মুসলমানদের জন্য সবথেকে বড় ধর্মীয় বৈশ্বিক সম্মেলন হল হজ। প্রত্যেক বছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসলিমরা সৌদি আরবে হজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে থাকে। সৌদি আরবের মক্কা এবং মদিনাতে মুসলমানরা মিলায়তনে সামিল হয়ে থাকে। করোনার প্রকোপের কারণে ২০২০ থেকে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সম্মেলনটি সীমাবদ্ধতার মধ্যে দিয়ে পার হয়েছে। হজ্জ পালনকারীদের জন্য সীমাবদ্ধতা করাই বিশ্বের অন্যান্য যাত্রীদের জন্য বাংলাদেশিরা বঞ্চিত হয়েছে কিছুটা।
কিন্তু এ বছর থেকে সৌদি সরকার সতর্কতা স্বরূপ জানিয়েছে যে সৌদি হজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নীতিমালা অনুসরণ করে হজের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করা হয়েছে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক সরকারিভাবে হজে যাওয়ার নিয়ম ও নিবন্ধন কিভাবে করবেন এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য। মূলত আমরা অন্যান্য কনটেন্ট এর মাধ্যমেও হজের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরি তাহলে চলুন আজকে এই বিষয়টি নিয়ে জেনে নেওয়া যাক।
সরকারিভাবে হজের নিবন্ধন
বাংলাদেশ থেকে প্রত্যেক বছর সরকারি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে হজের নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়। তবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার জন্য যাত্রী সংখ্যা মোট হজ যাত্রীর পাঁচ শতাংশ। সরকারি এবং সরকারি এবং বেসরকারি উভয় পক্ষের জন্যই এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা হল পাক নিবন্ধন করা। হজের জন্য সৌদি আরবের হজ ও ওমরা কর্তৃপক্ষ কর্তব্য বছর সকল দেশের একটি নির্দিষ্ট কৌটা নির্ধারণ করে দেয় সৌদি সরকার।
মক্কা মদিনায় থাকা এবং জরুরি সেবা প্রদানের জন্য এ বিষয়টি নিয়মের মধ্যে নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কৌটা বরাদ্দ দেওয়ার কারণে সৌদি সরকার হজ্জ পালনকারীদের জন্য যাতে সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় এই জন্যই মূলত এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপরেও প্রত্যেক বছর কোটার বাইরে বহু সংখ্যক আবেদন জমা পড়ে থাকে সৌদি সরকারের কাছে।
সরকারিভাবে হজ নিবন্ধন এর আবেদন ফরম
সরকারিভাবে হজ নিবন্ধনের আবেদন ফরম এবং প্রাক নিবন্ধন ফরমসহ বিস্তারিত তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো উপরের প্রাক নিবন্ধন আবেদন ফরম দিয়ে দেওয়া হলো সেখান থেকে আপনারা দেখে আবেদন ফরমটি পূরণ করতে পারবেন।
সরকারিভাবে হজের পাক নিবন্ধন পদ্ধতি
সরকারি হজের জন্য প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পাক নিবন্ধন পদ্ধতি সম্পন্ন করতে পারবে। হজযাত্রীদের পাক নিবন্ধন সিস্টেম থেকে প্রাক নিবন্ধন করা হয়ে থাকে। এর জন্য প্রয়োজনীয় ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে তা নিচে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
- ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র
- জেলা প্রশাসকের কার্যালয়
- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়
- হজ অফিসে, পরিচালকের কার্যালয়ে, আশকোনা ঢাকা
বেসরকারিভাবে ভাগ নিবন্ধনের জন্য ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে আপনাদেরকে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য এবং যাবতীয় রিকোয়ারমেন্ট গুলো সঙ্গে নিয়ে প্রাক নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হয়।
সরকারিভাবে হজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সরকারিভাবে হজের জন্য আবেদন সম্পন্ন করতে হয় এক্ষেত্রে কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে এবং কিভাবে সেগুলো আপনারা জমা দিবেন এবং তথ্য এ কি কি পূরণ করা লাগে তার সকল তথ্য নিয়ে বিস্তারিতভাবে নিচে তুলে ধরা হলো।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- মহিলাদের ক্ষেত্রে মহরমের জাতীয় পরিচয় পত্র
- চূড়ান্তভাবে হজের অনুমতি পত্র
- করনা টিকা সনদপত্র
- নিবন্ধন আইডি কার্ডের ফটোকপি
- পাসপোর্ট এর ফটোকপি
এছাড়া আপনি যদি বেসরকারিভাবে হজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিবন্ধন করতে চান তাহলে বেসরকারি এজেন্সি অনুযায়ী আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংযোজন করতে হবে। এক্ষেত্রে কি কি প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংযোজন করবেন এবং প্রয়োজনীয় কি কি কাগজপত্র লাগবে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আগে থেকেই সরকারি এজেন্সিগুলো বা বেসরকারি এজেন্সিগুলো থেকে জেনে নিবেন।
সরকারিভাবে হজে নিবন্ধন করার খরচ
২০২১-২২ সৌদি আরবের স্বল্প পরিসরে হযরত অনুমতি থাকাই এ বছরে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে নতুন কিছু হজের প্যাকেজ নির্ধারিত করা হয়েছে এই প্যাকেজের মাধ্যমে ২৪ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারিভাবে হাঁস পালনের তিনটি প্যাকেজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
- প্রথম প্যাকেজ ১ লাখ ২৫হাজার টাকা
- দ্বিতীয় প্যাকেজ দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা
- দ্বিতীয় প্যাকেজ তিন লাখ ১৫ হাজার টাকা
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন