হস্তমৈথুন করলে কি রোজা ভেঙে যায় ও নামাজ?

    হস্তমৈথুন করিলে কি রোজা ভেঙে যায় নাকি জানুন


    ইসলামে হস্তমৈথুন করা একেবারে সম্পূর্ণভাবে হারাম। রোজা থাকা অবস্থায় কোন ব্যক্তি যদি হস্তমৈথুন করে তাহলে তার রোজা হবে না। রোজার পরবর্তী সময়েও কোন ব্যক্তি যদি হস্তমৈথুন করে থাকে তাহলে সে পাপের মধ্যে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে। আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন কোরআন এবং হাদিসের মধ্যে একাধিক ভাবে এ বিষয়ে উল্লেখ করেছেন


    রমজান মাস হল পবিত্র মাস এই মাসে যাবতীয় পাপ কাজ হতে বিরত থাকা এবং নিজেকে সর্বদা ইবাদত বন্দেগির মধ্যেই কাটানোর জন্যই আল্লাহ এই মাসটি মুসলমানদের জন্য একটি পবিত্র মাস হিসেবে আমাদেরকে দিয়েছেন। রমজান মাসে শুধুমাত্র ইবাদত বন্দেগীর পাশাপাশিও আল্লাহ আমাদের দান সদকা করার জন্য বেশি বেশি করে গুরুত্ব দিতে বলেছেন


    রমজান মাসে কোন আমল করলে যেমন 70 গুণ সব পাওয়া যায়। ঠিক একইভাবে কোন ব্যক্তি যদি পাপ কাজে লিপ্ত হয় তাহলেও কিন্তু সে উত্তর গুণ হারে পাপ হবে। তাই রমজান মাসে কোন ব্যক্তি যদি হস্তমৈথুন করে তাহলে তার রোজা অবশ্যই ভেঙ্গে যাবে। অনেকেই অনেক ধরনের মতবাদ দিয়ে থাকে তবে অবশ্যই হস্তমৈথুন করলে নিজের শরীরের ক্ষতি এবং বড় ধরনের পাপ


    আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন বলেছেন কোন ব্যক্তি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে তার শারীরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় তাহলে সে যেন রোজা করে। তার মানে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন এই বিষয়টাকে সম্পূর্ণভাবেই পাপ কাজ হতে বিরত থাকার জন্যই রোজা করতে বলেছেন। তাই বোঝাই যাচ্ছে যে রোজা থাকা অবস্থায় কোন ধরনের হস্তমৈথুন করা যাবে না


    যদি কোন ব্যক্তি ভুলবশত করে থাকে তাহলে কিন্তু কোন সমস্যা নেই। তবে কোন ব্যক্তি জেনে শুনে যদি এই কাজ করে থাকে তাহলে তার রোজা অবশ্যই হবে না। জানার পরে কোন কাজে লিপ্ত হলে সেটা কখনোই ভুলে করা হয় না সেটা নিজের ইচ্ছাই করা হয়ে থাকে। তাই নিজের ইচ্ছায় কেউ যদি হস্তমৈথুন করে থাকে তাহলে তার রোজা হবে না


    হস্তমৈথুন করলে নিজের শরীর ঠিক থাকবে না এবং ঠিকমতো জীবন পরিচালনা করা সম্ভব হয় না পাশাপাশি হস্তমৈথুন করার ফলে কিন্তু মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। নিজের মন মানসিকতা ঠিক থাকে না এবং পরিবারের মানুষদের কেউ নিয়েও নানা রকমের মাথার মধ্যে চিন্তাভাবনা চলে আসে। তাই অবশ্যই এই সমস্ত পাপ কাজ হতে নিজেকে বিরত থাকাই সবথেকে বেশি ভালো


    অনলাইনে ইনকাম করার জন্য ক্লিক করুন


    কোন ব্যক্তি যদি নিয়মিত হস্তমৈথুন করে তাহলে তার শারীরিকভাবে বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা দেয়। শরীর অতিরিক্ত চিকন হয়ে যাই। এবং পরবর্তীতে বিয়ের সময় পুরুষের বিভিন্ন রকম সমস্যা হতে পারে এক্ষেত্রে তার ঠিকঠাক মতো মিলন করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। অথবা নিজেকে বাচ্চা প্রদান করার ক্ষমতাও কিন্তু একসময় হারিয়ে ফেলতে পারে তাই অবশ্যই এই পাপ কাজ হতে নিজেকে বিরত থাকাই সব থেকে


    আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন যেকোনো সময় যেকোনো মুহূর্তের জন্যই কিন্তু হস্তমৈথুন হারাম করেছেন। সামর্থ্য থাকলে আল্লাহ তৎকালীনভাবেই বিয়ে করার জন্য বলে দিয়েছেন। তাই প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে কোন ব্যক্তি যদি হস্তমৈথুন করে এবং তার বিয়ে করার সামর্থ্য থাকার পরেও সে যদি বিয়ে না করে তাহলে সে নিজেকে পাপ কাজের মধ্যে নিয়ে যেতে লাগলো


    যদি হস্তমৈথুন করে থাকেন তাহলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিন এবং যে রোজা ভেঙে ফেলেছেন সেই রোজা পরবর্তীতে করার চেষ্টা করুন এবং আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া প্রার্থনা করুন। এবং নিজেকে অবশ্যই এই কাজ থেকে পরবর্তীতে বিরত রাখুন। এবং অন্যান্য আমল আকিদা বেশি মাত্রাই করতে থাকুন এতে করে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আপনার উপর সন্তুষ্ট হয়ে এই গুনাহ থেকে মুক্তি দিবে


    হস্তমৈথুন করলে কি নামাজ হবে

    আগেই বলে রাখা উচিত যে হস্তমৈথুন ইসলামে একেবারে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। ভুলক্রমে যদি কেউ এই কাজটি করে তাহলে তাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে নামাজ পড়তে পারবে। পরবর্তীতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। হস্তমৈথুন করার পরে অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা জরুরী। তবে এই অভ্যাস অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে তা না হলে প্রতিনিয়ত নিজের শরীর এবং মনকে খারাপের দিকে নিয়ে যাবে


    কেউ যদি করে থাকে তাহলে সে পরিষ্কার হয়ে নামাজ আদায় করতে পারবে। কিন্তু এই কাজ কখনোই নিয়মিত করা যাবে না যদি ভুলক্রমে এবং কোন কিছুতে মোটিভেট হয়ে যদি সে করে থাকে তাহলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে এবং তওবা করতে হবে


    হস্তমৈথুন করলে কি কি ক্ষতি হয়

    হস্তমৈথুন করলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং লিঙ্গে লিঙ্গে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। কোন কিছু মনে রাখা কঠিন হয়ে যায়। মেধা শক্তি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। জ্বর, সর্দি, কাশি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে

    • শরীর দুর্বল হয়ে যায়
    • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়
    • বিভিন্ন রোগের আবির্ভাব হয়
    • শরীরে শক্তি কমে যায়
    • মন মেজাজ ভালো থাকে না
    • মন খারাপ থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে
    • খাবারের অরুচি আসার সম্ভাবনা আছে
    • শরীর ভেঙ্গে যায়
    • শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়
    • লিঙ্গ ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
    • লিঙ্গ ব্যাঁকা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
    • চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে
    • চোখে কম দেখা শুরু হয়

    তাছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাই অবশ্যই রোজা থাকা অবস্থায় হোক আর যে কোন অবস্থায় হোক এই কাজ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকা উত্তম। এই বিষয়গুলো যদি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে তা না হলে পরবর্তীতে আস্তে আস্তে এই সমস্যাগুলো বাড়তে থাকতে পারে

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন