ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে কুরিয়ার করার উপায় সম্পর্কে অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে তাই আজকে আমরা মূলত এই বিষয়টা নিয়ে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব। মূলত ইন্ডিয়া থেকে অনেকেই অনেক ধরনের জিনিস পাঠাতে চাই এক্ষেত্রে মোবাইল ফোন সহানুর সঙ্গে অনেক কিছুই তবে বৈধ উপায় এবং অবৈধ উপায়ে এই দুইটি উপায় রয়েছে।
তবে অবৈধ উপায়ে ইন্ডিয়া থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে আসা কিন্তু একটি রিস্ক হয়ে যায় তাই আপনারা চেষ্টা করবেন সবসময় বৈধ উপায়ে ইন্ডিয়া থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে আসার। এক্ষেত্রে আমরা দুই মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশ কুরিয়ার করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
ইন্ডিয়া থেকে কি বাংলাদেশ কুরিয়ার করা যায়
ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে কুরিয়ার করা যায় তবে বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে এবং নির্দিষ্ট কিছু প্রোডাক্ট রয়েছে ওই সমস্ত প্রোডাক্ট এর উপরে শুধু ইন্ডিয়া থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে আসতে পারবেন। তবে এটার জন্য আপনাদেরকে ব্যাংক থেকে কিছু অনুমোদন এবং লেটার অফ ক্রেডিট খুলতে হবে। তাহলে আপনারা ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশ কুরিয়ার করতে পারবেন।
লেটার অফ ক্রেডিটের মাধ্যমে জমা করার পেমেন্ট এবং মালামাল উভয় বিষয়গুলো ব্যাংকের মাধ্যমেই তা অর্থ প্রদান করতে হবে। ব্যাংককে তার একাউন্ট থেকে টাকা বুঝিয়ে নিয়ে তাকে অরজিনাল শপিং বা কেনাকাটা যেগুলো হয়েছে তা রিসিভ করার জন্য জানানো হবে।
সিঙ্গাপুর সোনার দাম কত \ আজকে সিঙ্গাপুর সোনার দাম
ভারত থেকে বাংলাদেশে কুরিয়ার করার নিয়ম
ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশ কুরিয়ার করার জন্য প্রথম অবস্থায় ব্যাংকে গিয়ে লেটার খুলতে হবে এবং ক্রেতা অর্ডারের শর্ত অনুযায়ী মাল পরিদর্শন ও ডেসপ্যাচ ক্লিয়ারেন্স দেওয়ার পর ভারতীয় ওই বিক্রেতা প্রয়োজন এর মাধ্যমে তা জমা করে দিবে। এবং ওই ব্যক্তি সে তার হাতে টাকা পেয়ে যাবে।
যে সমস্ত মালামাল ইন্ডিয়া থেকে কুরিয়ার করতে যাচ্ছে ঐ সমস্ত মালামাল বাংলাদেশের নির্দিষ্ট গন্তব্য অনুযায়ী পৌঁছে যাবে। অরজিনাল শপিং পাঠিয়ে দিবে এবং ভারত থেকে কুরিয়ার মাধ্যমে যে মালগুলো আসবে সেটা রিসিভ করার জন্য একটি অনুমোদন পত্র ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ওই রিসিভ কপি নিয়ে সংগ্রহ করে নিতে পারবে।
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে
ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে পণ্য আনার উপায়
ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে পণ্য আনার জন্য প্রথম অবস্থায় আপনাকে লাইসেন্স করতে হবে। আপনি যদি ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে অন্য আমদানি করতে চান তাহলে প্রতিষ্ঠানের আমদানি লাইসেন্স দিয়েও ভারত থেকে আপনি পণ্য আমদানি করতে পারবেন। আমদানি লাইসেন্স হয়ে গেলে আপনি ভারতের রপ্তানি কারকের সাথে যোগাযোগ করে যে কোন ধরনের ইন্ডিয়ান মাঠ বা ফ্লিপকার্টের সাহায্য নিয়ে অন্য অন্য আনতে পারবেন।
তাছাড়া তার আগে আপনাদেরকে অবশ্যই ব্যাংকে থেকে লেটার অফ ক্রেডিট তৈরি করে তারপরে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় রপ্তানি কারকের কাছ থেকে অথবা ইন্ডিয়ান মাঠ বা ফ্লিপকার্টের সাহায্য নিয়ে আপনারা যেকোনো ধরনের প্রোডাক্ট বাংলাদেশের নিয়ে আসতে পারবেন।
তাছাড়া অবৈধভাবে অনেকেই ইন্ডিয়া থেকে অনেক প্রোডাক্ট নিয়ে আসে সেই ক্ষেত্রে কিন্তু তাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয় এবং অনেক অংকের টাকাও কিন্তু জরিমানা দিতে হয় তাই আপনারা চেষ্টা করবেন বৈধ উপায় ইন্ডিয়া থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে আসার। দালালের মাধ্যমে তারা ব্যবহার করে থাকে তাই এসব মাধ্যমে অনেক সময় মালামাল আপনি হাতে না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন