সিজারের কাটা শুকাতে সপ্তাহ সময় লাগে। আবার কারো কারো সময় এর থেকে বেশি সময় লাগে সিজারের কাটা স্থান শুকাতে। সঠিক সচেতনাতা না থাকার কারণে অনেকেই সিজারের কাটা স্থানে ঘা শুকাতে দেরি হয়ে থাকে। তাই নিচে আমরা তুলে ধরলাম সিজারের কাটা শুকানোর জন্য কি কি বিষয় গুলো ফলো করতে হবে। তানিয়া বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি।
সিজারের কাটা শুকাতে কত দিন লাগে
সিজারের কাটা শুকানোর আগে ৬ সপ্তাহ থেকে শুরু করে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত। তবে এই ছয় সপ্তাহ থেকে শুরু করে আট সপ্তাহ পর্যন্ত কোন ধরনের ভারী কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। প্রথম কয়েক সপ্তাহ হালকা পরিমাণে হাঁটাচলা করতে পারবেন তবে ছয় সপ্তাহের মধ্যে দূরবর্তী স্থানে হাঁটাচলা করবেন না তা না হলে সিজারের কাটা স্থানে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তবে সিজারের কাটা স্থানে ঘা শুকানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করবেন এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী সমস্ত বিষয় গুলো ফলো করতে বলবে সেগুলো ভালোমতো ফলো করবেন তবে কি কি বিষয় গুলো ফলো করলে আপনারা সিজারের কাটা স্থান দ্রুত শুকাতে পারবেন এই বিষয় নিয়ে নিয়েছে আমরা বিস্তারিত তুলে ধরেছি।
আরো পড়ুন: সিজারের পর কসমেটিক সার্জারি না নরমাল সেলাই কোনটা ভালো
সিজারের কাটা শুকানোর মলম
সিজারের কাটা শুকানোর মলম এর নাম ব্যাকট্রোসিন ২% অয়েন্টমেন্ট। সিজারের কাটা শুকানোর জন্য এই মলমূত্র কার্যকরী তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যাকট্রোসিন মলম টি ব্যবহার করতে হবে। যদি আপনার অ্যালার্জি জনিত বা অন্যান্য কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ডাক্তার আপনাকে জানিয়ে দিবে কিভাবে ব্যাকট্রোসিন মলম ব্যবহার করতে হবে। তাই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সিজারের কাটা শুকানোর মলম ব্যবহার করবেন।
সিজারের কাটা স্থান শুকানোর উপায়
প্রতিদিন হালকা গরম পানি দিয়ে সিজারের কাটা স্থান ভালো মতো পরিষ্কার করতে হবে। একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। কাপড়ের ঘষা যাতে সিজারের কাটা স্থানে না লাগে এই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। হালকা নরম সুতির কাপড় মোছার জন্য ব্যবহার করুন।
সিজারের স্থানে ইনফেকশন হলে অথবা ব্যথা হলে কি করবেন
সিজার হওয়ার প্রথম কয়েক ঘন্টা পর নরম খাবার খেতে হবে, যাতে বমি না হয় রোগীর। এরপরে দ্রুত স্বাভাবিক খাবার খাওয়া উচিত। যদি বাচ্চা দুধ খাওয়াতে শুরু করেন তাহলে এই পুষ্টিকর খাবার আমি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। সিজারিয়ানের কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় তাই বড় সমস্যা হিসাবে এই বিষয়টির জন্য আর যুক্ত খাবার খেতে হবে। যেমন ফল সবুজ শাকসবজি ইসবগুলের ভুষি ইত্যাদি খাওয়া উচিত।
সিজারের কাটা স্থান নিয়ে ভুল ধারণা
সিজারের কাটা স্থান নিয়ে অনেকেরই ভুল ধারণা রয়েছে অনেকেই বলে থাকে যে সিজারের পর বেশি পরিমাণ হাঁটাচলা করা ভালো নয় তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে এমন কথা বলে থাকে তবে আসলে এটি একটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সিজারের পরের দিন থেকেই হালকাভাবে হাঁটাচলা করতে পারবে এতে বরং নানা জটিলতা কমে যাবে। নিজে নিজে বাথরুমে যেতে হবে অথবা এবং নিজেই খাবার গ্রহণ করার চেষ্টা করতে হবে। প্রথম কয়েকদিন বেল্ট ব্যবহার করলে এই হাঁটাচলা করা সহজ হয়।
তবে প্রথম অবস্থায় কখনোই ভারী কাজ করা যাবে না এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাদের এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে এবং প্রথম দিন থেকে কখনোই দূরবর্তী স্থানে হাঁটাচলা করা যাবে না এ ক্ষেত্রে প্রথম দিন থেকে আপনারা স্বাভাবিকভাবে নরমাল যে টুকিটাকি কাজ গুলো আছে সেগুলো করতে পারবেন তবে অধিক পরিমাণ সিজারের স্থানে যাতে ব্যাথা না পাই এ বিষয়টা অবশ্যই নজরে রাখতে হবে।
আরো পড়ুন: নরমাল ডেলিভারি হাসপাতাল বাংলাদেশে কোথায় কোথায় দেখে নিন
সিজারের কাটা স্থান নিয়ে সর্তকতা
স্বাভাবিক চলাফেরা করলেও পেটে চাপ পড়ে এমন ধরনের কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। যদি কোন ব্যায়াম করে থাকেন এমন ধরনের ব্যায়াম যাতে সিজারের কাটা স্থানে আঘাত পাবে তাহলে সেটা থেকে বিরত থাকুন। সিঁড়িতে উঠা নামা ভারী জিনিস উত্তোলন করা এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। সিজারের রোগীকে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রামের রাখতে হবে। এ বিষয়গুলো যদি ঠিকঠাক ভাবে কোন সিজারিয়ান রোগী মানতে পারে তাহলে সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সাহায্য করবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন