ধতি গুলো জানতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রায়ই সব রকম বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার নিয়ম কিন্তু কিছুটা একই রকম। এক্ষেত্রে টাকা কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন সাবজেক্ট অনুযায়ী নির্ধারিত হয়ে থাকে তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক এই বিষয়ে বিস্তারিত।
আপনি যদি ২০২৩ সালে HSC পরীক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে এই ৮ ই ফেব্রুয়ারির পরেই যে HSC রেজাল্ট পাবেন এবং যদি আপনার রেজাল্ট ভালো না আসে তাহলে চাইলেই কিন্তু আপনি বোর্ড চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন। ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য যে সকল নিয়ম বা তথ্য লাগবে তা আমরা এই পোস্টের মধ্যে তুলে ধরেছি। যদি আপনার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি থেকে থাকে তাহলে তারা পুনরায় পরিবর্তন করার চেষ্টা করবে।
HSC বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার নিয়ম
HSC পরীক্ষার বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার জন্য টেলিটক সিম দিয়ে এসএমএস এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এসএসসি পরীক্ষার বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার জন্য মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখুন RSC<স্পেস>আপনার বোর্ডের নামের প্রথম ৩ অক্ষর<স্পেস>রোল নম্বর<স্পেস>বিষয় কোড। এরপর মেসেজটি পাঠিয়ে দিন ১৬২২২ এই নাম্বারে।
উদাহরণ হিসেবে নিয়েছে আমরা একটি বড় চ্যালেঞ্জ করার নিয়ম তুলে ধরলাম যেখান থেকে আপনারা দেখে মোবাইলের এসএমএস এর মাধ্যমে খুব সহজেই বোর্ড চ্যালেঞ্জ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন এই জন্য নিচের দেওয়া পদ্ধতি অনুযায়ী বোর্ডের নাম রোল নাম্বার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এবং এসএমএস কিভাবে লিখবেন সেই বিষয়টি আমরা তুলে ধরলাম।
উদাহরণঃ RSC<স্পেস>JES<স্পেস>335654<স্পেস>101 সেন্ড করুন 16222 এই নাম্বারে।
আপনার জেনে রাখা উচিত যে একটি এসএমএস এর মাধ্যমে আপনি একসাথে একাধিক বিষয়ের জন্য বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার আবেদন করতে পারবেন। একাধিক বিষয়ে আবেদন করার জন্য শুধুমাত্র মাঝখানে কমা (,) চিহ্ন ব্যবহার করে একাধিক বিষয়ে বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
উদাহরণ: RSC<স্পেস>JES<স্পেস>335654<স্পেস>101,109,105 সেন্ড করুন 16222 এই নাম্বারে।
উদাহরণ হিসেবে এখান থেকে দেখে নিতে পারেন। আপনার স্মস এর মাধ্যমে যে পিন নাম্বার দেওয়া হয়েছে 123457 এবং মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়েছে 0179320XXX এক্ষেত্রে আবেদন করতে হবে আপনাকে এইভাবে।
উদাহরণ: RSC<স্পেস>YES<স্পেস> 1234578<স্পেস>0179320XXX
এই ভাবে যদি আপনি সব বিষয় গুলো সঠিকভাবে পূরণ করে পাঠিয়ে দিতে পারেন তাহলে আপনার বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে। তবে অবশ্যই আপনার রোল নাম্বার এবং আপনার সাবজেক্ট কোড গুলো ঠিক আছে কিনা এই বিষয়গুলো বারবার যাচাই-বাছাই করে তারপর এই মেসেজ পাঠাবেন।
জাপান স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
কিভাবে বোর্ড চ্যালেঞ্জ করতে হয়?
বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার জন্য RSC<স্পেস>আপনার বোর্ড এর নামের প্রথম ৩ অক্ষর<স্পেস>রোল নম্বর<স্পেস>বিষয় কোড লিখে পাঠিয়ে দিন 16222 এই নাম্বারে। একাধিক বিষয়ে বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার জন্য সাবজেক্ট কোড এর মাঝে কমা (,) ব্যবহার করে আবেদন করতে হবে। প্রত্যেকটি সাবজেক্ট এর জন্য ১২৫ টাকা করে চার্জ প্রযোজ্য।
বোর্ড চ্যালেঞ্জ করতে কত টাকা লাগে
বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার জন্য প্রত্যেকটি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা চার্জ করা হয়। একত্রে যদি তিনটি সাবজেক্টের জন্য বোর্ড চ্যালেঞ্জ করেন তাহলে খরচ পড়বে ৩৭৫ টাকা। একেবারে নাম্বার যদি কম আসে এবং কোন সাবজেক্টে ফেল আসলে বোর্ড চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন। ভালো পরীক্ষা দেওয়ার পরেও যদি আপনার রেজাল্ট নিয়ে সন্দেহ থাকে তাহলে সময় এর মধ্যে যে কোন সময় বোর্ড চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন।
বোর্ড চ্যালেঞ্জ করতে কি কি লাগে
বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার জন্য তেমন কিছুই লাগবেনা শুধু মাত্র আপনার রোল নাম্বার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এবং আপনি কোন বোর্ড থেকে পরীক্ষা দিয়েছেন সেই সেই বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর দিয়ে আপনি বোর্ড চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন।
- রোল নাম্বার
- রেজিস্ট্রেশন নাম্বার
- বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর
- যে কোন অপারেটরের সিম
- সাবজেক্ট অনুযায়ী 125 টাকা
- ১৬২২২ এই নাম্বারে পাঠিয়ে দিন
বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার নিয়ম
""একই নিয়মে আপনারা এসএসসি এবং এইচএসসি সকল ধরনের পরীক্ষার বোর্ড চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন। এছাড়াও টেলিটক সিম ছাড়া অন্যান্য অপারেটরের সিম ব্যবহার করেও আপনারা বোর্ড চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন""
বোর্ড চ্যালেঞ্জ করলে কি পাস দেওয়া হয়
বোর্ড চ্যালেঞ্জ করলে যে পাস দেওয়া হবে এ বিষয়টি একেবারে নিশ্চিত নয়। আপনার যদি রেজাল্ট নিয়ে কোনো ধরনের সন্দেহ থাকে এবং আপনার কোন সাবজেক্টের উপর যদি অগাধ বিশ্বাস থাকে যে আপনি নিশ্চিত সেখানে পাস করেছেন তাহলে বোর্ড চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। তাছাড়া বোর্ড চ্যালেঞ্জ করলে যে পাস দেওয়া হয় এই বিষয়টা একেবারেই ভুল ধারণা।
কোন সাবজেক্টে যদি আপনার সন্দেহ হয়ে থাকে যে আমি পর্যাপ্ত পরিমাণ নাম্বার পাইনি এবং কোন ধরনের ভুল ত্রুটির কারণে আপনার যদি ফেল চলে আসে তাহলে তাদের দেওয়া সময়ের মধ্যে আপনাকে বোর্ড চ্যালেঞ্জ করতে হবে। বোর্ড কর্তৃপক্ষ পুনরায় খাতা গুলো দেখার পরে যদি কোনো ধরনের ভুল থাকে তাহলে সেটি সলভ করে দেবে। তাছাড়া কিন্তু কখনোই বোর্ড চ্যালেঞ্জ করলে পাশ করে দেওয়া হয় না এই বিষয়টি আপনাদের জেনে রাখা উচিত।
আরো পড়ুন: আপনি কি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান
আবার অনেকেই আছে যারা দু এক মার্কের জন্য গোল্ডেন এ প্লাস মিস করছে তাদের ক্ষেত্রেও কিন্তু পুনরায় খাতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার পরে যদি তার রেজাল্ট পরিবর্তন করা সম্ভব হয় তাহলে কিন্তু পরিবর্তন করে দেয় তাছাড়া কখনোই তার রেজাল্ট বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার কারণে বাড়ানো হয়ে থাকে এই বিষয়টা একেবারেই ভুল ধারণা।
বোর্ড চ্যালেঞ্জ করলে কি নম্বর কমার সম্ভাবনা আছে
বোর্ড চ্যালেঞ্জ করলে নাম্বার কমার সম্ভাবনা নেই। কোন সাবজেক্টে যদি আপনি কম নাম্বার পেয়ে থাকেন এক্ষেত্রে যদি বোর্ড চ্যালেঞ্জ করেন তাহলে পুনরায় খাতা দেখে যদি আপনি নাম্বার বেশি পাওয়ার যোগ্য হন তাহলে পুনরায় আপনার নাম্বার পরিবর্তন করে বাড়িয়ে দেওয়া হবে। তবে বোর্ড চ্যালেঞ্জ করলে কখনোই নাম্বার কমানো হয় না।
আরো পড়ুন: ফ্রিল্যান্সিং এ মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করুন
বোর্ড চ্যালেঞ্জ এর রেজাল্ট কবে দিবে
রেজাল্টের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে পুনরায় নির্দিষ্ট একটি তারিখ ঠিক করে ভোট চ্যালেঞ্জ সময় নির্ধারণ করা হবে এরপর এই সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হলেই এক মাসের মধ্যেই বোর্ড চ্যালেঞ্জ এর রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার ক্ষেত্রে আপনাদের যদি কোন ধরনের সমস্যা হয় অথবা কোন বিষয় বুঝতে পারছেন না তাহলে আমাদের ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন সেখান থেকে আমরা আপনাদেরকে বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব ধন্যবাদ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন