কখন মেলামেশা করলে ছেলে সন্তান হয়

    কখন মেলামেশা করলে ছেলে সন্তান হয়

    অনেকের মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগে কখন মেলামেশা করলে ছেলে সন্তান হয়। আমাদের সমাজে অনেকেই আছে প্রথম মেয়ে সন্তান হলে পরবর্তী ছেলে সন্তান নেওয়ার জন্য চিন্তা ভাবনা করে থাকেন। এক্ষেত্রে পরবর্তী মেলামেশার মাধ্যমে ছেলে সন্তান কিভাবে লাভ করা যায় এই বিষয় নিয়ে অনেকেই পরামর্শ চেয়ে থাকে। তবে এই বিষয়টি একেবারে নিশ্চিত হওয়ার কোন উপায় নাই।


    তবে আধুনিক এই সময়ে ছোট্ট একটি প্রাকৃতিক কিছু কৌশল অবলম্বন করলেও এ সফলতা আসার সম্ভাবনা হতে পারে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কখন মেলামেশা করলে ছেলে সন্তান হয় এবং কোন পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করা জরুরি এ বিষয়ের জন্য। অনেকেরই প্রথম পছন্দের সন্তান হয়ে থাকে। তাই অনেকেই ছেলে সন্তান নেওয়ার আগ্রহ দেখায় অথবা অনেক মেয়ে হওয়ার কারণেই ছেলে সন্তান নেওয়ার জন্য অনেক ভাবেই চেষ্টা চালিয়ে যান।


    তাই মূলত আজকে আমরা এই বিষয়টা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরবো কখন কোন সময় মেলামেশা করতে হয় এবং কিভাবে মিলামিশা করলে ছেলে সন্তান লাভ করা যায় তা আজকে আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরবো। তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা জেনে নিই।


    মূলত এই বিষয়টি মেলামেশার সময়ের উপর নির্ভর করে এই পদ্ধতি। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাদেরকে দুইটি বিষয় ভালোমতো জানতে হবে। একটি হলো অভিউলেশন বা ডিম্বপাত নামের একটি প্রক্রিয়া চলমান কাজ করে থাকে। আরেকটি হলো শুক্রাণু যা একে প্রভাবিত করতে পারে। আমরা প্রথম অবস্থায় জানব অভিউলেশন প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে।


    প্রতিটি নারীর শরীরে প্রতি মাসের পাঁচদিনের একটি সময় থাকে যখন মেয়েদের অভিউলেশন হয়। পরবর্তীতে ডিম্বপাতের তিন দিন আগে থেকে শুরু করে একদিন পর্যন্ত গর্ব ধরানোর জন্য সবথেকে উপযুক্ত সময়ে এটি। নারীর শরীরে ডিম্ব কার্যকরী ক্ষমতা থাকে মাত্র 24 ঘন্টা। কিন্তু শুক্রাণু নারীর শরীরে পাঁচ দিন পর্যন্ত কার্যকর করে। তাই বলা যায় এই সময়ের মধ্যেই গর্ভধারণ করা যাবে। 


    বোবা বাচ্চা কেন হয় বিস্তারিত দেখুন


    তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক ছেলে সন্তান না মেয়ে সন্তান হবে তার কিভাবে ঠিক করবেন। প্রথম অবস্থায় আপনাকে জানতে হবে শুক্রানুর প্রভাব সম্পর্কে।  X ক্রোমোজোম শুক্রাণু দ্বারা ডিম্বানু নিযুক্ত হওয়ার কারণে সন্তান মেয়ে হয়। আর Y শুক্রাণু ক্রোমোজোমের কারণে ছেলে সন্তান হয়। Y ক্রোমোজোম শুক্রাণু তুলনামূলকভাবে অনেক ছোট হয়ে থাকে। কিন্তু সেগুলো অনেক দ্রুতগামী। এগুলো খুব বেশিক্ষণ জীবিত থাকতে পারে না।


    X শুক্রাণু তুলনামূলকভাবে বেশ বড় এবং ধীর গতির। এসব কেন দীর্ঘক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে কখন মেলামেশা করলে ছেলে সন্তান হয় সেটি নির্ভর করবে আমাদের দেওয়া নিচের এই কয়েকটি বিষয়ের উপর। এখন আপনার মনের মধ্যে প্রশ্ন আসতে পারে এটার জন্য কখন কোন সময় নির্ধারণ করা উচিত মেলামেশা করার জন্য।


    ছেলে সন্তান নিতে চাইলে ও শুক্রাণু যাতে খুব তাড়াতাড়ি ডিমের কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছাতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য নারীর যে দিন ডিম্বপাত হচ্ছে সেই দিন মেলামেশা করা উচিত। নয়তো এই শুক্রাণীটি কার্যকরী ভূমিকা থাকবে না। আবার আপনি যদি মেয়ে সন্তান নিতে চান তাহলে ডিম্বপাতের দুই থেকে তিন দিন আগে মেলামেশা করতে হবে। সাধারণত ডিম্বপাত হওয়ার আগেই ওয়াই শুক্রাণু মারা যায়। ফলে সন্তান ছেলে হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। বেঁচে থাকবে শুধুমাত্র X শুক্রাণুগুলো। ফলে মেয়ে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।


    ছেলে বাচ্চা নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন


    তবে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন থাকে এটা কোন সময়ে মেলামেশা করা উচিত এটা নারীর ডিম্বপাত শুরু হওয়ার পরেই ছেলে সন্তানের জন্য মেলামেশা করতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি কোন বিষয়টি নির্ধারণ করছেন এবং আপনার সঙ্গিনীর কোন সময় ডিম্বপাত শুরু হচ্ছে এই বিষয়টি জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।


    কোন মাসে বাচ্চা নেওয়া ভালো

    নারীদের জন্য ৩০ বছরের মধ্যে এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩৫ বছরের মধ্যেই প্রথম সন্তান নিয়ে নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে কোন মাস বা দিন বিবেচনা করা উচিত না বছরের যে কোন মাসেই বাচ্চা নিয়ে নেওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে বিশেষ কোন সমস্যা থাকলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কোন মাসে বাচ্চা নেওয়া যাবে এই বিষয়টি নিয়ে ভালোমতো ধারণা নেওয়া যেতে পারে।


    আবার অনেকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকে এলার্জিজনিত সমস্যা অথবা শীতের মৌসুমে বার শীতের মাসগুলোতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনি বিবেচনা করে দেখতে পারেন আপনার বাচ্চার ডেলিভারির সময় কোন সময় হবে। সেই সময় যদি আপনার বাচ্চার সমস্যা হয় অথবা আপনার নিজের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সেই অনুযায়ী একটি মাস নির্ধারণ করা উচিত। যাতে আপনার এবং আপনার বাচ্চার কোন ধরনের সমস্যা না হয়।


    এক্ষেত্রে অবশ্যই অভিজ্ঞ কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কোন মাসে গর্ভধারণ করা উচিত এবং কোন মাসের গর্ভধারণ করা উচিত না এই বিষয়গুলো জেনে নিবেন। এবং প্রথম অবস্থায় আপনাকে জেনে নিতে হবে যে আপনার কোন মাসগুলোতে সমস্যা দেখা দেয়। সেই মানুষগুলো আইডেন্টিফাই করে আপনি সেই অনুযায়ী বাচ্চা নেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।


    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন