বাংলাদেশে অবস্থিত ইন্ডিয়া ভিসা অফিসে গিয়ে আপনি কি ধরনের ভিসা করতেন সেই অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, ৬ মাস মেয়াদী ভ্যালিড পাসপোর্ট এবং ৮০০ টাকা ভিসা ফি প্রদান করে অনলাইনের মাধ্যমে ইন্ডিয়া ভিসা আবেদন করতে পারবেন।
ইন্ডিয়া ভিসা আবেদন করার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে এক্ষেত্রে ভিসা অফিসের পাশেই বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকান থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আপনার আবেদন নিশ্চিত করতে পারবেন। আবেদনের কপি এবং সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো নিয়ে ইন্ডিয়া ভিসা অফিসে জমা দিলেই ইন্ডিয়া ভিসা আবেদন নিশ্চিত করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে অবশ্যই ৮০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র গুলো সম্পূর্ণরূপে বৈধ হতে হবে সেই সাথে কাগজপত্রের কোন ধরনের ভুল ত্রুটি থাকা যাবে না। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি বিভাগীয় পর্যায়ে গুলোতে ইন্ডিয়া ভিসা অফিস রয়েছে এই সমস্ত ভিসা অফিস এর মাধ্যমে খুব সহজেই চিকিৎসা, শিক্ষা, ভ্রমণ এই সকল ধরনের ভিসা করতে পারবেন।
- চিকিৎসা ভিসা
- ভ্রমণ ভিসা
- কাজের ভিসা
- স্টুডেন্ট ভিসা
- বিজনেস ভিসা
এ সকল বিষয়গুলো বাংলাদেশের যেকোন বিভাগীয় পর্যায়ে গুলোতেই করা যায় এক্ষেত্রে অবশ্যই ৮০০ টাকা জমা দিয়ে ভিসা আবেদন করতে হবে এক্ষেত্রে কাজের ভিসা এবং স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে কিন্তু আলাদা আলাদা নিয়ম রয়েছে এবং আলাদা আলাদা রিকোয়ারমেন্ট গুলো রয়েছে সেগুলো অবশ্যই সেই ভাবেই পূরণ করতে হবে এক্ষেত্রে নরমালি কিভাবে ভিসা করবেন এই প্রসেস নিয়ে বিস্তারিতভাবে আজকে আমরা কথা বলছি।
বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন
চিকিৎসা ভিসা
মেডিকেল ভিসা করার জন্য রোগীর প্রেসক্রিপশন এবং জাতীয় পরিচয় পত্র এবং ৮০০ টাকা ফি প্রদান করেই অনলাইনে মাধ্যমে ফরম পূরণ করে ইন্ডিয়া ভিসা অফিসে গিয়ে জমা দিলেই মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদন হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই রোগের মেডিকেল রিপোর্টসহ পাসপোর্ট এবং আরও অন্যান্য বিষয়গুলো থাকা লাগবে এক্ষেত্রে আগে থেকেই এই সমস্ত কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করতে হবে।
ভ্রমণ ভিসা
ভ্রমণ ভিসা করার জন্য পেশাগত প্রমাণ এবং ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, মেডিকেল রিপোর্ট, নিয়ে ইন্ডিয়া ভিসা অফিসে গেলেই ইন্ডিয়া ভিসা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির সহায়তা নিলে সব থেকে ভালো হয় এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি প্যাকেজের মধ্যে ইন্ডিয়া ভ্রমণ ভিসা পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখবেন ভ্রমণ ভিসা করার ক্ষেত্রে কিন্তু পেশাগত প্রমাণ দেখানো লাগে সেই সাথে কতদিন অবস্থান করবেন সেই বিষয়গুলো কনফার্ম করতে হবে।
স্টুডেন্ট ভিসা
প্রথম অবস্থায় আপনি সরকারিভাবে ইন্ডিয়া স্টুডেন্ট ভিসা করবেন নাকি বেসরকারিভাবে করবেন নিশ্চিত হতে হবে। ইন্ডিয়াতে দুই ভাবে পড়াশোনা করার সুযোগ থাকে একটি হচ্ছে সরকারিভাবে আর বেসরকারিভাবে সরকারিভাবে যদি পড়তে চান তাহলে প্রথম অবস্থায় স্কলারশিপের জন্য ইন্ডিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করতে হবে। তারপরে যদি ভিসা পেয়ে যান সেই অনুযায়ী স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে সেখানে পড়তে পারবেন।
স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করার জন্য অবশ্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্যগুলো সংযোজন করতে হবে এক্ষেত্রে যাবতীয় এডুকেশনাল সার্টিফিকেট এবং ইন্ডিয়াতে স্কলার্শিপ এর ইনভার্টেশন লেটার সহ প্রয়োজনের সকল কাগজপত্র গুলো ভিসা অফিসে গিয়ে জমা দিয়ে ভিসা আবেদন নিশ্চিত করতে হবে।
রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি কোথায় জেনে নিন
বিজনেস ভিসা
বিজনেস ভিসা করার জন্য ইন্ডিয়া দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে আবেদন করার ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং ৬ মাস মেয়াদের ভ্যালিড একটি পাসপোর্ট থাকতে হবে। সেই সাথে প্রয়োজনীয় যাবতীয় কাগজপত্র গুলো প্রদান করে দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করলেই আপনারা ইন্ডিয়া বিজনেস ভিসা করতে পারবেন।
ইন্ডিয়া যেকোনো ভিসার জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে দালালের মাধ্যমে এড়িয়ে চলবেন দা অতিরিক্ত মাত্রায় টাকা নিবে এবং সেইসাথে প্রতারণার শিকার হতে পারেন তাই অবশ্যই ইন্ডিয়ার যাবতীয় ভিসা করার জন্য অবশ্যই নিজে সশরীরে গিয়ে আবেদন করলে সব থেকে ভালো হয় এবং খুবই কম খরচেই হয়ে যায়।
বর্তমানে দালাল চক্র রয়েছে যারা কিনা আপনাকে দ্রুত ভিসা দেবে বলে এবং খুবই কম খরচে ইন্ডিয়া ভিসা দেবে বলে অনেক সময় আপনার টাকা হাতিয়ে নিতে পারে তাই অবশ্যই এই সমস্ত কাগজপত্রগুলো এবং আবেদন ফি নিজে গিয়েই করা সবথেকে ভালো তাই অবশ্যই দালালের মাধ্যমে এড়িয়ে চলে নিজেই এই সমস্ত ইন্ডিয়া ভিসার কাজগুলো সম্পন্ন করুন।
বিদেশ যাওয়ার আগে যেগুলো জানা জরুরী
ইন্ডিয়া ভিসা করার নিয়ম
ইন্ডিয়া ভিসা করার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র এবং পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি এবং ৬ মাস মেয়াদে পাসপোর্ট নিয়ে সরাসরি ইন্ডিয়া ভিসা অফিসে যেতে হবে অথবা ইন্ডিয়া দূতাবাসে গিয়ে কি ধরনের ভিসা করতে চাচ্ছেন সেই অনুযায়ী ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে ৮০০ টাকা ফি প্রদান করা লাগে অনলাইনের মাধ্যমে এই ৮০০ টাকা ফ্রি দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে।
ইন্ডিয়ার যে কোন ভিসার জন্য ৮০০ টাকা ফি প্রদান করা লাগে এক্ষেত্রে চিকিৎসা ভিসা নিতে হলে তিন থেকে দশ দিন পরিমাণ সময় লাগবে আর অন্যান্য ভিসা নিতে হলে এক মাস থেকে সর্বোচ্চ তিন মাস পর্যন্ত সময় দেওয়া লাগে। সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে যেকোনো ধরনের ইন্ডিয়ার ভিসা পাওয়া যায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন