কি খেলে গর্ভের সন্তান বুদ্ধিমান হয়

    কি খেলে গর্ভের সন্তান বুদ্ধিমান হয়


    কি খেলে গর্ভের সন্তান বুদ্ধিমান হয় এবং কোন খাবার গুলো বেশি বেশি নিয়মিত খাওয়া উচিত। এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিতভাবে আমরা তুলে ধরব তাই কি খেলে গর্ভের সন্তান বুদ্ধিমান হয় এবং কোন খাবারগুলো খাওয়া উচিত না তার সবগুলোই আজকের এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে দেখে নেওয়া যাক কি খেলে গর্ভের সন্তান বুদ্ধিমান হয় এবং অন্যান্য টুকিটাকি বিষয়গুলো নিয়ে।


    গর্ভাবস্থায় প্রোটিনযুক্ত খাবার যদি বেশি মাত্রায় খাওয়া হয় যেমন ডিম, দুধ, মাছ, মাংস, ছোট মাছ, সামুদ্রিক মাছ, এবং পাঁচমিশালী ডাল সহ এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। তাই গর্ভাবস্থায় কোন নারী যদি এই খাবারগুলো বেশি করে খেয়ে থাকে তাহলে গর্ভের সন্তান বুদ্ধিমান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।


    গর্ভের সন্তান বুদ্ধিমান হবে নাকি কেমন হবে সেটা নির্ভর করে সম্পূর্ণ আল্লাহর উপর। কেননা আল্লাহ চাইলে সবকিছুই করতে পারেন তাই গর্ভের সন্তান বুদ্ধিমান হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করতে হবে এবং নফল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে চাইতে হবে। পাশাপাশি বিজ্ঞানসম্মত খাবার গুলো বেশি মাত্রায় খাওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ বর্তমান সময়ে বিজ্ঞান থেমে নেই তারা বিভিন্ন রকম পর্যালোচনা করে বিভিন্ন খাবার এবং বিভিন্ন নিয়ম ফলো করতে বলে থাকে।


    তাই গর্ভের সন্তান বুদ্ধিমান হওয়ার জন্য অবশ্যই বিজ্ঞানসম্মত ভাবে চলাফেরা করতে হবে সেই সাথে আল্লাহর কাছে এবং ধর্ম কর্ম বেশি মাত্রায় করতে হবে। এতে করে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আমাদের উপর খুশি হয়ে গর্ভের সন্তানকে নেক সন্তান দিবেন এবং বুদ্ধিমান সম্পন্ন সন্তান দান করবেন।


    গর্ভাবস্থায়ী কলা, শুকনো ফল, পুদিনা পাতা, সবুজ শাক-সবজি এবং আয়রন জনিত ফলিক এসিড আছে এমন জাতীয় খাবার যদি গর্ভাবস্থায় খেয়ে থাকে তাহলে শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই গর্ব অবস্থায় গর্বের সন্তান বুদ্ধিমান হওয়ার জন্য শুকনো কলা এবং শাক-সবজি খেতে হবে। এতে করে গল্পের সন্তান বুদ্ধিমান হওয়ার জন্য বড় ভূমিকা পালন করবে।


    গর্ভের সন্তান বুদ্ধিমান করতে প্রোটিন যুক্ত খাবার

    গর্ভাবস্থায় যদি প্রোটিনযুক্ত খাবার গুলো নিয়মিত খাওয়া হয় যেমন ডিম, মাংস, ডাল, সিড, সামুদ্রিক মাছ সহ আরো অনেক প্রোটিনযুক্ত খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে গর্ভাবস্থায় শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে সহায়তা করে। মাছের মধ্যে অনেক প্রজাতি রয়েছে যেগুলো খেলে শরীরের জন্য এবং শিশুর বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গর্ভাবস্থায় দুইবারের বেশি মাছ খায় তাদের সন্তানের বুদ্ধিমান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।


    ডিমে এমিনো এসিড এবং কোলিন সমৃদ্ধ। তাই মস্তিষ্কের গঠন এবং মস্তিষ্ক স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য ডিম বড় ভূমিকা পালন করে। গর্ভাবস্থায় নারীরা যদি প্রত্যেকদিন দুটো করে ডিম খায় তাহলে তার গর্ভের সন্তান বুদ্ধিমান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং ডিমে থাকা কঠিন এবং আয়রন জন্মের সময় ওজন বাড়িয়ে দিয়ে থাকে। তা চেষ্টা করবেন গর্ব অবস্থায় নিয়মিত ডিম খাওয়ার।


    মিলন করার কতদিন পর পেটে বাচ্চা আসে দেখুন


    গর্ব অবস্থায় সবুজ শাকসবজি

    গর্ভাবস্থায়ী শাক সবজির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায়ী পালং শাকের মতো পাতাবহুল অনেক শাক রয়েছে এই সবগুলোতে ফলিক এসিড রয়েছে। আর এই সবগুলো যদি নিয়মিত গর্ব অবস্থায় খাওয়া হয় তাহলে ভিটামিন বি এর অভাব পূরণ হয়। এতে করে বাচ্চার সুস্থ ভাব এবং মস্তিষ্ক বিকাশে সহায়তা করে যেই বাচ্চা যত সুস্থ থাকবে সেই বাচ্চার মস্তিষ্ক এবং বুদ্ধিমান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।


    তাই গর্ব অবস্থায় এই সমস্ত খাবার গুলো নিয়মিত খেতে হবে এতে করে বাচ্চা বুদ্ধিমান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে তাই চেষ্টা করুন গর্ব অবস্থায় বেশি করে শাক-সবজি খাওয়ার এবং কঠিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার। এতে করে বাচ্চা বুদ্ধিমান হবে এবং বাচ্চা সুস্থ থাকবে এবং বাচ্চা জন্ম নেওয়ার সময় ওজন বৃদ্ধি পাবে।


    গর্ভ অবস্থায় আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার 

    গর্ভের সন্তান বুদ্ধিমান করার জন্য অবশ্যই আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য প্রতিনিয়ত খাবারের তালিকায় আয়োডিন সমৃদ্ধ লবণ রাখতে হবে সেই সাথে সামুদ্রিক মাছ এবং ডিম, কলিজা, চিংড়ি, ভুট্টা সহ আরো অনেক আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার আছে যেগুলো খাবার তালিকায় রাখতে হবে। এতে করে গর্বের সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং ঘরের বাচ্চা একেবারে সুস্থ থাকে।


    এতে করে গর্ব অবস্থায় নারীর শরীরে নানা রকম সমস্যা থাকলেও সেটা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তাই গর্ব অবস্থায় সম্পৃক্ত খাবার গুলো বেশি মাত্রায় খাওয়ার চেষ্টা করবেন এতে করে নিজের জন্য এবং বাচ্চার জন্য বড় ভূমিকা পালন করবে।


    গর্ভাবস্থায় কপার ও জিনসমৃদ্ধ খাবার

    গর্ব অবস্থায় কপার এবং সমৃদ্ধ খাবার যেমন কাজুবাদাম, মটরশুটি, বিট, ছোলা গরুর মাংস সহ আরো অনেক ধরনের খাবার রয়েছে এই খাবারগুলো মস্তিষ্কের কোষ গঠন করতে সাহায্য করে এবং বাচ্চার সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাই চেষ্টা করুন কপার এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবারগুলো বেশি মাত্রায় খাওয়ার।


    গর্ভাবস্থায় ভিটামিনযুক্ত খাবার খান

    গরুর মাংস এবং কলিজা এই জাতীয় খাবার গুলোতে ভিটামিন ডি থাকে। গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশ সঠিকভাবে হতে পারে না তাই এই জাতীয় খাবার গুলো বেশি মাত্রায় খেতে হবে যেমন গরুর মাংস, পনির, গর্ভাবস্থায় কোন নারী যদি ভিটামিন ডিযুক্ত খাবার খাওয়ার পাশাপাশি সূর্যের আলো নিয়মিত সময় দেয় তাহলে তার গর্ভের সন্তান বুদ্ধিমান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এবং সেই সাথে অবশ্যই খাদ্য তালিকায় দুধ এবং দই রাখার চেষ্টা করুন এতে করে গর্বের সন্তানের মেধাবিকাশ হতে সাহায্য করবে।


    গর্ভাবস্থায় এন্টিঅক্সিডেন্ট সম্পৃক্ত খাবার

    সবুজ শাকসবজি বিশেষ করে পালং শাক এবং বাঁধাকপি, ব্রকলি, সহ গাজর, টমেটো এবং অন্যান্য আরো খাবার রয়েছে। এই খাবারগুলো তে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা মস্তিষ্কের কার্যক্রম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই গর্ভ অবস্থায় বাচ্চার মেধা এবং বুদ্ধিমান হওয়ার জন্য এই খাবারগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই কেউ যদি গর্বের সন্তান বুদ্ধিমান করার জন্য এই খাবারগুলো খাওয়ার চেষ্টা করে তাহলে সে লাভবান হবে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে থাকে।


    গর্ভাবস্থায় আয়রন এবং ফলিক এসিড

    কলা, শুকনো ফল, সবুজ শাকসবজি এবং ফলের বিচি, এগুলোতে ফলিক এসিড রয়েছে। এ সমৃদ্ধ খাবারগুলো গর্ভাবস্থায় যদি খেয়ে থাকে তাহলে শিশুর মস্তিষ্কে বিকাশে বড় ভূমিকা পালন করে। তাই গর্ভ অবস্থায় এই সমৃদ্ধ খাবারগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন এতে করে শিশু বুদ্ধিমান হওয়ার জন্য বড় ভূমিকা পালন করবে। গর্ব অবস্থায় গর্ভধারণের সময় থেকেই ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার খেলে সন্তানের জন্মগত ত্রুটি থাকলে তার সমস্যা সমাধান হয়।


    গর্ভাবস্থায়ী বাচ্চার 25% ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট হয়ে থাকে। এ অবস্থায় গর্ভবতী মহিলাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট তালিকা মেনে খাবার প্রস্তুত করে খাবার গ্রহণ করতে হবে এতে করে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে বাচ্চাদের মেধা শক্তি বা বুদ্ধিমান হওয়ার জন্য একটি বড় ভূমিকা পালন করবে।


    খাদক পরিবর্তনের কারণে অনেক অভিভাবক তার বাচ্চাদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যাই থাকে তাই 25 ভাগ ব্রেইন ডেভলপ করার জন্য এ সমৃদ্ধ খাবার গুলো বেশি মাত্রই খাওয়ার চেষ্টা করুন। উপরে আমরা পর্যায়ক্রমে কয়েকটি খাবার নিয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি এতে করে বাচ্চার আইকিউ লেভেল বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


    জন্মের পর শিশু যখন মায়ের দুধ খায় তখন প্রতিশ্রুতির খাদ্যের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং এই মস্তিষ্কে 75 ভাগ করার জন্য অবশ্যই সপ্তাহে দুই-তিন দিন আয়োডিনযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন এতে করে সামুদ্রিক মাছ এবং ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার। তাহলে বাচ্চার আইকিউ তীক্ষ্ণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং জন্মের ছয় মাস পরে বাচ্চার দুধ তৈরির খাবার সুজি সেমাই এগুলো মিশিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন এতে করে মেধা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।


    গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে


    ডিমের কুসুম আউন্স পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন কুসুম খেলে বাচ্চার এক থেকে দেড় ঘন্টা খিদে পাবে না সাত আট ঘন্টা মাস ডিমের সাদা অংশ খাওয়াবেন এতে করে এলবুমিন থাকে বাচ্চার শরীরকে সুস্থ রাখে এবং মেধা বাড়াতে সাহায্য করে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বা মাছ এ থাকে  মাছ ভেজে ভুনা করে যদি খাওয়ানো যায় তাহলে বাচ্চার মেধা শক্তিতে বড় ভূমিকা পালন করে।


    এটাই উপরোক্ত এই সমৃদ্ধ খাবার গুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন এতে করে বাচ্চার বুদ্ধিমান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। প্রেগনেন্সিতে অতিরিক্ত ওজন না বাড়িয়ে নিয়মিত ভালো খাবার গুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং অভিজ্ঞ ডায়োটিশিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করার চেষ্টা করুন। সন্তান যেন বুদ্ধিমান হয় এবং মেধাবী হয় এ প্রত্যাশা সবারই থাকে। এ কারণে গর্ভবতী নারী এবং শিশুর কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত।


    সন্তান সবাই বা প্রত্যেক মা চেয়ে থাকে তাই গর্ব অবস্থায় শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশ সঠিকভাবে হওয়ার জন্য এই খাবারগুলো অত্যন্ত জরুরি তাই পর্যায়ক্রমে দেওয়া আমাদের এই খাবারগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং গর্ভের সন্তানকে বুদ্ধিমান হওয়ার জন্য চেষ্টা করুন ধন্যবাদ।


    ছেলে বাচ্চা নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি 

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন