আমেরিকার মাল্টিপল ভিসা তাকে বলা হয় যে ভিসার মাধ্যমে একাধিকবার আমেরিকাতে প্রবেশ করা যায়। নির্দিষ্ট একটা মেয়াদের আমেরিকা মাল্টিপল ভিসা তৈরি করার পরে ওই মেয়াদের মধ্যে আপনি যতবার ইচ্ছা ততবার আমেরিকাতে প্রবেশ করতে পারবেন। আমেরিকার ৫বছরের মাল্টিপল ভিসা পাওয়া যায় এক্ষেত্রে খুশি হবেন যে পাঁচ বছর ছাড়াও আপনারা চাইলে নির্দিষ্ট একটি মেয়াদের পর্যন্ত আমেরিকা মাল্টিপল ভিসা পাবেন।
আমেরিকার পাঁচ বছরের মাল্টিপুল ভিসা নেওয়ার জন্য প্রায় ২০০ ডলারের মত খরচ হবে। তবে ২০০ ডলার খরচ তখনই করতে হবে যখন আপনি ভিসা অ্যাপ্রভাল পেয়ে যাবেন। মূলত আমেরিকার যে কোন ভিসা নিতে হলে আপনাকে আমেরিকার নিয়ম নীতি অনুযায়ী নিতে হবে এক্ষেত্রে আপনাকে সেই নিয়ম অনুযায়ী যদি আবেদন করেন মাল্টিপল ভিসার জন্য যদি পেয়ে যান তাহলেই আপনাকে ২০০ ডলার খরচ করতে হবে।
আমেরিকার মাল্টিপুল ভিসা কি?
মূলত আমেরিকাতে একাধিকবার প্রবেশ করার জন্য মাল্টিপল ভিসার প্রয়োজন পড়ে। এ ক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছামত পাঁচ বছর মেয়াদের অথবা দুই বছর চার বছর মেয়াদ এর ভিসা তৈরি করতে পারবেন। ভিসার মিয়ার যতদিন থাকবে ততদিনের মধ্যে অনেকবার আমেরিকাতে প্রবেশ করার সুযোগ থাকবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিবার আমেরিকাতে প্রবেশ করার পরে আপনার লিমিট কাউন্ট করা হবে। আপনি কতবার প্রবেশ করেছেন সেই অনুযায়ী আপনার পাসপোর্টে লিপিবদ্ধ করা হবে।
তাই আমেরিকার মাল্টিপুল ভিসা নেওয়ার জন্য অনেকেই অনেক ভাবে চেষ্টা করে থাকে আজকে আমরা সমস্ত প্রসেস গুলো নিয়ে আপনাদেরকে জানাবো যে আমেরিকার মাল্টিপুল ভিসা তে কি কি সুবিধা থাকে এবং আমেরিকার মাল্টিপল ভিসা কিভাবে করতে হয় এবং আমেরিকার মাল্টিপল ভিসা খরচ কত এবং দাম কত তা সকল বিষয়গুলো জানতে পারবেন।
রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি?
৫ বছরের আমেরিকার মাল্টিপল ভিসার দাম কত
আপনি যদি পাঁচ বছর মেয়াদের আমেরিকার মাল্টিপল ভিসা কিনতে চান তাহলে খরচ পড়বে প্রায় 200 ডলার এক্ষেত্রে বিমান ভাড়া বাদ দিয়ে। তাছাড়া সেখানে থাকা খাওয়ার জন্য অথবা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিতে হলে খরচ কিন্তু আরো বেশি পড়বে। শুধুমাত্র ভিসা আবেদন করার পরে ভিসা প্রবাল পেয়ে গেলেই আপনাকে ২০০ ডলার খরচ করে আমেরিকার মাল্টিপল ভিসা নিতে হবে।
এছাড়া আরো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং অন্যান্য বিষয়গুলো অ্যাপ হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ কিছু ফ্রি প্রদান করতে হয়। তবে এক্ষেত্রে আপনি যদি ভালো কোন এজেন্সি ধরেন দেশ থেকে অথবা দেশের বাহির থেকে তাহলে কিন্তু তারাই সকল প্রসেস গুলো সম্পন্ন করে দেয়। এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনেও কাগজপত্র তাদের হাতে দেওয়ার পরে তারা আপনার সমস্ত প্রসেস গুলো সম্পন্ন করে দিবে।
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে
মনে রাখবেন এই কাজের জন্য অগ্রিমভাবে কখনোই সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করবেন না। আমেরিকা মাল্টিপল ভিসা হাতে পাওয়ার পরে আপনাকে সমস্ত বিল পরিশোধ করতে হবে তার আগে কখনোই বিল পরিশোধ করবেন না তা না হলে কিন্তু প্রতারণার শিকার হতে পারেন।
আমেরিকান মাল্টিপল ভিসার সুযোগ সুবিধা
আমেরিকাতে মাল্টিপল ভিসা নিলে আপনি অনেকবার যাওয়ার সুযোগ পাবেন এক্ষেত্রে যাদের বারবার আমেরিকাতে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে তারা চাইলে আমেরিকা মাল্টিপল ভিসা করতে পারে এক্ষেত্রে বারবার তেমন কোন সমস্যা হবে না যাতায়াতের জন্য। একাধিকবার যাওয়ার জন্য কিন্তু একাধিকবার ভিসার ব্যবস্থা করতে হয় এই ক্ষেত্রে কিন্তু অনেক ঝামেলা হয় আবার বারবার ভিসা করার ক্ষেত্রে কিন্তু ভিসার আবেদন করলেও ভিসা পাওয়া যায় না।
তাদের জন্য সবথেকে ভালো উপায় হলো আমেরিকার মাল্টি ভিসা এটি আমেরিকান সরকার এই সুযোগটি করে দিয়েছে কারণ যাদের বারবার আমেরিকাতে যাওয়ার প্রয়োজন হয় বিভিন্ন কাজের জন্য অথবা বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু আমেরিকা মাল্টিপল ভিসা অনেক সুবিধা বহন করে।
সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি
তবে আপনাদের জেনে রাখা উচিত যে আমেরিকান মাল্টিপল ভিসা কিন্তু সবাইয়ের কাছেই সব রকম ভাবে তারা প্রদান করে না এক্ষেত্রে আপনার ভেরিফিকেশন সহ আরো অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ের দ্বারা নজরদারি করে সেই ভাবে যদি আপনি সবকিছুতেই ঠিকঠাক ভাবে দেখাতে পারেন তাহলে কিন্তু আমেরিকান মাল্টিপুল ভিসা পাবেন।
আজকে আমরা কথা বলেছি আমেরিকার মাল্টিপল ভিসা এবং এখানে মাল্টিপুল ভিসা কত বছরের পাওয়া যায় এবং পাঁচ বছর মেয়াদের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছি তাছাড়া আপনারা কত বছরের পর্যন্ত আমেরিকান মাল্টিপল ভিসা পাবেন তা বিস্তারিতভাবে এখানে দেখে নিন।
আমেরিকার মাল্টিপল ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় আবেদন ফরম
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড)
- পূর্বে কথাও অপমান করেছেন তার প্রমাণ
- আমেরিকান হতে আমন্ত্রণপত্র
- পূর্বে আমেরিকাতে কোন ভ্রমণ থাকলে তার প্রমাণ
- লাস্ট তিন মাসের মধ্যে মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- আমেরিকান দূতাবাস হতে সকল কাগজপত্র সত্যায়িত
এ সকল কাগজপত্র গুলো নিয়ে আমেরিকান দূতাবাসে গিয়ে জমা দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় যে সমস্ত সত্যায়িত করা লাগবে সেগুলো অবশ্যই সত্যায়িত করে তারপরে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে যদি শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র এবং অন্যান্য বিষয় চাওয়া হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সেগুলো দেখানো লাগবে। মেডিকেল রিপোর্টের ক্ষেত্রে অবশ্যই লাস্ট তিন মাসের মধ্যে হতে হবে।
বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যদি কোন ধরনের ভুল ত্রুটি থেকে থাকে তাহলে তা অগ্রিমভাবে সংশোধন করে নিতে হবে কেননা সেখানে যদি ভুল পাওয়া যায় তাহলে কিন্তু অনেক সময় ভিসা বাতিল হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে তাই অবশ্যই চেষ্টা করুন কোন ধরনের ভুল ত্রুটি ছাড়াই ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো জমা দেওয়া।
আমেরিকা মাল্টিপল ভিসা কয় ধরনের
আমেরিকান মাল্টিপল ভিসা মূলত কয়েকটি ক্যাটাগরিতে কয়েক বছর মেয়াদী পর্যন্ত আপনারা তৈরি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে রয়েছে দুই বছর, তিন বছর, চার বছর, পাঁচ বছর মেয়াদী পর্যন্ত এর থেকে বেশি মেয়াদের প্রয়োজন হয় তাহলে আপনারা এজেন্সের সঙ্গে অথবা দূতাবাসের ভিসার মেয়াদ উল্লেখ করে আপনারা ভিসা তৈরি করে নিতে পারবেন তবে নিয়মের বাহিরে কিন্তু এই কাজ করা যায় না তাই পরবর্তীতে আবার পুনরায় অন্যান্য ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়।
প্রথমবার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে পরের বারে আপনি চাইলেও কিন্তু আমেরিকান মাল্টিপল ভিসা তৈরি করে নিতে পারবেন। তবে যদি আপনি প্রথমবারে যাওয়ার পরে কোন ধরনের অবৈধ কাজে লিপ্ত হয়ে যান তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে আমেরিকান মাল্টিপল ভিসা পাওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায় তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন কোন ধরনের অবৈধ কাজে লিপ্ত না হওয়া এবং অবৈধভাবে সেখানে অবস্থান না করা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন