সিজার করার জন্য ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা সময় লাগে। তবে কারো যদি কোন ধরনের সমস্যা থাকে তাহলে এর থেকেও বেশি সময় লাগতে পারে। দেখা যাচ্ছে যে সিজারের জন্য রোগীকে যখন অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় অনেকেই অনেক ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়ে যায় অনেকের নার্ভাসনেসের কারণে সময় বেশি লাগতে পারে। আবার অনেকের সেলাই এর ক্ষেত্রে একটু সময় বেশি লাগার কারণে ও সময় একটু বেশি লাগতে পারে।
তবে ৪৫মিনিট থেকে ১ ঘন্টা অথবা দেড় ঘণ্টার মধ্যেই সম্পন্ন সিজার কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়। অনেক সময় যখন সিজারের জন্য পেট কাটা হয় তখন সেখানে অন্য কোন ধরনের সমস্যা থাকলে সেটার অপারেশন সম্পন্ন করা লাগে। এক্ষেত্রে সময় বেশি লাগে। তবে এটা সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে ধরা হয়ে থাকে।
অনেকেরই দেখা যায় যে সিজার করার সময় পেটের অন্যান্য স্থানে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যেমন কারো টিউমার জনিত সমস্যা থাকে। আবার অনেকের পেটে পাথর থাকে সেটাও অপারেশনের মাধ্যমে তা সম্পন্ন করা হয় বা বের করে ফেলা হয়। তাই যারা এই বিষয়টি ফলো করে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু এই অপারেশন সম্পন্ন করার জন্য ২ ঘন্টা পর্যন্ত সময় বেশি লাগতে পারে।
তবে যাদের পেটে কোন ধরনের সমস্যা নাই এবং সুস্থ-সবল বাচ্চা থাকলে খুব সহজে এবং খুব দ্রুতই সিজার সম্পন্ন করা যায়। এক্ষেত্রে যত অভিজ্ঞ ডাক্তার হবে তত কম সময়ের মধ্যেই সিজার সম্পন্ন করতে পারবে। এবং রোগীর মনোবল এবং শারীরিক ভাবে প্রস্তুত থাকলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা যায় এবং দ্রুত সুস্থ হওয়া যায়।
সিজারে বেশি সময় লাগার কারণ
রোগী যদি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকে এবং দুর্বলতা ফেল করে তাহলে কিন্তু সিজার করার জন্য সময় একটু বেশি লাগতে পারে। আবার অনেকেই অধিক পরিমান মোটা হওয়ার কারণে সময় বেশি লাগতে পারে এক্ষেত্রে সেলাই দেওয়ার জন্য একটু দেরি হতে পারে। আবার অনেকেই সিজার করার সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে খুবই নার্ভাস ফিল করে এবং অভিজ্ঞ ডাক্তার না হলেও কিন্তু সময় বেশি লাগতে পারে।
সিজারের স্থানে ব্যথা হলে কি করবেন
তবে সিজারের মতো একটি কঠিন কাজ করার জন্য অভিজ্ঞ ডাক্তার ছাড়া কখনই এই কাজে দেওয়া হয় না তাই যেকোনো মেডিকেল সেন্টার গুলোতে অভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়েই সিজার কাজ সম্পন্ন করা হয়। সে ক্ষেত্রে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নাই এই ক্ষেত্রে নিজের মনোবল শক্ত রেখে সিজারের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে সবথেকে ভালো হবে।
সিজার করার সময় কতজন লোক থাকে
সিজার করার সময় চার থেকে পাঁচজন লোক থাকবে তবে এক্ষেত্রে নিজের পার্সোনাল লোক হিসাবে একজন কে রাখা হয় আর অন্যান্য ডাক্তার এবং নার্সেরা সিজার অপারেশন এর কাজ সম্পন্ন করবে। তবে আপনার প্রয়োজন এর স্বার্থে আপনার পার্সোনাল মা-বোন অথবা নিজের হাসবেন্ডকে ও সিজারের স্থানে রাখতে পারবেন এক্ষেত্রে ডাক্তার থেকে অনেক সময় বলে থাকে রোগীর পার্সোনাল কেউ রোগীর সঙ্গে থাকার জন্য।
সিজার করার খরচ কত এবং নরমাল এর খরচ কত
তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার যখন সিজার করা হবে তখন থেকেই আপনার আম্মাকে অথবা আপনার প্রয়োজনীয় কোন আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে সিজারের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যেতে পারবেন এক্ষেত্রে কোন ধরনের বাধা বা নিষেধ করা হয় না যদি এ সমস্ত বাধা নিষেধ করা হয়ে থাকে তাহলে বুঝে নিবেন কোন ধরনের সমস্যা আছে।
নরমাল ডেলিভারি অপারেশন
নরমাল ডেলিভারি অপারেশন বলতে বোঝানো হয়েছে যখন বাচ্চা নরমাল হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয় এক্ষেত্রে তখন যদি কোন ধরনের ছোট কোন প্রবলেম হয় তাহলে ছোট বাচ্চা বের হওয়ার রাস্তা তে অপারেশন করা হয় এই ছোট অপারেশন বলা হয় বা ছোট সিজার বলে। সে ক্ষেত্রে তেমন বড় কোন ভাবে কাটাছেঁড়া করা হয়না নরমালি জায়গাটাকে প্রশস্ত করে বাচ্চাকে সুস্থ সফলভাবে বের করার জন্যই ছোট সিজার করে থাকে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন