আজকে আমরা কথা বলবো ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী বিয়ে পড়ানোর নিয়ম এবং বিয়ে পড়াতে হলে কি কি বিষয় জানা লাগবে এবং কত জন সাক্ষী লাগবে এবং দেনমোহরের বিষয়গুলো আমরা এখানে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি সেই সাথে আজকে আমাদের এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে জানতে পারবেন বিয়ে নিয়ে নানান প্রশ্নের উত্তর।
প্রত্যেকটি প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ক্ষেত্রে বিয়ে করা ফরজ। এবং ছেলে মেয়ে উভয় পক্ষকে একটি বৈধতা প্রদান করার জন্য আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন বিবাহকে একটি পরিপূর্ণ কাজ হিসেবে আমাদের মাঝে দিয়েছেন। দুইটি পরিবারের মিলনের জন্য ইসলামী নীতি অনুযায়ী বিবাহ কার্য সম্পাদন করা হয়। বিভিন্ন ধর্ম বিভিন্ন দেশ অনুযায়ী বিবাহের আলাদা আলাদা নিয়ম রয়েছে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী বিয়ে পড়ানোর নিয়ম ও নানা প্রশ্নের উত্তর।
ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী বিয়ে পড়ানোর নিয়ম
বিবাহ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ন বিধান প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য ফরজ কাজ। মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করার সাথে সাথে তার জীবন ধারণের জন্য কিছু চাহিদা বাসস্থান দিয়েছেন এবং চাহিদা মিটানোর পদ্ধতিও বলে দিয়েছেন আল্লাহ আমাদেরকে। মানব জীবনে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ন্যায় জৈবিক চাহিদার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আল্লাহ আমাদেরকে দিয়েছেন। এই চাহিদা পূরণের জন্য ইসলাম বিবাহের বিধান দিয়েছে যা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ফরজ। একজন ছেলে ও একজন মেয়ের একসঙ্গে থাকার সামাজিক বৈধতার অপর নাম হল বিয়ে। পৃথিবীতে একেক ধর্মে একেক রকম ভাবে বিয়ের প্রচলন চালু আছে। ইসলামে অনেকভাবে বিয়ের মাসলা-মাসায়েল পাওয়া যায়।
"তোমরা তাদের অভিবাবকদের অনুমতিক্রমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, তাদের মোহর প্রদান করো, যেন তারা বিয়ের দুর্গে সুরক্ষিত হয়ে থাকতে পারে এবং অবাধ যৌনচর্চা ও গোপন বন্ধুত্বে লিপ্ত থাকতে পারে।" [সূরা নিসা-২৫]
বিয়ে সম্পর্কে আমাদের প্রিয় নবী জানিয়েছেন“ [মুসলিম] দুনিয়ার সব কিছুই (ক্ষনস্থায়ী) সম্পদ, তবে সব সম্পদের তুলনায় সতী-সাধ্বী রমণীই হলো সর্বোত্তম সম্পদ।
ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী বিবাহের শর্তাবলী
ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী বিবাহের জন্য চারটি শর্ত রয়েছে। যা প্রত্যেকটি ছেলেমেয়েদের জন্য বাধ্যতামূলক। এবং এই চারটি শর্ত উপেক্ষা করে কেউ যদি বিয়ে করে থাকে তাহলে তার বিয়ে বৈধ হবে না। তাই অবশ্যই প্রত্যেকটি মুসলমানের উচিত এই চারটি ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী এই শর্তগুলো মানতে হবে।
১/ পরস্পর বিবাহ বৈধ এমন পাত্র-পাত্রী নির্বাচন,
২/উভয়ের সম্মতি
৩/ মেয়ের ওয়ালী থাকা
৪/ দু’জন ন্যায়নিষ্ঠ সাক্ষী থাকা।
বিবাহের দু’টি রুকন হলো ঈজাব ও কবূল। (সূরা নিসা -১৯)
ইজাব ও কবুল বিয়ের মূল উপকরণ।
উক্ত শর্তাবলীর কোন একটি পূরণ না হলে বিবাহ শুদ্ধ হবে না। উল্লেখ্য যে, যে মেয়ের ওলী নেই, তার ওলী হবেন সরকার অথবা গ্রামের প্রধান জেলা প্রধান।
"তোমাদের মাঝে যার কোন (পুত্র বা কন্যা) সন্তান জন্ম হয়, সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব কায়দা শিক্ষা দেয়; যখন সে বালেগ অর্থাৎ সাবালক/সাবালিকা হয়, তখন যেন তার বিয়ে দেয়; যদি সে বালেগ হয় এবং তার বিয়ে না দেয় তাহলে, সে কোন পাপ করলে উক্ত পাপের দায়ভার তার পিতার উপর বর্তাবে"
( বায়হাকি, মিশকাত: হাদীস নং - ৩১৩৮)
মুসলিম বিয়ের নিয়মাবলী
ইসলামের প্রতিটি কাজের সুনির্দিষ্ট এবং সুন্দর নিয়ম রয়েছে। বিবাহ কিন্তু তার ব্যতিক্রম নয়। বিবাহের সংক্ষিপ্ত নিয়ম হলো- উপযুক্ত বয়সের ছেলে-মেয়েকে তাদের অভিভাবক এর মাধ্যমে বিবাহের প্রস্তাব দিবেন। সম্ভব হলে ছেলে-মেয়ে একে অপরকে দেখে তাদের অভিমত জানাতে পারবেন। উভয়ে একমত হ’লে নির্দিষ্ট দিনে দু’জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে মেয়ের অভিভাবক নির্দিষ্ট মহরের বিনিময় করে ছেলের সাথে মেয়ের বিবাহের প্রস্তাব করতে পারবে। ছেলে কবুল বা আলহামদুলিল্লাহ বলে গ্রহণ করবে। যাকে আরবীতে ঈজাব ও কবূল বলা হয়।
ইসলামী বিয়ে হল বিবাহযোগ্য দুইজন নারী ও পুরুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক প্রনয়নের বৈধ আইনি চুক্তি ও তার স্বীকারোক্তি প্রদান করা। মুসলিম বিয়েতে দেনমোহর ধার্য করা হয় ছেলের আর্থিক সামর্থ্য ও অবস্থান অনুযায়ী এবং নগদ ভাবে তা প্রদান করতে হয়।
বিবাহ বৈধ হওয়ার জন্য ন্যায়পরায়ণ ঈমানদার দু’জন সাক্ষী থাকতে হবে। সাক্ষীগণ মহরের পরিমাণ ও বরের স্বীকারোক্তি নিজ কানে শুনবেন। আল্লাহ বলেন, ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐْﻦَ ﺃَﺟَﻠَﻬُﻦَّ ﻓَﺄَﻣْﺴِﻜُﻮْﻫُﻦَّ ﺑِﻤَﻌْﺮُﻭْﻑٍ ﺃَﻭْ ﻓَﺎﺭِﻗُﻮْﻫُﻦَّ ﺑِﻤَﻌْﺮُﻭْﻑٍ ﻭَﺃَﺷْﻬِﺪُﻭْﺍ ﺫَﻭَﻱْ ﻋَﺪْﻝٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ - "যখন তারা ইদ্দতে পৌঁছে যায়, তখন যথাবিধি তাদেরকে রেখে দিবে, নতুবা তাদেরকে যথাবিধি বিচ্ছিন্ন করে দিবে এবং তোমাদের মধ্য হ’তে দু’জন ন্যায়পরায়ণ লোককে সাক্ষী রাখবে।" ( তালাক্ব ৬৫/২ )
তবে মনে রাখতে হবে যে অবশ্যই ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী দুইজন সাক্ষী অবশ্যই পুরুষ হতে হবে। এক্ষেত্রে কখনোই একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা কিংবা চারজন মহিলা হলেও চলবে না। কেননা রাসূল (সঃ) বলেছেন, ﻻَ ﻧِﻜَﺎﺡَ ﺇِﻻَّ ﺑِﻮَﻟِﻰٍّ ﻭَﺷَﺎﻫِﺪَﻯْ ﻋَﺪْﻝٍ
"বিবাহ সংগঠিত হবে না অভিভাবক ও দু’জন সাক্ষী ব্যতীত।"
বিয়ের সময় একজন উকিল থাকেন। তিনি কনে পক্ষ অথবা ছেলে পক্ষের হতে পারেন। তবে সাধারণত কনে পক্ষ থেকেই উকিল থাকে। প্রথম অবস্থায় উকিলকনেকে জিজ্ঞাসা করেন বিয়েতে মত আছে কিনা? জিজ্ঞাসা করার পর এসে যদি উত্তর দেয় তাহলে পরবর্তীতে বরকে জিজ্ঞেস করা হয়। এরপর দোয়া কালাম করে বিয়ে কার্য সম্পন্ন করা হয়।
ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী বিবাহে বর, কনে এবং কনের অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন হয়। বৈবাহিক চুক্তিটি অবশ্যই কনের অভিভাবক এবং বরের দ্বারা সম্পাদিত হতে হবে; ছেলে মেয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেনা। ওয়ালী সাধারণত কনের পুরুষ অভিভাবক হয়ে থাকে। প্রাথমিকভাবে কনের বাবাকেই ওয়ালী হিসেবে ধরা হয়। অবশ্য বাবা ছাড়াও ওয়ালী অন্য কেউ হতে পারে।
মুসলিম বিয়েতে ওয়ালীকেও অবশ্যই একজন মুসলিম বা দ্বীনদার হতে হবে। বৈবাহিক চুক্তির সময় চাইলে কনে এবং কনে পক্ষের লোকজন সে স্থানে উপস্থিত থাকতে পারে, তবে তা বাধ্যতামূলক নয়। বিয়ের পর ঘোষণা করে বা অন্য যে কোন পন্থায় সামাজিকভাবে অন্যান্য মানুষদের তা জানিয়ে দিতে হবে, যাকে "এলান করা" বলা হয়ে থাকে।
ইসলামী পদ্ধতিতে বিয়ের জন্য ৮টি কাজ আবশ্যক
১/পাত্র-পাত্রীর সম্মতি
২/ অভিভাবকের সম্মতি
৩/পাত্র পাত্রীর মাঝে সমতা
৪/ নিয়ত শুদ্ধ করা
৫/পাত্র-পাত্রী দর্শন
৬/ বিবাহের প্রস্তাব
৭/ সাক্ষী
৮/বিয়ে পড়ানো।
ইসলামী পদ্ধতি অনুযায়ী বিয়ের জন্য এই আটটি কাজ করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক। ছেলেপক্ষ অথবা মেয়ে পক্ষ-বিপক্ষের সম্মতিক্রমে এই আটটি কাজ পালন করা জরুরি।
[ স্ত্রীরা হচ্ছে তোমাদের জন্য পোশাকস্বরূপ আর তোমরাও তাদের জন্য পোশাকস্বরূপ।] [ সূরা বাকারাহ-১৮৭]
আবু হুরাইরা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত, "যদি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসা কোন মুসলিম যুবকের দ্বীন এবং ব্যবহার (চরিত্র) তোমাকে সন্তুষ্ট করে তাহলে তোমার অধীনস্থ নারীর সাথে তার বিয়ে দিয়ে দাও। এর অনথ্যায় হলে পৃথিবীতে ফিতনা ও দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়বে।”( আল-তিরমিযি, আলবানি ) হাদিসটিকে হাসান বলেছেন।
[ আল-তিরমিযি, মুসলিম পণ্ডিত নাসিরুদ্দিন আলবানি হাদিসটিকে হাসান বলে সাব্যস্ত করেছেন।]
ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী কনে তার নিজের ইচ্ছানুযায়ী বিয়েতে মত বা অমত দিতে পারবে। ইসলামিক নীতি অনুযায়ী একটি আনুষ্ঠানিক এবং দৃঢ় বৈবাহিক চুক্তিকে ইসলামে বিবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়, ইসলামিক বিধান অনুযায়ী যা বর ও কনের পারষ্পারিক অধিকার ও কর্তব্যের সীমারেখা নির্ধারণ করে। ইসলামী বিয়ে হল সুন্নাহ বা হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর নৈতিক আদর্শ। তাছাড়া ইসলামে বিয়ে করার জন্য অত্যন্ত খুবই জোরালোভাবে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এবং অবশ্যই বিয়ে ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী বিবাহের মৌলিক বিধিবিধান অনুযায়ী সম্পন্ন করতে হয়।
ইসলামে বিয়ের মাধ্যমে যেমন সম্পর্ক গড়ার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। ঠিক তেমনি সন্ন্যাসজীবন এবং কৌমার্যেরও কঠোর বিরোধিতা করা হয়েছে ইসলামে। ইসলামে তালাক অপছন্দনীয় হলেও এর অনুমতি আছে। তবে এটা জানা রাখা উচিত যে ইসলামের শুধু ছেলে পক্ষই তালাক প্রদান করতে পারবে। তবে দেশ অনুযায়ী বিবাহ ও তালাক বিষয়ক আইনের ভিন্নতা দেখা যায় যা সংশ্লিষ্ট দেশের সংষ্কৃতি ও নৈতিকতার দ্বারা প্রণীত হয়।
ইসলাম আ আসার পরে রাসূল (সাঃ) প্রচলিত বৈবাহিক রীতির পুনর্গঠন করেন। তিনি চুক্তিভিত্তিক বিবাহ এবং যৌতুকের বিবাহের পুনর্গঠন করে কনেকে মত প্রকাশের অধিকার দিয়েছেন এবং যৌতুক বা পণ মেয়েপক্ষ হতে ছেলেকে দেয়ার পরিবর্তে ছেলেপক্ষ হতে মেয়েকে পণ দেয়ার বিধান চালু করেছেন; যাকে আমরা দেনমোহর নামে অবহিত করেছি। পাশাপাশি সম্পত্তি বিবাহ ও বন্দীকরণ বিবাহ চিরস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করেন। কুরআনের অনেক আদেশ নিষেধ সম্পর্কিত আয়াত এই বিষয়ে নাজিল হয়।
"তিনি তোমাদের একে অন্যের সাথী হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া প্রবিষ্ট করে দিয়েছেন।"
(সূরা রুম-২১)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক হাদিসে বলেছেন, “যখন কোন বান্দা বিবাহ করলো তখন যে তার অর্ধেক ঈমান পূর্ন করল। আর বাকী অর্ধেক এর জন্য সে যেন তাকওয়া অবলম্বন করে।”
(বায়হাকী)
বিবাহ পড়ানোর নিয়ম সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নোত্তর
অভিভাবকের অনুমতি না নিয়ে বা পালিয়ে বিয়ে করা জায়েয কি
ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া পালিয়ে বিয়ে করা জায়েজ নাই তবে বিভিন্ন হাদিস মোতাবেক জানা যায় যে ন্যায়সঙ্গত কারণ ছাড়া বা পাপ হতে মুক্ত থাকার জন্য অভিভাবক ছাড়া বা পালিয়ে বিয়ে করা জায়েয। তবে এটা না করাই ভালো। সে জন্য এরকম পরিস্থিতির যেনো সৃষ্টি না হয়, সেভাবেই ছেলে মেয়ে উভয় পক্ষ তৈরি হতে হবে। যদি বাধ্য হয়ে যদি করতেই হয়, তবে খেয়াল রাখতে হবে ইসলামী বিেয়র মূল উপকরণ ওয়ালী, ইজাব, কবুল, স্বাক্ষী, দেনমোহর যেনো বাদ না যায় এবং দেশের সরকারের নীতি অনুযায়ী যেন বিবাহ কার্য সম্পাদন করা হয়।
আকদ করতে চাইলে প্রথমে কি কাজ করতে হবে
আকদ করতে চাইলে পূর্বে মহর ধার্য না হয়ে থাকলে প্রথমে মহর ধার্য করবে। (সামর্থ অনুযায়ী) কম মহর ধার্য করার মধ্যেই বরকত নিহিত। তবে অবশ্যই প্রত্যেকটা বিবাহ কার্য সম্পাদন করার জন্য দেনমোহর ধার্য করা বাধ্যতামূলক ইসলামিক নীতি অনুযায়ী।
হিল্লা বিয়ের ধর্মীয় বিধান জানতে চাই
হিল্লা বিয়ে একটি গর্হিত কাজ। হিল্লা বিয়ের কোন ধর্মীয় ভিত্তি নেই। তাই এ সম্পর্কে জানারও প্রয়োজন নাই। যেটা ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী কোন ধরনের ফায়সালা করা হয়নি তাই এই বিষয়ে কোন ধরনের মতবাদ না জানাই ভালো।
খুতবা পাঠ করার পর বিয়ে কিভাবে পড়াবে
খুতবা পাঠ করার পর দুজন স্বাক্ষীর সম্মুখে তাদেরকে শুনিয়ে উকীল পাত্রকে বা তার নিযুক্ত প্রতিনিধিকে পাত্রীর পরিচয় প্রদান পূর্বক বিয়ের প্রস্তাব পেশ করবে এবং পাত্র বা তার প্রতিনিধি তার পক্ষ হয়ে আমি কবুল করলাম বা আমি গ্রহণ করলাম বা এরকম কোন বাক্য বলে সে প্রস্তাব গ্রহণ করবে। এতেই বিবাহ সম্পন্ন হয়ে যায়। তবে অবশ্যই পাত্রপক্ষ এবং পাত্রীপক্ষ বিষয়টি সজ্ঞানে মেনে নিয়েছে এটি নিশ্চিত করতে হবে।
বিয়ের জন্য কতজন স্বাক্ষীর প্রয়োজন?
ইসলামী রীতিতে বিয়ের জন্য দুইজন স্বাধীন ও ন্যায়পরায়ণ স্বাক্ষীর প্রয়োজন। ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী বিয়ের জন্য যে তিনজন সাক্ষী থাকা লাগবে তা পুরুষ হতে হবে। একজন মহিলা 2 জন পুরুষ অথবা দুইজন মহিলা একজন পুরুষ এইভাবে বিয়ের সাক্ষী করা যাবে না।
বিবাহের খবর প্রচার করার হুকুম কি
এলান বা ঘটা করে অর্থাৎ বিবাহের খবর প্রচার করে বিবাহের আকদ সম্পন্ন করা সুন্নাত। বিনা কারণে এলান ছাড়া গোপনে বিবাহ পড়ানো সুন্নাতের খেলাফ। এবং ফরজ বিবাহে ওলিমা করা বা খানা পিনার ব্যবস্থা করার বিষয়ে বিভিন্ন হাদিস রয়েছে।
বিবাহের খুতবা পড়ার নিয়ম
ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী বিবাহের খুতবা পাঠ করা মোস্তাহাব। এই খুতবা ইজাব কবূলের পূর্বে পাঠ করবে। এবং তা ঐ সময় হওয়া সুন্নাত।
ছেলে মেয়ের সম্মতি না নিয়ে কি অভিভাবক বিয়ে দিতে পারে
ইসলামে বিয়ের জন্য ছেলে মেয়ের সম্মতিকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। তাই সন্তানের অনুমতি ব্যতিরেখে বিয়ে দেয়া নিষেধ। ছেলে মেয়ে উভয়পক্ষকে জানিয়েই বিয়ের কার্যক্রম করা উচিত। তবে বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী অবশ্য এই উভয় পক্ষকে জানিয়েই বিবাহ কার্য সম্পাদন না করলে পরবর্তী জীবনে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
বিবাহের খুতবা দাঁড়িয়ে পড়বে না বসে পড়বে?
বিবাহের খুতবা দাঁড়িয়ে পড়াই নিয়ম। বসেও পড়া জয়েয। এবং তা চুপচাপ শ্রবণ করা ওয়াজিব। অতএব বিয়েতে অবস্থিত অন্যান্য মানুষজন নীরবে নিস্তব্ধ বিয়ের খুতবা শুনতে হবে।
বিবাহের নিয়ম-পদ্ধতি :
বিয়ে ইসলামী। বিবাহের মৌলিক বিধিবিধান অনুযায়ী সম্পন্ন করতে হয়। বিবাহ, বিবাহ পড়ানোর নিয়ম , ইসলামিক পদ্ধতিতে বিয়ে করা ... বিবাহের নিয়ম -কানুন ( ইসলামিক ) বিবাহের নিয়ম -কানুন... ইসলামিক বিবাহের নিয়ম। বিবাহ পড়ানোর নিয়ম, ইসলামে বিয়ের নিয়ম, ইসলামে বিবাহ করার নিয়ম আমি পরিপূন ইসলামিক নিয়মে বিবাহ কারিতে চাই। ইসলামিক পদ্ধতিতে বিয়ে করা এবং বিয়ে পরবর্তী জীবন যাপন করার। ইসলামে বিবাহ... বিয়ের শর্তসমূহ।বিবাহের গুরুত্ব ও পদ্ধতি। বিবাহের গুরুত্ব ও নিয়ম -ইসলামী শরীয়াতের মতাদর্শে বিবাহের নিয়ম।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন