সন্তান আল্লাহর দেওয়া আমাদের কাছে একটি অন্যরকম নেয়ামত সেটা ছেলে হোক অথবা মেয়ে হোক। ছেলে অথবা মেয়ে যে কোন সন্তানই প্রত্যেকটা বাবা-মায়ের জন্য বিশেষ একটি নেয়ামত। যারা বিশেষ করে ছেলে সন্তান নেওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে পুত্র সন্তান চেয়ে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর একটি বিশেষ দোয়া রয়েছে।
ইব্রাহিম (আঃ) বৃদ্ধ বয়সে আল্লাহর কাছে তিনি সৎপত্র সন্তানের জন্য দোয়া করেন এবং পরবর্তীতে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তাঁর দোয়া কবুল করেন এবং একটি নেক পুত্র সন্তান দান করেন। ইব্রাহিম (আঃ) তিনি পুত্র সন্তান যে আল্লাহর কাছে এই রাব্বি হাবলি মিনাস সালিহিন দোয়াটি পাঠ করেছিলেন।
তাই ইসলামের দৃষ্টিতে আল্লাহপাক রাব্বুল আলামীনের কাছে কোন ব্যক্তি যদি ছেলে সন্তান লাভের জন্য দোয়া করে তাহলে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন কবুল করেন। অনেক সময় ছেলে সন্তানের আশায় অনেকেই বাচ্চা নিতে থাকেন কিন্তু আল্লাহ তার সঠিক ফলাফল মিলন না কিন্তু ধৈর্য হারা হলে চলবে না আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের কাছে দোয়া করতে হবে এবং ছেলে সন্তান চেয়ে নফল ইবাদতে রত থাকতে হবে।
ডাক্তারি উপায়ে ছেলে সন্তান নেওয়ার উপায়
ইসলামের দৃষ্টিতে ছেলে সন্তান লাভের জন্য স্বামী স্ত্রী উভয় মিলেই নফল ইবাদতের পরে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি তওবা করা এবং ছেলে সন্তানের জন্য দোয়া করা। ছেলে সন্তান পছন্দ করেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহর কাছে এই বিষয়গুলো নিয়ে দোয়া করবেন। শুধুমাত্র ছেলে সন্তান লাভের জন্য না অবশ্যই সেই সাথে নেক সন্তান এর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন।
ইসলামের দৃষ্টিতে আরো অনেক সহি হাদিস রয়েছে যেগুলোতে ছেলে সন্তানের গুরুত্ব কথা বলা হয়েছে। তাই স্বামী স্ত্রী উভয় মিলেই আল্লাহর কাছে এই রাব্বি হাবলি মিনাস সালিহিন দোয়াটি পাঠ করতে থাকুন। যদি এই দোয়াটি পাঠ করেন তাহলে এক বছরের কাজা নামাজ আদায়ের মতো সোয়াব পাওয়া যায়।
শাস্ত্র মতে পুত্র সন্তান লাভের উপায়
ঋতুর প্রথম দিন থেকে ১৬ তম দিন পর্যন্ত স্ত্রীর গর্ভধারণ করার ক্ষমতা থাকে। শাস্ত্রীয় মতে বলা হয়ে থাকে যে ঋতুর প্রথম চার দিন এবং ১১ তম এবং ১৩ তম দিন সহবাস করা থেকে বিরত থাকা। এই ছয় দিন বাদ দিয়ে বাকি ১০ দিনের মধ্যে গর্ভধারণ করতে পারবেন। এটি শুধুমাত্র শাস্ত্র মতে। এই দশ দিনের মধ্যে যত বেশি গর্ভধারণের জন্য চেষ্টা করা হবে সন্তান সুস্থ এবং সুন্দর হবে বলে শাস্ত্র মতে বলা হয়।
সাধারণত শাস্ত্রীয় মতে এ বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়ে থাকে তবে সবকিছু উপরওয়ালাই আমাদের বিষয়গুলো ঠিক করে রাখেন কার পুত্র সন্তান হবে এবং তার নেক সন্তান হবে। তবে অবশ্যই সর্বদা উপর আল্লাহর কাছে আমাদেরকে সর্বদাই সু সন্তানের জন্য কামনা করতে হবে। রাত্রির দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্রহরে গর্ভধারণ করার জন্য খুব একটা ভালো সময়।
বাচ্চারা বোবা কেন হয় দেখুন বিস্তারিত
গর্ভধারণ করলে সন্তান দীর্ঘ এবং নীরোগ হয়। মঙ্গলবার রাত্রে সহবাস না করাই ভালো এমন কথাও শাস্ত্র মতে মধ্যে বলা হয়ে থাকে। পায়খানা প্রস্রাব থাকা অবস্থায় এবং পিপাসার্ধ থাকা উচিত নয় গর্ভধারণ চেষ্টা করা উচিত না। অবশ্যই পাক পবিত্র থাকা অবস্থায় গর্ভধারণ করার জন্য সহবাস করা উচিত।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন