গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয় ( এই খাবারগুলো হতে সতর্ক )

    গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয়


    গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয় অথবা বাচ্চা কালো হওয়ার কারণ কি এই নিয়ে অনেকের মনের মধ্যে প্রশ্ন থাকে। মহান রাব্বুল আলামিনের সৃষ্টি সেটা কাল হোক অথবা ফর্সা হোক দুইটাই সুন্দর। পৃথিবীতে মাখলুক জগতে যা কিছু সৃষ্টি আছে তা সবগুলোই সুন্দর। কিন্তু বর্তমান সময়ে মানুষ কালো গায়ের রং নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন তার গর্ভের সন্তান নিয়েও এমন চিন্তায় থাকেন।


    তবে এক্ষেত্রে গর্ভের সন্তানের রং কি হবে না হবে সেটা সম্পূর্ণটাই আল্লাহ ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে এবং যা হবে তা সম্পূর্ণটাই ভাগ্যের উপর নির্ভর করবে। তবে এই ক্ষেত্রে আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাবো কোন খাবার গুলো খেলে গর্ভের সন্তান কালো হবে না বরং সে ভালো রং পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এক্ষেত্রে এই খাবারগুলো যে শুধুমাত্র আপনাকে গায়ের রং পরিবর্তন করবে তা কিন্তু নাই শারীরিক ভাবে বাচ্চাদের সুস্থ রাখতে ও সহায়তা করবে।


    যে খাবার গুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেই খাবারগুলো খেলে যে বাচ্চার গায়ের রং কালো হবে না। এমনকি এই খাবারগুলো খেলে যে বাচ্চার গায়ের অধিক মাত্রায় ফর্সা হবে তা কিন্তু নয়। বর্তমান প্রথা প্রচলিত হিসাবে যে সমস্ত খাবারগুলো খেতে নিষেধ করা হয় এবং কোন খাবারগুলো খেলে বাচ্চার গায়ে রং ভালো হয় সেগুলো বেশি মাত্রায় খাওয়া উচিত।


    বাচ্চার কালো স্কিন হয়ে থাকে বাবা মায়ের দিন গত কারণেই। এক্ষেত্রে দেখা যায় যে সুন্দর কাপলদেরও কালো বর্ণের বাচ্চা হয়ে থাকে। আবার দেখা যায় যে বাবা-মায়ের রং কালো হলেও বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা দেখা যায়। তবে এক্ষেত্র সম্পূর্ণভাবেই আল্লাহর একটি নিদর্শন। পেটের বাচ্চা গর্ভের ভেতর কি রং ধারণ করছে না করছে এটা দেখার কোন ধরনের ক্ষমতা আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন এখন পর্যন্ত আমাদেরকে দেয় নাই।


    অনেক সময় দেখা যায় যে বাচ্চা জন্ম হওয়ার পরেও অধিক পরিমাণ ফর্সা দেখা যায় কিন্তু পরবর্তীতে তার রং তার ফ্যামিলির অন্যান্য সদস্যদের মতই চলে আসে। পরবর্তীতে সে তার রঙ্গে ফিরে আসে অথবা তার বাবা-মায়ের জিন গত যে রং থাকে সেটাই সে পেয়ে যাই। তবে এক্ষেত্রে বলা যায় যে শুধুমাত্র যে খাবার গ্রহণ করলেই বাচ্চার রং কালো হবে এমন কোন কথা নাই আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন খাবার গ্রহণ করা আমাদের জন্য একটি নিয়ামত করে দিয়েছেন।


    বাচ্চার গায়ের রং কালো হওয়ার মূল কারণ হলো।

    ১/বাবা মায়ের জিনের ওপর

    ২/মেলালিন হরমোনের উপর

    ৩/পরিবেশ এবং আবহাওয়ার উপর

    ৪/বাবা-মায়ের খাদ্যাভাসের পর


    এছাড়াও আরো অনেকগুলো কারণ রয়েছে যেগুলোর কারণে কিন্তু বাচ্চার গায়ের রং কালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া সম্পূর্ণভাবে এটা একটা আল্লাহর নিয়ামত তবে এক্ষেত্রে আপনারা যদি কিছু খাদ্যাভাসার পরিবর্তন এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন নিয়ে আসা যায় তাহলে কিছু মাত্রাই বাচ্চার রং ফর্সা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কি খাবার গুলো খেলে বাচ্চার গায়ে রং ফর্সা হতে পারে।


    কোন খাবারগুলো খেলে বাচ্চা ফর্সা হবে দেখুন


    গর্ব অবস্থায় কোন নারী যদি নিয়মিত টমেটো খায় তাহলে তার গর্ভের বাচ্চা ফর্সা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এতে করে বাচ্চা সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা যায়। যারা ভাবছেন তাদের বাচ্চার গায়ের রং কালো হবে তারা নিয়মিত টমেটো খাওয়ার চেষ্টা করুন এতে করে বাচ্চার গায়ের রং কিছুটা হলেও পরিবর্তন দেখা যাবে।


    গর্ভাবস্থায় আলু এবং ভাত বেশি পরিমাণ খাওয়ার চেষ্টা করুন এতে করে যদি নিয়মিত এই খাবারগুলো খেতে পারেন তাহলে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হবে। আলুতে প্রচুর পরিমাণ গ্লুকোজ থাকে এতে বাচ্চা ভালো থাকার সম্ভাবনা থাকে এবং বাচ্চার গায়ের রং পরিবর্তন করতে পারে। এতে করে আপনার যদি নিয়মিত আলো খাওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে কিন্তু বাচ্চার গায়ের রং কিছুটা পরিবর্তন হবে।


    যদি মনে করে থাকেন আপনার গায়ের রং কালো তাহলে আপনার বাচ্চার গায়ের রং কালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন নিয়মিত কমলা লেবু অথবা লেবু খাওয়ার এতে করে বাচ্চার ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হবে সেই সাথে বাচ্চার গায়ের রং উজ্জ্বল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে এটাই চেষ্টা করুন সমস্ত খাবার গুলো বেশি মাত্রায় খাওয়ার।


    কি খাবার খেলে ছেলে সন্তান হয় দেখুন


    গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়

    গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কোন ধরনের সমস্যা হয় না। তবে অধিক পরিমাণ মুড়ি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন কেননা মরি শরীরের পানি শোষণ করে এতে করে পেটে পানির ভাব কমিয়ে আনতে পারে। তাই চেষ্টা করুন একেবারে কম মুড়ি খাওয়ার। তবে চেষ্টা করবেন গর্ব অবস্থায় সামুদ্রিক মাছ, ডিম, দুধ, শাকসবজি এবং পালং শাকের মতো পাতাবহুল গাছের সবজি খাওয়ার। এতে করে গর্ভের বাচ্চা সুস্থ এবং সুন্দর করতে সাহায্য করবে। 


    গর্ভাবস্থায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা উচিত এতে করে বাচ্চা সুস্থ এবং সুন্দর থাকে সেই সাথে শাকসবজি এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত এতে করে বাচ্চার ত্বক এবং বাচ্চার ভিটামিন সমস্যা থাকলে তা সমাধান হয়ে যাবে। তাই বিস্তারিতভাবে আরো জানার জন্য আমাদের এই ওয়েবসাইটকে ফলো করতে পারেন এবং পর্যায়ক্রমে যে লিংকগুলো দেয়া আছে সেগুলো পড়ে নিতে পারেন ধন্যবাদ।


    ছেলে সন্তান নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি দেখুন

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন