সর্দি কাশি হলে বাচ্চাকে কলা খাওয়ানো যাবে এই প্রশ্নের উত্তর আজকে আমরা দিব আশা করি সম্পূর্ণ কনটেন্ট পড়লে আপনারা জানতে পারবেন আসলেই কি কলা খেলে সর্দি-কাশি বাড়ে? এবং বাচ্চাদেরকে কলা খাওয়ানোর ক্ষেত্রে কোন বিষয় গুলো লক্ষ্য করে কলা খাওয়াতে হবে এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে এই কনটেন্টে তুলে ধরেছি। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক সর্দি কাশি হলে বাচ্চাকে কলা খাওয়ানো যাবে কি না এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত।
সর্দি কাশি হলে বাচ্চাকে খাওয়ানো যাবে তবে এক্ষেত্রে স্পেসিফিকভাবে যদি দেখতে পান যে শুধুমাত্র কলা খাওয়ানোর উদ্দেশ্যেই বাচ্চার সর্দি কাশি বেড়ে যাচ্ছে তাহলে কিন্তু সেটা বন্ধ রাখতে হবে এ ক্ষেত্রে আপনারা অন্য একটি উপায় ট্রাই করতে পারেন।বাচ্চা যেই কলা খাচ্ছে সেই কলা খাওয়ার কারণে যদি সর্দি কাশি হয় তাহলে অন্য কলা খাওয়াতে পারেন। বাংলাদেশে কয়েক প্রজাতির কলা রয়েছে যেমনঃ সাগর কলা, সব্রি কলা, চাপা কলা, দেশি জাতীয় কলাগুলো চেঞ্জ করে খাইয়ে দেখতে পারেন।
অনেক সময় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কলা খাওয়ানোর জন্য এলার্জিজনিত এবং অ্যাজমা জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ক্ষেত্রে যদি সাগর কলা খাওয়ানোর পরে যদি দেখেন যে এলার্জির মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে এবং সর্দি কাশি বেড়ে যাচ্ছে তাহলে এটা বন্ধ রাখতে হবে এবং অন্য কলা খাওয়া দেখতে হবে। শুধুমাত্র শীতে কলা খেলে সর্দি কাশি বেড়ে যায় তা কিন্তু না এক্ষেত্রে যাদের কলাতে অ্যালার্জি এবং এজমা আছে তাদের অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়।
সর্দি হলে বাচ্চাকে কলা খাওয়ানো যাবে?
বাচ্চার যদি অ্যালার্জিজনিত সমস্যা থাকে তাহলে সর্দির সময় কলা খাওয়ানো থেকে বিরত রাখা উচিত। যদি কলা খাওয়ার কারণে বাচ্চার সর্দি হয়ে থাকে তাহলে দেশীয় অন্যান্য কলা খাওয়াতে পারেন। এক্ষেত্রে যদি দেখেন সাগরকলা খাওয়ানোর ক্ষেত্রে বা নির্দিষ্ট একটি কলা খাওয়ানোর ক্ষেত্রে সর্দি বেড়ে যাচ্ছে তাহলে দেশীয় অন্যান্য কলা খাওয়াতে পারেন। যেমন: সব্রি কলা, চাপা কলা, সাগর কলা ও অন্যান্য কলা খাওয়াতে পারেন।
তিনটা সিজারের পর বাচ্চা নেওয়া যাবে কিনা জেনে নিন
অনেক সময়ই অ্যাজমা রোগীদের ক্ষেত্রে বেশি করে কলা খাওয়ানো হয় যাতে গলা থেকে এবং এবং ফুসফুস থেকে সর্দি গুলো বের করার জন্য কলা খাওয়ানো হয়। কলা একটি পিচ্ছিল জাতীয় খাবার তাই অনেক সময় সর্দি বের করার জন্য ডাক্তাররা কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। তাই কলা খেলে সর্দি হবে এমন কোন কথা নেই তবে যার এলার্জি এবং এজমা জনিত সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু কলা খাওয়া সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে আপনারা অন্যান্য কলা বার বার খাইয়ে দেখতে পারেন।
কাশি হলে বাচ্চাকে কলা খাওয়ানো যাবে?
ঠান্ডা বা কাশি ও জ্বরের সময় কলা খেতে দেওয়া হয় না এক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে যে আরো বেশি মাত্রায় ঠান্ডা লাগবে। কলাই উচ্চমাত্রায় হিস্টামিন থাকে যা মিউকাস এর পরিমাণ বাড়ায়। 14 দিনের বেশি কাশি থাকলে সে ক্ষেত্রে কলা খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। অনেক বাচ্চাদের কলাতে অ্যালার্জি থাকে তাই অবশ্যই কলা খাওয়ানোর কারণে যদি বাচ্চার কাশি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সেটা বন্ধ রাখতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কলা খাওয়াতে হবে।
ছয় মাসের বাচ্চাকে সবজি খাওয়ানো যায় কিনা দেখে নিন
তবে অনেক সময় নির্দিষ্ট কোন কলাতে অ্যালার্জি মাত্রা বেড়ে যায় যেমন সাগর কলা খাওয়ার কারণে কিন্তু অ্যালার্জিজনিত সমস্যা দেখা দেয় যেমন হতে পারে কাশি অথবা সর্দি জ্বর দেখা দিতে পারে। তবে এক্ষেত্রে দেশী ও অন্যান্য কলাগুলো খাওয়ায় দেখতে পারেন এক্ষেত্রে যদি নিয়মিত সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই কলা খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে।
কলা খাওয়ার সঠিক সময় কখন
সকালবেলা অথবা বিকেলবেলা জলখাবার খাওয়ার পর এই কলা খাওয়া উচিত। কোন খাবারের সঙ্গে আলাদাভাবে কলা না খাওয়াই উচিত। এতে করে বদ হজম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং এসিড রিফ্লাক্স এর সম্ভাবনা বেশি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে পত্র দুর্বল হয়ে পড়ে এবং পেটে বদহজম এর সমস্যা দেখা দিবে। তাই সকাল বেলা অথবা বিকেলবেলা ভারী খাবার পরে কলা খেলে তাড়াতাড়ি হজম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং বদহজম হওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
নবজাতক শিশুর কাশি হলে কি করবেন দেখে নিন
দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত
প্রতিদিন দুটি কলা খাওয়া উচিত এতে করে শরীরে পুষ্টি গুণ ঠিকঠাক থাকে। প্রত্যেকদিন দুটি করে কলা খেলে শরীরের শক্তি জোগাতে সহায়তা করে এবং শরীরের অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ করতেও সহায়তা করে তাই প্রত্যেকটি মানুষের দিনে দুটি কলা খাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে যদি কেউ থাকে ২টির অধিক কলা খেয়ে থাকে তাহলে কোন ধরনের সমস্যা হবেনা তবে বেশি মাত্রায় কোন জিনিসই ভালো না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন