মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদনকারীর যোগ্যতা হিসেবে এইচএসসি এবং এসএসসি সমমান মিলে নূন্যতম জিপিএ-৯.০০ ( চতুর্থ বিষয় সহ ) থাকতে হবে। উপজাতি বা পার্বত্য জেলা অঞ্চলের উপজাতিদের জন্য জিপিএ ৮.০০ ( চতুর্থ বিষয় সহ) থাকতে হবে। এসএসসি এবং এইচএসসি সমমান পরীক্ষায় পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান বিষয়গুলো থাকা লাগবে। জীববিজ্ঞান সাবজেক্টে জিপিএ ৩.৫০০ থাকতে হবে।
এক নজরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা যোগ্যতা
- এসএসসি এবং এইচএসসি মিলের অন্যতম জিপিএ ৯.০০ লাগবে।
- পার্বত্য জেলা অঞ্চলের উপজাতি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জিপিএ ৮.০০ থাকা লাগবে।
- এসএসসি এবং এইচএসসি সম্মান পরীক্ষায় রসায়ন, পদার্থ, জীববিজ্ঞান, থাকতে হবে
- যে বিজ্ঞান সাবজেক্টে কমপক্ষে নূন্যতম জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে।
এক নজরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মোট নম্বর থাকবে ৩০০
- পরীক্ষায় ফলাফল থেকে নম্বর যোগ হবে ২০০
- এসএসসি তে প্রাপ্ত জিপিএ X ১৫ = ৭৫
- এইচএসসি তে প্রাপ্ত জিপিএ X ২৫ = ১২৫
- এমসিকিউ পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষার নম্বর ১০০
- সাধারণ জ্ঞান, বাংলাদেশ ও সাংস্কৃতিক-৬ আন্তর্জাতিক-৪
- পরীক্ষার সময় এক ঘন্টা।
- প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য নাম্বার কর্তন ০.২৫
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৪০
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ-এর উপর নাম্বার
এসএসসি এবং এইচএসসি সম্মান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ২০০ নম্বর নির্ধারণ করে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোতে মূল্যায়ন করা হয়। নিচে পর্যায়ক্রমে এসএসসি এবং এইচএসসির নাম্বার পদ্ধতি দেখানো হলো।
১/এসএসসি তে প্রাপ্ত জিপিএ X ১৫ = ৭৫ নম্বর
২/এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ X ২৫ = ১২৫ নম্বর
মেডিকেল লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি ও এইচএসসি সম্মান পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হয়ে থাকে। এছাড়াও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের এই ওয়েবসাইটে কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে জেনে নিতে পারেন।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত নোটিশ
সরকারি মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার জন্য জাতীয় মেধা ৮০% ও জেলা কোঠায় ২০% প্রার্থী নির্বাচন করা হয়ে থাকে। প্রতিটি সরকারি মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকে। বেসরকারি অথবা প্রাইভেট মেডিকেলে ভর্তি হতে চাইলে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক এবং এমসিকিউ পরীক্ষায় কমপক্ষে ৪০ নাম্বার পেতে হয়।
এছাড়াও জানা কোন সরকারি মেডিকেলে অথবা ডেন্টাল কলেজে ভর্তি হয়ে থেকে পুনরায় মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকে তাদের জন্য 5 মার্ক কাটা যাবে। এ বিষয়টা অনেকেই জানে না না জানার কারণে অনেকেই ভুল করে থাকে। তাই অবশ্যই জেনে শুনে তারপর এই মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিবেন।
যারা ২০২৩ সালে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তারা উপযুক্ত বিষয়গুলো ভালোমতো জেনে তারপর এই মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিবেন। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও এসএসসি এবং এইচএসসি বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। তাই বর্তমানে যারা এখন পর্যন্ত মেডিকেল প্রিপারেশন শুরু করে দিয়েছেন তারা এই বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে পড়ার জন্য জানানো যাচ্ছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন