অনেকে আমাদেরকে প্রশ্ন করে থাকেন কোন ইমারজেন্সি পিল সবচেয়ে ভালো এ বিষয়টি নিয়ে। বর্তমান বাজারে এমন অনেক ধরনের ইমারজেন্সি পিল পাওয়া যায়। যেগুলো প্রাথমিক অবস্থাই দ্রুত ফলাফল হলেও কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয়। তাই আজকে আমরা এমন কিছু ইমার্জেন্সি পিল নিয়ে কথা বলব যেগুলো আপনার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে না। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন ইমারজেন্সি পিল সবচেয়ে ভালো এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।
অনিয়ন্ত্রিত প্রেগনেন্সির কারণে মূলত ইমারজেন্সি পিল সেবন করা হয়ে থাকে। এটি সঠিকভাবে সেবন না করতে জানলে এবং সঠিক সময়ে যদি আপনি না করে থাকেন তাহলে গর্ভধারণ হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাদের কে জানতে হবে ইমারজেন্সি পিল সেবন করার আগে কোন পিল গুলো বাজারে ভালো মানের। এবং কাজ সঠিকভাবে করবে। তাহলে এই বিষয়টি নিয়ে আমরা বিস্তারিতভাবে দেখে নেই চলুন।
ইমারজেন্সি পিল কি জেনে নিন
ইমারজেন্সি পিল সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি পিল হলো আপনি সহবাসের আগে এটি সেবন করলে কার্যকর হয়। অন্যটি আছে যেটি আপনাকে সহবাসের পর আপনি 72 ঘন্টার সময়ের মধ্যে ইমারজেন্সি ফিল সেবন করতে পারবেন। বর্তমান বাজারে এই দুটো ইমারজেন্সি পিলপাওয়া যায় এবং এর কার্যকারিতা এবং ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আজকে আপনারা জানতে পারবেন।
এই দুই ধরনের ইমারজেন্সি পিল কিন্তু ব্যবহারবিধি সঠিকভাবে করতে হবে। যেটি সহবাসের আগে ব্যবহার করার নিয়ম রয়েছে সেটি অবশ্যই সহবাসের আগেই সেবন করতে হবে। আর যেটি সহবাসের 72 ঘণ্টার মধ্যেই বলা হয়েছে সেটি অবশ্যই ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই আপনাদেরকে ইমারজেন্সি পিল সেবন করতে হবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আরো বিস্তারিত তথ্য।
কোন ইমারজেন্সি পিল সবচেয়ে ভালো
বাজারে অনেক ধরনের ইমারজেন্সি পিল পাওয়া যায় তবে সব চেয়ে ভালো Emcon দাম ৬০ টাকা। তাছাড়া আরো অনেক ভালো মানের ইমারজেন্সি পিল গুলো হলো পিউলি, নোরপিল, আই-কন, নোরিস্ক, পোস্টিনোর ৭২ ইত্যাদি।
আমরা উপরে যেগুলো উল্লেখ করেছি তা এই ইমারজেন্সি পিল গুলো খুবই কার্যকরী। বিশেষ করে যেগুলো বাংলাদেশে তৈরি হয় এগুলোর দাম একটু কম হয়ে থাকে তবে কার্যকারিতার দিক থেকে কিন্তু সবগুলোই প্রায় একই রকম ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনি সহবাসের পরে যত ইমার্জেন্সি পিল ব্যবহার করুন না কেন আপনাকে প্রেগনেন্সি চেক করে নিশ্চিত হতে হবে।
ছেলেদের ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম ও ছেলেদের ভালো নাইট ক্রিম
সঠিক সময়ে যদি আপনি এটি ব্যবহার করে থাকেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু ভয়ের কোন কারণ নেই তবে ইমারজেন্সি পিল আসলে সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা এটি জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে টেস্ট কিটের মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখতে হতে পারে।
তবে সহবাসের আগে এবং সহবাসের পরে যদি আপনি পিল সেবন করে থাকেন তাহলে তারপরেও আপনি কিছুদিন পরে বা পরবর্তী মাসিক না হলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই টেস্ট করতে হবে। অনেক সময় কোন ধরনের সমস্যা থাকলে সেটার কারণে কিন্তু পিল নাও কাজ করতে পারে তাই অবশ্যই পরবর্তীতে আপনাকে এ বিষয়টা নিয়ে টেস্ট করেও দেখতে হবে।
ভালো মানের ইমারজেন্সি পিলের নাম
- Emcon
- পিউলি
- নোরপিল
- আই-কন
- নোরিস্ক
- পোস্টিনোর ৭২
এছাড়াও বাজারে আরো ভালো মানের ইমারজেন্সি পিল পাওয়া যায় তবে সব থেকে ব্যবহারের করে থাকে এই পিল গুলো। এই ইমারজেন্সি পিল গুলো সেবন করার আগে অবশ্যই সতর্কতা এবং নির্দেশিকা অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে এক্ষেত্রে কোন ধরনের সমস্যা যদি থাকে সে বিষয়টিও জেনে নিতে হবে ডাক্তারের কাছ থেকে।
ছেলেদের ত্বক ফর্সা করার সবচেয়ে ভালো ক্রিম ও দাম
অনেকের যদি যৌনি পথে সমস্যা থাকে সে বিষয়টিও ডাক্তারের কাছে ভালো মতো জেনে নিবেন তারপরে ইমারজেন্সি পিল ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। কেননা ইমারজেন্সি পিল ব্যবহার করার কারণে বা সেবন করার কারণে ওই পথে আবারও সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই ইমার্জেন্সি পিল সেবন করার পূর্বে সতর্কতা এবং ব্যবহার বিধি সম্পর্কে ভাল মত জেনে নিবেন।
ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার সুবিধা কি
- অরিক্ষিত সম্পর্ক শেষে ইমার্জেন্সি পিল খাওয়া নিরাপদ
- এটি অফার দা কাউন্টার ড্রাগ চিকিৎসকের ব্যবস্থা ছাড়াই ফার্মেসীতে পাবেন
- ইমারজেন্সি পিল নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।
- নিয়মিত ইমারজেন্সি পিল খাওয়া লাগে না
- একবার সহবাসের পর পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খাওয়া যায়
- শুরুর আগ মুহূর্তেও এটি সেবন করা যায়
অনিয়ন্ত্রিত গর্ভধারণের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটি ওষুধ হলো ইমারজেন্সি পিল। তাই কেউ যদি গর্ভধারণ হবে এমন আশঙ্কা থাকে তাহলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই এই পিল সেবন করলে গর্ভধারণের আশঙ্কা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তবে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি এই বিষয় নিয়ে।
ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার অসুবিধা কি
- পিল খাওয়ার পর অরক্ষিত শারীরিক সম্পর্কের এই পিল কার্যকর নয়
- ইমারজেন্সি পিল চর্ম ও যৌন রোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে
- পিল খাওয়ার পরে বমি বমি ভাব আসতে পারে
- যৌনি পথে সমস্যা থাকলে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে
- যোনিপতি ইনফেকশন জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে
- মাথা ব্যথা মাথা ভারি হওয়া সমস্যা
- পরবর্তী মাসিক অনিয়মিত ঘটতে পারে
- পিল খাওয়ার পরেও মাসিক হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে
- শারীরিক দুর্বলতা দেখাতে দিতে পারে
এই পিল খাওয়ার পরে কারো যদি কোন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে কিন্তু অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পিল খাওয়ার পরে যদি নিয়মিত মাসিক না হয় তারপরেও কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে পরবর্তী ওষুধগুলো সেবন করবেন এমন সময় আছে এটা খাওয়ার কারণে কিন্তু পরবর্তী মাসিক গুলো অনিয়মিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি দেখা দেয়।
ইমারজেন্সি পিল কখন খেতে হয়
শারীরিক সম্পর্ক করার সময় কনডম ফেটে গেলে বা ছিড়ে গেলে যৌনপত্রের ভিতরে যদি বীর্য প্রবেশ করে তাহলে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই ইমারজেন্সি পিল খেতে হবে। ডায়াফ্রাম ক্যাপের স্থানচ্যুত হলে এই ইমার্জেন্সি পিল সেবন করতে হবে। পরপর দুইদিন জন্মনিরোধক বড়ি খেতে ভুলে গেলে ইমার্জেন্সি পিল খেতে হয়। জোর করে অরক্ষিত সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য হলে আগেই ইমারজেন্সি ফিল খেয়ে নিতে হবে।
ইমারজেন্সি পিল সাধারণত 72 ঘন্টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে খাওয়া যায়। আবার অনেকগুলো পিল আছে যেগুলো সহবাসের আগেই কিন্তু খাওয়া যায়। তাই আপনি কোন ধরনের পিল নিতে চাচ্ছেন সেই অনুযায়ী ফার্মেসী থেকে আপনারা আমাদের দেওয়া উপরের যে পিল গুলো উল্লেখ করা আছে সেই পিলগুলো খেতে পারবেন।
প্রেগনেন্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক হয় দেখে নিন
ইমারজেন্সি পিল কারা সেবন করতে পারবেনা
- যারা ইতিমধ্যে গর্ভবতী আছেন তাদের ক্ষেত্রে
- যারা নিয়মিত অরক্ষিত সম্পর্কে স্থাপন করে
- অল্প বয়স্ক মেয়েরা ইমারজেন্সি পিল খেতে পারবেনা
- বয়সন্ধিকালে অথবা বৃদ্ধকালে ইমার্জেন্সি পিল একেবারে খাওয়া নিষেধ
- বাচ্চা নেওয়ার ইচ্ছা থাকলে ইমারজেন্সি পিল খাওয়া যাবেনা
- যৌনি পথে সমস্যা থাকলে খাওয়া যাবে না
- শারীরিক দুর্বলতা বেশি থাকলে খাওয়া যাবেনা
- জরায়ুতে কোন ধরনের সমস্যা থাকলে ইমারজেন্সি পিলখাওয়া যাবে না
ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার পরে যে লক্ষণ গুলো দেখা দিলে ডাক্তারের কাছে যাবেন
- গর্ভধারণ বিষয়ে সন্দেহ থাকলে
- যোনিপথ দিয়ে ভিন্ন রকমের তরল পদার্থ বের হলে
- তরল পদার্থের সাথে কোন দুর্গন্ধ থাকলে
- জ্বর বিশেষ করে শরীর কাঁপুনি উঠে এমন জ্বর
- তলপেট অতিরিক্ত ব্যথা হওয়া
- মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাব হওয়া
- যোনিপথে অতিরিক্ত ব্যাথা অনুভূত হওয়া
- জমি থেকে অতিরিক্ত রক্ত বের হওয়া
- জনপদের রক্তের সাথে অন্যান্য কিছু বের হওয়া
- যোনিপথ অতিরিক্ত ফুলে যাওয়া
- যোনিপথ দিয়ে কাচা রক্ত বের হওয়া
এই সমস্যা গুলো দেখা দিলে অবশ্যই তৎকালিকভাবে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। কোন হাসপাতালের মাধ্যমে গিয়ে যদি সম্ভব হয় চিকিৎসা নিতে হবে এছাড়া তৎক্ষণিকভাবে কোন গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথেও যোগাযোগ করে নিতে পারেন।
ইমারজেন্সি পিল খেলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি হয়
ইমারজেন্সি পিল সেবনের ফলে বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্বপ্রতিকরা হচ্ছে অধিক মাত্রায় ইমারজেন্সি পিল সেবন করার ফলে বাচ্চা জন্মদানের ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। নিয়মিত অতিরিক্ত হারে ইমারজেন্সি পিল সেবন করলে মেজাজ কেটে এবং বান্দা-জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও ইমারজেন্সি পিল খেলে অতিরিক্ত মাথা ব্যথা এবং শরীর খিচুনিমত সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাঝে মাঝে জ্বর দেখা দিতে পারে সেই সাথে মাথা ব্যথা এবং তলপেট ভারী হওয়া সমস্যা হতে পারে। যৌন পথে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই সমস্যাগুলো দেখা দিলে অবশ্যই তৎক্ষণিকভাবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
সিজারে কোন ধরনের শিলায় দেওয়া ভালো দেখে নিন
আমাদের আজকের এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং পরবর্তীতে এই বিষয় নিয়ে আরো জানার জন্য আমাদের কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে জানিয়ে দিতে পারেন। আপনারা আরো কি কি বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।
এছাড়া আপনাদের অন্যান্য বিষয়গুলো যদি জানার থাকে সে বিষয়গুলো জানার জন্য আমাদের ফেসবুক পেজ অথবা কন্টাক্ট সেকশনে কন্টাক করে জানিয়ে দিতে পারেন। পরবর্তীতে আমরা বিস্তারিতভাবে এখানে আরো বিষয়গুলো নিয়ে তুলে ধরব। পর্যায়ক্রমে আমরা যে লিঙ্ক গুলা দিয়েছি সেখান থেকে ঢুকে আপনারা ওই সমস্ত বিষয়গুলো পড়ে নিতে পারেন।
সিজারের কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া যায় দেখে নিন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন