বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো, কোন কৃমির ওষুধ খাওয়াবো', বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো কাজ করে এটা নিয়ে অনেক পিতা-মাতা চিন্তিত থাকেন। আজকের এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের বাচ্চাদের কৃমির ওষুধ কোনটা ভালো এটা বলব এবং সঙ্গে জানিয়ে দেবো এর ব্যবহার বিধি। কৃমি একটি ছোট প্রাণী হলেও এর ক্ষতিকর দিক অনেক ।
একটা কৃমি মানুষের ক্ষুদ্রান্ত এবং বৃহদান্ত থেকে জিরো পয়েন্ট এইট এমএল রক্ত খেতে পারে । এই ছোট বড় কৃমি গুলো শিশুদের শরীরে থাকলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয় যেমন এলার্জি, চুলকানি , শুকনো কাশি ,শ্বাসকষ্ট এর মত আরো বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি । তাই প্রতিটি পিতা-মাতার এবং সবারই জানা উচিত বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো । আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো সেটা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেব।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিবন্ধন
কৃমির ঔষধ গুলোর মধ্যে বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো এটার তালিকা করতে গেলে সর্বপ্রথম আসবে সিরাপ ডট সোলাস । বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো বাচ্চাদের কৃমির প্রধান প্রধান কারণ গুলো এবং কেমন ভাবে এগুলা ছড়ায় আজকের এ ব্লক পষ্টের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় সমূহ
- ক্রিমি কত প্রকার ও কি কি
- কৃমি রোগ ছড়ানোর মাধ্যম কি কি এবং কিভাবে ছড়ায়
- কৃমি রোগ ছড়ানো থেকে বাঁচার উপায়।
- কিভাবে বোঝা যায় কৃমি হয়েছে।
- বাচ্চা এবং বড়দের জন্য কৃমির কোন ঔষধ গুলো সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয়।
আজকের এই পাঁচটি পয়েন্ট সম্পর্কে আমাদের এই পোস্টে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে । আশা করি আজকের এই পোস্টটি পড়লে আপনারা বাচ্চাদের কৃমির ওষুধ কোনটা ভালো এবং সব পরিবারে সবার জন্য সবথেকে ভালো কৃমির ওষুধ কোনটা হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন তা ছাড়া কৃমি রক ছড়ানোর মাধ্যম কিভাবে ছড়ায় কৃমিরোগ ছড়ানো থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের প্রধান আলোচ্য বিষয় ।
কৃমি কত প্রকার ও কি কি?
বাচ্চাদের কৃমির ওষুধ কোনটা ভালই এটা জানতে হলে আমাদের অবশ্য জানতে হবে কত প্রকার ও কি কি ? কৃমি সাধারণত কয়েক প্রকার হয়ে থাকে । তারমধ্যে গোল কিমি, ফিতা কৃমি । এই ক্রিমিগুলো দেখতে অনেক সাধারণ হলেও এরা মানুষের প্রতিনিয়ত প্রায় 0.2 ml রক্ত চুষে নেয় যা তাই বাচ্চাদের কৃমির ওষুধ কোনটা ভালো এটা সম্পর্কে সুষ্ঠু ধারণা থাকার প্রয়োজন । বিভিন্নভাবে মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। মানুষের শরীরে প্রবেশ করে তার সম্পর্কে আমাদের পরবর্তী পয়েন্টে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে ।
কৃমি রোগ ছড়ানোর মাধ্যম কি কি এবং কিভাবে ছড়ায়?
কৃমি কত প্রকার কি কি তা জানার পর অবশ্যই সবার প্রশ্ন আসতেই পারে এই ক্রিমিগুলা কিভাবে ছড়ায়, এই কৃমিগুলো সাধারণত খালিপায়ে চলাচলের ফলে, পায়খানার ধার দিয়ে, অপরিষ্কার শাক-সবজি খেলে, কাঁচা ফলমূল না পরিষ্কার করে খেলে, অস্বাভাবিক জীবন যাপন করলে ছড়ায় ।
এ ছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের কারণ আছে যেগুলোর মাধ্যমে কৃমি ছড়াতে পারে। এই মাধ্যম গুলো ছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের মাধ্যমে যেমন বাইরের খাবার খেলে, টয়লেট ব্যবহারের সময় ভালোভাবে হাত-পা পরিষ্কার না করলে এই কৃমি রোগগুলো ছড়াতে পারে।
কৃমি রোগ ছড়ানো থেকে বাঁচার উপায়।
কৃমি গুলোসাধারণত বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে, এর মধ্যে শিশুদের খালি পায়ে হাঁটার কারণে পায়ের কোষের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করে । তাই এই মাধ্যম থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই বাচ্চাদের পায়ে জুতা ব্যবহার করতে হবে । বাইরে স্যাতসেতে রাস্তাতে কোনো সময়েই কোন অবস্থাতেই খালি পায়ে হাটা যাবে না ।
তাছাড়া আরও বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে যেগুলো থেকে কিডনি জোগ ছড়াতে পারে সেগুলো থেকে সব সময় দূরে থাকতে হবে । কাঁচা ফলমূল খাওয়ার আগে অবশ্যই তা ভালো হবে দুই তিনবার পরিষ্কার করে নিতে হবে । পায়খানা ব্যবহারের পর অবশ্যই সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে । যত সম্ভব বাইরের খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ বাইরের খাবার কৃমি ছাড়ানোর আরো একটি বড় মাধ্যম । মোটামুটি ভাবে এই কয়েকটি বিষয়গুলো সম্পর্কে খেয়াল রাখলে কৃমি রোগ ছড়ানো থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । তাই পরিবারের পিতা-মাতার অবশ্যই দায়িত্ব বাচ্চাদের খালিফায়ের রাস্তায় বের হতে না দেওয়া ।
কিভাবে বোঝা যায় কৃমি হয়েছে
কৃমি হলে সাধারণত আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা হতে থাকে । তার মধ্যে বাচ্চাদের কৃমির যে বিষয়গুলো আমাদের চোখে পড়ে সেগুলো হল , বাচ্চাদের পেটব্যথা হয়, মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে, ক্ষুধা মন্দা হয়, ক্ষুদা লাগে কিন্তু খেতে ভালো লাগে না, পেট ব্যথা হয় । এগুলো ছাড়া আরো বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে । রক্তশূন্যতা ও পুষ্টি পেট ফাঁপা আমাশয় ছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।
এ সকল সমস্যাগুলো সম্পর্কে অবশ্যই আপনাদের সুষ্ঠু ধারণা থাকতে হবে এবং বাচ্চাদের কৃমির কোন ঔষধ ভালো সেই সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জ্ঞান থাকতে হবে ।কৃমি হলে পায়ুপথ চুলকায় বলে শিশুরা সেখানে হাত দেয়। পরে আবার সেই হাত মুখে দেয়। এভাবেই সংক্রমণ ছড়াতে থাকে। তবে পায়ুপথ চুলকানো মানেই কৃমি সংক্রমণ নাও হতে পারে। কৃমি সংক্রমণের আরও উপসর্গ আছে। কৃমি হলে শিশুদের অবশ্যই পায়ুপথে চুলকাবে ।
বাচ্চা এবং বড়দের জন্য কৃমির কোন ঔষধ গুলো সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয়
বাচ্চাদের এবং বড়দের কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো সে সম্পর্কে অনেকে অনেক মতামত থাকে । মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন ডাক্তারদের মতে প্রতি তিন মাস পর পর একটি পরিবারে অ্যালবেনডাজল বডি সেবন করতে পারেন তাছাড়া মেবেনডাজল হলেও খেতে পারেন পরপর ৭ দিন এটা শুধু বড়দের ক্ষেত্রে এবং এগুলা শিশুদের জন্য সিরাপ আকারে তৈরি আছে তাই পরিবারের সবাই একসাথে এগুলো সেবন করবেন।
অ্যাল ব্যেন্ডা জল বাজারে বিভিন্ন মিলিগ্রাম আকারে পাওয়া যায় পাওয়া যায় । বড়দের জন্য কৃমির ঔষধ গুলোর মধ্যে সবথেকে ব্যবহৃত ওষুধ হল এ্যালবেনডাজল ৪০০ এমজি । সুতা কৃমি হলে মেবেনডাজল ১০০ এমজি খাওয়ানো যেতে পারে অথবা অ্যালবেনডাজল ৪০ এমজি খাওয়ানো যেতে পারে তাছাড়া আপনারা প্রিপেরাজিন ৪এমজি ব্যবহার করতে পারেন ।
একটি পরিবারে দুই বছরের পর থেকে প্রায় সবার ডোজএকই রকমের হয়ে থাকে। দুই বছরের আগের বাচ্চাকে অবশ্যই সিরাপ আকারের ওষুধগুলো খাওয়াতে হবে। তবে পরিবারের সবাই একসাথে খেতে হবে। যেহেতু এটি একটি এন্টিবায়োটিকের ডোজ তাই অবশ্যই সময় মেইনটেইন করে খেতে হবে ।
কৃমির ঔষধ একটি নিরাপদ ঔষধ এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে খালি পেটে খেলে পেট ফাঁপা বমি বমি ভাব হতে পারে
অবশ্যই অপুষ্টি এড়াতে আমাদের কৃমির ওষুধ নিয়মিত খাওয়া উচিত । বাচ্চাদের কৃমির ওষুধ কোনটা ভালো এবং কৃমি সম্পর্কিত প্রায় অনেক কিছু আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হলো তাছাড়া অনেকের অনেক ধরনের মতবাদ থাকতে পারে যেমন চিনি খেলে অথবা মিষ্টি খেলে কিমি হবে কিনা এ সকল ভুল ধারণা অনেকের আছে তাই এগুলো থেকে অবশ্যই সবাইকে দূরে থাকতে হবে কৃমির ঔষধ গরমকালে খাওয়া যাবেনা এমন ধারণাও করা যাবে না । শীত বর্ষা বসন্ত এমন কোন সময় নাই যেখানে কৃমির ওষুধ খাওয়া যাবেনা ।
তাই আপনি অনায়াসে সারা বছর কিমির ওষুধ চালাতে পারেন তবে কৃমির ওষুধ খাবার সময় অবশ্যই ভর পেটে খেতে হবে না হলে ওষুধের কোন কাজ হবে না । বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো এবং কৃমি সম্পর্কিত আরো বিভিন্ন ধরনের পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন । আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য শিক্ষামূলক, শিক্ষামূলক, টেক রিলেটেড, ছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রকাশ করে থাকি তাই সঠিক তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে অবশ্যই ভিজিট করতে থাকুন ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন