বাচ্চা বোবা হওয়ার লক্ষণ ও বাচ্চা বোবা হলে করণীয়

    বাচ্চা বোবা হওয়ার লক্ষণ


    অধিক সময় বাচ্চার বয়স হওয়ার পরেও অনেক বাচ্চা কথা বলে না এক্ষেত্রে কি বোবা হওয়ার লক্ষণ। এ ধারণা একেবারে সম্পূর্ণভাবে ভুল কোন কোন বাচ্চা কথা বলতে অধিক পরিমাণ সময় নিয়ে থাকে তবে একেবারেই যদি কথা বলে না থাকে তিন বছর বয়সের মধ্যে তাহলে কিন্তু সমস্যা থাকার কথা তাহলে চলুন কিভাবে বুঝবেন বাচ্চা বোবা হওয়ার লক্ষণগুলো।


    একজন অটিজম শিশুর বৈশিষ্ট্য হলো বিকাশিত সমস্যা। মায়ের গর্ভ থেকে শুরু করে জন্মের কয়েক বছর পর্যন্ত শিশুর স্থায়িত্বের বিকাশ ঘটতে থাকে পর্যায়ক্রমে। কোন কোন কারণে বিকাশে বাধা কষ্ট হলে অটিজমের বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন দেখা দিতে পারে। কি কি কারণে বাচ্চা বোবা হতে পারে তা এই বিষয়গুলো আমরা নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরলাম।


    মূলত বাচ্চারা ৬ থেকে ৩ বছর বয়সের মধ্যেই পরিপূর্ণ বাক্যে কথা বলার ক্ষমতা অর্জন করে। তিন বছরের মধ্যে যদি কোন বাচ্চা একেবারে কথা না বলতে পারে এবং কথা স্পষ্ট তা না আসে এবং কোন বাক্যই যদি তার বুঝে না আসে তাহলে কিন্তু বাচ্চা বোবা হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।


    তিন বছরের মধ্যেই একটা বাচ্চার পরিপূর্ণ শব্দ বাক্য উচ্চারণ করার ক্ষমতা রাখে। তবে এই ক্ষেত্রে অনেকেই দুই বছরের মধ্যেও কিন্তু ভালোমতো কথা শিখে ফেলে তবে সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করে দেখতে হবে এর মধ্যে যদি কোন ধরনের ভাষা পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ না করতে পারে এবং হালকাভাবে প্রকাশ করে তাহলে কিন্তু কোন সমস্যা নেই। যদি কোন ভাষায় প্রকাশ করতে না পারে তাহলে কিন্তু তার অটিজম জনিত সমস্যা বা বোবা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


    বাচ্চা বোবা হওয়ার লক্ষণ সমূহ

    ১/ছয় মাস বয়সী শিশু একা না আসা

    ২/বারো মাস বয়সের মধ্যে কোন শব্দ বলতে না পারা

    ৩/পছন্দের কোন কিছুর দিকে ইশারা না করা

    ৪/চব্বিশ মাস বয়সের মধ্যে ততদিক শব্দ উচ্চারণ না করা

    ৫/বয়স অনুযায়ী সামাজিক আচরণ না করা

    ৬/ভাষার ব্যবহাররক্ত করতে না পারা

    ৭/সঠিকভাবে শুনতে না পাওয়া এবং তার উত্তর না প্রদান করা

    ৮/ধমক দিলে অথবা জোরে কোন চিৎকার শব্দ পেলে রেসপন্স না করা

    ৯/পছন্দের কোনো বিষয়ের প্রতি আগ্রহ না থাকা

    ১০/তিন বছরের মধ্যে কোন সঠিক শব্দ উচ্চারণ না করা


    তিন বছর বয়সের মধ্যে এই বিষয়গুলো যদি লক্ষ্য করা যায় এবং এই লক্ষণগুলো যদি দেখা দেয় তাহলে কিন্তু অবশ্যই বাচ্চা বোবা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং সে ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে।


    বাচ্চারা কত মাস বয়সে কথা বলা শিখে জেনে নিন


    অটিজম শিশুর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সামাজিকতা পালন করতে পারে না নিজের আগ্রহ আবেগ অনুভূতি অপরের সঙ্গে কখনোই শেয়ার করার ক্ষমতা রাখে না। যেকোনো ধরনের সামাজিক সম্পর্ক শুরু করার জন্য নিজেকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে তারা পারবে না।


    ১৮ থেকে ৩৬ মাস বয়সের মধ্যে অটিজমের বৈশিষ্ট্য গুলো প্রকাশ পায়। এবং এই কারণগুলো খুব সুন্দর মতোই উপলব্ধি করা যায় তবে কিছু কিছু হিসেবে বিবেচনা করা হয় যেমন বংশের কারো যদি অটিসিয়াম শিশু থাকে এবং মায়ের গর্ভকালীন কোন সংক্রমণ থাকলে কিন্তু শিশুর ওজন কমে যেতে পারে অথবা শিশুর অটিজম হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।


    বাচ্চা বোবা হলে করণীয়

    ১/বাবা মায়ের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নেওয়া

    ২/শিক্ষক এবং চিকিৎসা বা থেরাপিস্ট এর সাথে যোগাযোগ রাখা

    ৩/শুরুতে সাধারণ মূলধারার স্কুলে প্রেরণ করা

    ৪/কাঙ্খিত আচরণের জন্য শিশুকে অধিক উৎসাহিত করা

    ৫/সামাজিক অনুষ্ঠানে শিশুর অংশগ্রহণ করানো

    ৬/জরুরী প্রয়োজনীয় বিশেষিত স্কুলের সাহায্য নেওয়া

    ৭/ভাষার দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা এবং প্রয়োজনীয় ইশারা ইঙ্গিত দেওয়া

    ৮/বৃত্তিমূলক কাজ নতুন মানুষের সঙ্গে ওঠাবসা শিখানো

    ৯/সমস্যা অনুযায়ী ওষুধ সেবন করানো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসরের দ্বারা

    ১০/ফ্যামিলির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা এবং শোনানো


    বাচ্চা বোবা হলে ফ্যামিলির সদস্যদের সঙ্গে বেশি পরিমাণে বসবাস করার জন্য সুযোগ করে দেওয়া এটি করে নতুন মানুষের সঙ্গে মিশতে থাকলে নতুন ভাষা শিখতে সাহায্য করবে সেই সাথে নতুন রীতি নীতি এবং বৈশিষ্ট্য করতে পারবে। সর্বশেষ বিষয় হলো জরুরী ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞ কোন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশনা গুলো মানা।


    ইমারজেন্সি পিল খাওয়া কতটা নিরাপদ দেখুন

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন