সিজারের পর কোমর ব্যথা হলে করনীয় কি এই বিষয় নিয়ে আজকে আমরা বিস্তারিতভাবে এই আর্টিকেলের মধ্যে তুলে ধরবো। এবং কি কারনে সিজারের পর কোমর ব্যথা হয় সেই বিষয়টা জানতে পারবেন এবং ব্যথা হলে কি কি করতে হবে এবং কিভাবে আপনার কোমরের ব্যথা সারিয়ে তুলবে এই বিষয়টা নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি তৈরি করা হয়েছে।
সিজারের পর কোমর ব্যথা হবে এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার তবে এটি যদি দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই জরুরী ভিত্তিতে ট্রিটমেন্ট করে নিতে হবে তা না হলে পরবর্তীতে মাজা নিয়ে আপনি সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন। হাঁটাচলা করতে সমস্যা হবে এবং সিঁড়িতে উঠা নামা করতে সমস্যা হবে সেইসাথে আরো নানা ধরনের প্রবলেম দেখা দিতে পারে তাই অবশ্যই এই বিষয়টা আপনাদের জেনে নেওয়া উচিত যে সিজারের পর কোমর ব্যথা হলে করণীয় কি।
সিজারের পর কোমর ব্যথা কেন হয়
সিজারের পর কোমর ব্যথার মূল কারণ হলো সিজারে ব্যবহৃত অ্যানেসথেশিয়ার প্রভাবেই কোমর ব্যথা হয়। সিজার করার জন্য এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা তবে পরবর্তীতে এই মাজা ব্যথার পাশাপাশি মাথাব্যথা এবং শরীরের অন্য অঙ্গ ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোমর যদি অত্যধিক মাত্রায় ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং আপনি যে ডাক্তারের দ্বারা সিজার সম্পন্ন করেছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। আমরা এখানে সিজারের পর কোমর ব্যথা হলে করণীয় কি তা তুলে ধরেছি।
সিজার করার জন্য মেরুদন্ডে যে ইনজেকশন দেওয়া হয় সেটার কারণে মেরুদন্ড একটি ছিদ্র তৈরি হয় আর সিজারের পর ব্যথার মূল কারণ হলো এটি। এই ছিদ্র সারিয়ে তোলার জন্য মিনিমাম তিন মাস পর্যন্ত সময় দেওয়া লাগে এই ক্ষেত্রে এরইমধ্যে মাঝেমাঝে সময় মাজায় ব্যথা অনুভূত হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে একাধিক আর যদি ব্যথা হয়ে থাকে এবং যদি নিয়মিত এব্যাথা আপনি অনুভব করেন তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তাছাড়াও কি করবেন এই বিষয়টা নিয়ে তুলে ধরলাম।
সিজার অপারেশন কতবার করা যায় দেখে নিন
সিজারের পর কোমর ব্যাথার কারন সমূহ
- হরমোন গত পরিবর্তন
- অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি
- বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য
- বাচ্চাকে কোলে নেওয়ার জন্য
- অতিরিক্ত সিঁড়ি ব্যবহার করার জন্য
- অতিরিক্ত হাঁটাচলা করার জন্য
- ভারী জিনিসপত্র উত্তোলন করা হলে
সিজারের পর কোমর ব্যথা হলে করণীয়
সিজারের পর কোমর ব্যথা হলে বাচ্চাকে কোলে নেওয়ার সময় ঝুঁকে কোলে উঠাবেন না। স্তন্যপানের সময় কোমর সোজা রাখুন। কুসুম গরম পানিতে গোসল করুন এবং হালকা করে মাজাই গরম পানির ভাব দিন। নিয়মিত ঘুম এবং প্রয়োজন মতো বিশ্রাম নিন। হালকা ব্যায়াম শুরু করুন এতে করে মাজা বা কোমরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।
নিয়মিত ব্যায়াম করলে পেলভিক ফ্লোর, কোর এবং পিঠের নিচের অংশের দিকে মাসল গ্রুপের একসাথে কাজ হয় এতে করে ব্যথা সারিয়ে তোলে খুব দ্রুত। দেওয়াল থেকে 1 ফুট অথবা 2 দূরে থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন। এবং ধীরে ধীরে দেওয়ালের দিকে যখন নিজেকে অবস্থান নামিয়ে নিন আবার উঠোন 90° ভঙ্গিতে। এভাবে নিয়মিত ব্যায়াম করুন তাহলে সিজারের পর কোমর ব্যথা দূর করা সম্ভব হবে।
সিজারের কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া যায়
তাছাড়াও যদি নিয়মিত অধিকমাত্রায় ব্যথা শুরু হয় এবং ব্যথা হওয়ার পরে যদি কোন ধরনের কাজ না করা যায় এবং উঠাবসা না করতে পারেন তাহলে অবশ্যই ফিজিওথেরাপিস্ট এর সাহায্য নিন। অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপীর সাহায্য নিলে দ্রুত মাজার ব্যথা সারিয়ে তোলা সম্ভব হবে। এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন পানি পান না করার কারণেও কিন্তু অনেক সময় মাজা ব্যথার কারণ হতে পারে।
সিজারের পর কোমর ব্যথা হওয়ার আগে সর্তকতা
সিজারের পর সাবধানতার সাথে চলাফেরা করতে হবে এতে করে আপনার মাজার ব্যথা সহ অন্যান্য শরীরে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যথা হওয়া থেকে মুক্তি পাবেন এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনমতো বিশ্রাম করতে হবে এবং ভালো খাবার খেতে হবে এবং সেইসাথে অধিক পরিমাণ হাঁটাচলা করা থেকে বিরত থাকতে হবে সেটি ব্যবহার করা এবং ভারী জিনিস উত্তোলন করা থেকে বিরত থাকতে হবে এতে করে মাজার উপর চাপ কমবে তখন সিজারের পর কোমর ব্যথা থেকে আপনি মুক্ত থাকতে পারবেন।
সিজার অপারেশন কতবার করা যায় দেখে নিন
এবং চেষ্টা করবেন বাচ্চাকে খাওয়ানোর সময় এবং নিজে ওঠার সময় খেয়াল করে ওঠার এক্ষেত্রে আপনার মাজার ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব তাছাড়া যদি আপনি প্রয়োজনমতো বিশ্রাম নেন এবং পুষ্টিকর সমৃদ্ধ খাবার নাহলে কিন্তু মাথা ব্যথা বেড়ে যেতে পারে এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ধন্যবাদ এই ছিল আজকে আমাদের সিজারের পর কোমর ব্যথা হলে করণীয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন