আজকে আমরা কথা বলব গর্ভ অবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয় এবং কোন খাবার গুলো বেশি বেশি খাওয়া উচিত এই বিষয়গুলো নিয়ে। সে সাথে আপনারা জানতে পারবেন বাচ্চা লম্বা হওয়ার জন্য পরবর্তীতে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে এবং এখন থেকেই কিভাবে বাচ্চা লম্বা হয় এই প্রসেস গুলো নিয়ে আমরা আজকে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
আজকাল বেশিরভাগ মা-বাবারা গর্ভের সন্তান কিভাবে বাচ্চা লম্বা করা যায় এবং সুস্থ সবল বাচ্চা পাওয়া যায় এই বিষয় নিয়ে অনেকে টেনশন করে থাকে তাই মূলত আজকে আমরা গর্ভের সন্তান লম্বা কিভাবে হয় এবং কোন খাবারগুলো খাওয়া উচিত তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে এখানে জানতে পারবেন তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে দেখে নেওয়া যাক।
বাচ্চা লম্বা করার জন্য অনেকেই অনেকভাবেই চেষ্টা করে থাকে দেখা যাচ্ছে কেউ খাওয়া দাওয়ার মাধ্যমে বাচ্চা লম্বা করতে চায় আবার অনেকে ব্যায়াম বা অনেক ধরনের ফলমূল খাওয়ার চেষ্টা করে থাকে। কিন্তু এই ফলাফল তেমন একটা পাওয়া যায় না তবে কি পদ্ধতিতে আপনারাই ফলাফল পাবেন তা নিয়ে জানুন।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চা লম্বা করার জন্য অবশ্যই আপনাকে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে এক্ষেত্রে অগ্রিমভাবে আপনাকে বিষয়গুলো নিয়ে গুরুত্বসহকারে মেনে চলতে হবে আপনি যদি হঠাৎ করেই আপনার বাচ্চা লম্বা করার প্রক্রিয়া চলমান করতে চান তাহলে কিন্তু এটা কখনোই সম্ভব হবে না। আপনি যদি এ বিষয়টি নিয়ে সচেতন থাকেন তাহলে আপনার বাচ্চা লম্বা করার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করতে পারবেন।
মনে রাখবেন বাচ্চা লম্বা হবে না খাটো হবে সেটা নির্ভর করে মূলত জেনেটিক হরমোনের উপর। বাবা-মা লম্বা হলে সন্তান সাধারণত লম্বা হয় আবার বাবা-মা যদি খাটো হয় তাহলে কিন্তু সন্তান খাটো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আবার এমনও দেখা যায় বাবা-মা খাটো হলে সন্তান সাধারণত খাটো হয় কিন্তু অনেকেই আছে বাবা লম্বা মা খাটো হলেও কিন্তু সন্তান লম্বা হতে পারে।
বাচ্চা খাটো কেন হয়
জেনেটিক বিষয় ঠিক থাকার পরেও অনেক বাবা-মা সচেতনতার কারণেও অথবা বিভিন্ন রোগেও কিন্তু বাচ্চা খাটো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পুষ্টিহীনতা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার না পাওয়ার কারণেও বাচ্চা খাটো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মূলত এটা জেনেটিক কারণেই বংশীয় ভাবেই কিন্তু বাচ্চা খাটো হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে তবে অবশ্যই অসতর্কতা অবস্থায় কোন কিছু না করা সতর্ক থেকেই লম্বা হওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্যায়াম এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য সবথেকে ভালো পিল
বাচ্চা লম্বা করার যা যা করণীয়
আপনি গর্ভবতী অবস্থায়ই ডাক্তারের কাছে যান এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দিকনির্দেশনা মেনে চলুন। এবং শুরু থেকে আপনাকে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। প্রয়োজনীয় আয়রন, ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার ক্যালসিয়াম এবং জিনসমৃদ্ধ খাবারগুলো বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন সেই সাথে সামুদ্রিক মাছ এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ করুন।
নিয়ম মাফিক খাওয়া দাওয়া এবং ঘুম চলাফেরা করার চেষ্টা করুন দুই বার করে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে এবং গর্ভের বেবিটা সঠিকভাবে বেড়ে উঠছে কিনা সেই ভাবে নজর রাখতে হবে। শরীরের পানি শূন্যতা দেখা দিলে পর্যাপ্ত পরিমাণ তরল জাতীয় শরবত জাতীয় খাবার গুলো বেশি বেশি খেতে পারেন। গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আয়রন উৎপাদন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
অর্থাৎ এ বিষয়গুলো অবশ্যই আপনাদেরকে নিশ্চিতভাবে মনে রাখতে হবে এবং সেই সাথে সৃষ্টিকর্তার কাছে এই বিষয়টি প্রার্থনার মাধ্যমে চেয়ে নিতে হবে এবং পুষ্টিহীনতা এ বিষয়গুলো নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শর পাশাপাশি অবশ্যই নিজেকে খেয়াল রেখে চলাফেরা করতে হবে। একটি পরিপূর্ণ শিশির জন্মানোর পরেই শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বেশি থাকে এবং গ্রোথ ভালো হয়। তাই সর্ব অবস্থায় যেকোনো মূল্যে সুস্থ একটি বাচ্চা কামনা করায় সবার উচিত এবং এর জন্য যা যা করা লাগে সেই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
মিলন করার কতদিন পর পেটে বাচ্চা আসে দেখুন
সুস্থ বাচ্চা হলে যেকোনো মুহূর্তে পরবর্তীতে রোগবালার না হলে এমনিতেই বাচ্চা গ্রোথ ভালো থাকবে এবং বাচ্চা লম্বা হবার সম্ভাবনা সহ বাচ্চা মেধাবী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই প্রথম অবস্থায় যেকোনো মূল্যে সুস্থ বাচ্চা কামনা করা এবং সুস্থ বাচ্চার জন্য যে কোন খাবার এবং পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত এতে করে গর্ভাবস্থায় বাচ্চা ভালো থাকবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন