তাই আজকে আমরা জানাবো ১৮ বছর বয়সে কোন কোন দেশে আপনারা কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন এবং সেখানে গিয়ে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবেন। কাজের ভিসা নিয়ে বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম বয়সের রিকোয়ারমেন্ট থাকে। তবে এক্ষেত্রে কিছু কিছু দেশে কিন্তু ১৮ বছর আবার কিছু কিছু দেশে ২২ বছর আবার অনেক ধরনের রিকোয়ারমেন্ট থাকে তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে দেখেনি কোন দেশে কত বছর বয়স লাগে।
বিদেশে কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি বয়সসীমা রয়েছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ২২ বছর দেওয়া থাকে আবার অনেকেই আছে যারা কিনা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে খুব কম বয়সের মধ্যেই যেতে পারে এবং সেখানে গিয়ে কাজ করার পারমিশন পেয়ে থাকে তবে এক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ভিসার সাধারণত ১৮ বছরের বয়সেই পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে কোন কোন দেশগুলোতে ১৮ বছর বয়সেই আপনি কাজের ভিসা নিতে পারবেন এবং সেখানে কাজ করার পারমিশন পাবেন এই বিষয়গুলো দেখে নেই।
১৮ বছর বয়সে কোন কোন দেশের কাজের ভিসা পাওয়া যায়
১৮ বছর বয়সে বর্তমানে কোন দেশেই কাজের ভিসা পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে আপনাদেরকে ১৮ বছর বয়সের পরেই স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যে কোন দেশেই যাওয়ার জন্য ভিসা নিতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে কিছু কিছু দেশ আছে যেমন জাপান, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, বাহরাইন আরো অনেক দেশ রয়েছে যেগুলোতে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে ১৮ বছর বয়স থেকেই কাজ করা যায়।
তবে এই সমস্ত দেশগুলোতে কিন্তু নির্দিষ্ট একটি সময় পরিমাণ আপনি কাজ করার পারমিশন পাবেন। সেই সমস্ত দেশগুলোতে সাধারণত ১৮ বয়সী স্টুডেন্টদের সাধারণত সপ্তাহে ২৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করার পারমিশন দিয়ে থাকে। তাই অবশ্যই আপনারা যখন এই সমস্ত দেশগুলোতে কাজের ভিসা নিয়ে যাবেন তখন কিন্তু অবশ্যই আপনাদেরকে আপনার বয়সসীমা জেনে তারপরই যেতে হবে।
আপনি যখন কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করবেন তাহলে কিন্তু অবশ্যই আপনাকে তখন বয়স ২২ বছর পূর্ণ হতে হবে। তাহলে আপনি বিদেশে যেকোনো ধরনের কাজের ভিসা অথবা জব ভিসা বা ওয়ার পারমিট ভিসা নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশে যেতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনার তেমন কোন কঠিন রিকোয়ারমেন্ট থাকবে না অনায়াসে যে কোন দেশের কাজের ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন।
তাছাড়া যদি আপনি 18 বছর বয়সে যেতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে যেতে হবে এক্ষেত্রে অনেক দেশেই বাংলাদেশ থেকে যারা জেগে থাকে তারা মূলত স্টুডেন্ট ভিসাতে যাওয়ার পরে তারা সেখানে নিজের ইচ্ছামত কাজ করে এক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানেই তারা পড়াশোনা করে না। তবে ঐ সমস্ত দেশগুলোতে কিন্তু এই নিয়ম একেবারে অবৈধ এইভাবে যদি আপনি বসবাস করতে থাকেন তাহলে কিন্তু পুলিশ আপনাকে যেকোনো সময় দেশে পাঠিয়ে দিতে পারে।
তাই অবশ্যই সেখানে যেতে চান তাহলে আগে থেকে আপনাকে জেনে নিতে হবে যে আপনি কত ঘন্টা কাজ করার পারমিশন পাবেন এবং আপনার কোন সমস্যা হবে কিনা। এক্ষেত্রে আপনার যে এজেন্সি আছে সেই এজেন্সির মাধ্যমেই এই বিষয়টি ভালোমতো ক্লিয়ার হয়ে যাবেন। তা না হলে কিন্তু পরবর্তীতে আপনা কে দেশে ফেরত আসা লাগতে পারে।
বিদেশে কাজের ভিসা পাওয়ার সর্বনিম্ন বয়স
বিদেশে কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন বয়স হলো ২২ বছর। বর্তমানে যারা কর্মী হিসেবে বিদেশে কাজে যেতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই ২২ বছর পূর্ণ হতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের রিকোয়ারমেন্ট থাকে কোন কোন কোম্পানিতে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা অথবা দুই বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়। নির্দিষ্ট বয়সসীমা দেওয়া থাকে যেমন 40 বছর বয়সের ঊর্ধ্ব ব্যক্তিরা শুধুমাত্র আবেদন করতে পারবে এমন ধরনের রিকোয়ারমেন্ট থাকে।
তবে সেটা ডিপেন্ড করবে আপনি কি কাজের জন্য বিদেশে যেতে চাচ্ছেন এবং সেই কাজের বর্তমানে চাহিদা কেমন এবং বয়সসীমা নির্ধারিত কত আছে এই বিষয়টি আগে থেকে আপনাকে রিসার্চ করে বিষয়টি জেনে নিতে হবে। নরমালি আপনি যখন দুবাই মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর বা অন্যান্য কান্ট্রিগুলো নিয়ে যাবেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই ২২ বছর পূর্ণ হতে হবে।
তবে এগুলো শুধুমাত্র কোম্পানির কাজের ক্ষেত্রেই কিন্তু হয়ে থাকে এবং কোম্পানির রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আপনি যখন আপনার এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন তখন কিন্তু এই বিষয়টি ক্লিয়ার হয়ে নিবেন যে আপনার ২২ বছরের আগেও যাওয়া যাবে কিনা। এবং যদি যাওয়া যায় তাহলে পরবর্তীতে কোন সমস্যা হবে কিনা।
সাধারণত শ্রমিক হিসেবে যারা বিদেশে যায় তাদের সর্বনিম্ন বয়স সীমা ম্যাটার করে না অনেক সময় কেননা শ্রমিকরা মূলত নির্দিষ্ট একটি বয়সের পরেই তারা বিদেশে যেতে পারবে তবে এক্ষেত্রে কি কি রিকোয়ারমেন্ট থাকে এবং বয়স সীমা কত সেটি আপনার এজেন্সির মাধ্যমে জেনে নিতে হবে।
বিদেশে যাওয়ার সর্বোচ্চ বয়স কত
বিদেশে যাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ বয়স নির্ধারিত থাকে না তবে কোন কোন কোম্পানির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স নির্ধারিত করে দেয়। এক্ষেত্রে অনেক কোম্পানি রয়েছে ৬০ বছরের উর্ধ্বে ব্যক্তিদেরকে কোম্পানিতে নেওয়া হয় না এক্ষেত্রে আপনি সেখানে ৬০ বছরের উপরে যেতে পারবেন না। তবে অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা ৪০ বছর অথবা ৪৫ বছরও নির্ধারিত করে দিয়ে থাকে তবে আপনি যে কোম্পানিতে কাজে যেতে চাচ্ছেন অথবা আপনি যেই স্কেলের উপর কাজে যেতে যাচ্ছেন সেই স্কিলে আসলে কতটা মানুষ সফল এবং বর্তমানে কাজের নিয়োজিত আছে কতজন এই বিষয়গুলো ভালোমতো জেনে নিবেন।
মূলত বিদেশে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে কাজ করতে হয় আবার অনেক সময় আছে যারা কিনা নিজের ইচ্ছায় কাজ করে থাকে এই ক্ষেত্রে কিন্তু নির্ধারিত কোন বয়সসীমা উল্লেখ থাকে না। তবে আপনি নির্দিষ্ট একটি কোম্পানি বা এজেন্সির মাধ্যমে যেতে হলে তাদের মাধ্যমে আপনারা বিস্তারিত বিষয়গুলো ক্লিয়ার হয়ে নিতে পারবেন।
তবে একটা জিনিস মাথায় রাখবেন বিদেশে যাওয়ার জন্য বা বিদেশে কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু নির্ধারিত কোনো সর্বোচ্চ বয়সের লিমিট নাই। এক্ষেত্রে আপনার কাজের উপর আপনার অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করেই তারা ভিসার জন্য প্রসেস করে থাকে। তাই আপনি যখন যাবেন আপনার কোম্পানির মাধ্যমে এ বিষয়টি আগে থেকেই জেনে নিতে হবে।
কোন কোন দেশে ১৮ বছর বয়সে কাজ করা যায়
আঠারো বছর বয়সে অনেক দেশ রয়েছে যেখানে আপনি পার্ট টাইম হিসাবে স্টুডেন্ট অবস্থায় কাজ করতে পারবেন। সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, বাহারাইন, জার্মানি, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, কোরিয়া, চায়না সহ আরো অনেক দেশ রয়েছে এ সমস্ত দেশগুলোতে আপনারা ১৮ বছর বয়সেই স্টুডেন্ট অবস্থায় কাজ করতে পারবেন।
নরমালি সব দেশেই স্টুডেন্ট অবস্থায় কাজ করার জন্য ১৮ বছর বয়সের পরেই ওভারটাইমে কাজ করা যায় এক্ষেত্রে আপনাকে কলেজ টাইম বাদে সপ্তাহে ২৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ করে নিতে পারবেন। তবে অবশ্যই জেনে রাখবেন যে আঠারো বছর বয়সে কিন্তু অবশ্যই নির্ধারিত একটি আপনাকে কলেজে ভর্তি হতে হবে তা না হলে কিন্তু আপনাকে পরবর্তীতে দেশ থেকে আপনাকে পাঠিয়ে দিতে পারে।
বছর বয়সে যদি আপনি কোন দেশে ভিসা নিয়ে জেয়েন এবং আপনি আপনার এজেন্সি বা আপনার বিশ্ববিদ্যালয় হতে এ বিষয়গুলো আগে থেকেই জেনে নিবেন যে আপনি ওভারটাইমে কাজ করার সুযোগ পাবেন কিনা এবং কত ঘন্টা কাজ করতে পারবেন এই বিষয়টি জেনে নিবেন। ইংল্যান্ডের মত দেশেও কিন্তু অনেকেই স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যাই কিছুদিন পড়াশোনার করার পরেই তারা কিন্তু পড়াশোনা বাদ দিয়ে বিভিন্ন কাজে নেমে পড়ে এক্ষেত্রে কিন্তু তাদের কোন ধরনের সমস্যা হয় না।
তবে যদি আপনি পড়াশোনা পাশাপাশি এটা করেন তাহলে কোন ধরনের ঝামেলা থাকে না তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন। নির্দিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে সেখানে পড়াশোনা কন্টিনিউ করার পাশাপাশি কাজ করার এক্ষেত্রে তেমন কোনো সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে না।
১৮ বছরের আগে যদি আপনি আপনার বয়স সীমা অথবা নির্ধারিত বয়সের মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আপনাকে আপনার এজেন্সির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে এক্ষেত্রে আপনি কি ধরনের ভিসা নিচ্ছেন সেই বিষয়টির উপর ডিপেন্ড করবে। ফ্যাক্টরি বিচার মাধ্যমে বা শ্রমিক ভিসার জন্য কিন্তু ১৮ বছরের পরেই যাওয়া যায় এক্ষেত্রে ২২ বছর পূর্ণ হওয়া লাগে না তবে আপনার এজেন্সির সঙ্গে এই বিষয়টি ভাল মত জেনে নিতে হবে।
ধন্যবাদ এই ছিল আজকে আমাদের ১৮ বছর বয়সে কোন কোন দেশে কাজে যাওয়া যায় এবং স্টুডেন্ট ভিসায় কি কি করতে পারবেন এবং স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে হলে বয়স সীমা কত এবং যাওয়ার পরে কাজ করতে পারবেন কিনা তার সমস্ত বিস্তারিত তথ্য এই কনটেন্টে তুলে ধরেছি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন