আজকে আমরা হরিণের শিং এর দাম কত এবং হরিণের চামড়ার দাম কত জানতে পারব এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে সেই সাথে আমরা জানবো হরিণের মাংসের দাম কত এবং এটি কিভাবে কোথায় পাওয়া যায় আর এটা যারা করে তাদের কী ধরনের শাস্তির মধ্যে পড়তে হয় এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা এ কনটেন্ট এর মধ্যে তুলে ধরব তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক হরিণের শিং এর দাম কত এবং হরিণ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।
হরিণ শিকার করা বা হরিণের মাংসসহ অন্যান্য জিনিস বিক্রি করা একেবারেই সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। কিন্তু প্রতিনিয়ত ও অবৈধভাবে যে সমস্ত হরিণের মাংসসহ হরিণের চামড়া এবং হরিণের শিং বিক্রি হচ্ছে। এবং সেই হারে কিন্তু প্রতিনিয়ত এগুলোর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত এই কার্যক্রমগুলো বিশেষ কোনো সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হয়ে থাকে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক হরিণের শিং এর দাম কত এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত।
হরিণের সিং এর দাম কত
হরিণের শিং এর মূল্য নির্ধারিত হয়ে থাকে ইঞ্চি অনুযায়ী প্রতি ইঞ্চি হরিণের শিং এর দাম ধরা হয় বারোশো টাকা ইঞ্চি। তবে যত বড় এবং যত বেশি পরিমাণে সাইজে বড় নিবে সে ক্ষেত্রে কিন্তু হরিণের শিং এর দাম কমতে থাকবে। আবার অনেক ব্যবসায়ী আছে যারা হরিণের শিং বড় হিসাবে দাম বেশি ধরে থাকে তবে সাধারণত যারা ছোট সাইজ নিতে চায় তাদের ক্ষেত্রে দাম বেশি থাকে কিন্তু বড় সাইজ নেওয়ার ক্ষেত্রে হরিণের শিং এর দাম অনিক অংশেই কম রাখে।
তবে এক্ষেত্রে হরিণের মাংস এবং শিং এর ব্যবসা যারা করে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির আইন রয়েছে। বাংলাদেশী নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের আইনে একেবারেই সম্পূর্ণভাবে অবৈধ একটি কাজ। মূলত এই কাজগুলো যারা করেছে তারা হচ্ছে বনসংলগ্ন এলাকার মানুষজন। তাদেরকে অগ্রিম পাবে সমস্ত টাকা দিয়েই তারা এই সমস্ত মালামাল সংগ্রহ করে থাকে এজেন্ট ব্যবসায়ীরা।
হরিণের চামড়ার দাম কত
একটি হরিণের চামড়ার দাম হয় ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে সাধারণত এজেন্ট ব্যবসায়ী যারা আছে তারা কিন্তু এই দামে কিনে কিন্তু যারা ক্রেতা আছে সিঙ্গেল ভাবে হরিণের চামড়া কিনে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু ১২,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হারেও চামড়া বিক্রি করে থাকে। মূলত বনসংলগ্ন এলাকার লোকালয়ের মানুষজন এ ধরনের ব্যবসায় জড়িত থাকে।
হরিণের মাংসের দাম কত
হরিণের মাংসের দাম ১্০০ টাকা কেজি থেকে ২,০০০টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে চুপিসারে। বনসংলগ্ন এলাকায় চুপিসারে এই হরিণের মাংস কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। এদের মধ্যে রয়েছে পেশাদার হরিণ শিকারের বিশেষ একটি সিন্ডিকেট যাদের সাথে পেজেন্ট ব্যবসায়ীরা যোগাযোগ রাখে। অনেক ব্যবসায়ী আছে যারা কিনা অগ্রিম ভাবেই এ সিন্ডিকেট দের অগ্রিম ভাবে টাকা দিয়ে রাখে হরিণের মাংস সংরক্ষণ আমদানি করার জন্য।
নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির মাধ্যমে তারা নির্দিষ্ট জায়গায় মাংস পাচার করে দেয় অথবা সরাসরি এজেন্টরা গিয়ে তাদের মাধ্যমে মাংস নিয়ে আসে পরে তারা সেগুলো বিক্রি করে এক্ষেত্রে বিশেষ নতুন যারা তাদের কাছ থেকে বেশি পরিমাণ দামে বিক্রি করে থাকে। এক্ষেত্রে তারা নিজেরাও সেখানে পাঠিয়ে তাই আবার যাদের চাহিদা বা কিনতে আগ্রহী তাদের কেউ পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন: আপনি কি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান
হরিণের কস্তুরী দাম কত
১৯ হরিণের কস্তুরীর দাম ৫৭ লক্ষ্য ৮৮ হাজার ৮০০ টাকা। তবে বহির্বিশ্বে কিন্তু এর দাম আরো বেশি চওড়া হয়ে থাকে। বাংলাদেশ আটককৃত গোয়েন্দাদের তথ্যমতে এই দাম জানা গিয়েছে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন একটি আইএসপি এলাকায় অভিযান চালিয়ে 19 টি হরিণের কস্তুরী জব্দ করতে পারে। এবং সেগুলোর দাম ধরা হয়েছে ৫৭লক্ষ টাকা।
হরিণের মাংস কোথায় পাওয়া যায়
হরিণের মাংস মূলত সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় পাওয়া যায়। তবে হরিণের মাংস পেতে হলে বিশেষ কোনো সিন্ডিকেটের সাথে আপনাকে যোগাযোগ রাখতে হবে তা না হলে আপনি হরিণের মাংস কিনতে পারবেন না আর এটা কিন্তু একেবারেই একটি অবৈধ কাজ তাই অবশ্যই এই অবৈধ কাজ থেকে বিরত থাকুন এবং বন সংরক্ষণ আইন মেনে চলার চেষ্টা করুন। হরিণের মাংস যদি কেনাবেচা করে থাকে তাহলে কিন্তু তার জেল-জরিমানা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
হরিণের মাংস চেনার উপায়
হরিণের মাংস অনেক দ্রুত এবং সহজ আর দক্ষতার সাথে শোষিত হয়। অন্যান্য মাংস তে হয়না যেমন গরুর মাংস, ভেড়ার মাংস, মুরগির মাংস। হরিণের মাংস দেখতে কিছুটা একেবারেই গরুর শ্বাস জাতীয় মাংসের মতো। হরিণের মাংস কিভাবে চর্বি কম থাকে। খয়রি কালারের মাংস হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই বয়স্ক হরিণের মাংস আর অল্পবয়স্ক হরিণের মাংস সম্পূর্ণভাবে দেখতে কিন্তু আলাদা আলাদা দেখায়।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশে কোন কোম্পানির ফ্রিজ ভালো জেনে নিন
হরিণের মাংস কি হালাল
ইসলামে হরিণের মাংস খাওয়া জায়েজ আছে। তবে বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী হরিণের মাংস অথবা হরিণের শিং সংরক্ষণ করা বা ভক্ষণ করা একেবারে আইনত অপরাধ। হরিণের চামড়া এবং হরিণ কেনাবেচার কাজে জড়িত ব্যক্তিদের অবশ্যই জরিমানাসহ বিভিন্ন ধরনের মামলা-মোকদ্দমার মধ্যে পড়তে হতে পারে। তাই অবশ্যই হরিণের মাংস কেনাবেচা এবং হরিণের যাবতীয় পণ্য কেনা-বেচা নিয়ে বিরত থাকা উচিত। ধন্যবাদ আজকে আমাদের হরিণ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।
বর্তমানে খুলনা অঞ্চলগুলোতে হরিণের মাংস বিক্রেতা এবং ক্রেতা দুজনকেই ধরছে পুলিশ এক্ষেত্রে অবৈধ কাজে জড়িত না হয় সব থেকে ভালো তাই আপনারা চেষ্টা করবেন হরিণের মাংস কেনা এবং বিক্রেতা দুই ব্যক্তিকেই পুলিশ কে সহযোগিতা করা। বন সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী এটা একেবারে অবৈধ একটি কাজ তাই অবশ্যই পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন