হারানো সিম বন্ধ করার উপায়, এবং সিম উঠাতে কত টাকা লাগে তা জানতে পারবেন আজকের এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে। সিম আমাদের একটি পার্সোনাল প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ জিনিস এক্ষেত্রে আপনার সিমটি যদি হারিয়ে যায় তাহলে আপনার প্রয়োজনীয় ডাটাগুলোর নিরাপত্তা লক্ষণ হতে পারে তাই তাৎক্ষণিকভাবেই হারানো সিম টি বন্ধ করে ফেলতে হবে। তা না হলে আপনার মোবাইল ব্যাংকিং সহ পার্সোনাল নাম্বার এবং অন্যান্য ডকুমেন্ট গুলো অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারে অথবা নিয়ে নিতে পারে।
তাই আজকে আমরা এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে তুলে ধরেছে হারানো সিম বন্ধ করার উপায় নিয়ে এবং সিম উঠাতে কত টাকা লাগে এবং সিম কার নামে আছে তা জানার জন্য আজকের এই কনটেন্টে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক হারানো সিম বন্ধ করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।
হারানো সিম বন্ধ করার উপায়
হারানো সিম বন্ধ করার জন্য নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ারে যেতে হবে। হারানো সিম বন্ধ করার জন্য সিম রেজিস্ট্রেশন কার এর ভোটার আইডি কার্ড সাথে নিয়ে যেতে হবে। অন্য কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে যদি সিম রেজিস্ট্রেশন করা থাকে তাহলে তার ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ারে যেতে হবে। নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে হারানো সিম টি বন্ধ করে নিতে পারবেন।
নিকটস্থ কাস্টমার এগিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় সমস্যার কথাটা ভালোমতো উল্লেখ করবেন এবং আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো তাদেরকে দেখালেই কাস্টমার কেয়ারের প্রতিনিধিরা আপনার সিমটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিতে পারবে সে ক্ষেত্রে উনারা আপনার ভোটার আইডি কার্ড যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া শেষে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে আপনার স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিবে।
সাময়িকভাবে সিম বন্ধ করার নিয়ম
আপনার যদি প্রয়োজনীয় সিমটি হারিয়ে যাই তাহলে আপনি যদি চিন্তা-ভাবনা করে থাকেন যেটি সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করবেন সেটাও কিন্তু সম্ভব এক্ষেত্রে আপনি যে কোম্পানির সিম ব্যবহার করেন সেই কোম্পানির কল সেন্টারে আপনাকে ফোন দিতে হবে। কল সেন্টারে ফোন দেওয়ার পরে আপনার ভোটার আইডি কার্ড এবং মোবাইল নাম্বারটি তাদেরকে জানাতে হবে এবং তারা একটি ছোট্ট ভেরিফিকেশন করবে। আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার জানতে চাবে এবং আপনার নাম এবং আপনার পিতা-মাতার নাম ডেট অফ বার্থ এই বিষয়গুলো জানার পরে আপনার সিমটি সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে।
পরবর্তীতে যখন আপনি আপনার সিমটি চালু করতে যাবেন তখন আপনাকে পুনরায় ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে কাস্টমার কেয়ারে গেলেই তারা আপনার সিমটি খুলে দিবে পরবর্তীতে আপনি সিমের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন। সিম সাধারণত দুই ভাবে বন্ধ করা যায় সাময়িকভাবে আরেকটা হচ্ছে স্থায়ীভাবে। স্থায়ীভাবে বন্ধ করলে আপনি কখনোই ওই সিএমপুনরায় উঠাতে পারবেন না।
আরো পড়ুন: টিকটক থেকে টাকা ইনকাম পদ্ধতি। টিকটকে ভাইরাল হওয়ার উপায়
আপনার ফোন হারিয়ে গেলে আপনার ইমেইলে নিরাপত্তার জন্য অথবা আপনার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নিরাপত্তার জন্য সাময়িকভাবে যেকোনো সিম অবশ্যই বন্ধ করে নিতে হবে। তা না হলে আপনার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের টাকা-পয়সা সব তুলে নিতে পারে অথবা আপনার জিমেইল আইডি হারিয়ে যেতে পারে অথবা আপনার পার্সোনাল যে সমস্ত অ্যাকাউন্ট গুলো রয়েছে আপনার অধীনে সেই সমস্ত অ্যাকাউন্ট গুলো আপনার হারিয়ে যেতে পারে তাই অবশ্যই সাময়িকভাবে সিমটি বন্ধ করে নিবেন।
সিম বন্ধ হলে করণীয়
প্রাথমিক অবস্থায় সরাসরি ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ারের চলে যেতে হবে। যদি অন্য কোন নামে সিম রেজিস্ট্রেশন করা থাকে তাহলে তাকে নিয়ে কাস্টমার কেয়ারে চলে যাওয়ার পরেই আপনার সিমটি পুনরায় সচল করার জন্য আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে অনলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে কিন্তু আপনার সিমটি খুলে দেওয়া হবেনা তাই সরাসরি কাস্টমার কেয়ারে যাওয়ার পরেই সিম খুলে দিবে।
সিম কার নামে নিবন্ধন
সিম কার নামে নিবন্ধন তা জানার জন্য ডায়াল করুন *16001# নাম্বারে এবং ভোটার আইডি কার্ডের চারটি ডিজিট প্রবেশ করান তারপরেই আপনি কার নামে সিম নিবন্ধন করা আছে তা দেখতে পাবেন। যে কোন সিমের ক্ষেত্রে এইভাবে আপনারা সিম কার নামে নিবন্ধন করা আছে তা দেখতে পাবেন। এক্ষেত্রে কয়টি সিম নিবন্ধন করা আছে এক এনআইডি কার্ড দিয়ে এবং তার নাম্বার গুলো কি কি তা সবগুলোই দেখতে পাবেন।
সিম বন্ধ হওয়ার কারণ
বিআরটিসি'র সূত্রে জানা গেছে যে টানা 15 মাস 450 দিন যাবত যদি সিমটি বন্ধ থাকে বা অব্যবহৃত থাকে তাহলে সেটি মালিকানা ধরে রাখতে পারেনা। এই সময়ের মধ্যে কোন ব্যক্তি যদি তার পার্সোনাল সিম টি ব্যবহার না করে এবং সেটি যদি বন্ধ থাকে তাহলে সেটির মালিকানা আর গ্রাহকের থাকবে না। তা ছাড়াও বিভিন্ন কারণে আপনার সিমটি বন্ধ হতে পারে যেমন অন্য কারো নামে যদি রেজিস্ট্রেশন থাকে সেই ব্যক্তি যদি বন্ধ করে দেয় তাহলে আপনার সিমটি বন্ধ হয়ে যাবে। অথবা সিম দিয়ে আপনি যদি প্রতারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন তার কারণে আপনার সিমটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুন: ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার 10 টি উপায়
সিম উঠাতে কত টাকা লাগে
সিম উঠাতে 100 টাকা লাগে। হারানো সিম উঠানোর জন্য যার নামে রেজিস্ট্রেশন করা আছে তার এনআইডি কার্ড এবং তাকে নিয়ে নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ারে গেলেই সিম উঠাতে পারবেন এক্ষেত্রে শুধু মাত্র 100 টাকা খরচ পড়বে।
হারানো রবি সিম বন্ধ করার উপায়
রবি হারানো সিম বন্ধ করার জন্য নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ারে ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে অন্য কারো নামে যদি রেজিস্ট্রেশন থাকে তাহলে তার এনআইডি কার্ড এবং তাকে নিয়ে যাওয়ার পরেই কাস্টমার কেয়ারের কর্মীরা হারানো রবি সিম বন্ধ করে দিতে পারবে।
হারিয়ে যাওয়া সিমের নাম্বার
হারিয়ে যাওয়া সিমের নাম্বার দেখার জন্য ডায়াল করুন *16001# এই নাম্বারে। এই নাম্বারে ডায়াল করার পরে আপনার এনআইডি কার্ড দিয়ে কতটি সিম আছে এবং ওই নিবন্ধিত এই আইডি কার্ডে কতটি নাম্বার আছে এবং সেখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় নাম্বারটি দেখে নিতে পারবেন।
নিবন্ধিত সিম নাম্বার জানার উপায়
সিম কার নামে নিবন্ধন করা আছে তা জানার জন্য ডায়াল করুন *16001# এই নাম্বারে। এবং এক এনআইডি কার্ড দিয়ে কতটি সিম নিবন্ধিত করা আছে এবং নিবন্ধিত সিম নাম্বার কি কি তার সবগুলোই জানতে পারবেন এই নাম্বারে ডায়াল করলে। যেকোনো সিম থেকে এই নাম্বারটা ডায়াল করার পরে আপনার এনআইডি কার্ডের চারটি সংখ্যা বসানোর পর এই সিমের নাম্বার এবং নিবন্ধিত কার নামে আছে তার সবগুলোই জানতে পারবেন।
আরো পড়ুন: আপনি কি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন