সাধারণত ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়ে থাকে আপনার যদি সুস্থ দুইটা বাচ্চা থাকে তাহলে পরবর্তী বাচ্চা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে। তবে হাদিস অনুযায়ী এবং আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে একাধিক পরিমাণ বাচ্চা নেওয়া যাবে এবং রিযিক আল্লাহ নিজেই দিবে। তাই এমন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করা যাবে না যে বাচ্চা না নেওয়া যায়।
সিজার অপারেশন কতবার করা যায় এই বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিনা লায়লা হোসেন জানান প্রথম সিজার এবং দ্বিতীয় সিজারের পরেও যদি বাচ্চা নেওয়ার যায় প্রয়োজন পড়ে তাহলে সে চারবার পাঁচবার পর্যন্ত সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা নিতে পারবে। তবে এই ক্ষেত্রে পরবর্তী গর্ভধারণ গুলো সিজারিয়ানের জন্য ঝুঁকি থাকতে পারে।
প্রথম সিজারের পর থেকেই প্রতিবারই সিজারের ঝুঁকি বাড়তে পারে সিজার করলে সাধারণত কি ধরনের সমস্যা দেখা যায় তার নিচে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি এবং আপনি সর্বোচ্চ কতবার পর্যন্ত সিজার করতে পারবেন সে বিষয়েও এখানে তুলে ধরেছি আশা করি সম্পূর্ণ বিষয়টি পড়লে আপনারা সিজার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
সিজার অপারেশন কতবার করতে পারবেন
প্রথম সিজারের পর থেকে যতবার গর্ভধারণ করবে প্রতিবার সিজারের ঝুঁকি বাড়তে থাকবে। প্রথম সিজারের পর চার থেকে পাঁচবার সিজার করতে পারবে। প্রথমবার সিজার করা হলে পরবর্তীতে গর্ভধারণ করলে সিজার করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা আছে যে প্রথমবার সিজার করলে দ্বিতীয়বার সিজার করা লাগবে এমনটা বিষয় নয়। প্রথমবার সিজার করার পরে দ্বিতীয়বার অনেকেরই নরমাল ডেলিভারিতে বাচ্চা প্রসব করে।
আবার অনেকের দেখা যায় প্রথমবার সিজারের পরে সর্বোচ্চ তিনবার চারবার পর্যন্ত সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে আপনাদের জেনে রাখা উচিত যে প্রথমবার সিজারের পর পরবর্তী সিজার করার জন্য একটি ঝুঁকি থাকে। কারণ পরবর্তীতে যখন সিজার করা হয় তখন সিজারের ক্ষেত্রে মায়ের রক্ত নিতে হয়।
১ম, ২য়, তৃতীয় সিজার কত সপ্তাহে করা যায়
রক্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এবং সব থেকে বড় বিপদ হচ্ছে,গর্ভফুল। জরায়ু মুখের দিকে বাচ্চা থাকে এবং জরায়ুতে ফুল থাকে। প্রথম সিজারের পর যখন সিজার করা হয় তখন আগের সিজারের স্থানেই ফুল থাকে। আগের থেকে অধিক মাত্রায় রক্ত বের হতে পারে। তখন মাকে বাঁচানো অনেকটা কঠিন ব্যাপার হয়ে যায় এমনকি আইসিইউতে রাখা লাগতে পারে।
একাধিক সিজারে কি সমস্যা দেখা দিতে পারে
প্রথম সিজারের পর দ্বিতীয় সিজারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যদি আরো সিজার করার প্রয়োজন পড়ে তৃতীয় নাম্বার অথবা চতুর্থ নাম্বার সে ক্ষেত্রে কিন্তু মায়ের ঝুঁকি বাড়তে থাকে এই ক্ষেত্রে আগের সিজারের কাটা স্থান থেকে রক্ত বের হতে পারে এবং রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এমনকি সিজারিয়ান কে আইসিইউতে রাখার প্রয়োজন পড়তে পারে। দ্বিতীয় সিজারের ক্ষেত্রে জরায়ু বড় হতে থাকে তখন কাটা জায়গায় টান পড়ে। এখানে টান পড়ার কারণে রক্ত পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
সিজার অপারেশন করতে খরচ কত জেনে নিন
এবং প্রথমবার সিজার করার পরে দ্বিতীয় চরগুলোতে ঝুঁকি বাড়তে থাকবে এবং পরবর্তী গুলোতে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম থাকে তবে। অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা আছে যে প্রথমবার সিজার হলে দ্বিতীয় বার সিজার করা লাগবে এমন না আপনি যদি চেষ্টা করেন তাহলে নরমালে ও নিতে পারবেন তবে একটু রিস্ক থাকতেই পারে তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী সিজার এবং নরমাল নেওয়ার চিন্তাভাবনা করবেন।
সিজার অপারেশন কিভাবে করা হয়
প্রথম অবস্থায় পেটের চামড়া অ্যান্টিসেপটিক দ্বারা পরিষ্কার করে নেওয়া হয়। একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে তলপেটের অংশে পেটের চামড়া ৬ ইঞ্চি পরিমাণ কেটে সিজার অপারেশন করা হয়। পেটের চামড়া কাটার পরে জরায়ুতে ও একইভাবে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে শিশুকে বের করে আনা হয়ে থাকে। বাচ্চা বের করে আনার পরে পুনরায় আবার পেটের চামড়া সার্জারির মাধ্যমে অথবা নরমাল সেলাই করে দেওয়া হয়।
সিজারের পর কসমেটিক সার্জারি ভালো নাকি নরমাল সেলাই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন