এই ছবিগুলো আপনাকে অবশ্যই ম্যাট পেপারে ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা করে নিতে হবে নতুন নিয়মে কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ও আবেদন সম্পর্কে আজকের এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে । চলুন জেনে নেওয়া যাক নতুন নিয়মে কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ও আবেদনের নিয়ম ।
কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ ভিসা রশিদ
সহজ উপায়ে কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ২০২৩
কানাডা কানাডা সরকার এবং অভিবাসন মন্ত্রী সিল ফেজার ঘোষণা দেন যে স্থায়ী বসবাসের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার আগে স্থায়ী নাগরিকরা যেন তাদের পরিবারের সদস্যদের দ্রুত সময়ের মধ্যে কানাডা নিয়ে আসতে পারে সেজন্য অস্থায়ী ভিসা কার্যক্রম চালু করা হবে । গত শুক্রবার ২৬ শে মে কানাডার অভিবাসনমন্ত্রী এই তথ্য দিয়ে থাকে । তার ঘোষণায় তিনি বলেন স্থায়ীভাবে বসবাসকৃত ব্যক্তিদের নতুন ওপেন ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হবে ।
কানাডায় স্থায়ী নাগরিকরা যেন তাদের পরিবার স্বামী, স্ত্রী ও পরিবারের নতুন সদস্যদের দৃষ্টিতে নিয়ে আসতে পারেন সে জন্য নতুন নিয়মে কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হয়েছে । এই নতুন নিয়মে কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট দিয়েছে দেশটির অভিবাসন মন্ত্রী । দা ইকোনমিক্স এর সংবাদ অনুযায়ী পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এবং তাদের বিবৃতি অনুযায়ী নতুন নিয়মে আবেদন শুরু করেছে সবাই এবং তাদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ অনুমোদন পেয়েছে ।
নতুন নিয়মে কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট
আপনাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা বিদেশ যেতে চান এবং প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে চান তাই আপনাদের জন্য নতুন নিয়মে কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ও আবেদনের নিয়ম জানিয়েছে দেশটির অধিবাসের মন্ত্রী। তবে আপনার কানাডায় যেতে হলে অবশ্যই আপনার প্রয়োজনে সকল ডকুমেন্ট থাকতে হবে । এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে কোন এজেন্সির মাধ্যমে জানতে হবে সবকিছু আপনাদের আজকের এই পোস্টে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করে দেওয়া হবে ।
কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট আবেদন করতে যা যা প্রয়োজন
প্রথমে জেনে নেওয়া যাক কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করতে হলে আপনার কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন । আপনার প্রথমত যে দুটি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে সে দুটি ডকুমেন্ট হলো একটি কভার লেটার এবং একটি সিভি ।
আসন সিভি ও কভার লেটার সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক । যেমন তেমনভাবে একটি সিভি লিখলে আপনার হবে না আপনার সিভিটি হতে হবে অবশ্যই তথ্যসম্পন্ন এবং কানাডিয়ান নিয়মের । তাই সিভি লেখার জন্য অবশ্যই আপনাকে কানাডা এর নিয়ম ফলো করতে হবে তাছাড়া কানাডিয়ান এমব্যাসিয়ান বরাবর আপনাকে দরখাস্ত লিখতে হবে ।
কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য পাসপোর্ট
ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আপনার সর্বপ্রথম যে ডকুমেন্ট প্রয়োজন সেটি হচ্ছে আপনার পাসপোর্ট মনে রাখতে হবে আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ অবশ্যই মিনিমাম ছয় মাস থাকতে হবে আর যদি আপনি ম্যাক্সিমাম করতে পারেন তাহলে অনেক ভালো । কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ও আবেদন ২০২৩ এ যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট কমপ্লিট থাকতে হবে ।
কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য পাসপোর্ট সাইজের ছবি
কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট বা জব ভিসা এবং আবেদন ২০২৩ এর জন্য আপনার অবশ্যই পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি প্রয়োজন হবে । এবং আপনার ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড হবে অবশ্যই সাদা । এই ছবিগুলো অবশ্যই ম্যাট পেপারে প্রিন্ট করে নিবেন। পাসপোর্ট সাইজের ছবি ছাড়া কখনো সম্ভব না কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া এবং আবেদন করা । তাই অবশ্যই কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট পেতে হলে পাসপোর্ট সাইজের ছবি তৈরি করতে হবে ।
কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ শিক্ষাগত যোগ্যতা
সহজ উপায়ে কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২০ পেতে হলে আপনাকে অবশ্যইএডুকেশনাল সার্টিফিকেট বা শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র প্রয়োজন হবে । আপনাদের অবশ্যই অবগত থাকতে হবে যে ক্যাটাগরির ভিসার আবেদন করতে হলে অবশ্যই আপনাকে শিক্ষাগত যোগ্যতা সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
তারা আপনাকে সাধারণত বলবে আপনার ডি ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে না কিন্তু তারা আপনাকে আরো একটি অপশন হিসেবে ইংরেজি শেখা লাগবে এমন একটি শর্ত জড়িয়ে দিবে। তাই আপনাকে অবশ্যই শিক্ষিত হতে হবে এবং ভালোভাবে ইংরেজি বলতে জানতে হবে।
সহজ উপায়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হলে অভিজ্ঞতা সনদপত্র
আপনার চতুর্থ যে ডকুমেন্ট লাগবে সে ডকুমেন্ট হল অভিজ্ঞতা সনপত্র। আপনি বিদেশে যাচ্ছেন কাজ করার জন্য অবশ্যই আপনার অভিজ্ঞতা সনদপত্র দেখতে চাইবে । তাই আপনি যদি আপনার অভিজ্ঞতা সনদপত্র তৈরি রাখেন তাহলে আপনি বাকিদের থেকে এগিয়ে থাকবেন এবং কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন । কিন্তু আপনাদের মনে রাখতে হবে অভিজ্ঞতার সনদপত্র ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কিছু ক্ষেত্রে নাও প্রয়োজন হতে পারে কিন্তু অবশ্যই আপনাকে এক বছরের অভিজ্ঞতা সনদপত্র দেখাতে হবে ।
সহজ উপায়ে কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ ব্যাংক ব্যালেন্স
ফিনান্সিয়াল বা আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স দেখানোর জন্য আপনাকে একটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে । আপনি যেহেতু আপনার ফ্যামিলি নিয়ে কানাডা যাবেন যদি আপনি কোন ডিফিকাল্টি পরিস্থিতির ওপর পড়েন তাহলে আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখে আপনাকে সেখান থেকে স্মুথলি উদ্ধার করা হবে । ব্যাংক ব্যালেন্স দেখানো বর্তমানে অনেক সমস্যার বিষয় মনে হলেও 21A2প্রোগ্রাম আছে
এখানে কোন ফান্ডদেখাতে হয় না যাদের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সের সমস্যা আছে তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা নেই চোখ কান খোলা রেখে ওই প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে হবে যে প্রোগ্রামে কোন ফান্ড করতে হয় না । সহজ উপায় কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ পেতে হলে আপনার অবশ্যই ব্যাংক ব্যালেন্স এর বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে।
কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ স্বাস্থ্য পরীক্ষা সনদপত্র
আপনাকে অবশ্যই কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ পেতে হলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সনদপত্র প্রয়োজন হবে । কানাডায় নির্ধারিত কোন হেলথ সেন্টারে গিয়ে আপনাকে চেকআপ করাতে হবে এবং সেখান থেকে আপনাকে বলে দিবে আপনি ফিট আছেন কিনা । যদি আপনি ফির থাকেন তাহলে আপনার অবশ্যই কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ স্বাস্থ্য
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন । আর কেউ যদি মনে করে থাকেন আমার সমস্যা আছে আমি টাকা দিয়ে সার্টিফিকেট ম্যানেজ করে কানাডায় চলে যাব তাহলে সম্পূর্ণ ভুল পথে হাঁটছেন । এই চিন্তা ভাবনা কখনো মাথায় নিয়ে আসবেন না।
কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ ভিসা রশিদ
কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট 2023 নেওয়ার জন্য আপনি যে টাকা জমা দিয়েছিলেন সেখান থেকে আপনাকে একটি ভিসার টাকা জমা দেওয়ার রশিদ দিবে সে রশিদ আপনাকে সবসময় সাথে রাখতে হবে ।
কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
সহজ উপায়ে কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩০ পাওয়ার জন্য আপনার যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে সেটি হচ্ছে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট । আপনার যদি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট না থাকে তাহলে আপনি কখনোই কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাবেন না ।
আপনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে হলে অবশ্যই নিকটস্থ পুলিশ স্টেশনে গিয়ে একটি আবেদনের মাধ্যমে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট তুলে নিতে পারেন । তাছাড়া আপনি অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ফ্রি পরিশোধ করে অনলাইন থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট তুলতে পারেন ।
কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা মেডিকেল চেকআপ কোথায় করাতে হয়
হ্যাঁ আপনার অবশ্যই প্রশ্ন আসতেই পারে যে আমি মেডিকেল চেকআপ কোথায় করাবো । সাধারণত বাংলাদেশে কয়েকটি মেডিকেল সেন্টারে মেডিকেল চেকআপের অনুমোদন রয়েছে । তার মধ্যে ডঃ মেডিকেল সেন্টার ঢাকা, সার্ভিস ঢাকা তে যেতে হবে ।
১১ বছরের শিশুদের জন্য ৩২০০ টাকা এবং 11 থেকে 14 বছরের জন্য সাড়ে ৩৩ শত টাকা এবং ১৪ থেকে ৪৯ বছর বয়সীদের জন্য ৪৮ শত টাকা নির্ধারিত । অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে মেডিকেল চেকআপ ছাড়া আপনি কখনোই কানাডায় প্রবেশ করতে পারবেন না।
আরো জানতে, আমাদের ওয়েবসাইটে সাধারণত শিক্ষা ,চিকিৎসা, আধুনিক বিজ্ঞান, সরকারি চাকরি, পড়াশোনা খবর, চাকরির খবর ,ইসলামিক পোস্ট, লাইফ স্টাইল, জনপ্রিয় সেবা, টেক রিলেটেড, ফ্রিল্যান্সিং প্রবাসী নিউজ ছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের নিউজ পাবলিশ করে থাকি । আপনারা সঠিক নিউজ পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন