লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং যেকোনো ভিসার জন্য https://visa.vrm.lt/ এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদন ফরম এবং প্রয়োজনীয় সকল তথ্যগুলো নিয়ে সরাসরি লিথুনিয়া দূতাবাসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশে লিথুনিয়া দূতাবাস না থাকার কারণে সরাসরি ইন্ডিয়া লিথুনিয়া দূতাবাস থেকে লিথু নেয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র গুলো হয়।
প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র গুলো জমা দেয়ার পরে যদি ভিসা অ্যাপ্রভাল পেয়ে যান তাহলে ইন্ডিয়া দূতাবাসের মাধ্যমে পুনরায় আবার ভাইবা দিতে হবে এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাজের দক্ষতা এবং সকল বিষয়ের উপর একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট একটি কাজের উপর দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে তার একটি সনদ দেখানো লাগবে সেই সাথে আপনি কোন কোম্পানিতে কাজে যাচ্ছেন তার একটি ইনভার্টেশন লেটার দেখালে আপনি লিনিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন।
লিথুনিয়াতে যাওয়ার জন্য অনেক সরকারি এবং বেসরকারি এজেন্সি রয়েছে যারা কিনা ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মধ্যেই লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিয়ে লিথুনিয়াতে পাঠিয়ে থাকে। সরাসরি সরকারি নিবন্ধিত কোন এজেন্সি অথবা সরকারিভাবে যেতে চান তাহলে আগে থেকে আপনাকে লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করে রাখতে হবে কিভাবে আপনারা আবেদন করবেন এবং কত টাকা খরচ হবে তা সকল বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব।
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩
লিথুনিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত একটি কান্ট্রি হওয়ার কারণে সেখানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেকেই অনেকভাবে চেষ্টা করে থাকে তাই আজকে আমরা ২০২৩ সালে লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে করবেন এ বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেছি। লিতুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া আগের তুলনায় অনেকটাই সহজ এক্ষেত্রে শুধুমাত্র আপনার নির্দিষ্ট কাজের উপর দক্ষতা থাকা লাগবে এবং প্রয়োজনীয় কিছু রিকোয়ারমেন্ট লাগবে।
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য শুধুমাত্র আপনার নির্দিষ্ট কাজের উপর দক্ষতা এবং সেই সাথে প্রয়োজনে কিছু কাগজ নিয়ে সরকার নিবন্ধিত মাধ্যমে আপনারা আবেদন করে লিথুনিয়াতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। অন্যান্য দেশের তুলনায় লিথুনিয়াতেও কিন্তু ভালো পরিমাণ বেতন পাওয়া যায় ইউরোপের প্রত্যেকটা দেশেই ভালো বেতন পাওয়া সম্ভব।
রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি?
লিথুনিয়াতে একজন কর্মীর সাধারণ মাসিক বেতন প্রায়ই ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে যদি ভালো মানের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাতে পারেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু আরো ভালো পরিমাণ বেতন পাবেন এক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানি সহ আরো অনেক উপায় রয়েছে যেখানে আপনি মাসিকভাবে প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা অনায়াসে ইনকাম করার সুযোগ করে নিতে পারবেন।
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য প্রথম অবস্থায় লিথুনিয়াতে অবস্থান করছে এমন কোন পরিচিত ব্যক্তি থাকলে তাদের মাধ্যমে ভিসা করে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে যদি তারা না পারে তাহলে আপনাকে অনলাইন থেকে জব খুঁজে সেই অনুযায়ী আবেদন করতে হবে আবেদন করার পরে যদি আপনি আর ওই কোম্পানিতে যেতে পারেন তাহলে সেখান থেকে আপনাকে ভিসা অ্যাপ্রভালের নোটিশ পাঠিয়ে দিবে।
সেটা আপনি যদি ইন্ডিয়া দূতাবাসের মাধ্যমে গিয়ে যোগাযোগ করে এই ভিসা সংক্রান্ত তথ্য গুলো তাদেরকে জানান তাহলে আপনার ভিসা অ্যাপ্রভাল পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে প্রথম অবস্থায় আপনাকে অনলাইন থেকে জব খুঁজে সেই অনুযায়ী আপরজন করতে হবে লিথুনি আর অনেক গভমেন্ট জব সার্কুলার ওয়েবসাইট রয়েছে যেখান থেকে খুব সহজেই বিশ্বের বিভিন্ন কান্ট্রির মানুষজন জবের জন্য আবেদন করে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়
তাই এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে খুব সহজে আপনি আর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাবেন তবে আপনি অন্যান্য ভাবেও কিন্তু লিথুনিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে পারেন যেমন আপনার পরিচিত কোন ব্যক্তি যদি থাকে তাহলে তাদের মাধ্যমে আপনারা একটি ভিসার ব্যবস্থা করে নিতে পারেন এক্ষেত্রে অনেকাংশে কম টাকার মধ্যেই হয়ে যায়।
লিথানিয়াতে যাওয়ার সহজ উপায়
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়ার ভিসা পাওয়া যাচ্ছে তারপরও যদি আপনি কম খরচে এবং সহজেই যেতে চান তাহলে মেডেলিস্টের বিভিন্ন কান্ট্রি থেকে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে তবে ঐ সমস্ত কান্ট্রিগুলো দুই বছর অবস্থান করার পরে আপনি মূলত লিথুনিয়ার উদ্দেশ্যে ভিসা করতে পারবেন। মূলত দেশের বাহির থেকে অনেক দালাল বা অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা কিনা খুবই কম খরচের মাধ্যমে লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করে দিয়ে থাকে।
এছাড়া যদি বাংলাদেশ থেকে যেতে চান তাহলে কিন্তু প্রথম অবস্থায় ভালো কোন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে হবে আর যদি আপনি আরো কম খরচে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে ইন্ডিয়া দূতাবাসের মাধ্যমে গিয়ে ভিসা আবেদন নিশ্চিত করতে হবে এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র লাগে সেগুলো আমরা আজকে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরব।
সৌদি আরবে কাজের ভিসা খরচ কত এবং বেতন কত
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র লাগে এই সমস্ত কাগজপত্র গুলো অনলাইন থেকে আপনারা ডাউনলোড করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় নিজের কিছু কাগজপত্র আছে যেগুলো আপনাকে আগে থেকে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে এবং সকল তথ্যগুলো পূরণ করে এবং লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন ফরম প্রয়োজনীয় সকল কাগজগুলো একত্র করে তা জমা দিতে হবে তাহলে চলুন কি কি কাগজপত্র লাগে দেখে নেওয়া যাক।
- ৬ মাস মেয়াদী ভ্যালিড পাসপোর্ট
- ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
- নিবন্ধন আইডি কার্ডের ফটোকপি
- ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- বাবা মায়ের এন আইডি কার্ডের ফটোকপি
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- রিসেন্ট তিন মাসের মেডিকেল রিপোর্ট
- করোনা ভ্যাকসিন নিশ্চিত করনের সনদ
- নির্দিষ্ট কাজের উপর দক্ষতা
- কোম্পানি কর্তৃক ইনভাইটেশন লেটার
প্রয়োজনের সকল কাগজপত্র যদি কোন ধরনের ভুল ত্রুটি থেকে থাকে তাহলে কিন্তু লিথুনিয়া ওয়ার পারমিট ভিসা পাওয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনে সকল কাগজপত্র গুলোতে যদি ভুল থাকে তাহলে তার অগ্রিমভাবে সংশোধন করে রাখতে হবে।
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং
লিসোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং করতে সময় লাগে মিনিমাম তিন মাস। তবে ক্ষেত্রে যদি আপনার নিজের কোন পরিচিত কোম্পানির মাধ্যমে ভিসা পেয়ে থাকেন তাহলে খুবই স্বল্প সময়ের মধ্যে আপনারা লিখনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হাতে পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র আপনার কোম্পানি কর্তৃক ইনভাইটেশন লেটার নিয়ে গেলেই সরাসরি দূতাবাস থেকে আপনাকে অনুমোদন দিয়ে দিবে।
মনে রাখবেন লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে সরাসরি ইন্ডিয়া দূতাবাসে গিয়ে যোগাযোগ করা লাগবে। প্রত্যেকটা লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিন্তু সরাসরি দূতাবাস থেকে সমস্ত বিষয়গুলা দেখা হয়ে থাকে তাই আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে অথবা দেশের বাহির থেকে যেতে চান তাহলে সেই সমস্ত দূতাবাসে গিয়ে আপনাকে এ সমস্ত বিষয়গুলো ক্লিয়ার করে তারপরে ভিসা হাতে পাবেন।
বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কতদিন লাগে
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার পরে তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগে ভিসা হাতে পেতে। এক্ষেত্রে যারা সরাসরি লিথুনিয়ার বিভিন্ন কোম্পানি থেকে জবের অফার পেয়ে থাকে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু খুবই স্বল্প সময়ের মধ্যেই লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায়। তবে আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে করছেন এবং তারা কি কাজে আপনাকে সেখানে নিয়োজিত করছে তার উপর ডিপেন্ড করে আপনি ভিসা হাতে পাবেন।
তবে অনেক দালাল চক্র আছে যারা কিনা পাঁচ মাস অথবা এক বছর মেয়াদী পর্যন্ত সময় নেয়া থাকে। তবে তাদের প্রসেস একটু ভিন্ন রকম হওয়ার কারণে এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকে তবে বিশ্বস্ত কোন ব্যক্তির মাধ্যম ছাড়া কখনোই লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নেওয়া উচিত না তাই অবশ্যই আপনি যে কোন দালাল চক্র অথবা কোন ব্যক্তি হতে দূরে থাকা সব থেকে ভালো।
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা স্বল্প সময়ের মধ্যেও পাওয়া যায় তবে এক্ষেত্রে আপনাকে বৈধ কোন এজেন্সির মাধ্যমে এই কাজগুলো করা লাগবে তাহলে আপনারা লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে খুব সহজেই খুব তাড়াতাড়ি লিথুনিয়া গিয়ে জব করতে পারবেন।
জাপানে কাজের ভিসা | জাপান ভ্রমণ ভিসা
তবে অনেকেই আছে যারা দেশের বাহির থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ অপেক্ষা করেও পারছেন না সে ক্ষেত্রে আপনাদের ওই এজেন্সি গুলো কোন ধরনের কাজ পাচ্ছে না বললে দেরি হচ্ছে তবে ওরা সময় সুযোগ অনুযায়ী কিন্তু আপনাদের পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে তবে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যতদিন না পর্যন্ত হাতে পাচ্ছেন ততদিন পর্যন্ত কোন ধরনের টাকা-পয়সা আদান-প্রদান করবেন না তা না হলে কিন্তু আপনারা প্রতারণার শিকার হতে পারেন।
এই ছিল আজকে আমাদের লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। পর্যায়ক্রমে আর অন্যান্য কাজ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরবো আজকে আমরা এই পর্যন্ত আলোচনা করেছি এবং অন্যান্য দেশের জব সার্কুলার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আমাদের এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন এবং বিভিন্ন দেশের জব সার্কুলার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন