সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে ২০২৩

    সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে ২০২৩


    সৌদি আরবে আপনি কোন উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন তার উপর মূলত নির্ভর করে। সৌদি আরবে কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা লাগে। সৌদি আরবে যদি ওমরা হজ করার উদ্দেশ্যে যেতে এক লাখ বিশ হাজার টাকা থেকে বিভিন্ন প্যাকেজে ওমরা হজে যেতে পারবেন। সাধারণভাবে যারা কাজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যেয়ে থাকে তাদের ক্ষেত্রে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ পর্যন্ত টাকা লাগতে পারে


    তবে বিভিন্ন খরচ নিয়ে বিস্তারিতভাবে আজকে আমরা এই কন্টেন্টের মধ্যে আলোচনা করব সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে এবং সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য কি কি ক্ষেত্রে টাকা লাগে তার সকল বিষয়গুলো আজকে আমাদের এই কন্টেন্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে আমরা টপিক নিয়ে আলোচনা করি


    আগের তুলনায় সৌদি আরবে যাওয়ার খরচ কিন্তু অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। সকল জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বিমানের ভাড়া অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে সেই সাথে যাবতীয় খরচ এবং অন্যান্য সকল বিষয়ের উপর বিবেচনা করে বর্তমানে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগে তার সকল বিষয়গুলো আজকে আমরা তুলে ধরবো। সৌদি আরব যেতে মেডিকেল খরচ এবং অন্যান্য আরো বিষয়গুলোর জন্য কিন্তু মূলত টাকা লাগে তা সকল বিষয়গুলোই জানতে পারবেন


    সৌদি আরব কাজের ভিসাতে কত টাকা লাগে

    সৌদি আরবে কাজের ভিসায় যেতে হলে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। মূলত ভালো মানের কাজ নিয়ে যেতে হলে আরো বেশি পরিমাণও খরচ লাগতে পারে তবে নরমালি যারা সাধারন ভাবে চার থেকে পাঁচ বছর মেয়াদী ভিসা নিয়ে থাকে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত টাকা লাগে। তবে এই ক্ষেত্রে আপনি যদি সরকারিভাবে বা সরকারি কোন এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যেয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু ৩ লক্ষ টাকার মধ্যেই ভালো মানের কাজ নিয়ে সৌদি আরবে যেতে পারবেন


    সৌদি আরবে কাজের ভিসা তৈরি করার ক্ষেত্রে এর আগেই কিন্তু কিছু টাকা খরচ করতে হয় মেডিকেল রিপোর্ট পাসপোর্ট খরচ এবং আনুষঙ্গিক আরো অন্যান্য খরচ বাবদ ৫০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়ে থাকে। কেননা সৌদি আরবে যাওয়ার আগে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হয় এবং বিভিন্ন কাগজপত্র উত্তোলন এবং পাসপোর্ট এর খরচ বাবদ অনেক খরচ ধরা হয়ে থাকে সেই সাথে মেডিকেল খরচ ৮ হাজার টাকা


    রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি কোথায় জেনে নিন


    কি কি ক্ষেত্রে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য টাকা লাগে তার সকল বিষয়গুলো জানতে হলে আজকের এই কনটেন্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন, মেডিকেল খরচ ৮ হাজার টাকা, কাগজপত্র উত্তোলন ১০ হাজার টাকা, প্রশিক্ষণ ২৫ হাজার টাকা, সহ আরো অনেক ধরনের খরচ রয়েছে এই খরচ গুলো মূলত সৌদি আরবে যেতে লাগবে


    ড্রাইভিং ভিসা

    ডাইভিং ভিসা তে যাওয়ার ক্ষেত্রে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত খরচ লাগে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণের সনদ সেই সাথে প্রয়োজনীয় আরো কাগজপত্র এবং বিমান ভাড়া সহ সকল খরচ গুলো মূলত এর মধ্যেও হয়ে থাকে আবার কোন এজেন্সি রয়েছে যারা কিনা আলাদাভাবে বিমান ভাড়া দিয়ে সেখানে যাওয়ার জন্য নির্ধারণ করে থাকে


    তবে যখন আপনি এই সমস্ত কাজের ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে যাবেন তখন কিন্তু এজেন্সির সঙ্গে এই বিষয়গুলো জেনে নিতে হবে এবং সেই সাথে আপনি যদি আরও বিস্তারিত ভাবে জেনে নিতে চান তাহলে বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে আলাদাভাবে পার্সোনালি কথা বলে নিবেন


    বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন


    সৌদি কোম্পানি ভিসা

    সৌদি কোম্পানি ভিসায় যাওয়ার জন্য ৩ লাখ টাকা লাগে। এক্ষেত্রে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যেও বিভিন্ন কোম্পানি রয়েছে যারা কিনা সরকারের মাধ্যমগুলোতে সৌদি আরবের বিভিন্ন কাজে যাওয়া যায়। তবে এ সমস্ত সকল কাজগুলোতে কিন্তু আগে থেকেই আপনাকে অভিজ্ঞ হতে হবে তারপরে আপনারা সৌদি আরবে যেতে পারবেন


    মূলত কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে বিগত বছরগুলো থেকে যাওয়া যাচ্ছে তবে এক্ষেত্রে খরচ আগের তুলনায় অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে ক্ষেত্রে কিন্তু তিন লাখ বিশ হাজার টাকার বেশি পরিমাণও লাগতে পারে তবে এক্ষেত্রে আপনি আপনার এজেন্সির সঙ্গে এবং বেতন কত এই সমস্ত সকল বিষয়গুলো আগে থেকে জেনে নিবেন


    ইলেকট্রিক ভিসা

    ইলেকট্রিক কাজের জন্য যদি সৌদি আরবে যেতে চান তাহলে এক্ষেত্রে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে তিন লক্ষ টাকা পরিমাণ খরচ লাগে। এক্ষেত্রে ইলেকট্রিক কাজের উপর অভিজ্ঞতা অর্জন করার জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ করতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ লাগে সে সাথে পাসপোর্ট খরচ এবং অন্যান্য যাবতীয় সকল কাজগুলো কিন্তু নিজের খরচে করা লাগে


    মূলত সৌদি আরবে ইলেকট্রিক কাজে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই মেডিকেল টেস্ট এর রিপোর্ট এবং মেডিকেল টেস্ট খরচ সহ আরো অনেক খরচ লাগে এ সমস্ত সকল খরচ গুলো নিজেকে বহন করতে হবে এগুলো মূলত আপনি যদি সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমেও চেয়ে থাকেন তারপরেও কিন্তু এই খরচ তারা বহন করবে না


    বাংলাদেশ কোরিয়া ট্রেনিং সেন্টার | কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার


    সৌদি আরবে ওমরা ভিসাতে যেতে কত টাকা লাগে

    সৌদি আরবে উমরা ভিসায় যাওয়ার জন্য ১ লক্ষ্য বিশ ২০ হাজার হাজার টাকা লাগে। এক্ষেত্রে সৌদি আরবে ওমরা ভিসা তে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্যাকেজ থাকে সেই প্যাকেজ অনুযায়ী ও যেতে পারবেন এক্ষেত্রে হজ এজেন্সি বা হজ ট্রাভেল এজেন্সি রয়েছে তাদের সাথে আপনারা যোগাযোগ করে এক লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্যাকেজের উপর আপনারা ওমরা ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরবে যেতে পারবেন


    এক্ষেত্রে এর বেশি পরিমাণও প্যাকেজ রয়েছে এই সমস্ত প্যাকেজগুলো আপনারা মূলত বিভিন্ন দেশে ট্যুর এবং সৌদি আরবের দর্শনীয় স্থানগুলোতে ঘোরার জন্য সুযোগ দিয়ে থাকে সেই অনুযায়ী আপনারা যেতে পারবেন তবে নরমালি যারা ওমরা ভিসা তৈরি করতে চান এক্ষেত্রে পাসপোর্ট খরচ এবং অন্যান্য আদার্স খরচ আছে সেগুলো আপনাদেরকে অবশ্যই আগে থেকে জেনে নিতে হবে


    পাসপোর্ট এর জন্য খরচ এবং মেডিকেল রিপোর্টসহ অন্যান্য বিভিন্ন কাগজপত্র উত্তোলনের ক্ষেত্রে এগুলোতে কিন্তু খুবই কম খরচ লাগে তবে সরাসরি আপনার বৈধ কোন ট্রাভেল এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করলে সবথেকে ভালো হয় এক্ষেত্রে ওমরা বিষয়ক অনেক এজেন্সি রয়েছে। এ সমস্ত এজেন্সির সাথে যদি কথা বলে যেতে পারেন তাহলে খুবই কম খরচের মধ্যেই যেতে পারবেন


    সৌদি আরব ফ্যামিলি ভিসা যেতে কত টাকা লাগে

    সৌদি আরবে ফ্যামিলি ভিসা যেতে ১০ হাজার টাকা খরচ লাগে। এক্ষেত্রে সরাসরি সৌদি দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করে আবেদন করে আপনারা ফ্যামিলি ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরবে যেতে পারবেন এক্ষেত্রে খুবই কম খরচ লাগে। শুধুমাত্র আবেদন ফি এবং প্রয়োজনীয় কিছু প্রসেস সম্পূর্ণ করার জন্য মূলত এই ফি প্রদান করতে হয়


    সৌদি আরবে ফ্যামিলি ভিসার মাধ্যমে যাওয়ার পরে কিন্তু ৩০ দিন থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত সেখানে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার সুযোগ থাকে এক্ষেত্রে এই সময় পার হওয়ার পরে কিন্তু তৎখানিকভাবে দেশে ফেরত আসতে হবে। ফ্যামিলি ভিসার জন্য কিন্তু বিভিন্ন রেস্ট্রিকশন রয়েছে সেই অনুযায়ী সেখানে অবস্থান করতে হবে এবং নিয়ম অনুযায়ী সেখানে আবেদন সম্পন্ন করলেই ফ্যামিলি ভিসা পাওয়া যায়


    সৌদি আরব টুরিস্ট ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে

    সৌদি আরবে টুরিস্ট ভিসায় যেতে ৮০ হাজার টাকা থেকে ২৫০ হাজার টাকার বিভিন্ন প্যাকেজ এ ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে সৌদি আরবে ট্যুর করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাদের জেনে রাখা উচিত যে সৌদি আরবে টুরিস্ট ভিসায় যাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে সেই নিয়ম গুলো ফলো করতে হবে। সৌদি দূতাবাস থেকে আবেদন করে ভিসার যাবতীয় কাজ সম্পাদন করতে হবে


    সৌদি আরবে টুরিস্ট ভিসা যাওয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের নিয়ম রয়েছে সেই নিয়ম অনুযায়ী সেখানে অবস্থান করতে হবে কেননা অনেকেই আছে যারা কিনা সৌদি আরবে টুরিস্ট ভিসা যাওয়ার পরে বিভিন্ন কাজ করে থাকে এবং অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকে অনেক সময় চুরি অথবা বড় বড় ডাকাতির ঘটনাও ঘটিয়ে থাকে তবে এক্ষেত্রে যদি এই সমস্ত কাজ করে থাকেন তাহলে জেল জরিমানা এবং মৃত্যুদণ্ড হতে পারে


    বিগত বছরগুলো থেকে অনেক বাংলাদেশী আছে যারা কিনা সেখানে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণামূলক কাজে জড়িয়ে যাওয়ার পরে সেখানে জেলে আছে অথবা অনেকেই মৃত্যুদণ্ড পেয়ে জেলখানাতে অবস্থান করছে এবং অনেকেই মৃত্যুদণ্ড পেয়ে গিয়েছে তাই অবশ্যই এই সমস্ত কাজগুলো থেকে একেবারে বিরত থাকা উচিত এবং সৌদি আরবে কখনোই অবৈধ কাজে নিজেকে নিয়োজিত না করা সব থেকে উত্তম


    কাতারের ভিসা কবে থেকে খুলবে


    টুরিস্ট ভিসা করে যদি এই সমস্ত কাজ করে থাকে তাহলে কিন্তু তৎক্ষণিকভাবে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সে সাথে আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে কেননা সৌদি আরবে অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই নিয়মের মধ্যেই চলতে হয়। সেই সাথে পরবর্তীতে সৌদিতে যাওয়ার ক্ষেত্রেও কিন্তু রেস্ট্রিকশন চলে আসতে পারে তাই অবশ্যই সৌদি আরবে যাওয়ার আগে এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে তারপরে সৌদি আরবে যাবেন


    দালালের মাধ্যমে সৌদি আরব

    দালালের মাধ্যমে সৌদি আরবে যেতে হলে কম খরচের মধ্যে যাওয়া যায় কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। অনেকেই কাজের ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে দালালের মাধ্যমে গিয়ে সেই ক্ষেত্রে দেখা যায় যে যেই লোক ওই দালালের মাধ্যমে গিয়েছে সেই লোক সৌদি আরবে গিয়ে কাজ করার পরে সেই দালালের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠানো লাগে অথবা দালাল কে টাকা পাঠানোর পরে দালাল তার টাকা কেটে রেখে পরবর্তীতে তার ফ্যামিলিকে দিয়ে থাকে


    এক্ষেত্রে দালাল চক্র সরাসরি এখানে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করে এই ক্ষেত্রে আপনি যতদিন সৌদি আরবে থাকবেন যত টাকা ইনকাম করবেন তত টাকায় কিন্তু দালালরা তার মধ্যে থেকে কেটে নেবে। তাই এক্ষেত্রে সমস্ত প্রসেস গুলো না করে সরাসরি নিজের খরচে নিজের মাধ্যমে এবং বৈধ হয়ে গেলে সব থেকে ভালো হয়


    অনেক দালাল চক্র রয়েছে যারা কিনা সৌদি আরবে কাজ দেয়ার উদ্দেশ্য করে অনেক টাকা হাতিয়ে নিতে পারে এক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধান থাকা জরুরী কেননা সৌদি আরবে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু প্রায় আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা খরচ হয়ে থাকে সকল টাকাগুলো দালালরা কিন্তু খেয়ে দেয় দেয়
    তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন বৈধ উপায়ে যাওয়ার এবং বৈধভাবে সৌদি আরবে ইনকাম করার আর বর্তমানে যে সমস্ত দালাল রয়েছে সেগুলো থেকে দূরে থাকার। কেননা দালালরা আপনাকে বিভিন্ন পদ্ধতি বিভিন্ন কাজের লোভ দেখাবে তাই অবশ্যই এই সমস্ত লোক থেকে দূরে থাকবেন


    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন