গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়

    ফর্সা-সুন্দর সন্তান লাভের উপায়


    প্রত্যেকটি গর্ভবতী মায়ের প্রত্যাশা থাকে তার বাচ্চাটি সুন্দর এবং ফর্সা এবং সুস্থ হবে। এজন্য অসাধারণ তো গর্ববতী মায়েরা প্রচলিত সব নিয়মকানুন মেনে চলার পাশাপাশি বিভিন্ন রকম ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যায় তার গর্ভের সন্তানকে ফর্সা করার জন্য। বর্তমান সময়ে বিজ্ঞান এই বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কোন খাবারগুলো মায়ের জন্য খাওয়া ভালো সন্তান ফর্সা হওয়ার ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিতভাবে আজকে আমরা তুলে ধরব তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক।


    গর্ভাবস্থায় নানা রকম সাদা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করে গর্ভবতী মায়েরা।  তারা ভাবে যে এই সমস্ত খাবার খেলে গর্ভের সন্তান ফর্সা হবে যদিও অনেকেই আমাদের মধ্যে এই বিষয়টা নিয়ে জানিয়েছে তারপরও বাচ্চা ফর্সার চাহিদা মনের গভীর থেকেই কিন্তু বিষয়টি হয়ে আসে। তবে এক্ষেত্রে সব খাবারই যে একই রকম ভূমিকা পালন করবে এমন কোন বিষয় না।


    বিশেষজ্ঞদের মধ্যে খাদ্য নির্বাচনের উপর নির্ভর করেই শরীরের বর্ণ নির্ধারিত হয় না। এটা নির্ভর করে তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে পাওয়া জিন এর উপর। তবে প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী গর্ভবতী অবস্থায় যে সমস্ত খাবার গ্রহণ করা হয়। মূলত তার উপরই বাচ্চার বর্ণ নির্ধারণ হয় বলে ধারণা করে। যদি এ সমস্ত ধারণাগুলো আপনার দৃঢ় বিশ্বাস হয়ে থাকে তাহলে এই সমস্ত খাবার আপনার খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন।


    আজকে আমরা এমন কিছু খাবারের বিষয়গুলো তুলে ধরব যেগুলো বাচ্চার রং ফর্সা করার সহায়তা পালন করবে এবং চিকিৎসকরা এই পরামর্শ গুলো দিয়ে থাকেন। তবে আপনি যদি এই খাবারগুলো খান তাহলে গর্ভের বাচ্চা যে ফর্সা হবে এমন কোন কথা নয়। তবে বিজ্ঞানসম্মত বিষয়গুলো বিবেচনা করে দেখা হয়েছে যে এই সমস্ত খাবারগুলো বাচ্চা ফর্সা করার জন্য যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। তাহলে চলুন খাবার গুলো সম্পর্কে দেখে নেই।


    বাচ্চা ফর্সা হবার জন্য নারিকেল খান

    আপনি যদি আপনার গর্ভের বাচ্চাটি সুন্দর এবং ফর্সা পেতে চান তাহলে নারিকেলের সাদা শ্বাসটা খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে করে গর্ভের বাচ্চা ফর্সা এবং সুন্দর এবং স্বাস্থ্যবান হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই নিয়মিত নারিকেলের সাদা অংশটা খাওয়ার চেষ্টা করুন এতে করে গর্ভের বাচ্চা সুন্দর এবং ফর্সা হওয়ার জন্য যথেষ্ট ভূমিকা পালন করবে।


    বাচ্চা ফর্সা করার জন্য জাফরান-দুধ

    গর্ভাবস্থায় প্রতিটি নারী যদি দুধ খায় তাহলে তার গর্ভের সন্তান ফর্সা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। গর্ভে বাচ্চা থাকা অবস্থায় কেউ যদি নিয়মিত পরিমাণ অনুযায়ী দুধ সেবন করে তাহলে তার বাচ্চার ভ্রুনের সুগঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই গর্ভে বাচ্চা থাকা অবস্থায় পরিমাণ মতো দুধ খাওয়ার চেষ্টা করুন এতে করে বাচ্চা ফর্সা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।


    কি খাবার খেলে ছেলে সন্তান হয় দেখুন


    বাচ্চা ফর্সা করার জন্য কমলা লেবুর ভূমিকা

    গর্ভাবস্থায় রসালো ফলের মধ্যে সবথেকে কমলা লেবু বেশি করে খাওয়া উচিত এতে করে বাচ্চার ভিটামিন সি এর ভূমিকা বেশি থাকে। গর্ভাবস্থায় কোন বাচ্চা যদি ভিটামিন সি পর্যাপ্ত পরিমাণ পায় তাহলে তার ত্বকের উজ্জ্বলতা বেশি হয়। তাই গর্ভাবস্থায় কোন মা যদি নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার গুলো বেশি খাই এ ক্ষেত্রে কমলালেবু তাহলে কিন্তু বাচ্চার ত্বকের উজ্জ্বল এবং ফর্সা করতে সাহায্য করে।


    বাচ্চা ফর্সা করার জন্য বাদামের ভূমিকা

    আপনি যদি আপনার গর্ভের সন্তান ফর্সা করতে চান তাহলে গর্ভাবস্থায় শুকনো বা ভেজানো বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা বেশি দেখা যায়। বাদাম মিশ্রিত দুধ গায়ের রং পরিষ্কার করতে সহায়তা করে বাচ্চার ত্বককে। তাই গর্ব অবস্থায় যদি নিয়মিত বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে আপনার গর্ভের বাচ্চা ফর্সা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।


    বাচ্চা ফর্সা হওয়ার জন্য ঘি এর ভূমিকা

    গবেষণায় দেখা গেছে যেসব নারীরা খাবারের মধ্যে ঘি এর মাত্রা বেশি পরিমাণ খাই তাদের ক্ষেত্রে বাচ্চা হওয়ার জন্য প্রসব যন্ত্রণা অনেকাংশই কম হয়। অন্যদিকে প্রচলিত চিন্তা ধারা অনুযায়ী গৃহ ব্রুনের বর্ণ উজ্জ্বল করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তাই তেলের জায়গায় যদি বেশি মাত্রায় খাওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে বাচ্চা ফর্সা এবং স্বাস্থ্যবান হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।


    কখন মেলামেশা করলে ছেলে সন্তান হয়


    গর্ভের সন্তান ফর্সা হওয়ার আমল

    ১/প্রথম মাসে সূরা-আল ইমরান পড়লে আপনার সন্তান দামী মানুষ হবে। 

    ২/দ্বিতীয় মাসে সূরা-ইউসুফ পড়লে আপনার সন্তান সুন্দর হবে।

     ৩/তৃতীয় মাসে সূরা মারিয়াম পড়লে আপনার সন্তান সবর কারী হবে। 

    ৪/চতুর্থ মাসে সূরা-লোকমান পড়লে আপনার বাচ্চা হেকমত ওয়ালা হবে।

     ৫/পঞ্চম মাসে সূরা-মুহাম্মদ পড়লে আপনার বাচ্চা চরিত্র বান হবে। 

    ৬/ছষ্ঠ মাসে সূরা-ইয়াসিন পড়লে আপনার সন্তান জ্ঞানী হবে। 

    ৭/সপ্তম,অষ্ঠম,নবম এবং দ্বশম মাসে সূরা-ইউসুফ,মুহা ম্মদ এবং ইব্রারাহিম এর প্রথম থেকে দশ আয়াত পড়লে আপনার সন্তান নেক আমলকারী হবে। 


    নফল ইবাদতের মধ্যে আল্লাহর কাছে গর্ভের সন্তান ফর্সা হওয়ার জন্য দোয়া করতে হবে এভাবে আপনারা যদি আল্লাহর কাছে প্রতিনিয়ত চান তাহলে আল্লাহ আপনার মনের ইচ্ছা পূরণ করবে। আল্লাহ যা কিছু করে বান্দার ভালোর জন্যই করে তাই অবশ্যই চেষ্টা করুন আল্লাহর কাছে ভালো কিছু চাওয়ার।


    ছেলে বাচ্চা নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি কি দেখুন


    বাচ্চা ফর্সা হওয়ার দোয়া

    বাচ্চা ফর্সা হওয়ার জন্য এমন কোন দোয়া পাওয়া যায়নি তবে আল্লাহর কাছে যদি আপনি নফল ইবাদতের মাধ্যমে অথবা প্রতিনিয়ত দোয়া করে আল্লাহর কাছে সুস্থ এবং সুন্দর বাচ্চা পাওয়ার জন্য দোয়া করতে পারেন এতে করে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আপনার দোয়া যদি কবুল করে তাহলে সুস্থ এবং সুন্দর বাচ্চা পাবেন। তাই অবশ্যই চেষ্টা করুন আল্লাহর কাছে সুস্থ এবং সুন্দর বাচ্চা চেয়ে দোয়া করার।


    এবং নেক আমল করার এতে করে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আপনার উপর সন্তুষ্ট হয়ে আপনার সুন্দর সুস্থ বাচ্চা দিবে। সবার মূলের সুস্থ এবং সুস্থ বাচ্চা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করুন এতে করে আল্লাহপাক রব্বুল আলামীন বিভিন্ন কোরআন-হাদিসের বিষয়গুলো তুলে ধরেছে  সুস্থ বাচ্চা পাওয়ার।


    বাচ্চা বোবা কেন হয় দেখুন


    আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নানারকমের টিপস এন্ড ট্রিকস প্রকাশ করে থাকি তাই আমাদের এই ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করে আপনার মূল্যবান তথ্যগুলো জেনে নিন তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন