পরকিয়া মহিলাদের চেনার উপায় | পরকীয়া মেয়ে চেনার লক্ষণ

    পরকিয়া মহিলাদের চেনার উপায়


    আজকে আমার কথা বলব পরকিয়া মহিলাদের চেনার উপায় নিয়ে কিভাবে আপনারা চিনবেন পরকিয়া মহিলাদেরকে। আমাদের আশেপাশে অনেক পরকিয়া মহিলা পাওয়া যায় তবে সব মহিলাই কিন্তু একরকম না আপনাদেরকে চিনতে হবে আসলে কারা পরকিয়া করে এটা জানা অবশ্যই জরুরী তা না হলে এই পাক কাজ হতে নিজেকে ঠিক রাখতে পারবেন না।


    বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশেই কিন্তু এই পরকিয়া নামক কাজটি চলে থাকে তবে অনেকেই জানে না কারা এ কাজ গ্রহণ করে থাকে সাধারণত মহিলার দ্বারাই পরকিয়া বেশি হয়ে থাকে। তবে সব মহিলাই কিন্তু পরকিয়া লিপ্ত থাকে তা কিন্তু না। শুধুমাত্র মহিলারাই যে পরকিয়া লিপ্ত থাকে তা কিন্তু না একজন পুরুষও কিন্তু পরকিয়া লিপ্ত থাকতে পারে।


    পরকিয়া মহিলারা কেমন আচরণ করে এবং তাদেরকে চেনার উপায় কি এ নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আজকে আমরা এই কন্টেন্টের মধ্যে তুলে ধরেছি। পরকিয়া কতটা ভয়ানক হতে পারে এবং কি কি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে তা সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে আজকে আমরা এখানে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরব।


    পরকিয়া কি

    প্রথমে জেনে নেওয়া যাক পরকিয়া কি?

    পরকিয়া হলো কোন ব্যক্তির স্ত্রী যদি অন্য কোন পর পুরুষ অথবা পরিচিত কোন ব্যক্তিদের সাথে গোপনে মেলামেশা করে অথবা কোন পুরুষ যদি অন্য কোন অপর পরিচিত মহিলা বা পরিচিত কোন স্ত্রী মহিলার সাথে দৈহিক মেলামেশা করে তাকে মূলত পরকিয়া বলা হয়।


    পরকিয়া শুধুমাত্র অপর পরিচিত ব্যক্তিদের সাথেই মেলামেশা করাকেই বা দৈহিক মেলামেশা করা কি বুঝানো হয় না এটি পরিচিত ব্যক্তিদের মধ্যেও হতে পারে অথবা পাড়া মহল্লা বা দূরবর্তী কোনো ব্যক্তির সাথেও এই পরকিয়া লিপ্ত হতে পারে।


    পরকিয়া মূলত ছেলেমেয়ে উভয় ব্যক্তি লিপ্ত হতে পারে এই পরকিয়া কাজে। সেলে ব্যক্তি হয়ে যদি অন্য কোন অপরিচিত বা পরিচিত মেয়ের সাথে দৈহিক মেলামেশায় লিপ্ত হয় তাহলে তাকেই মূলত পরকিয়া বলা হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রেও একই রকম ভাবে হয়ে থাকে।


    আপনি কি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান


    পরকিয়া মূলত প্রেমের মাধ্যমেই হয়ে থাকে প্রথম অবস্থায় হালকাভাবে কথা বলা এবং এরপরে তার সাথে শারীরিক বা দৈহিক কাজে লিপ্ত হওয়া এটা মূলত স্ত্রী অথবা স্বামী ব্যক্তির মাধ্যমেও হতে পারে এ ক্ষেত্রে এটি একটি জঘন্যতম পাপ কাজ। এটির কারণে সমাজে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে এমনকি সংসার সহ অনেকের জীবন নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


    পরকিয়া কারা বেশি করে

    পরকিয়া মূলত মহিলারা বেশি করে থাকে এক মহিলা একাধিক পুরুষের সাথে পরকিয়া কাজে লিপ্ত থাকে। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সবথেকে মহিলারা বেশি পরকিয়া লিপ্ত থাকে। কাজে কর্মে উঠাবসা ব্যক্তিদের সাথে অথবা ঘনিষ্ঠ কোন বন্ধুর সাথে পরকিয়া লিপ্ত থাকে মহিলারা।


    শুধুমাত্র মহিলারা যে পরকিয়া লিপ্ত থাকে তা কিন্তু না এক্ষেত্রে পুরুষরাও কিন্তু সমান ভাবে মহিলাদের সাথে পরকায় লিপ্ত থাকে এই ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ কোন মহিলার সাথে অথবা নিজের স্ত্রী অন্য কোন ব্যক্তির সাথেও কিন্তু পরকিয়া তে লিপ্ত থাকে। বাংলাদেশ ইন্ডিয়া সহ এই রাষ্ট্রগুলোতে মূলত স্বামী পুরুষ উভয় ব্যক্তিদের সাথে কিন্তু পরকিয়া  লিপ্ত থাকে।


    অনেক ফ্যামিলিতে দেখা যায় যে একজন স্বামী আরেকটা অপর কোন মহিলার সাথে পরকীয়া লিপ্ত থাকে আবার তার স্ত্রী অন্য কোন ছেলের সঙ্গে ও কিন্তু পরকিয়াতে লিপ্ত থাকে এক্ষেত্রে বয়সে ছোট অথবা বয়সে অধিক বড় ব্যক্তিদের সাথেও কিন্তু পরকিয়া করে থাকে। তাই বিশেষ গবেষণাতে দেখা গিয়েছে যে শুধুমাত্র মহিলারাই বেশি মাত্র পরকিয়াতে বেশি লিপ্ত থাকে।


    পরকিয়া কাদের সাথে করে

    পরকিয়া স্পেসিফিক কাদের সাথে করে সেটা বলা কঠিন তবে যে সমস্ত পুরুষ অথবা মহিলা গন অপর কোন পুরুষের সাথে দৈহিক মেলামেশায় লিপ্ত হয় সেটাকে মূলত পরকিয়া বলা হয় এটা মূলত ফ্যামিলির অন্যান্য সদস্য সাহিত্য হতে পারে অথবা বাহিরের অন্যান্য কোন সদস্য সঙ্গেও হতে পারে। এটা শুধুমাত্র নিজেদের গণ্ডির মধ্যেই হবে তা কিন্তু না।


    বর্তমান সমাজে বাহির পুরুষের সাথে পরকিয়া বেশি লিপ্ত হওয়া দেখা যাচ্ছে। এমনকি কাজে-কর্মের ওঠা বসার ক্ষেত্রে যে সমস্ত মানুষের সাথে দেখা হয় তাদের সঙ্গেও এমন কাহিনী হয়ে থাকে। পরকিয়া  মূলত অফিসকর্মী অথবা অফিস সহকারী বিভিন্ন পদের বিভিন্ন মানুষের সাথে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যখন একটা মানুষের সাথে বেশি ঘনিষ্ট ভাবে ওঠা বসা করা শুরু করে অথবা এরকম মেন্টালি নিয়ে যারা ঘোরাফেরা করে তাদের সঙ্গে এই সমস্ত কার্যকলাপ বেশি হয়ে থাকে।


    ইসলামী সম্পূর্ণভাবে পরকিয়া করা নিষিদ্ধ এবং এটা একটা কবিরা গুনাহ যেগুলা মাফ করা হয় না। হাদিসে বলা হয়েছে যারা বিবাহিত ব্যক্তি রয়েছে তারা পরকে লিপ্ত হলে তাদেরকে পাথর নিক্ষেপ করে মেরে ফেলতে হবে।


    পরকিয়া যেকোনো ধরনের মহিলারাই করতে পারে এটা ধরা কঠিন যারা এই কাজগুলো করে তারা গোপনতার সাথে করে থাকে। এটা উচ্চ মহল থেকে নিম্ন মহলের পরিবারেও এই সমস্ত পরকিয়া দেখা যায় এটার কারণে অনেক বড় মানুষের সংসার অথবা অনেক ভালো জ্ঞানীগুণী মানুষের সংসার কিন্তু শেষ হয়ে গিয়েছে।


    বাংলাদেশে কোন কোম্পানির ফ্রিজ ভালো জেনে নিন


    পরকিয়া ফ্যামিলির অন্যান্য সদস্যর সাথেও হতে পারে এক্ষেত্রে যে সমস্ত সদস্যরা আপনার স্ত্রীর সঙ্গে অথবা মহিলার সঙ্গে বেশি ঘোরাফেরা করছে তাকে আসলে পার্সোনালি বিষয়গুলো নজরে রাখতে হবে এবং এক্ষেত্রে যদি তেমন কোন ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দেখেন তাহলে তাদেরকে অবশ্যই সাবধান করতে হবে।


    অনেক মহিলা আছে যাদের বাচ্চাকাচ্চা থাকা সত্ত্বেও তারা কিনা পরকিয়া লিপ্ত হয় এক্ষেত্রে পরবর্তীতে তার স্বামী তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেয় অথবা সে নিজেই ডিভোর্স নিয়ে নেই এক্ষেত্রে মাঝখানে বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় তাই অবশ্যই পরকিয়া এর মত পাপ কাজ হতে নিজেকে সংযত রাখা এবং সর্বদা এই সমস্ত ঘনিষ্ঠ ভাবে ওঠাবসা থেকে দূরে থাকা।


    পরকিয়া কিভাবে করে

    পরকিয়া মহিলা মূলত পরকিয়া যেভাবে করে থাকে তা হল ঘনিষ্ঠ কোন ব্যক্তির সাথে স্বামী ব্যতীত অন্য কোন মানুষের সাথে দৈহিক মেলামেশা করাকে মূলত পরকিয়া বলা হয় এগুলো মূলত গোপন কোন স্থানে গিয়ে এই কাজগুলো করা হয়। পরকিয়া কাজগুলো মূলত পার্সোনাল কোন জায়গায় গিয়ে অথবা হোটেল নিজস্ব বাসা বাড়ি বা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে করে থাকে।


    এটা মূলত দৈহিক বা শারীরিক তৃপ্তি মেটানোর জন্যই এই কাজগুলো করা হয়। যেকোনো এক পক্ষের হয়েই এই কাজগুলো মূলত করা হয়ে থাকে যখন একজন নারী অন্য একটা পুরুষের মাধ্যমে এই কাজে লিপ্ত হয় তাকে মূলত পরকিয়া বলে এই কাজটি মূলত গোপন কক্ষে অথবা নিজ বাসা বাড়িতে যখন কেউ না থাকে তখন এই কাজগুলো করা হয়ে থাকে অথবা ছেলের বাসা বাড়িতে গিয়েও মূলত এই কাজগুলোতে লিপ্ত হয়।


    পরকিয়া কারা করে

    পরকিয়া মূলত নারী পুরুষ উভয় ব্যক্তি রায় করতে পারে এক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক নারী পুরুষ যখন অপরিচিত কোন ব্যক্তিদের সাথে কোন রকমের বিবাহ বন্ধন ছাড়াই জেনা ব্যভিচার কাজে লিপ্ত হয় তাদেরকেই মূলত পরকিয়া কারী বলা হয়। যারা দৈহিক মেলামেশার জন্য অপর পুরুষ অথবা বন্ধু ফ্রেন্ডের সাথে মেলামেশা করে বা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলে একে অপরের দৈহিক মেলামেশা ঘটায় তারাই মূলত পরকিয়া করে।


    বর্তমান সময়ে নারীরাই বেশি পরিমাণে পরকিয়া লিপ্ত আছে বলে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে। এক নারী একাধিক জায়গায় লিপ্ত থাকে আবার অনেক পুরুষ আছে যারা কিনা একাধিক জায়গায়ও কিন্তু পরকিয়া লিপ্ত থাকে তাই শুধুমাত্র নারীরা করে তা কিন্তু না পরকিয়া ছেলেরাও বেশি মাত্রায় করে থাকে কারণ একজন নারী পরকিয়া করতে হলে অবশ্যই একজন ছেলেকে লাগবে। এইভাবে মূলত ছেলে মেয়ে উভয় পরকিয়া করে থাকে।


    পরকীয়া করার সহজ উপায়

    পরকিয়া করার কোন সহজ উপায় নেই এবং এই কাজটি করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকাই উচিত এটার জন্য কাউকে এশার আঙ্গিন দেও কিন্তু একটা পাপ। পরকিয়া করা সহজ উপায় বলতে কিছুই নেই এক্ষেত্রে এই কাজগুলো যারা করে থাকে তার একটা চরিত্রহীন পুরুষ অথবা চরিত্রহীন মহিলা। তাদের চরিত্রে সমস্যা আছে বলেই তারা পরকিয়া  কাজের জন্য সহজ উপায় খুঁজে থাকে।


    তাই পরকিয়া করার জন্য সহজ উপায় না খুঁজে আল্লাহর পথে আসুন এবং নিজেকে সংযত রাখুন এ সমস্ত পাপ কাজ হতে বিরত থাকার জন্য। এবং চেষ্টা করুন ধর্মীয় অনুভূতিগুলো মেনে চলার এবং প্রাপ্তবয়স্ক হলে অবশ্যই বিবাহতে আবদ্ধ হওয়া এতে করে পরকিয়া মত কঠিন পাপ হতে নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন এবং আল্লাহর পথে জীবন বিলিয়ে দিতে পারবেন।


    ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার 10 টি উপায়


    পরকীয়া মূলত যারা করে থাকে নারী পুরুষ উভয় ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে কিন্তু তারা প্রেমের আলাপ দিয়ে শুরু করে অথবা ঘনিষ্ঠভাবে ওঠা ভাষা শুরু করে এই ভাবেই তারা মূলত পরকীয়া এর মত সহজ কাজে তারা লিপ্ত হয় আর এটাই বলতো সহজ উপায় যখন আপনি কোন ব্যক্তির সাথে পরকীয়াতে লিপ্ত হতে যাবেন তখন তার সাথে বেশি মাত্র উঠাবসা অথবা ঘোরাফেরা করা এই ভাবেই মূলত পরকীয়ার মত সহজ কাজে তারা লিপ্ত হয়ে যায় এবং এটি একটি কঠিন পাপ এবং পরবর্তীতে সংসার ভেঙ্গে যেতে পারে এমনকি কঠিন বিপদের মধ্যেও তারা পড়তে পারে।


    পরকিয়া করা কতটা ক্ষতি

    পরকিয়া করা যেকোনো ধর্মেই এটা একটি হারাম কাজ। এটার জন্য ইহকাল এবং পরকাল দুই গালি সে লাঞ্ছিত এবং পাপের মধ্যে নিমজ্জিত থাকে। পুরুষ মহিলা যে কোন ব্যক্তি পরকিয়া লিপ্ত থাকলে তার পাপ দ্বিগুণ হারে বাড়তে থাকে এটা একটি কাবিরা গুনাহ হিসেবে ইসলামে বিভিন্ন হাদিস-কুরানে তুলে ধরা হয়েছে। যারা পরকিয়া লিপ্ত থাকে তাদের মূলত সংসার টিকে না।


    সংসারী ব্যক্তিদের যখন পরকিয়া লিপ্ত থাকে তখন তাদের ডিভোর্স হয়ে যায় এমনকি তাদের বাচ্চাকাচ্চা থাকলেও তারা কঠিন সিদ্ধান্তর মধ্যে পড়ে যাই এমনকি এক সময় আছে যারা কিনা ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার কারণে তাদের বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে আলাদা থাকতে হয় অথবা তাদের নতুনভাবে আবার সংসার করতে হয়। পরকিয়া মত বড় কাজগুলো মূলত নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে।


    পরকিয়া মূলত নিজের মেন্টালিটির উপর নির্ভর করে যখন কেউ কোন ধরনের বাধা বা কোন বিষয়গুলো আপত্তি না করেই এই সমস্ত কাজে লিপিবদ্ধ হয় তাদেরকেই মূলত পরকিয়া কারী বলা হয়ে থাকে পরকিয়া মহিলা এবং ছেলে উভয় ব্যক্তির মাধ্যমে হবে এবং তাদের কঠিন সময়ের মধ্যে পড়তেই হবে একদিন। ইসলামে এবং বিভিন্ন ধর্মে এ বিষয়ে কঠিনভাবে নিষিদ্ধ করা আছে এমনকি ইসলামে বলা হয়েছে পরকিয়া কারীদেরকে মেরে ফেলতে হবে।


    ইসলাম এমন ভাবে বলা হয়েছে বিয়ের পরে কোন ব্যক্তি যদি পরকিয়া লিপ্ত হয় তাহলে তাকে পাথর নিক্ষেপ করে মেরে ফেলতে হবে এমনকি বিভিন্ন হাদিসেও তুলে ধরা হয়েছে পরকিয়া নারীকে পাথর নিক্ষেপ করে মেরে ফেলা হয়েছে। রাসুল সাঃ পরকী এক নারীকে পাথর নিক্ষেপ করে মেরে ফেলেছিল এবং তার বাচ্চা যতদিন না দুধ পান করত ততদিন তাকে জীবিত রাখা হয়েছিল তারপরে তাকে পাথর নিক্ষেপ করে মেরে ফেলা হয়েছিল তাহলে বুঝুন পরকিয়া কতটা ভয়ানক একটি ব্যাপার।

    পরকিয়া করলে কি হয়

    পরকিয়া করলে সংসার নষ্ট হয়ে যাই ভালো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অথবা স্বামী-স্ত্রীর সাথে ভালো বোঝাপড়ার একটি সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পরকিয়া মূলত সেলে করে থাকলে ছেলের সংসার ধ্বংস হয়ে যেতে পারে এমনকি ওই মহিলা সেই সংসার ছেড়ে চলে যেতে পারে। পুরুষদের মাধ্যমে যদি পরকীয়া ঘটে থাকে তাহলে ডিভোর্সের মাধ্যমে ফয়সালা হয় অথবা মেয়েদের মাধ্যমে যদি পরকিয়া হয়ে থাকে তাহলেও কিন্তু ডিভোর্সের মাধ্যমে ফয়সালা হয়ে থাকে।


    পরকিয়া যারা লিপ্ত থাকে তারা মূলত সংসারে অশান্তি নিয়ে তারা বসবাস করে এমনকি সংসারে তারা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা চলতেই থাকে। পরকিয়া করলে সমাজে তারা লঞ্চিত বা লজ্জিত হয়। এমনকি নিজের ফ্যামিলি এবং পরিবেশের উপরেও কিন্তু লজ্জার শিকার হতে হয়। পরকীয়া সমাজ একটি জঘন্যতম পাপ কাজ এবং জঘন্যতম লজ্জিত একটি কাজ  যে কোন মানুষের মাধ্যমেই ঘটতে পারে।


    পরকিয়া করলে কতটা পাপ হয়

    পরকিয়া জঘন্যতম একটি পাপ কাজ এটি একটি কবিরা গুনাহ। হাদিসে বলা হয়েছে বিবাহ ব্যক্তিরা যদি পরকিয়ায় লিপ্ত থাকে তাহলে তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে সেটা উভয়ই ব্যক্তিদের জন্যই। অবিবাহিত ব্যক্তিরা যদি পরকায় লিপ্ত থাকে তাহলে তাদের 100 বেত্রাঘাত করে বাসা থেকে বের করে দিতে হবে। 


    ইসলামে এবং বিভিন্ন ধর্মে পরকীয়া সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ একটি কাজ। তাই এই সমস্ত পরকীয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে এবং আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা চাইতে হবে এবং ধর্মীয় প্রথাগুলো মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে। যারা যারা এ সমস্ত পরকিয়া কাজের জন্য প্রপোজাল করে অথবা এসব বিষয়গুলো নিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাদেরকে ভালোমতো নিষেধ করে দিতে হবে এবং তাদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে তাহলে তারা পরকীয়া কাজের মত কোন ধরনের যোগাযোগ করবে না।


    এগুলো যতক্ষণ না কঠিন ভাবে নিষেধ করা হয় ততক্ষণ পর্যন্ত কিন্তু এই কাজের জন্য প্রপোজাল আসতেই থাকে তাই অবশ্যই এই কাজগুলো থেকে বিরত থাকার জন্য তাদেরকে কঠিনভাবে নিষেধ করুন এবং আইনের সহায়তা নিয়েন। ছেলেমেয়ে উভয়দের ক্ষেত্রেই এ বিষয়গুলো অবশ্যই সজাগ থাকতে হয়। যখন একজন ব্যক্তি পরকায় লিপ্ত হয়ে যায় তখন কিন্তু তার মান সম্মান ইজ্জত বলে কিছু থাকে না তখন তারা যে কোন মুহূর্তে কিন্তু এসব কাজের মধ্যে নিয়োজিত হতে পারে। তাই অবশ্যই চেষ্টা করুন সমস্ত কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা এবং অপরকেও বিরত রাখা এবং সর্বদা ধর্মীয় অনুভূতি মেনে চলুন।


    ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার 10 টি উপায়

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন