আজকে আমরা কথা বলব আমেরিকায় টুরিস্ট ভিসায় কাজের সুযোগ কিভাবে নিবেন এবং বর্তমানে নতুন নিয়ম অনুযায়ী কিভাবে আমেরিকায় টুরিস্ট ভিসায় কাজ করা যাচ্ছে তা আজকে এই কন্টেন্টের মধ্যে জানতে পারবেন।
বিগত বছরগুলোতে আমেরিকাতে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে কেউ যদি কাজে নিয়োজিত হতো তাহলে কিন্তু তাকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার নিয়ম ছিল। কিন্তু এই নিয়ম কিছুদিন যাবত পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে আমেরিকাতে টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে নিয়ম মেনে প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট গুলো পূরণ করে তারপরে আপনি আমেরিকায় টুরিস্ট ভিসায় কাজ করতে পারবেন।
২০২৩ সালের নতুন বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়েছে যে বর্তমানে যারা বি-1 অথবা বি-2 ভিসাতে যাতায়াত করে থাকে তাদের ক্ষেত্রে কেউ যদি সেখানে চাকরি পেয়ে যায় তাহলে ওয়ার্ক ভিসা তে কনভার্ট করতে পারবে। বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলোতে কর্মী ছাটাই প্রক্রিয়ার কারণেই মূলত আমেরিকার মন্ত্রণালয় গুলো এই সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছে।
তাই বর্তমানে যারা আমেরিকাতে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তারা চাইলে ওয়ার সাথে কনভার্ট করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ৬০ দিন পরিমাণ সেখানে সময় অতিক্রম করে আপনারা চাকরির জন্য আবেদন সম্পন্ন করে চাকরি যোগাড় করে নিতে হবে।
আপনারা যদি ৬০ দিনের মধ্যে চাকরি না জোগাড় করতে পারেন তাহলে আমেরিকা ত্যাগ করতে হবে। তবে অন্যান্য কোন সমস্যা থাকলে আমেরিকার দূতাবাসে গিয়ে সরাসরি আপনাদের আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করে নিতে হবে। বর্তমানে অনেকেই বিভিন্ন কোম্পানি থেকে ছাটাই হওয়ার কারণে এই সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে আমেরিকার সরকার।
সিঙ্গাপুর যাওয়ার ট্রেনিং সেন্টার কোথায় কোথায় দেখে নিন
মূলত আমেরিকাতে দুই ধরনের ভিসা সার্ভিস চালু আছে একটি হচ্ছে পড়াশুনা এবং রিসার্চ করার জন্য টুরিস্ট ভিসার মধ্যেই ধরা হয়ে থাকে। আরেকটি আছে ফ্যামিলি বা আত্মীয়-স্বজন এবং বিজনেস প্ল্যান করার জন্যই ভিসা চালু করা হয়েছে এই দুই ধরনের ভিসার যে কোন এক ধরনের ভিসা নিয়ে কেউ যদি প্রবেশ করে থাকে। তাহলে সে আমেরিকাতে কাজ করার সুযোগ পাবে।
তবে যেকোনো ধরনের কাজে কেউ যদি নিয়োজিত হয়ে যায় তাহলে তৎকালীনভাবে সে টুরিস্ট ভিসা বাদ দিয়ে স্টুডেন্ট ভিসা অথবা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কনভার্ট করতে পারবে। তবে নতুন এই নিয়ম অনুযায়ী অবশ্যই প্রয়োজনীয় তথ্য সংযোজন করে আমেরিকার এমবাসির মাধ্যমে আপনাকে কাজটি সম্পন্ন করা লাগবে।
বর্তমানে যারা ফ্যামিলি ভিসার মাধ্যমে আমেরিকাতে বসবাস করছেন তাদের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম হিসেবে চাকরিতে জয়েন করার সুযোগ রয়েছে। তবে মনে রাখবেন এই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় ইলিগ্যাল কোন ডকুমেন্ট থাকলে সেগুলো কিন্তু বাতিল হয়ে যাবে এবং আপনার ভিসা কনভার্ট করার সময় কিন্তু সমস্যা দেখা দিবে।
বর্তমানে যারা আমেরিকার বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করছেন কিন্তু কাজ চলে গিয়েছে তারা চাইলে নতুন ভাবে আবার আবেদন করতে পারবেন এক্ষেত্রে ৬০ দিন পর্যন্ত সেখানে আপনারা চাকরি খোঁজার জন্য সময় দিতে পারবেন। ৬০ দিন পরেও যদি আপনারা চাকরি না পান তাহলে কিন্তু আপনাকে নিজ নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী আমেরিকার কাজ করার ক্ষেত্রে সময়ই বাড়ানো সহ আরো বিভিন্ন ধরনের সুযোগ রয়েছে। যারা বর্তমানে কাজে নিয়োজিত আছে এবং কোম্পানি চেঞ্জ করে নতুন কোন কোম্পানিতে ঢুকেছে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু ভিসার বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
বেতন বেশি দশটি দেশের তালিকা দেখে নিন
তাই আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন আমেরিকাতে এক্ষেত্রে টুটির ভিসার মাধ্যমে যদি গিয়ে সেখানে কাজ পেয়ে যান তাহলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই ওয়ার্ক ভিসা অথবা স্টুডেন্ট করে নিতে হবে। তা না হলে কিন্তু আপনাকে পরবর্তীতে এই বিষয়টি যখন পুলিশের নজরে চলে আসবে তখন কিন্তু তারা আপনাকে দেশ থেকে বাহির করে দিবে।
তাই সর্বদা চেষ্টা করবেন আমেরিকা যাওয়ার পর পরে কাজ সংগ্রহ করে তৎক্ষণিক সাথে ওয়ার্ক ভিসাতে কনভার্ট করার। তা না হলে যে কোন সময় দেশ ত্যাগ করা লাগতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার চাকরি চলে যাওয়ার পরেও যদি আপনি সেখানে অবস্থান করেন তাহলে কিন্তু সমস্যা দেখা দিবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন