আপনারা যদি সরকারি ভাবে কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র খুঁজে থাকেন তাহলে আপনারা সঠিক জায়গাটি খুঁজে পেয়েছেন। মূলত আজকে আমরা আপনাদেরকে সরকারি ভাবে কোরিয়ান ভাষা কোথায় শিখায় এবং কত টাকা খরচ হয় এ সংক্রান্ত তথ্যগুলো নিয়ে বিস্তারিতভাবে আপনাদেরকে জানাবো। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক সরকারি ভাবে কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র কোথায় রয়েছে। এবং কিভাবে সমস্ত জায়গায় আবেদন করবেন।
কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি যদি কোরিয়ান ভাষা ভালোমতো না শিখতে পারেন তাহলে কোরিয়াতে যেতে পারবেন না। কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য প্রথম স্টেপ হল কোরিয়া ভাষা সম্পর্কে অভিজ্ঞ হওয়া। তাই আপনারা যারা কটিয়ান ভাষা শিখতে চান অনেকেই জানেন না যে কোরিয়া ভাষা কোথায় শিখায় এবং কিভাবে শিখায়।
তাই আজকে আমরা এই কন্টেন্টের মাধ্যমে জানাবো কিভাবে ভাষা শিখবেন এবং ভাষা শিখার পরে কি কি করা উচিত এবং সরকারিভাবে শিখতে হলে কি টাকা লাগে কিনা এই সংক্রান্ত তথ্যগুলো আজকের এই কনটেন্ট এর মধ্যেই জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নেই সরকারিভাবে কোথায় শেখায় এবং সরকারিভাবে শেখার পরে কি কি সুযোগ সুবিধা পাবেন।
সরকারি কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র
সরকারিভাবে কোরিয়ান ভাষা শেখার জন্য বাংলাদেশের টিটিসি কেন্দ্রগুলোতে আপনি শিখতে পারবেন। সরকারিভাবে শুধুমাত্র টিটিসি কেন্দ্রগুলোতেই কোরিয়া ভাষা শেখানো হয়। এক্ষেত্রে আপনারা বাংলাদেশের বিভাগীয় পর্যায়গুলোতে যে সমস্ত টিটিসি কেন্দ্র রয়েছে ওই টিটিসি কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে আপনারা সরকারি ভাবে কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা নিতে পারবেন।
প্রায় প্রতিটি বিভাগেই টিটিসি কেন্দ্র রয়েছে আর প্রত্যেকটি কৃষি কেন্দ্র এ সরকারিভাবে কোরিয়া ভাষা শিক্ষা দেওয়া হয়। এবং কোরিয়াতে যাওয়ার প্রসেস সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়। তাই আপনারা যারা সরকারি ভাবে কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা গ্রহণ করতে চাচ্ছেন তারা চাইলে বাংলাদেশের জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে গুলোতে যে সমস্ত টিটিসি কেন্দ্র রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমেই আপনারা মূলত সরকারি ভাবে কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা নিতে পারবেন।
সরকারিভাবে কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায়
সরকারিভাবে যদি আপনি কোরিয়ান ভাষা শিখতে চান তাহলে প্রথম অবস্থায় আপনাকে সরকারি টিটিসি কেন্দ্রগুলোতে ভর্তি হতে হবে। সরকারি কেন্দ্রগুলোতে মূলত কোরিয়ান ভাষা শিক্ষার উপর একটি কোর্স চালু আছে ৬ মাস মেয়াদী। ৬ মাসের মধ্যেই আপনি কোরিয়ান ভাষা শিখতে পারবেন এবং কোরিয়া যাওয়ার জন্য মোটামুটি একটা প্রিপারেশন নিতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনাদের উচিত হবে জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারি মাসের টিটিসির কোর্স মডিউল অনুযায়ী আপনাদেরকে ভর্তি হতে হবে তারপরে আপনারা সেখানে কুরিয়ার ভাষা শিখে। কোরিয়া যাওয়ার জন্য পরীক্ষায় অ্যাটেন্ড করতে পারবেন। আর আপনাদের আগে থেকেই জানা আছে যে কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য কোরিয়ান ভাষা শিখতে হয়।
জাপানে কাজের ভিসা | জাপান ভ্রমণ ভিসা
বিগত বছরগুলো থেকেই মূলত কোরিয়ান ভাষা শুধুমাত্র সরকারি কেন্দ্রগুলোতে শেখানো হচ্ছিল কিন্তু এখন চাইলে আপনারা দেশের বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকেও কোরিয়ান ভাষা শিখে কোরিয়া যাওয়ার জন্য পরীক্ষা দিতে পারবেন।
কোরিয়ান ভাষা কেন শিখবেন
কোরিয়ান ভাষা শিখি আপনি কোরিয়াতে গিয়ে কাজ করতে পারবেন অথবা চাইলে নিজেও আপনি কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র তৈরি করে সেখানে প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন। সাধারণত যারা কোরিয়ান ভাষা শিখে থাকে তারা মূলত কোরিয়াতে যাওয়ার জন্যই কোরিয়ান ভাষা শিখে। তবে আপনি যদি কোন কারণে কোরিয়াতে না যেতে পারেন তাহলে চাইলে নিজেই আপনি কোরিয়ান ভাষা শিক্ষক কেন্দ্র খুলে সেখানে ভাষা শিখাতে পারেন।
অথবা অনলাইনের মাধ্যমে আপনারা কোরিয়া ভাষার মাধ্যমে দোভাষী হয়ে আপনারা কাজ করার সুযোগ তৈরি করে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন মানুষজন অনলাইন থেকেও হায়ার করে রাখে অথবা বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানি আছে যারা কোরিয়ান কোম্পানির সঙ্গে কাজ করে থাকে তাদের মাধ্যমে আপনারা দোভাষী হয়েও কাজ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়
তাছাড়া আরো অনেক ধরনের কোরিয়ান ভাষার কাজ রয়েছে যা কিনা আপনি রুমে বসে থেকেও করতে পারবেন তাই উচিত হবে কোরিয়ান ভাষাটা শিখে আপনাকে ভালো একটি দক্ষতা অর্জন করা। তবে দক্ষতা অর্জন করতে হলে আপনাকে সরকারি ভাবে এবং বেসরকারিভাবে যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকেই কোরিয়ার ভাষা শিখতে হবে।
কোরআন ভাষা শেখার প্রতিষ্ঠান
সরকারিভাবে কোরিয়ান ভাষা শিখাই এমন কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ করিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সহ বাংলাদেশ আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে কোরিয়ান ভাষা শিখানো হয়। সেই সাথে বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি বিভাগীয় পর্যায়ে এই সমস্ত টিপিসি কেন্দ্র রয়েছে প্রত্যেকটি টিটিসি কেন্দ্রে কোরিয়া ভাষা শিক্ষা প্রদান করে।
তবে এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে শুধুমাত্র আপনারা ভাষা শিখতে পারবেন তা কিন্তু নয়। এখান থেকে আপনারা কোরিয়ান কালচার সম্পর্কে এবং কোরিয়াতে কি কি কাজ করানো হয় সেই সম্পর্কেও জানতে পারবেন। প্রথম অবস্থায় ভাষা শেখার উপর গুরুত্ব দিয়ে পরবর্তীতে আস্তে আস্তে আপনারা করে আটকা কালচার সম্পর্কে শিখতে থাকবেন এইভাবে যখন আপনার পরীক্ষার সময় আসবে তখন ঠিকঠাক মতো পরীক্ষা দিয়ে পরবর্তীতে আপনারা কোরিয়া যাওয়ার জন্য কালচার সম্পর্কে যে আলাদাভাবে ট্রেনিং করা হয় সেই ট্রেনিং করে তারপরে যেতে পারবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন