লিবিয়া টু ইতালি আজকের খবর অনুযায়ী জানানো যাচ্ছে যে সাগরের পরিস্থিতি অনুযায়ী শরণার্থী শিবিদের উদ্ধার কাজের জন্য প্রায়ই চার থেকে পাঁচটি দল কাজ করছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শরণার্থীদের উদ্ধার করার জন্য যে সমস্ত পতাকাধারী দল কাজ করছে শুধুমাত্র তাদেরকে তাদের দেশেই অবস্থান করার সুযোগ করে দেবে।
এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়ম অনুযায়ী লিবিয়া টু ইতালি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। তাই বলা যাচ্ছে মধ্য সাগরে যদি কোন শরণার্থীরা বিপদের মধ্যে পড়ে তাহলে যে দেশের পতাকা বাহি দল উদ্ধার করবে সেই দেশেই শরণার্থীদের জায়গা করে দিতে হবে। আগে যে কোন দলকে উদ্ধার করার জন্য বলা হলেও প্রত্যেক সাগর পাড়ের দেশগুলোর প্রতি গুরুত্ব বেশি দেওয়া হতো।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়ম অনুযায়ী নতুন এক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ২০২৩ সালে প্রায় ২৭ শরণার্থী শিবিরদের উদ্ধার কার্যক্রম করা হয়েছিল। সেখান থেকে 27000 শরণার্থীদের বিভিন্ন পতাকা বাহি শরণার্থী উদ্ধারকর্মীদের দেশগুলোতেই বসবাস করার জন্য বলা হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী এখন পর্যন্ত শরণার্থীদের সেই সমস্ত দেশেই বসবাস করছে।
বর্তমানে ইতালির উদ্ধারকর্মী দল প্রায় ১৫ হাজার শরণার্থী হিসেবে উদ্ধার করেছে এবং এই বছরে নতুন ভাবে যাতে কেউ সমুদ্র সৈকত দিয়ে দিতে পারে সেই বিষয়েও নজর রাখছে। তবে আশেপাশের তিউনিশিয়া সহ আরো অন্যান্য দেশগুলোতেও শরণার্থীদের উদ্ধার করার জন্য মধ্য সাগরে ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে।
লিবিয়া টু ইটালির আজকের খবর অনুযায়ী 2023 সালে সম্পূর্ণভাবে সমুদ্রপথে শরণার্থী শিবিরদের নিষেধাজ্ঞা আরো কঠিনভাবে করা হচ্ছে এক্ষেত্রে এ বছরের প্রায় 27000 শরণার্থী শিবিরদের উদ্ধার করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সমুদ্র সৈকতের আবহাওয়া পরিস্থিতি একেবারে অনুকূলে থাকার কারণে মূলত অনেক শরণার্থী এর মধ্যেই বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। তাই এই বিষয়গুলো সতর্কতা স্বরূপ জানানোর জন্যই মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ একটি বৈঠক করা হয়েছে।
উক্ত বৈঠকে জানানো হয় যে লিবিয়া টু ইতালিতে যে সমস্ত শরণার্থীরা সমুদ্রপথে পাওয়া যাবে ওই শরণার্থীদের যে সমস্ত উদ্ধারকারীরা উদ্ধার করবে তাদের দেশে বসবাস করার জায়গা করে দিতে হবে। তাই বর্তমানে যারা লিবিয়া টু ইতালি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন শরণার্থী শিবির হিসাবে তাদের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে যে যেই উদ্ধারকারী দল আপনাদেরকে উদ্ধার করবে সেই দেশেই বসবাস করার সুযোগ পাবেন।
লিবিয়া টু ইতালি যাওয়ার নতুন পথ
লিবিয়া টু ইতালিতে যাওয়ার জন্য অনেক সময় সমুদ্রপথেই শরণার্থী শিবিররা নিজ নিজ দেশেই উদ্ধার করে থাকে। এক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়ম অনুযায়ী এবারে যে সমস্ত পতাকা বাহি উদ্ধারকারী দল শরণার্থীদের উদ্ধার করবে সেই সমস্ত দেশেই তাদের বসবাস করার সুযোগ তৈরি করে দেবে। এক্ষেত্রে বুঝা যাচ্ছে যে যে সমস্ত দেশে আপনি শরণার্থী হিসেবে প্রবেশ করবেন সেই দেশে আপনাকে বসবাস করার সুযোগ করে দেয়া হবে।
তবে সেই দেশের মাধ্যমে যদি আপনারা পরবর্তীতে আবার ইতালি বা অন্যান্য দেশে যাওয়ার মাধ্যম তৈরি করতে পারেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু সমুদ্রপথেই বেছে নেওয়া লাগে। তাই সেই হিসেবে বলা যাচ্ছে যে এবারে আগের তুলনায় অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিষয়গুলো একেবারেই খুবই কঠোর এবং গুরুত্ব সহকারে করা হয়ে থাকে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন নিয়ম অনুযায়ী লিবিয়া ইতালির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। এই পথে যাতে লিবিয়া থেকে ইতালিতে কেউ প্রবেশ না করতে পারে সেজন্য অনেক উদ্ধারকারী এখন পর্যন্ত সমুদ্রপথে টহল দিচ্ছে। যারা নতুন পথ হিসাবে এই পথটি বেছে নিয়েছে তাদের জন্য বর্তমানে সমুদ্রের আবহাওয়া অনুযায়ী খুবই কঠিন একটি ব্যাপার।
ওমানে কাজের ভিসায় যাওয়ার উপায় দেখুন সহজে
বর্তমান সময়ে সমুদ্রের অবস্থা একেবারে খারাপ আবহাওয়া যে কোন সময় পরিবর্তন হয়ে ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই এর মধ্যে কেউ যদি লিবিয়া থেকে ইতালিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয় তাহলে কিন্তু কোন উদ্ধারকারীর সহায়তা পাবে না বলেও ধারণা করা যাচ্ছে।
কেননা যে কোন শরণার্থী শিবিরদের উদ্ধার করলে সেই সমস্ত দেশেই বসবাস করার সুযোগ করে দেওয়া হয় যে পতাকা বাহি দল উদ্ধার করবে সেই দলেই বা সেই দেশেই শরণার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে পরবর্তীতে তাদের নিয়ম অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে বলেও নিশ্চিত করা যাচ্ছে।
লিবিয়া টু ইতালি সাগর কত কিলোমিটার
লিবিয়া চৈতালি সাগর দূরত্ব ২৪২০ মাইল বা ৭৭৭ কিলোমিটার। লিবিয়া টু ইতালি এই ভয়ংকর পদ পাড়ি দিয়ে অনেকেই সমুদ্রপথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে এক্ষেত্রে অনেকের নৌকাডুবি বা বিভিন্ন ঝড়ের কবলে পড়ে অনেকেই মৃত্যুবরণ করে থাকে। আবার অনেকেই আছে যারা কিনা উদ্ধারকারীদের সহায়তায় বিভিন্ন দেশে আশ্রয় পেয়ে থাকে। ৭৭৭ কিলোমিটার দূরের এই সমুদ্র পথ পাড়ি দিয়ে অনেকেই লিবিয়া টু ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
তাই যারা সমুদ্র পথে এইভাবে ইতালিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ছেন তাদের ক্ষেত্রে বলা যায় যে সমুদ্রসীমার অতিক্রম করার সময় কিন্তু আগের তুলনায় অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়ম অনুযায়ী উদ্ধারকারী দলের সাথেই বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে বসবাস করার সুযোগ করে দেওয়া হয়।
দক্ষিণ কোরিয়া লটারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
তাই নতুন এই নিয়ম অনুযায়ী লিবিয়া চৈতালি সাগরের দূরত্বের কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরদের উদ্ধার করার কাজ করছে কয়েকটি দেশ। যে দেশের উদ্ধারকারীরা আপনাকে উদ্ধার করবে সেই দেশেই আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে পরবর্তীতে তাদের ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিশেষ গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন