সিজারের পর জ্বর হলে করণীয় কি এই বিষয় নিয়ে আজকে আমরা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরব। সিজারের পর জ্বর বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কি কারনে হয়ে থাকে এবং জ্বর হলে কি করবেন। এবং জ্বর হলে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে এই কনটেন্টে তুলে ধরেছে আশাকরি সম্পন্ন আর্টিকেলটি আপনারা বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।
সাধারণত সিজার করার পরে সব মেয়েদের কিন্তু জ্বর হয় না আবার অনেকেরই শরীর দুর্বলতার কারণে ওজন দেখা দেয় তাছাড়া অন্যান্য কারণ রয়েছে এ সমস্ত কারণগুলোর জন্য সিজারের পর জ্বর আসতে পারে। জ্বর আসলে দেখা যায় অধিক পরিমানে মাথাব্যথা এবং কোমরে ব্যথা এবং হাঁটু এবং গিরায় গিরায় ব্যথা দেখা দিতে পারে। সিজারের পর জ্বর কি জন্য হয় সেটা নিয়ে নিচে তুলে ধরলাম।
সিজারের পর জ্বর কেন হয়
সিজারের পর জ্বর হওয়ার কারণ হল সিজার করার সময় মাজাতে ইনজেকশন দেওয়া হয় সেটার কারণেই মাথা ব্যথা এবং জ্বর দেখা দেয়। এক্ষেত্রে হাঁটুতে ব্যথা দেখা দিতে পারে এবং অধিক পরিমাণ মাথা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা দেখা দিতে পারে। সিজার করার যে ইনজেকশন ব্যবহার করা হয় সেটি মূলত মেরুদন্ডে ছিদ্র তৈরি করে। আর এই ছিদ্র হওয়ার কারণে অনেকদিন যাবত মেরুদন্ডে জ্বর এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা দেখা দিতে পারে।
তবে এটাই স্বাভাবিকভাবে ব্যথা অনুভূত হতে পারে তবে যদি অধিকমাত্রায় ব্যথা এবং জ্বর দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। অথবা আপনি যে ডাক্তারের মাধ্যমে সম্পন্ন করেছেন সেই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিতে পারেন। হালকা ধরনের সমস্যা বা জ্বর দেখা দেয় তাহলে। তাহলে টেনশন নেয়ার কোনো দরকার নাই।
সিজারের পর জ্বর হলে করণীয়
সিজারের পর জ্বর হলে শুধুমাত্র প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খেতে হবে। এক্ষেত্রে যদি নিয়মিত এবং অধিক মাত্রায় জ্বর দেখা দেয় তাহলে তাৎক্ষণিক ভাবে অভিজ্ঞ কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। এবং অধিক মাত্রায় জ্বর দেখা দিলে এবং সেন্সলেস হয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ কোন হসপিটালে ভর্তি করাতে হবে। হালকা পরিমাণে থাকলে আপনি যে ডাক্তারের মাধ্যমে সিজার অপারেশন সম্পন্ন করেছেন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তী ওষুধ সেবন করতে হবে।
অধিকমাত্রায় জল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মায়ের জন্য এটি প্রথম সিজার হয়ে থাকে কারণ সিজার করার জন্য যখন মেরুদন্ডে ইনজেকশন দেওয়া হয় তখন সেখানে একটি ছিদ্র তৈরি হওয়ার কারণে সমস্ত শরীর ব্যথা হয় এবং জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এক্ষেত্রে মাথাব্যথা অথবা মাজা ব্যথার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
তবে অধিক পরিমাণ জ্বর আসলে এবং যদি রোগীর জটিল কোনো সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই নিকটস্থ কোন হসপিটালে যেতে হবে। অথবা আপনি অভিজ্ঞ ডাক্তার এর মাধ্যমে সিজার করেছেন সে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
সিজারের সেলাই কতদিন পর কাটা লাগে
তবে নরমাল ভাবে যদি নিয়মিত স্বাভাবিক জ্বর থাকে তাহলে শুধুমাত্র প্যারাসিটামল খেতে হবে এক্ষেত্রে কিন্তু অবশ্যই এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করা থেকে বিরত থাকবেন এবং অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করবেন।
সিজারের পর জ্বর হওয়ার আগে সর্তকতা
স্বাভাবিকভাবে সিজারের পর জল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই অবশ্যই জ্বর হওয়ার আগে আপনাকে ঠান্ডা থেকে দূরে থাকতে হবে এবং সিজারের পর যদি আপনি গোসল করে তাহলে অবশ্যই অল্পসময়ের মধ্যে গোসল শেষ করতে হবে এবং যাতে ঠান্ডা কম লাগে এইভাবে আপনাকে গোসল সম্পন্ন করতে হবে।
সিজারের কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া যায়
এক্ষেত্রে ঠাণ্ডা পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কুসুম গরম পানি খাওয়ার চেষ্টা করবেন এবং গোসলের পরে তাৎক্ষণিকভাবে মাথার চুল শুকিয়ে ফেলবেন। এই কাজগুলো যদি আপনি নিয়মিত করতে থাকেন তাহলে আপনার জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে এবং চেষ্টা করবেন ভাল খাবারগুলো খাওয়া এক্ষেত্রে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং সিজারের কাটা তাড়াতাড়ি শুকাতে সাহায্য করবে।
সিজার অপারেশন কতবার করা যায় দেখে নিন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন