বর্তমানে সৌদি আরবে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করছে তার মধ্যে খ্রিস্টানের সংখ্যা প্রায়ই ১৮ লাখ। সৌদি আরব একটি মুসলিম রাষ্ট্র হওয়ায় ৮০ থেকে ৮৫% সুন্নি মুসলিম। তার মধ্যে ১৮ লাখ খ্রিস্টান এবং ১৫ লাখ ভারতীয় বা অন্যান্য দেশের হিন্দুরা কাজের উদ্দেশ্যে বসবাস করছে। প্রতিনিয়ত দৈনন্দিন কাজের উদ্দেশ্যে খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্মের মানুষগুলো সৌদি আরবে বাড়ি জমাচ্ছে।
সৌদি আরব কে ইসলামের একটি বড় প্রাণকেন্দ্র বলা হয়ে থাকে। মুসলিমদের কাবা শরীফ এবং মসজিদে নববী এখানে হওয়ার কারণে দৈনন্দিন জীবনে হজ করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে মুসলমানরা সেখানে পাড়ি জমাই। এখানে প্রচুর জনবহুল হওয়ার কারণে নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং বিজনেস করার উদ্দেশ্যে হিন্দু এবং খ্রিস্টানরা সেখানে কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে।
তাই বর্তমানে প্রায় ১৮ লাখ খ্রিস্টান বসবাস করে তার মধ্যে ইউরোপ কান্ট্রি সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকেও খ্রিস্টানরা এখানে এসে বসবাস করছে বা বিভিন্ন ব্যবসা করছে। সৌদি আরবে ধর্মীয় অনুভূতির মানুষ ছাড়াও বিধর্মীরাও এখানে অবস্থান করার সুযোগ রয়েছে তবে। বিধর্মীদের ক্ষেত্রে একটু আলাদাভাবেই তাদের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়ে থাকে।
সৌদি আরবে প্রকাশ্যে ইসলাম ছাড়া কোন ধর্ম পালন করাকে তারা উৎসাহিত করে না তারপরেও গত বছরে হিন্দুদের জন্য এবং খ্রিস্টানদের জন্য আলাদা ধর্মীয় উপাসনালায় তৈরি করা দেখা গিয়েছে তবে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না যে বিধর্মীদের জন্য তাদের ধর্মীয় উপাসনালয় কতটা হয়েছে এবং কোথায় নিয়োজিত আছে এগুলো এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে জানা যাচ্ছে না।
কাতারের ভিসা কবে থেকে খুলবে | কাতারে প্রবাসীদের বেতন কত ?
সৌদি আরবে কি খ্রিস্টানরা যেতে পারে
সৌদি আরবে খ্রিস্টানরা যেতে পারে তবে এই ক্ষেত্রে সৌদি আরবের সব বিভাগেই যাওয়ার সুযোগ সুবিধা থাকে না। সৌদি আরবের বিভিন্ন কোম্পানিতে অথবা ফ্যাক্টরি কাজের জন্যই মূলত সৌদি আরবে খ্রিস্টানরা গিয়ে কাজ করে সে সাথে প্রযুক্তির উন্নতির লোককে বিভিন্ন টেকনিক্যাল বা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারে অনেক খ্রিস্টানরাই কাজ করে।
বর্তমানে সৌদি আরবে যে সমস্ত খ্রিস্টানরা কাজ করে তাদের মধ্যে সবথেকে বেশি সংখ্যক খ্রিস্টানরাই মূলত ধর্মীয় জায়গাগুলো বাদ দিয়ে অন্যান্য যে সমস্ত জায়গায় কাজ করার সুযোগ থাকে সেগুলোতেই তারা কাজের নিয়োজিত থাকে তবে ধর্মীয় মসজিদ মাদ্রাসা বা অন্যান্য বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতেই কাজ করার সুযোগ খুবই কম থাকে।
তবে যারা খ্রিস্টান রয়েছে তারা কিনা যদি সৌদি আরবে গিয়ে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করতে চান তাহলে যেতে পারবেন তবে অবশ্যই আপনার দেশের এজেন্সি অনুযায়ী সেই ভাবেই যোগাযোগ করে যেতে হবে এক্ষেত্রে আপনাকে এখান থেকে কাজে নিযুক্ত হয়ে গেলে সব থেকে ভালো হয় কিন্তু সেখানে গিয়ে যদি কাজ করেন তাহলে নিজের ধর্মের পরিচয় এবং বিষয়টি অবগত হওয়ার পরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আজকে আমরা কথা বলেছি সৌদি আরবে খ্রিস্টান সংখ্যা কত এবং সৌদি আরবে খ্রিস্টানরা যেতে পারে কিনা এবং কি কি ধরনের কাজ করতে পারে এ বিষয়গুলো নিয়ে পর্যায়ক্রমে আমরা অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়েও আলোকপাত করবো।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন