প্রতিবছরের মত ২০২৪ সালেও মালয়েশিয়া ভিসা সার্ভিস চালু আছে। বর্তমানে যারা মালয়েশিয়া ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়াতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব কিভাবে আপনারা মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করবেন এবং কত টাকা খরচ হবে এবং কি কি কাগজপত্র লাগবে তা সকল বিষয়গুলো নিয়ে। মালয়েশিয়াতে দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশি শ্রমিকরা কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে বরাবরের মতো ২০২৪ সালে ও ব্যাপকভাবে কর্মী নেবে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার।
তাই ২০২৪ সালে যারা বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন তারা মালয়েশিয়ার অন্যান্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্যই আজকের এই পোস্টটি উল্লেখ করা হয়েছে। অনেকেই আছেন যারা কিনা দালালের মাধ্যমে অথবা অনলাইনে নিজে নিজে ভিসার মাধ্যমে কিন্তু আবেদন করতে পারেন অথবা ভিসা সংগ্রহ করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আজকে আমরা দেখাবো কিভাবে সরকারিভাবে আপনি ভিসা ফি এবং অন্যান্য বিষয়গুলো সমস্ত ভাবে পরিশোধ করে মালয়েশিয়ার ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন তা এই পোষ্টের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রথমে আপনাদের জানিয়ে রাখা উচিত যে মালয়েশিয়াতে যাওয়ার জন্য কিন্তু বিএমইটির অফিসিয়াল ডাটাবেজের মাধ্যমে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। পরবর্তী ধাপ অনুযায়ী কাজের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে অনলাইনে মালয়েশিয়া ভিসার আবেদন করে বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত যে সমস্ত এজেন্সি রয়েছে এই এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে আপনারা ভিসা প্রসেসের কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারবেন। মালয়েশিয়াতে বর্তমানে কয়েকভাবে যাওয়ার সুযোগ সুবিধা রয়েছে কি কিভাবে যাবেন এবং কোন ধরনের ভাষা নিয়ে যাওয়া উচিত বিস্তারিতভাবে নিচে আলোচনা করা হলো।
মালয়েশিয়া ভিসার প্রকারভেদ ২০২৪
- ভিজিট ভিসা
- ফ্যাক্টরি ভিসা
- কলিং ভিসা
- স্টুডেন্ট ভিসা
- ক্লিনার ভিসা
- এগ্রিকালচার ভিসা
- ড্রাইভিং ভিসা
- ইলেকট্রিক ভিসা
এছাড়াও বর্তমানে আরো অনেক ধরনের ভিসা ক্যাটাগরি রয়েছে যেগুলো নিয়ে আপনারা মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে কাজের জন্য যেতে পারবেন এছাড়া যদি আপনি টুরিস্ট ভিসা বা অন্যান্য ভিসাতে গিয়ে সেখানে কনভার্ট হতে চান অথবা মালয়েশিয়া থেকে অন্যান্য রাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চান তার পরেও আপনারা এই সমস্ত ভিসা নিয়ে সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন।
মনে রাখবেন মালয়েশিয়ার সকল ধরনের ভিসা নেওয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু মেডিকেল রিপোর্টসহ অন্যান্য আরো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখানো লাগে কি কি কাগজপত্র দেখানো লাগে এবং ভিসা আবেদন কিভাবে করবেন এই সংক্রান্ত তথ্য গুলো নিয়ে আজকে আমরা আগে বিস্তারিত ভাবে আপনাদেরকে জানাবো তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে এ বিষয়গুলো আগে দেখে নেওয়া যাক।
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম ২০২৪
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার জন্য পাসপোর্ট এর মেয়াদ ৬ মাস ও তার বেশি পরিমাণ থাকতে হবে। পাসপোর্টের তিনটি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে। মালয়েশিয়া দূতাবাস বা ভিসা কনস্যুলেট অফিসের মাধ্যমে ভিসা আবেদন পত্র এবং ভিসা ফি প্রদান করে আবেদন পত্রটি ইংলিশে পূরণ করতে হবে। আবেদন পত্রের সাথে একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং প্রয়োজনে আরো কাগজপত্র গুলো সংযোজন করতে হবে। প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পরে নিকটস্থ মালয়েশিয়ান দূতাবাস বা কনসুলেট অফিসে গিয়ে আবেদন পত্র জমা দিতে হবে।
এই প্রসেসগুলোর মাধ্যমে আপনারা মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করতে পারবেন তবে যদি নিজেই আপনি করতে চান তাহলে এই পদ্ধতিতে করতে হয়। তবে আপনি যদি নির্দিষ্ট কোন ভিসা এজেন্সি এর মাধ্যমে যেতে চান তাহলে সকল প্রসেস গুলো ওই এজেন্সির মাধ্যমেই করে দেওয়া হয় তবে এ ক্ষেত্রে আপনাদেরকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো আগে থেকে সংগ্রহ করে নিতে হবে এবং নিজেই গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করে আপনাকে এজেন্সিতে জমা দিলে তারা বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
মালয়েশিয়া ই-ভিসা এর আবেদন
সরকার নিবন্ধিত এজেন্সির মাধ্যমে যদি মালয়েশিয়ার ভিসার আবেদন করার জন্য। https://www.imi.gov.my/ ওয়েব সাইটে প্রবেশ করুন। আপনার দক্ষতা অনুযায়ী ভিসার ধরন নির্বাচন করে আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করুন। সঠিকভাবে আবেদন ফরমটি পূরণ করার পরে যে কোন সরকারি একটি এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন ও ভিসা ফি পরিশোধ মালয়েশিয়া ই ভিসা আবেদন করা হয়ে যাবে। ভিসা আবেদন পেয়ে গেলে সরাসরি আপনার এজেন্সির মাধ্যমেই বিষয়টি জানতে পারবেন।
বর্তমানে মালয়েশিয়া এই ভিসার মাধ্যমে যারা যাচ্ছে তাদের খরচ অনেকটাই কম হচ্ছে এবং কোন ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়া লাগছে না এক্ষেত্রে সরাসরি তাদের এজেন্সির মাধ্যমে এই সহায়তা প্রদান করছে তাই আপনারা যারা মানুষের ভিসা আবেদন করবেন এবং কিভাবে করবেন তারা জানেন না তারা আমাদের দেওয়া উপরের এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব সহজেই মানুষের ভিসা আবেদন করুন।
অনলাইনে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন ২০২৪
অনলাইনে বিশ্বস্ততার সাথে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার জন্য বুয়েসেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে মালয়েশিয়া ভি আবেদন করার জন্য পাসপোর্ট, দুই কপি ছবি, এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, রিসেন্ট দুই মাসের মধ্যে কার মেডিকেল রিপোর্টের কপি নিয়ে সরাসরি আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো জমা দিয়ে অনলাইনে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন।
অনলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে অফলাইনে যে সমস্ত কাগজপত্র লাগে তার সকল কাগজপত্র গুলো একইভাবে প্রদান করতে হয় আপনি যখন অনলাইনে প্রদান করবেন তাও একই রকম কাগজপত্র স্ক্যান কপি করে আপনাদেরকে বিএমইটির ডাটাবেজে জমা দিতে হবে সেই সাথে প্রয়োজনীয় ফোন নাম্বার এবং ইমেইল নাম্বার এ বিষয়টি নিশ্চিত করে দিতে হবে।
বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলায় ৬২টি কার্যালয় রয়েছে বিএমইটির সকল কার্যক্রম গুলো পরিচালনা করা হয়ে থাকে তাই অনলাইনের মাধ্যমে যারা আপনারা মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করতে চাচ্ছেন তারা ১১টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে আপনারা যে কেউ চাইলে যে কোন সময় আবেদন করে নিতে পারবেন।
আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার ভিসার আবেদন ২০২৪
বর্তমানে ঘরে সেই মালয়েশিয়ার যে কোন ধরনের ভিসা স্মার্টফোনের মাধ্যমেই আবেদন করা যায়। মালয়েশিয়ার যেকোনো ধরনের ভিসা আবেদন করার ক্ষেত্রে আমি প্রবাসী নামক একটি অ্যাপের মাধ্যমে আপনারা অনলাইনে ভিসা আবেদন করতে পারবেন তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আমি প্রবাসীদের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার ভিসা আবেদন।
- গুগল প্লে স্টোর Ami Probasi অ্যাপ ডাউনলোড করুন
- মোবাইলে অ্যাপটি ইন্সটল করুন
- প্রয়োজনের কাগজপত্র গুলো স্ক্যান করে রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট করুন
- পরবর্তী ধাপ অনুযায়ী 72 ঘন্টা সময় দিয়ে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়ে যাবে।
- বিকাশের মাধ্যমে ৩০০ টাকা ফ্রি পরিশোধ করে রেজিস্ট্রেশন করুন।
- পেমেন্টের রেজিস্ট্রেশনের জন্য একটি অপশন পাবেন সেখান থেকে সঠিকভাবে রেজিস্ট্রেশন করুন।
- রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ইমেইল অথবা ফোন নাম্বার ব্যবহার করুন।
- নির্দিষ্ট একটি ছাত্রের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদন করতে হবে।
- প্রয়োজনের রেজিস্ট্রেশন এর যে কোন হেল্পের জন্য সাপোর্টে কথা বলুন।
এইভাবে আমি প্রবাসী অ্যাপ এর মাধ্যমে খুব সহজে মালয়েশিয়াতে যাওয়ার জন্য অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন এক্ষেত্রে অবশ্যই প্রয়োজন কাগজপত্র গুলো কি কি লাগে এবং কত টাকার ফি প্রদান করা লাগে তার সকল বিষয়গুলো জানতে হলে আমাদের আরো বিস্তারিতভাবে পড়তে থাকুন।
মালয়েশিয়া ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ২০২৪
- আবেদনকারীর বয়স সীমা হতে হবে ২১ থেকে ৪৫ বছর
- ছয় মাস মেয়াদী পাসপোর্ট থাকতে হবে
- জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি
- অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের রেজিস্ট্রেশন
- রিসেন্ট তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- বাসার বিদ্যুৎ বিলের কপি
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- তিন মাসের মধ্যে কার মেডিকেল রিপোর্ট
- করোনা ভ্যাকসিন নিশ্চিতকরণের সনদ
আবেদন ফরমটি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই কয়েকবার যাচাই-বাছাই করে তারপরেই জমা দেওয়া উচিত। তা না হলে কিন্তু আপনার যদি ভুল থেকে যায় তাহলে কিন্তু প্রসেস গুলো আরো দেরি হতে পারে তবে আপনি যখন এজেন্সির মাধ্যমে করবেন তখন কিন্তু এ বিষয়গুলো আগে থেকে আপনাকে অবগত করবে।
মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত ২০২৪
বর্তমানে ২০২৪ সালে মালয়েশিয়া ভিসার দাম ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে এটি নির্ভর করবে আপনি কি ধরনের ভিসা নিয়ে যাচ্ছেন তার ওপর যদি আপনি ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে খরচ পড়বে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। স্টুডেন্ট ভিসার জন্য খরচ পড়বে প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। তবে সরকারি এবং বেসরকারিভাবে কিন্তু ভিসার দাম আলাদা হয়ে থাকে। মনে রাখবেন সরকারিভাবে যাওয়ার জন্য কিন্তু সুযোগ-সুবিধা ভালো পাওয়া যায় এবং খুবই কম খরচের মধ্যেই যাওয়া যায়।
বেসরকারিভাবে যদি আপনি মালয়েশিয়াতে যান তাহলে অবশ্যই তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার বেশি পরিমাণ টাকা দিয়ে যাওয়া লাগে তবে যদি আপনি সরকারিভাবে যেতে পারেন যেমন বি এম ই টি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যদি যেতে পারেন তাহলে নামমাত্র খরচে আপনারা যাওয়ার সুযোগ করে নিতে পারবেন।
তাই অবশ্যই বিদেশে যাওয়ার আগে আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন সেই এজেন্সি সরকারি কিনা এবং কত টাকা তারা ভিসার দাম দিচ্ছে এবং কি কি সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। এবং আপনার কাজের বেতন কত এই সকল বিষয়গুলো নিয়ে আগে থেকে ভাল মত জেনে নেবেন তা না হলে যে কোন দিন যেকোনো সময় কিন্তু আপনার ভিসার দাম বেড়ে যেতে পারে তাই আগে থেকেই বিষয়গুলো অবগত হওয়া উচিত।
সরকারি মাধ্যমে যদি আপনারা মালয়েশিয়াতে যেতে চান তাহলে সরকারি নিবন্ধিত এজেন্সিগুলো এর সহায়তা নিতে হবে তা না হলে কিন্তু আপনারা প্রতারণার শিকার হতে পারেন তাই সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি গুলো যদি আপনি খুজে না পান তাহলে আমাদের দেওয়া এই অপশন থেকে আপনারা মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য সরকার নিবন্ধিত এজেন্সির একটি লিস্ট তুলে ধরেছি।
সরকারিভাবে মালয়েশিয়াতে যাওয়ার জন্য এজেন্সির তালিকা
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম ২০২৪
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম হলো প্রথম অবস্থায় বাংলাদেশ নিবন্ধিত সরকারি এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে অথবা বেসরকারি এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। যদি আপনি নিজে আবেদন করতে চান তাহলে বাংলাদেশে অবস্থিত মালয়েশিয়া দূতাবাস ও কনসিলেন্ট অফিসে গিয়ে আপনারা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
পাসপোর্ট
পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে অবশ্যই পাসপোর্ট এর মেয়াদ কিন্তু ছয় মাস থাকতে হবে এবং ফাঁকা তিনি পৃষ্ঠা থাকা বাধ্যতামূলক তা না হলে কিন্তু এই পাসপোর্ট এর মাধ্যমে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
ভিসা আবেদন পত্র
অনলাইনে মাধ্যমে আপনারা মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন পত্রটি ডাউনলোড করতে পারবেন এক্ষেত্রে সরকার নিবন্ধিত যে সমস্ত এজেন্সি রয়েছে তাদের মাধ্যমে গেলেও আপনারা ভিসা আবেদন পত্র ডাউনলোড করে সরাসরি আপনারা দূতাবাসে কেউ জমা দিতে পারবেন।
ভিসা ফি
মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ভিসার আবেদন ফ্রি প্রদান করতে হয় এক্ষেত্রে সরাসরি আপনি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি প্রদান করে নিবন্ধন সম্পন্ন করে ফেলুন।
আবেদন পদ্ধতি
এছাড়া যদি সরকারিভাবে আপনি নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মালয়েশিয়াতে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান অথবা স্টুডেন্ট অথবা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো নিয়ে বাংলাদেশের যেকোনো ভিসা এজেন্সির মাধ্যমে গেলেই আপনারা ভিসা আবেদন করতে পারবেন এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ভিসা ফি এবং পাসপোর্ট এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো প্রোভাইড করলেই আপনার ভিসা আবেদন করে দিতে পারবে।
তবে মালয়েশিয়ায় আপনি যদি কাজের ভিসা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান সে ক্ষেত্রে কিন্তু যে কোন এজেন্সির মাধ্যমে করা সম্ভব। শুধুমাত্র সরকারিভাবে কাজের নিয়োগ অনুযায়ী যদি যেতে চান তাহলে বিএমইটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাদেরকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো জমা দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করে তারপরে আপনারা আবেদন করতে পারবেন।
মালয়েশিয়া ভিসা প্রসেসিং ২০২৪
মালয়েশিয়াতে যাওয়ার জন্য ভিসা প্রসেসিং এর জন্য সময় লাগে প্রায় 40 দিনের মত। আপনি যদি সরকারিভাবে করে থাকেন তাহলে সময় আরো বেশি লাগতে পারে তবে যদি আপনি বেসরকারি বা সরকার নিবন্ধিত এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে করেন তাহলে এক মাসের মধ্যেই আপনার ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন হয়ে যায়।
আপনার কাগজপত্র যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে সরকার নিবন্ধিত এজেন্সীগুলোর মাধ্যমে কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই খুব তাড়াতাড়ি আপনারা ভিসা হাতে পেয়ে যাবেন এক্ষেত্রে প্রসেসিং এর সময় সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত লাগতে পারে সর্বোচ্চ একমাস পর্যন্ত।
মালয়েশিয়া ভিসা প্রসেসিং হতে কতদিন লাগে
মালয়েশিয়া ভিসা প্রসেসিং হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ সাত থেকে দশ দিন আর সরকারিভাবে যদি আপনার ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করতে চান তাহলে কিন্তু সময় আরো বেশি লাগতে পারে। সরকার নিবন্ধিত এসএমসিগুলার মাধ্যমে নির্ধারিত যদি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করতে চান সেক্ষেত্রে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির নোটিশ অনুযায়ী অপেক্ষা করতে হবে।
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার পরে পরবর্তী এক মাস পর্যন্ত সময় দেওয়া লাগে এক্ষেত্রে এরই মধ্যে ভেরিফিকেশন সহ সকল প্রসেসগুলো যাচাই-বাছাই করা হয় এবং নির্দিষ্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি চলমান আছে কিনা সে অনুযায়ী আবেদন নিয়ে প্রার্থী যাচাই-বাছাই করে থাকে। এক্ষেত্রে মেডিকেল রিপোর্টসহ আর অন্যান্য বিষয় যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে যথাসময়ে হাতে পাওয়া যায়।
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন 2024
২০২৪ সালে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার জন্য। সরকারি এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাদের প্রথম অবস্থায় নিবন্ধন করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করার পরে নির্ধারিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যদি আপনারা আবেদন করেন তাহলে ২৭ থেকে ৪০ দিনের মধ্যেই ভিসা হাতে পাবেন। তবে এক্ষেত্রে পাসপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় আরো অন্যান্য কাগজপত্রগুলো আবেদন পত্রের সাথে জমা দিতে হবে। আবেদন করার ৪০ দিনের মধ্যেই ভিসা এপ্রুভালের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
২০২৪ সালের সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে সমস্ত ভিসা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে তবে যদি আপনি নির্ধারিত কোন এজেন্সির মাধ্যমে করেন তাহলে তাদের প্রসেস অনুযায়ী আপনাদেরকে ভিসা আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি যত টাকা দিয়ে ভিসা কিনছেন তার সকল প্রসেস গুলো তারাই করে দিয়ে থাকে অনেক ক্ষেত্রে ভিসার সাথে প্রয়োজনে আরো কিছু বিমান ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে থাকে সেগুলো নিশ্চিত হয়ে নিবেন।
আজকে আমরা কথা বলছি মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন ২০২৪ নিয়ে এখানে কলিং ভিসা এবং ফ্যাক্টরি ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসা সহ সকল বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে আপনারা যদি আরও এ বিষয় নিয়ে সচেতন হতে চান বা জানতে চান তাহলে পর্যায়ক্রমে আমাদের সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
মালয়েশিয়া ভিসার বিভিন্ন ধরন
বর্তমানে মালয়েশিয়া তে বিভিন্ন ধরনের ভিসা পাওয়া যাচ্ছে এক্ষেত্রে যদি আপনি কাজের ভিসা অথবা স্টুডেন্ট ভিসা যে কোন ধরনের ভিসা নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে নিতে পারবেন। তবে প্রথম অবস্থায় আপনাকে ভাবতে হবে আসলে আপনি কি ধরনের ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়াতে জানতে চাচ্ছেন যদি আপনি কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে সঠিকভাবে কাজের ভিসা নিয়ে গেলে কোন ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় না।
আজকে আমরা কথা বলবো মালয়েশিয়ার ভিসার ধরন নিয়ে কোন ভিসা নিয়ে যাওয়া উচিত এবং কোন ভিসা নিয়ে যাওয়া উচিত না। পর্যায়ক্রমে আমরা আজকে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক মালয়েশিয়ার সকল ধরনের ভিসা সার্ভিস নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া কলিং ভিসার মাধ্যমে যাওয়া যাচ্ছে এক্ষেত্রে খরচ পড়ছে প্রায় 2 লক্ষ 50 হাজার টাকা থেকে শুরু করে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত তবে এক্ষেত্রে আপনাদেরকে ভালো কোন এজেন্সির সহায়তা নিতে হবে।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা বর্তমানে খোলা আছে কিনা এবং কত টাকা লাগছে তার সকল বিষয়গুলো জানার জন্য আমাদের দেওয়া এই লিংক থেকে খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন। মালয়েশিয়া কলিং ভিসা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুন
মালয়েশিয়া ফ্রি ভিসা
মালয়েশিয়াতে বর্তমানে ফ্রি ভিসা নামক কোন ধরনের ভিসা নাই তারপরেও অনেকেই অবৈধভাবে এই ধরনের ভিসা সার্ভিস করে থাকে এক্ষেত্রে কিভাবে এই ভিসা করা হয় এবং এই ভিসা যাওয়া কতটা নিরাপত্তা সকল বিষয়গুলো জানার জন্য আমাদের দেওয়া নিচের এই অপশন থেকে আপনারা খুব সহজেই পড়ে নিতে পারেন।
মালয়েশিয়া ফ্রি ভিসা সংক্রান্ত বিস্তারিত
মালয়েশিয়া হোটেল ভিসা
২০২৪ সালে মালয়েশিয়া হোটেল ভিসা সম্পূর্ণরূপে চালু আছে এক্ষেত্রে আগের তুলনায় বিশেষ করে নতুন কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া সরকার আরো আগ্রহ দেখাচ্ছে। তাই আপনারা যারা সরকারিভাবে মালয়েশিয়াতে হোটেল ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন অথবা বেসরকারিভাবে নিতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে আজকে আমাদের এই সম্পূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে।
মালয়েশিয়া হোটেল ভিসা বিস্তারিত
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা
বর্তমানে মালয়েশিয়াতে সবথেকে বেশি পরিমাণ কর্মীরা কাজ করে ফ্যাক্টরি ভিসাতে। এখানে বেতন আনুমানিকভাবে অন্যান্য কাজের তুলনায় অনেকটাই ভালো তাই আপনি যদি মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যগুলো আরও জানার জন্য আমাদের এই অপশন থেকে বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে জানুন।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বিস্তারিত
মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪
২০২৪ সালে যারা মালয়েশিয়া তে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে এইচএসসি পাস থাকতে হবে। এবং সেই সাথে পাসপোর্ট এর মেয়াদ ৬ মাস এবং ফাঁকা ৩ পৃষ্ঠা অবশিষ্ট থাকতে হবে। তারপরে আপনারা মালয়েশিয়া তে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে নিতে পারবেন। মালয়েশিয়াতে যাওয়ার জন্য প্রথম অবস্থায় মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অথবা কলেজগুলোতে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হবে আবেদনে টিকে গেলে তারপরে আপনারা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন করার জন্য প্রথম অবস্থায় মালয়েশিয়া দূতাবাসে যেতে হবে অথবা সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে ভিসার আবেদন সম্পন্ন করতে হবে এক্ষেত্রে তাদের মাধ্যমে আবেদন ফরম এবং প্রয়োজন ভিসা ফি প্রদান করার পরে আপনারা মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা পাবেন এক্ষেত্রে সরকারিভাবে এবং বেসরকারিভাবে উভয় ভাবেই কিন্তু আপনাদেরকে সামান্য পরিমাণ খরচ বহন করা লাগে শুধুমাত্র আবেদন করার ক্ষেত্রে।
তবে যদি আপনি বেসরকারিভাবে যেতে চান সে ক্ষেত্রে কিন্তু খরচ আরো ভিন্ন মাত্রই হতে পারে এক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হয় এবং কি কি খরচ হয় এবং কত টাকা পর্যন্ত জমা প্রদান করা লাগে তা সকল বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিতভাবে নিচে তুলে ধরা হয়েছে।
মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসার দাম কত ২০২৪
২০২৪ সালে মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসার দাম ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। তবে যদি আপনি সরকারিভাবে স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে যান অথবা স্কলারশিপ পেয়ে যান তাহলে কিন্তু শুধুমাত্র বিমান ভাড়া সহ অন্যান্য কিছু খরচ লাগতে পারে এক্ষেত্রে খুবই কম খরচের মধ্যে আপনারা মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা হাতে পাবেন।
তবে যদি আপনি নিজের খরচে যেতে চান শুধুমাত্র কাজের উদ্দেশ্য যদি স্টুডেন্ট ভিসা নিতে চান তাহলে কিন্তু বেশি পরিমাণ টাকা দিয়ে স্টুডেন্ট ভিসার নেওয়া লাগে এক্ষেত্রে আপনাদের সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করা লাগবেই তাছাড়া যদি অন্যান্য সার্ভিস চার্জ বাবদ খরচ করা লাগে সেগুলো নিজেকে বহন করা লাগে।
তাহলে স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের নিয়ম ২০২৪
আপনারা যারা ২০২৪ সালে মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করবেন সে ক্ষেত্রে সরকার নিবন্ধিত অথবা বেসরকারি অনেক এজেন্সি রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন নিজেও কিন্তু মালয়েশিয়াতে যাওয়ার জন্য স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। এক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এবং কলেজগুলোতে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার পরে যদি আবেদনে পেয়ে যান তাহলে সরাসরি আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ভিসার জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে প্রথম অবস্থায় আপনাদেরকে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অথবা ভিসা অফিস বা দূতাবাসের মাধ্যমে আপনারা আবেদন করতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই স্টুডেন্ট ভিসার যাবতীয় প্রসেস গুলো এবং প্রয়োজন এপ্রুভাল লেটার নিয়ে যাওয়া লাগবে তারপরে আপনারা স্টুডেন্ট ভিসা হাতে পাবেন।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন ২০২৪
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরির ভিসা আবেদন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বাধ্যতামূলক কেননা মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার ক্ষেত্রে পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হয় এবং সেই সাথে ফাঁকা ৩ পৃষ্ঠা থাকতে হয়। এবং মনে রাখবেন মালয়েশিয়া ভিসা করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো আবেদনপত্রের সাথে সংযোজন করে এজেন্সির সহায়তা নিয়ে জমা দিতে হবে।আমরা উপরে বিস্তারিতভাবে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা কিভাবে আবেদন করবেন এবং এটা খোলা আছে কিনা এবং কতদিন যাবত পর্যন্ত এটার চলমান থাকবে সে বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি তাই পর্যায়ক্রমে আপনারা পড়ে পড়ে এ বিষয়গুলো নিশ্চিত হতে পারবেন পর্যায়ক্রমে আমরা আরো বিষয়গুলো নিয়ে আলোকপাত করা হলো চলুন দেখে নেওয়া যাক।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন পদ্ধতি
ফ্যাক্টরি ভিসাতে আবেদন করার জন্য সরাসরি নিকটস্থ কোন সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে করে নিতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনার পাসপোর্ট এবং এনআইডি কার্ড সহ প্রয়োজনের সকল কাগজপত্র গুলো নিয়ে নির্ধারিত একটি ফি প্রদান করে ফ্যাক্টরি আবেদন সম্পূর্ণ করুন। অন্যান্য কাজের মতোই কিন্তু ফ্যাক্টরি আবেদন করতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনাদের তেমন কোনো কঠিন ডিপার্টমেন্ট থাকে না শুধুমাত্র শারীরিক দক্ষতা থাকলে আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়ে যায়।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন পদ্ধতি আগের মতই আছে শুধুমাত্র অনলাইনে করা হয়েছে এক্ষেত্রে প্রয়োজনে সকল কাগজপত্র গুলো আগের মতই লাগে কি কি কাগজপত্র লাগে তা সকল বিষয়গুলো জানার জন্য এখান থেকে আপনারা জেনে নিতে পারেন।
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন চেক করার নিয়ম
মালোশিয়া ভিসা আবেদন চেক করার জন্য https://eservices.imi.gov.my/myimms/PRAStatus?lang=en ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন তারপরে ভিসা অ্যাপ্লিকেশন নাম্বার লিখে সার্চ বাটনে ক্লিক করলেই প্রথম পাতায় আপনার কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এবং আপনার ভিসার ক্যাটাগরি কি তা সকল তথ্যগুলো দেখা যাবে।
- উপরের দেওয়া লিংকে ক্লিক করুন
- ভিসার নাম্বার প্রদান করুন
- সার্চ বাটনে ক্লিক করুন
- কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিন
- তারপরে সার্চ বাটনে ক্লিক করুন
- প্রথম পাতায় ভিসার ডিটেলস দেখতে পাবেন
উপরের যাওয়া প্রশাস অনুযায়ী আপনারা মালয়েশিয়া ভিসা চেক করে নিতে পারবেন এক্ষেত্রে নতুন নিয়ম হিসেবে এই ওয়েবসাইট থেকে এখন আবেদন পত্রসহ সকল বিষয়গুলো চেক করা যাচ্ছে তাই আপনারা আমাদের দেওয়া ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী খুব সহজেই আপনারা মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন চেক করে নিতে পারবেন।
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন চেক করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য:
মনে রাখবেন মালয়েশিয়া চেক করা কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় বর্তমানে মালয়েশিয়া ভিসার মধ্যে অনেক ধরনের প্রতারণা জড়িয়ে আছে। তাই আপনারা মালয়েশিয়া ভিসা চেক না করে কখনোই মানুষের সাথে যাওয়ার জন্য সুযোগ নিবেন না তাই মানুষের ভিসা চেক করার পরে আপনার ভিসা ডিটেলস সেখানে দেখতে পারবেন এক্ষেত্রে কোম্পানি এবং অন্যান্য বিষয়গুলো দেখতে পারবেন।
তাই মনে রাখবেন মালয়েশিয়া ভিসা না করে কখনোই যাওয়া উচিত আপনার ভিসা আসল না নকল এ বিষয়গুলো এইখান থেকে আপনারা বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন তাই সর্বদা চেষ্টা করুন মালয়েশিয়াতে যাওয়ার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে ভিসা চেক করা তাহলে কোন ধরনের সমস্যা হবে না আশা করা যায়।
আপনার পরিচিত কোন ব্যক্তি যদি থেকে থাকে তাদের মাধ্যমে আপনারা অনলাইনে ভিসা চেক করে নিতে পারেন তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখবেন যে মালয়েশিয়াতে যাওয়ার জন্য অনলাইন থেকে আগে চেক করে নিতে হবে তারপরে পরিচিত কোন ব্যক্তি অথবা ভিসা এজেন্সির সহায়তা নিতে পারেন।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা আবেদন ২০২৪
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা আবেদন করার জন্য বাংলাদেশের প্রত্যেকটি সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে আপনারা মালয়েশিয়া কলিং ভিসা আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই ছয় মাস মেয়েদের পাসপোর্ট এবং এনআইডি কার্ড সহ নির্দিষ্ট কাজের উপর একটি দক্ষতার প্রমাণ নিয়েই আপনারা কলিং ভিসার আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন।
আবেদন করার জন্য নিকটস্থ একটি ব্রাঞ্চে পাসপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ ভিসা ফি নিয়ে পরিশোধ করে নিবন্ধন সম্পন্ন করুন পরবর্তী ৪০ দিনের মধ্যে আপনারা মালয়েশিয়া কলিং ভিসা হাতে পাবেন এবং বছরের যে কোন দিন আপনারা মালয়েশিয়া কলিং ভিসার মাধ্যমে আপনারা বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে নিতে পারবেন।
মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে 2024
আপনারা জেনে খুশি হবেন যে মালয়েশিয়ার সমস্ত ধরনের ভিসা সার্ভিস এখন পর্যন্ত চলমান রয়েছে। যারা ২০২৪ সালে কাজের ভিসা মালয়েশিয়া কলিং ভিসা যে কোন ধরনের ভিসা সার্ভিস নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোন ধরনের সমস্যা হচ্ছে না। তাই আপনারা যারা যেতে চাচ্ছেন বর্তমানে এই সময়ের মধ্যে তারা একটু খরচ বেশি লাগলো চলে যেতে পারবেন তবে আগের তুলনায় বেতন কিন্তু অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে তাই নতুন কাজের দক্ষতা অনুযায়ী যদি যেতে চান তাহলে যেতে পারবেন।
২০২৪ সালে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জনিত কোন ধরনের সমস্যা এখন পর্যন্ত শুরু হয়নি। ভিসা যদি বন্ধ হয়ে যায় তারপরেও কিন্তু অনেকেই অনেক ভাবে যাওয়ার প্রসেস করে নিতে পারে এক্ষেত্রে ইন্ডিয়ার মাধ্যমেও যাওয়ার সুযোগ থাকে তাই আপনারা যারা যেতে চাচ্ছেন তারা কিন্তু চাইলেই যে কোন সময় যেকোনো মুহূর্তেই পরিষ্কার কলিং ভিসা নিতে পারবেন না আবেদন করে।
মালয়েশিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্ট লিস্ট ইন বাংলাদেশ ২০২৪
মালয়েশিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি লিস্ট একটি প্রকাশ করা হয়েছে যেখান থেকে আপনারা সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি এবং বেসরকারি এজেন্সি কোনগুলো সেগুলো জানতে পারবেন এবং কত টাকা খরচ হয় সরকার নিবন্ধিত এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে সেগুলো বিস্তারিত ভাবে জানুন। বিস্তারিত
এখানে আমরা পর্যায়ক্রমে সরকার নিবন্ধিত এজেন্সিগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং এই সমস্ত সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি গুলোর নির্ধারিত একটি লাইসেন্স নাম্বার আছে এবং কোন ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ এখানে চলে না তাই আপনারা যারা সরকারি ভাবে এই সমস্ত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যাতে চাচ্ছেন তারা এখান থেকে আপনারা খুব সহজেই দেখে নিতে পারেন।
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন নিয়ে প্রশ্ন ও উত্তর
মালয়েশিয়া কলিং ভিসার সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যগুলো আজকে আমরা এখানে প্রকাশ করেছি এ পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বিষয়গুলো প্রশ্ন সহকারে বিস্তারিতভাবে নিচে তুলে ধরা হলো পর্যায়ক্রমে এগুলা জেনে নিন এবং ২০২৪ সালে নতুন কি কি নিয়ম চালু হয়েছে সেগুলো জানতে পারবেন।
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদনের সময় কত দিন
বছরের যে কোন সময় মালয়েশিয়ার যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া চলমান থাকে তাই আপনি সরকারি ছুটি বাদ দিয়ে যে সমস্ত দিন একেবারে অফিস কর্মদিবস চলে সেই সমস্ত দিনগুলোতে আপনারা মালয়েশিয়াতে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং 10 থেকে 15 দিন সময়ের মধ্যেই ভিসা হাতে পাবেন তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো কোন এজেন্সির সহায়তা নিতে হবে।
মালয়েশিয়া ভিসার মেয়াদ কত দিন
মালয়েশিয়াতে আপনি যেকোনো ধরনের যেকোনো মেয়াদের ভিসা নিতে পারবেন এক্ষেত্রে কাজের ভিসার মেয়াদ সাধারণত দুই বছর থেকে পাঁচ বছর হয়ে থাকে এবং টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ তিন মাস। এক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ভিসা বা অন্যান্য ভিসার ক্ষেত্রে কিন্তু সেই নিয়ম অনুযায়ী ভিসার মেয়াদ থাকে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও অনেকেই থাকে এবং ভিসা রিভিউ করার সুযোগ করে নিতে পারে।
মালয়েশিয়া ভিসা নবায়ন করা যায় কি
আপনি যদি মালয়েশিয়াতে থাকা অবস্থায় আপনার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তাহলে কিন্তু আপনি ভিসা নবায়ন করার সুযোগ করে নিতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন আপনি যদি অবৈধভাবে সেখানে থাকার পরে নবায়ন করতে চান সে ক্ষেত্রে কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় তাই অবশ্যই ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আপনার এজেন্সির মাধ্যমে অথবা দূতাবাসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ভিসা নবায়ন করে নিতে পারবেন।
মালয়েশিয়া যেকোনো ধরনের ক্ষেত্রে কিন্তু আবারো নতুন ভাবে এই বিষয়ে 90 দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে এবং সেই সাথে প্রয়োজনীয় ফি এবং আরো অন্যান্য সংক্রান্ত তথ্যগুলো দেখানো লাগতে পারে। তাই অবশ্যই সেই অনুযায়ী মালয়েশিয়া ভিসা করার ক্ষেত্রে সজাগ থাকা উচিত এবং সঠিকভাবে প্রয়োজনে তথ্যগুলো সংযোজন করা উচিত।
মালয়েশিয়া ভিসা সংক্রান্ত তথ্য কোথায় পাবেন
মালয়েশিয়া ভিসা সংক্রান্ত তথ্যগুলো বর্তমানে অনলাইন এর মাধ্যমে খুব সহজেই পাওয়া যায় তবে যদি আপনি আরো বিস্তারিতভাবে জানতে চান তাহলে কিন্তু সরকার নিবন্ধিত অনেকে এজেন্সি রয়েছে অথবা বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে বি এম ই টি প্রতিষ্ঠান থেকে খুব সহজেই আপনারা মালয়েশিয়া তে যাওয়ার জন্য এবং ভিসা সংক্রান্ত এবং নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য গুলো জেনে নিতে পারবেন।
পর্যায়ক্রমে আমরা অন্যান্য ভিসা সংক্রান্ত তথ্য গুলো জানতে পারবো আশা করি আজকে আপনাদের এই পর্যন্তই জানানো হয়েছে পরবর্তীতে অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়েও বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন