ছয় মাসের বাচ্চাকে সবজি খাওয়াতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে জেনে রাখা উচিত যে এই সবজি খাওয়ানোর ক্ষেত্রে রান্না করার সময় অবশ্যই লবণ কম ব্যবহার করতে হবে এতে করে বাচ্চা আস্তে আস্তে লবণ খাওয়ার শিখতে পারবে এবং লবণ চিনতে পারবে। তবে প্রথম অবস্থায় কখনোই বেশি মাত্রায় লবণ খাওয়াবেন না এতে করে বাচ্চার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ছয় মাসের বাচ্চার জন্য সবজি রান্না করার সময় অবশ্যই হালকা পরিমাণ লবণ এবং হালকা পরিমাণ মসলা ব্যবহার করতে পারবেন এবং চেষ্টা করবেন সামান্য পরিমাণ তেলে ভেজে ভালোমতো সিদ্ধ করে তারপরে খাওয়ানোর এতে করে বাচ্চারা আস্তে আস্তে সবজি খাবারের চাহিদা বাড়তে থাকবে এবং বাচ্চার পুষ্টিকর খাবার আগ্রহ তৈরি হবে।
ছয় মাসের বাচ্চাকে কখনোই চামচ দিয়ে খাওয়ানো যাবে না এতে করে সবজি এবং ভাত খাওয়ানোর সময় মায়ের হাতে যথেষ্ট। এক্ষেত্রে মা ভালোমতো ভাত এবং সবজি ভালোমতো চটকিয়ে নিতে হবে। তারপরে বাচ্চার মুখে দিয়ে খাওয়াতে হবে এতে করে দৈনিন্দিন খাওয়ানোর ফলে বাচ্চার পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো হবে সেইসাথে ছয় মাসের বাচ্চাকে খাওয়ানো যাবে।
৬ মাসের বাচ্চাকে কোন সবজি খাওয়ানো যাবে
ছয় মাসের বাচ্চার জন্য লাউ, মিষ্টি কুমড়া, গাজর, পেঁপে, চাল কুমড়া এই ধরনের সবজি গুলো খাওয়ানো যাবে। এই সবজিগুলো কাটার সময় আগে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে তারপরে কেটে ফেলে স্লাইস করে রান্না করতে হবে। রান্নার সময় হালকা পরিমাণ লবণ দিতে হবে বেশি পরিমাণ কখনোই লবন দিবেন না। সামান্য পরিমাণ তেল এবং সামান্য পরিমাণ মসলা ব্যবহার করতে পারবেন। অতিরিক্ত মসলা সমৃদ্ধ খাবার বাচ্চাকে খাওয়ানো যাবে না।
তবে অবশ্যই মনে রাখবেন সবজিটা ভালো মতো সিদ্ধ করতে হবে এবং সবজির খোসা ভালোমতো মিলিয়ে নিতে হবে তারপরে ভালোমতো বোয়েল করে হালকা পরিমাণে তেল ব্যবহার করে খাবারের সময় হাতে চটকিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে। বাচ্চাকে খাওয়ানোর সময় কখনোই ভুল করে খাওয়াবেন না এতে করে বাচ্চার হজম করতে সমস্যা হবে। তাই ভালোমতো হাত দিয়ে চটকে সবজি খাবার খাওয়াবেন।
সিজারের পর তিনটা বাচ্চা নেওয়া যাবে কি?
লবন ছাড়া বাচ্চাকে সবজি কিভাবে খাওয়াবেন
লাউ, চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, গাজর, পেঁপে এইসব গুলো ভালো মত ছেলে নিয়ে সিদ্ধ করে হালকা পরিমাণ লবণ ব্যবহার করতে পারেন আবার লবণ ব্যবহার করেও ভালো মতো সিদ্ধ করে তেল দিয়ে সামান্য পরিমাণ মসলা ব্যবহার করে লবন ছাড়া বাচ্চাকে সবজি খাওয়াতে পারবেন। এক্ষেত্রে মায়ের হাতে ভালোমতো সবজিগুলো চটকিয়ে খাওয়াতে হবে। আস্তে আস্তে পরবর্তীতে হালকা পরিমাণ লবণ ব্যবহার করতে পারবেন এতে করে বাচ্চার সবজি খাওয়ার চাহিদা বাড়বে এবং বাচ্চার পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো সহজ হবে।
'' বাচ্চা শিশুর কাশি হলে কি করবেন দেখে নিন
প্রথম অবস্থায় বেশিমাত্রায় কখনোই সবজি খাওয়াতে যাবেন না এতে করে বাচ্চার খাবারের রুচি নষ্ট হয়ে যেতে পারে হালকা পরিমাণ খাবার খাওয়াতে থাকবেন এতে করে বাচ্চার খাবারের চাহিদা বাড়বে তারপরে আস্তে আস্তে সবজি খাওয়ার মাত্রা বাড়িয়ে দিবেন এতে করে বাচ্চার সবজি খাওয়ার চাহিদা বাড়বে এবং বাচ্চার রুচি নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
ছয় মাসের বাচ্চাকে সবজি খাওয়ানোর আগে সর্তকতা
ছয় মাসের বাচ্চাকে সবজি খাবার খাওয়ানোর আগে অবশ্যই সবজি ভালোমতো সিদ্ধ করে লবণ কম ব্যবহার করে খাওয়াতে হবে এবং বেশি পরিমাণ মসলা কখনোই খাওয়ানো যাবে না। বাচ্চার যদি কোন ধরনের সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সবজি খাওয়াতে হবে। বাচ্চার যদি এলার্জিজনিত কোন ধরনের সমস্যা থাকে এবং ঠাণ্ডা জনিত কোন সমস্যা থাকলে তাহলে যে সমস্ত খাবারগুলো খেলে বাচ্চার ঠান্ডা জনিত সমস্যা হতে পারে এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো।
সবজি খাবারগুলো ভালোমতো সিদ্ধ করে হাত দিয়ে চটকে খাওয়াতে হবে এতে করে বাচ্চার হজম ভালো হবে এবং বাচ্চার ভালোমতো খেতে পারবে। তাই অবশ্যই বাচ্চাকে সবজি খাওয়ানোর আগে এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে তারপরেই সবজি খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন এবং বাচ্চাকে কখনোই অতিরিক্ত পরিমাণে জোর করে সবজি খাওয়াতে যাবেন না এতে করে বাচ্চার খাবার পর অনীহা চলে আসতে পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন