ছেলে বাচ্চা নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত ভাবে জানবো। অনেকে আছে প্রথম বাচ্চা অথবা শুধুমাত্র ছেলে সন্তান পছন্দ করে থাকেন। তবে এই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবেই ভাগ্যের উপর নির্ভর করে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন যদি আপনার কপালে ছেলে না রাখে তাহলে কখনোই সম্ভব না। তারপরও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে কিছুটা বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়ে থাকে ছেলে সন্তান লাভের জন্য।
তাই এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিতভাবে আমরা এখানে তুলে ধরব তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক ছেলে বাচ্চা নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে কিভাবে আপনারা এই পদ্ধতি অবলম্বন করে ছেলে সন্তান নিতে পারেন। এবং এই পদ্ধতি গুলো কাজ করে কিনা সে বিষয়গুলো নিয়েও বিস্তারিত ভাবে এখানে জানতে পারবেন।
ছেলে বাচ্চা নিতে চাইলে সবার আগে আপনাকে কয়েকটি বিষয় ভালোমতো জানতে হবে। যখন পুরুষের শুক্রাণু X ক্রোমোজোম মহিলার ডিম্বাণুতে প্রবেশ করানো হয় তখন দুইটা X ক্রোমোজোম থেকে মিশে শিশুর জন্ম হয়ে থাকে। যখন পুরুষের শুক্রাণ থেকে Y ক্রোমোজোম মহিলাদের ডিম্বাণুতে প্রবেশ করে তারপরে XY মিলিত হয়ে ছেলে শিশুর জন্ম হয়।
ছেলে বাচ্চা নেওয়ার জন্য এখানে মেয়েদের কোন ভূমিকা থাকে না। তার পরেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক মেয়েদেরই দোষী সাব্যস্ত করা হয় ছেলে সন্তান না হওয়ার কারণে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক পুরুষ আছে ছেলে সন্তান না হওয়ার কারণে দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধ্য হয়ে থাকে। অনেকের মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগে ছেলে ছেলে বাচ্চা নেওয়ার বিষয়ে।
শারীরিক সম্পর্ক করার পরে যখন শুক্রাণু পরিসয়ের শরীর থেকে মহিলাদের শরীরে প্রবেশ করে থাকে তখন ক্রোমোজোম এর একটা জীবনকাল থাকে যেমন Y ক্রোমোজোম পুরুষের শরীর থেকে মেয়েদের শরীরে প্রবেশ করার পরে এক থেকে তিন দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকার ক্ষমতা রাখে। পরবর্তীতে এক্স ক্রোমোজোম পুরুষের শরীর থেকে মেয়েদের শরীরে প্রবেশ করার পরে তিন থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। এটি মূলত ঝুকি হারানোর জন্যই সর্বনিম্ন জীবনকাল হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।
সহবাসের কতদিন পর বাচ্চা পেটে আসে
সাধারণত Y ক্রোমোজোম দ্রুত গতি সম্পন্ন এবং শক্তিশালী হয়ে থাকে। তাই এটি মহিলাদের শরীরে প্রবেশ করা মাত্রই খুবই দ্রুত ডিম্বাণুর দিকে সরতে থাকে। যদি XY দুইটাই উপস্থিত থাকে তাহলে Y ক্রোমোজোম নিযুক্ত করবে এবং ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। কিন্তু সমস্যা হয় তখনই যখন ডিম্বাণু তৈরি হওয়ার সময় জীবনকাল কম হয়ে থাকে। এবং সেখানে Y ক্রোমোজোম উপস্থিত থাকে না যার ফলে নিযুক্ত হয় এবং মেয়ে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা হয়।
ছেলে বাচ্চা নেওয়ার দোয়া
বৃদ্ধ বয়সে আমাদের জাতির পিতা ইব্রাহিম (আ:) পুত্র সন্তান লাভের জন্য আল্লাহর কাছে এই দোয়াটি পাঠ করতেন এবং নেক সন্তান কামনা করতেন। এটি পবিত্র কুরআনে সূরা সফফাত ১০০ নম্বর আয়াত। উচ্চারণ: রাব্বি হাবলি মিনাস সালিহিন
অর্থ: হে প্রতিপালনকারী আমাকে সৎ এবং পুত্র সন্তান দান করুন।
এই দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে পুত্র সন্তান লাভের জন্য ইব্রাহিম আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাঠ করতেন এবং তিনি পুত্র সন্তান কামনা করতেন।
ছেলে সন্তান হওয়ার আমল
ছেলে সন্তান লাভের আমল হল সহবাসের পূর্বে আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নাম আল মো তাকাব্বিরও দশবার পাঠ করবে এবং বেশি বেশি আল্লাহর কাছে পুত্র সন্তান চেয়ে দোয়া করবে তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকে সৎ এবং নেককার পুত্র সন্তান দান করবেন ইনশা আল্লাহ।
ছেলে সন্তান লাভের জন্য আল্লাহর কাছে এই রাব্বি হাবলি মিনাস সালিহিন দোয়াটি বারবার পাঠ করতে হবে। এবং প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর এই দোয়াটি তিনবার করে পাঠ করতে হবে। এবং স্বামী স্ত্রী দুজনে মিলেই মিলিত হওয়ার পূর্বে আল্লাহর কাছে নফল ইবাদতের মাধ্যমে বেশি বেশি পুত্র সন্তান চেয়ে দোয়া করতে হবে।
কোন ইমারজেন্সি পিল সব থেকে ভালো ১০০% কার্যকরী
ছেলে সন্তান লাভের মন্ত্র
ছেলে সন্তান লাভের জন্য কোন ধরনের মন্ত্র নেই এটি শুধুমাত্র আল্লাহ যাদের ভাগ্যে লিখে রেখেছে শুধু তারা ছেলে সন্তান লাভ করতে পারবে। সম্পূর্ণরূপে আল্লাহকে বিশ্বাস করতে হবে কোন মন্ত্র বা কোন কবিরাজের দেওয়া তাবিজ কবজ কে বিশ্বাস করা যাবে না। তাই সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখুন এবং বেশি বেশি আল্লাহর কাছে নফল ইবাদতের মাধ্যমে ছেলে সন্তান লাভের জন্য দোয়া করুন।
ছেলে সন্তান কিভাবে হবে
ছেলে সন্তান নেওয়ার জন্য একমাত্র উপায় হল ওয়াই ক্রোমোজোম বহনকারী শুক্রাণু নিশুক্ত হওয়া। যদি XY দুটি ক্রোমোজোম মিলিত হয় তখন ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ সম্পূর্ণটা ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে কোন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করা লাগেনা।
স্বপ্নে কি দেখলে ছেলে সন্তান হয়
পেটের বাচ্চা কি ছেলে হবে সেটা সম্পূর্ণটাই আল্লাহর ইচ্ছা এবং আপনার ভাগ্য। স্বপ্নে কি দেখলে ছেলে সন্তান হয় এই বিষয়টা বিশ্বাস করা যাবে না। স্বপ্ন সব সময় কখনোই সত্যি হয় না অনেক সময় স্বপ্ন বিভিন্ন আকামবার্তা বহন করে থাকে। আপনি যদি স্বপ্নের মধ্যেও ছেলে সন্তান দেখে থাকেন তাহলে যে ছেলেই হবে এমন কোন কথা না।
এটা শয়তানের ও ধোঁকা হতে পারে ভবিষ্যতে কি সন্তান হবে এবং আপনি কি সন্তানের বাবা হবেন সেটা নির্ভর করবে আল্লাহর উপর আল্লাহ আপনার ভাগ্যে কি লিখে রেখেছে তার উপর। তাই অবশ্যই শয়তানের থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন এবং পুত্র সন্তান অথবা আপনার পছন্দ অনুযায়ী সন্তান পাওয়ার জন্য অবশ্যই আল্লাহর কাছে নিয়মিত দোয়া করুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন