সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা, খরচ, এজেন্সি, বয়স, বেতন, নিয়োগ, আবেদন বিস্তারিত

    সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা, খরচ, এজেন্সি, বয়স, বেতন, নিয়োগ, আবেদন বিস্তারিত


    সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকা এবং সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য ভিসা কিভাবে পাবেন এবং সিঙ্গাপুর যাওয়ার এজেন্সি কোনগুলো এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং কি কি দক্ষতা থাকা লাগে তা সকল বিষয়গুলো এই কন্টেন্টের মধ্যেই তুলে ধরবো। আজকের এই কনটেন্ট এর মধ্যে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য কোন পদ্ধতিতে এখনো উচিত এবং তাদের মাধ্যমে যাওয়া উচিত এবং বেতন কত কোন কাজের চাহিদা বেশি তা সকল বিষয়গুলো জানা যাবে


    সিঙ্গাপুরে বর্তমানে কর্মী চাহিদা অনেক বেশি দেখা দিচ্ছে। সেই সাথে বিগত বছরগুলোর তুলনায় নতুন বছরে বেশি সংখ্যক কর্মী নেবে সিঙ্গাপুর সরকার। প্রত্যেক বছরেই বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ সিঙ্গাপুরে কাজের উদ্দেশ্যে যাই। তাই আপনারা যারা নতুন ভাবে সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তাদের মধ্যে অনেকেই অনেক ধরনের প্রশ্ন থাকে সকল প্রশ্নগুলো একসাথে করে আমরা একটা কন্টেন্টের মধ্যেই বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি এই কনটেন্টটি যদি আপনারা সম্পূর্ণভাবে পড়েন তাহলে সিঙ্গাপুর নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্নের উত্তর এখানেই পেয়ে যাবেন


    বর্তমানে বাংলাদেশে সিঙ্গাপুরের সকল ধরনের ভিসা প্রসেস চালু আছে আপনারা যারা টুরিস্ট ভিসা স্টুডেন্ট ভিসা এবং সকল ধরনের ভিসা নিয়ে যেতে চান তারা চাইলে সরকার নিবন্ধিত এজেন্সিগুলার মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হবে এবং কি কি কাগজপত্র লাগবে এবং কাজের জন্য যাওয়ার ক্ষেত্রে কি কি দক্ষতা দেখানো লাগে এবং দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে কিভাবে আপনারা পরীক্ষা দিবেন এবং প্রশিক্ষণ কোথায় নিবেন তা সকল বিষয়গুলো দেখে নিন



    প্রথমে আমরা আজকে আলোচনা করব সিঙ্গাপুরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কি কি বাধার সম্মুখীন হতে হয় এবং প্রতারণামূলক কার্যকলাপ কি কি জড়িত আছে এবং কত বছর বয়স লাগে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে এই উত্তরগুলো জেনে নেওয়া যাক আমাদের প্রত্যেকটি টাইটেলে বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে


    সিঙ্গাপুর যেতে কত বয়স লাগে কাজের জন্য

    কাজের ভিসাতে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য বয়স ১৮ থেকে ৫০ বছর হতে হবে। স্টুডেন্ট ভিসার জন্য বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত। টুরিস্ট ভিসাতে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত কোন বয়সসীমা থাকে না। যে কোন বয়সেই যাওয়ার সুযোগ থাকে তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসা ভিসা ও অন্যান্য ভিসার ক্ষেত্রেও কিন্তু নির্দিষ্ট কোন বয়সসীমা থাকে না যে কোন বয়সেই যাওয়া যায়


    তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিন্তু কাজের ভিসা নেওয়ার জন্যও নির্ধারিত বয়সসীমা উল্লেখ করা থাকে। সিঙ্গাপুরের বিশেষ কিছু কোম্পানি রয়েছে যারা কিনা বয়সসীমা উল্লেখ করে দেয় সেই সাথে শিক্ষাগত যোগ্যতা বা প্রশিক্ষণের সনদ দেখানো লাগে। এক্ষেত্রে অনেক জবের সার্কুলার আসে যেগুলোতে বয়সসীমা ২১ বছরের বেশি হতে হয় আবার অন্যান্য কাজের ভিসারগুলোতেও মূলত ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সীমা উল্লেখ থাকে


    তাই আপনি যখন যে কোম্পানির মাধ্যমে কাজে যাবেন সেই কোম্পানি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যগুলো জেনে নিবেন এবং তাদের বয়সসীমা কত এবং কিভাবে যাওয়া যায় এবং প্রসেস গুলো কি এবং কি কি কাগজপত্র থাকা লাগবে তা সেখানেই উল্লেখ থাকবে তাই আপনি যখন যাবেন সিঙ্গাপুরে সেখানে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বয়সসীমা কত দেওয়া আছে সেটা আগে থেকেই দেখে নেওয়া উচিত


    সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা ২০২৪

    সিঙ্গাপুর ভিসা করতে খরচ পড়বে পাঁচ লক্ষ টাকা থেকে ৭ লক্ষ টাকা। সরকারি অনুযায়ী যদি আপনারা সিঙ্গাপুরের ভিসা করেন তাহলে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যেই সরকারিভাবে যাওয়া যায়। স্টুডেন্ট ভিসাতে সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য খরচ পড়ে তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে টুরিস্ট ভিসা বা অন্যান্য ভিসা নেওয়ার জন্য ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ পড়ে। তবে যদি এর থেকে ভালো মানের কাজ নিয়ে আপনারা সিঙ্গাপুরে যেতে চান তাহলে কিন্তু আরো বেশি পরিমাণ টাকা খরচ হতে পারে


    সিঙ্গাপুরে ভালো মানের কাজ নিয়ে যেতে হলে বাংলাদেশী যে সমস্ত এজেন্সি গুলো রয়েছে এই এজেন্সি গুলো বেশি দামে সেই সমস্ত ভিসা বিক্রি করে থাকে। তবে ভালো মানের কাজ নিয়ে যেতে হলে কিন্তু শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি দক্ষতা এবং অন্যান্য একটিভিটিস থাকতে হয়। তাই আপনি যদি ভাল মানের কাজ নিয়ে বাংলাদেশ থেকেই সিঙ্গাপুরে যেতে চান এবং পাঁচ বছর মেয়াদী ভিসা নিতে চান সে ক্ষেত্রে কিন্তু ৮ লাখ টাকাও খরচ হতে পারে


    • স্টুডেন্ট ভিসা ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা
    • কাজের ভিসা ৫ লক্ষ টাকা
    • বিজনেস ভিসা ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা
    • টুরিস্ট ভিসা ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা
    • ড্রাইভিং ভিসা ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা


    তাই আপনি যখন আপনার এজেন্সির মাধ্যমে যাচ্ছেন তখন তাদের মাধ্যমে বিষয়টি ক্লিয়ার হয়ে নিবেন। অনেক সময় যাতায়াত খরচ এবং অন্যান্য খরচ বাবদ কিন্তু সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য আলাদা আলাদা ভাবে খরচ বহন করা লাগে তবে আপনি আপনার এজেন্সির মাধ্যমে এই বিষয়টি নিশ্চিত করে নিবেন যে আসলে সিঙ্গাপুরের যাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ পড়ে এবং কি কি খরচ পড়তে পারে


    বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন


    সিঙ্গাপুর বেতন কত ২০২৪

    সিঙ্গাপুর একজন সাধারণ কর্মীর মাসিক বেতন ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। সিঙ্গাপুরে একজন অন্যতমনের কাজের বেতন ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। সিঙ্গাপুরে কাজের উপর ডিপেন্ড করে বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কোম্পানিতে যদি কাজ করে থাকেন তাহলে নির্ধারিত একটি সেলারি অনুযায়ী প্রত্যেক মাসে বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়া নিজের ইচ্ছামত এবং ঘন্টা যদি কাজ করেন তাহলে মাসিক বেতন আরো বেশি পাওয়া যায়


    আজকে আমরা এখানে আলোচনা করেছি সাধারণত শ্রমিকদের বেতন নিয়ে। তাই বাংলাদেশ থেকে যারা বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুরে যেয়ে থাকে তাদের বেতন ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সাধারণত একজন এগ্রিকালচার অথবা ক্লিনার ম্যান হিসেবে যারা কাজ করে তাদের বেতন দেড় লক্ষ টাকার মত। তবে আরো বেশি পরিমাণ বেতন পাওয়া সম্ভব হবে যখন আপনি আইটি সেক্টরগুলোতে কাজ করবেন তখন

    • কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন ২ লক্ষ টাকা
    • পাইপ ফিটিং কাজের বেতন ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা
    • ড্রাইভিং কাজের বেতন ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা
    • ডেলিভারি ম্যান এর কাজের বেতন ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা
    • হোটেল কর্মীর কাজের বেতন ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা
    • গার্মেন্টস কর্মীর কাজের বেতন ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা


    মূলত সিঙ্গাপুরে এক এক কাজে এক এক রকম বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে তবে সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এবং কাজের চাহিদা বেশি থাকার কারণে দৈনন্দিন জীবনে আরও বেতন বেশি বৃদ্ধি করা হচ্ছে সেই সাথে শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধা এবং অন্যান্য বিষয়গুলো দেখা হয়ে থাকেতবে সব কোম্পানিতে একই রকম ভাবে কাজ করতে পারবেন তা কিন্তু না এক্ষেত্রে আপনার কোম্পানির সঙ্গে যদি আপনি চুক্তিবদ্ধ হয়ে থাকেন এবং সেই অনুযায়ী যদি কাজ করার পরেও অফ টাইমে কাজ করার সুযোগ পান তাহলে মাস গেলে ৩ লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব


    সিঙ্গাপুরের সর্বনিম্ন কাজের বেতন

    সিঙ্গাপুর একজন কর্মীর সর্বনিম্ন কাজের বেতন ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে সিকিউরিটি গার্ড বা অন্যান্য সেবা কাজের জন্যই মূলত এ ধরনের বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। তবে সব কাজে কিন্তু একই রকম নিম্নমানের বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে না এক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজের উপর ডিপেন্ড করে এবং সময়ের উপর ডিপেন্ড করেই মূলত বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে


    তাছাড়া যে কোন কোম্পানির মাধ্যমে যদি এই সমস্ত নির্ধারিত কাজে নিয়োগ থাকেন তাহলে বেতনসহ কিন্তু অন্যরকম এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা হয়ে থাকে তাই আপনি যখন নির্ধারিত কাজের জন্য সিঙ্গাপুরে যাবেন তখন বেতন অন্যান্য কাজের তুলনাই ভালো পরিমাণ আসবে সেই সাথে সুযোগ-সুবিধা এবং থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা কোম্পানি বহন করে থাকে


    সিঙ্গাপুরের সর্বোচ্চ কাজের বেতন

    সিঙ্গাপুরে একজন কর্মীর সর্বোচ্চ বেতন ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। তবে এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ এবং শ্রমিকদের বেতন কিন্তু আরো বেশি পরিমাণ হয়ে থাকে তবে যদি আইটি সেক্টরগুলোতে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায় তাহলে বেতন আরো বেশি পরিমাণ হতে পারে এক্ষেত্রে অনেকেই এক মাসে 7 লক্ষ 50 হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করার সুযোগ পায়


    সিঙ্গাপুরে ভালো বেতনে কাজ করতে হলে অবশ্যই দক্ষতা জরুরী দক্ষতা থাকলে সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন কোম্পানিতে ভালো বেতনে চাকরি পাওয়া সম্ভব। সেই সাথে সুযোগ সুবিধা এবং বেতন এবং অন্যান্য সেবা গ্রহণ করা যায়। ভালো কর্মীদের চাহিদা বরাবরই সিঙ্গাপুরে বেশি থাকে তাই আপনি যদি ভালো মানের কাজ নিয়ে সিঙ্গাপুরে যেতে চান এবং অভিজ্ঞ এবং শিক্ষিত পাঁচজন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বেতন তিন লক্ষ টাকার উপরেই পাওয়া যায়


    সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪

    সিঙ্গাপুরে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি। হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট কর্মী এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মীর চাহিদা ও বেশি দেখা যায়। বর্তমানে ভবন নির্মাণ কাজের চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে। তাই বর্তমানে যারা সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তারা নির্মাণ কাজের জন্য যেতে পারেন এক্ষেত্রে বর্তমানে চাহিদা বেশি এবং তুলনামূলকভাবে এই সেক্টরে বেতন বেশি পাওয়া যাচ্ছে


    সিঙ্গাপুরের যে কোন কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু অবশ্যই দক্ষতা জরুরি দক্ষতা ছাড়া কখনো সিঙ্গাপুরের কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়া যায় না। প্রথম অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে আপনাদেরকে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হবে আপনি যদি সফটওয়্যার ডেভলপার হয়ে থাকেন অথবা একজন ইঞ্জিনিয়ার বা নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেও থাকেন তারপরে আপনাকে অবশ্যই দক্ষতা থাকা লাগবে


     রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি কোথায় জেনে নিন


    সিঙ্গাপুরে চাহিদা সম্পন্ন কাজের তালিকা ২০২৪

    • সফটওয়্যার
    • ডিজিটাল মার্কেটিং
    • হোটেল কর্মী
    • নার্স
    • পরিছন্নতা কর্মী
    • সিকিউরিটি গার্ড
    • ফ্যাক্টরি শ্রমিক
    • নির্মাণ শ্রমিক
    • ডেলিভারি বয়
    • কেয়ারিং ম্যান
    • এগ্রিকালচার
    • ফুড প্যাকেজিং
    • ফুড কালেক্ট
    • ডাইভিং
    • সেফ


    এছাড়া বর্তমানে আরো অন্যান্য কাজের চাহিদা রয়েছে তবে এক্ষেত্রে বর্তমানে সব থেকে বেশি পরিমাণ কাজের চাহিদা এগুলো। ২০২৪ সালের নতুন ভাবে কিছু সেক্টর চালু হবে যেগুলো থেকে বাংলাদেশ এবং অন্যান্য বিদেশেরাও কাজ করার সুযোগ পাবে তবে আপনারা কিভাবে সমস্ত সেক্টরে এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো থাকবে তা নিয়ে বিস্তারিত প্রকাশ করা হলো


    বর্তমানে যারা সিঙ্গাপুরে চাহিদা সম্পন্ন কাজ নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু ভিন্ন রকম পদ্ধতিতে এখন থেকে যাওয়া লাগবে। চাহিদা সম্পন্ন কাজগুলোর ক্ষেত্রে মূলত ডিপেন্ড করে আপনি কি ধরনের কাজ নিয়ে যাচ্ছেন এবং কত দিনের অভিজ্ঞতা আছে তার উপর। সেসাথে আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড বিষয়গুলো দেখভাল করা হয় তাকে আপনি কোন কোম্পানিতে কতদিন কাজ করেছেন এবং কি ধরনের কাজে নিয়োজিত ছিলেন পূর্বে সিঙ্গাপুরের কোথাও কাজ করেছেন কিনা এ ধরনের অভিজ্ঞতা থাকলে কিন্তু সুযোগ-সুবিধা এবং বেতন বেশি পাওয়া যায়


    বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট ২০২৪

    • নোভো ইয়ার লিমিটেড
    • হসপিটাল সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড
    • রিজেন্সি ট্রাভেলস লিমিটেড
    • সাইমন ওভারসিজ
    • সিল্কওয়েজ কার্গো সার্ভিসেস লিমিটেড
    • ইউনিয়ন টুরস এন্ড ট্রাভেলস লিমিটেড
    • ভ্যালেন্সিয়া এয়ার ট্রাভেলস লিমিটেড
    • ভেক্টরী ট্রাভেলস লিমিটেড
    • টেলন কর্পোরেশন লিমিটেড
    • ডিসকভারি টুর অ্যান্ড লজিস্টিক

    সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে এই এজেন্সি গুলো সব থেকে ভালো। বাংলাদেশের মধ্যে সরকার নিবন্ধিত এজেন্সির তালিকার মধ্যে উন্নত মানের এই এজেন্সি গুলো। যারা বর্তমানে সরকারিভাবে অথবা বেসরকারিভাবে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন তারা চাইলে এই এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যেতে পারেন এক্ষেত্রে বিশ্বস্ততার সাথে সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা নিয়ে অথবা অন্যান্য যে কোন ধরনের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন


    সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার এজেন্সি আপনি যখন ভাল কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন তখন কিন্তু ভালো পরিমাণ বেতন পাবেন এবং সুযোগ সুবিধা এবং অন্যান্য বিশেষ সাপোর্ট পাবেন। অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা কিনা প্রতারণামূলক কার্যকলাপের সাথে জড়িত তাই অবশ্যই এজেন্সি গুলো যাচাই-বাছাই করে তাদের সাথে কথা বলে সেই ভাবে আপনাদেরকে যেতে হবে তা না হলে কিন্তু আপনার মূল্যবান টাকা নষ্ট হতে পারে


    সরকারিভাবে সিঙ্গাপুর যাওয়ার উপায় ২০২৪

    সরকারিভাবে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য বি এম ইটির নিয়োগ অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে জানুয়ারি মাস থেকে সরকারিভাবে সিঙ্গাপুরের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া চালু হচ্ছে। ছাড়া যদি আপনারা সরকার নিবন্ধিত এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যেতে চান তাহলে বছরের বিভিন্ন সময় এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তারা প্রকাশ করে থাকে। এখান থেকে আপনারা তিন মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে সরাসরি সরকারিভাবেও সিঙ্গাপুরে যেতে পারবেন


    তাছাড়া বাংলাদেশের প্রত্যেকটা বিভাগীয় পর্যায়ে গুলোতে টিটিসি কেন্দ্র রয়েছে সেখান থেকে আপনারা সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন এক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হবে এবং কিভাবে কোথায় প্রশিক্ষণ নিবেন এই নিয়ে বিস্তারিতভাবে নিচে আমরা প্রকাশ করেছিসিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য অবশ্যই সরকারি নিবন্ধন অনুযায়ী যেতে হবে এক্ষেত্রে আপনার মেডিকেল রিপোর্ট এবং শারীরিক দক্ষতার উপর ভিত্তি করেই মূলত সরকারিভাবে নিয়োগ দিয়ে থাকে


    সরকারি ভাবে যাতে পারলে সব থেকে ভালো সুবিধা পাবেন এক্ষেত্রে খরচ অনেক কম লাগবে এবং একেবারে বিশ্বস্ততার সাথে যেতে পারবেন এবং ভালো মানের কাজ সে সাথে সুযোগ সুবিধা বিষয়গুলোর জন্য ভালো সাপোর্ট পাবেন তাই অবশ্যই সরকারিভাবে প্রথম অবস্থায় যাওয়ার চেষ্টা করুন। সরকারিভাবে যাওয়ার জন্য প্রথম অবস্থায় বুয়েসেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করে রাখুন


    বিদেশ যাওয়ার আগে যেগুলো জানা জরুরী


    সিঙ্গাপুর ভিসা আবেদন ২০২৪

    সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য যেকোনো সরকারী এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে আপনারা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সরকারিভাবে সিঙ্গাপুরে যেতে হলে প্রথম অবস্থায় বি এম ই টি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। বছরের যে কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদন করলেই সিঙ্গাপুরে সিঙ্গাপুরের ভিসা পাওয়া যাবে


    সিঙ্গাপুরের ভিসা আবেদন করার সময় অবশ্যই কিন্তু নির্দিষ্ট একটি দক্ষতার প্রমাণ দেখানো লাগে। তাই আপনার যদি নির্দিষ্ট কোন কাজের দক্ষতা প্রমাণ থাকে যেমন ইলেকট্রনিক্স, হার্ডওয়ার, মেকানিক্যাল, আরো নানান ধরনের কাজের যদি অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে সেই অনুযায়ী আপনারা ভিসার জন্য আবেদন করবেন। বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পেয়ে থাকে আজকে আমরা কয়েকটি বড় বড় কোম্পানি বা এজেন্সি রয়েছে যারা কিনা প্রত্যেক মাসেই একটি করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে সেগুলো নিয়ে বিস্তারিতভাবে নিচে তুলে ধরবো


    মনে রাখবেন সিঙ্গাপুরে দক্ষ শ্রমিক ছাড়া কিন্তু কাজের আওতা ভুক্ত করা হয় না। তাই আপনি যদি সিঙ্গাপুরে যেতেই চান তাহলে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি কাজের উপর দক্ষতা থাকা লাগবে তা না হলে কিন্তু কখনো সম্ভব হবে না। তাই বাংলাদেশের অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে অথবা সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন কাজের উপর প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ থাকে। তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে সেই বিষয়গুলো দেখে নেওয়া যাক


    সিঙ্গাপুর ভিসা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

    সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র দূতাবাসে এবং এজেন্সিতে জমা দেওয়া লাগে। এই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া কিন্তু সিঙ্গাপুরের ভিসা এবং সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন কাজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করা যায় না। এক্ষেত্রে কি কি কাগজপত্র লাগে এবং কত টাকা খরচ হয় এ সমস্ত কাগজপত্র উত্তোলন করতে তা সকল বিষয়গুলো নিয়ে নিচে আমরা পর্যায়ক্রমে আলোচনা করলাম

    • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
    • এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
    • ছয় মাস মেয়াদী ভ্যালিড পাসপোর্ট
    • রিসেন্ট তিন মাসের মেডিকেল রিপোর্ট
    • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
    • নির্দিষ্ট কাজের উপর দক্ষতার প্রমাণ
    • লাস্ট শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ

    এ ছাড়া আরও প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র লাগে যেগুলো আপনার এজেন্সি অথবা দূতাবাস আপনাকে জানিয়ে দিবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র কিন্তু সত্যায়িত করে তারপরে জমা দিতে হবে এক্ষেত্রে অনলাইনের মাধ্যমে যদি আপনাদের জমা দিতে বলা হয় তবে অবশ্যই স্ক্যান করে অনলাইনে ফটো আকারে সেগুলো জমা দিতে হবে


    আপনার নাম ঠিকানা অথবা কোন প্রয়োজনীয় তথ্য যদি সমস্যা থাকে বা ভুলত্রুটি থেকে থাকে তাহলে কিন্তু আগেই সংশোধন করে নিতে হবে তা না হলে কিন্তু ভিসা অথবা আপনার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। তাই অবশ্যই এনআইডি কার্ডের নাম এবং পাসপোর্ট এর নাম একই আছে কিনা এবং বয়স ঠিকঠাক আছে কিনা দেখে তারপরে জমা দিন


    সিঙ্গাপুর টুরিস্ট ভিসা কত টাকা ২০২৪

    বর্তমানে সিঙ্গাপুর টুরিস্ট ভিসা করতে করতে খরচ হচ্ছে প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। বিমানে যাতায়াতের টিকিট সহ এর মধ্যে খরচ নির্ধারণ করা আছে। যেই এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন সেই এজেন্সি বিমান ভাড়া সহ অন্যান্য খরচ তারা বহন করবে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। মূলত বাংলাদেশের অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা কিনা দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যে বিমান ভাড়া যাওয়া এবং আশা সকল খরচ বহন করে থাকে


    অনেকের পরিচিত কোন ব্যক্তি যদি থাকে তাহলে সিঙ্গাপুরে টুরিস্ট ভিসা নিয়েও কাজ করার সুযোগ করতে পারবেন এক্ষেত্রে প্রথম অবস্থায় আপনাদেরকে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সিঙ্গাপুরে প্রবেশ করতে হবে পরবর্তীতে যে কোন একটি কাজের ভিসাতে আপনারা কনভার্ট করে নিতে পারবেন সেক্ষেত্রে পুনরায় আবার দেড় লক্ষ বা দুই লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। তাই আপনারা যখন যাবেন পরিচিত কোন ব্যক্তির মাধ্যমে গিয়ে কাজ করতে পারবেন


    তবে মনে রাখবেন সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পরে কিন্তু প্রথম অবস্থায় আপনাদের একটি কাজ খুঁজে বের করতে হবে কাজ না হলে সেখানে আপনারা অবস্থান করতে পারবেন না তবে অবশ্যই যে কোন মূল্যে ভিসা কনভার্ট করে নিয়ে তারপরে সেখানে থাকার জন্য আপনারা স্থায়ী হতে পারবেন। কেননা সিঙ্গাপুরে অবৈধভাবে থাকা একেবারে অসম্ভব তাই অবশ্যই চেষ্টা করুন তাড়াতাড়ি আপনার ভিসা কনভার্ট করে কাজের ভিসাতে চলে আসা


    রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি?


    সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিং হতে কতদিন লাগে

    সিঙ্গাপুর ভিসা আবেদন শেষ হওয়ার প্রায় ৪৫ দিনের মত ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগে। এক্ষেত্রে যদি আপনি সরকার নিবন্ধিত এজেন্সীগুলোর মাধ্যমে করে থাকেন তাহলে কিন্তু ট্রেনিং সহ এরকমই সময় লাগবে। সরকারি বেসরকারি যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকেই আপনি করেন না কেন আপনার ট্রেনিংসহ বিস্তারিত সকল কার্যক্রম সম্পাদন করার পরেও মূলত ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগে


    নতুন বছর উপলক্ষে সিঙ্গাপুরে আবারো নতুনভাবে ভিসা কার্যক্রম শুরু হয়েছে এক্ষেত্রে কিছুটা দেরি হতে পারে তবে আগের মত আর দেরি হচ্ছে না এখন সরাসরি বাংলাদেশের সকল এজেন্সি গুলোর মাধ্যমেই ভিসা প্রসেসিংয়ের কার্যক্রম গুলো সম্পাদন করা হচ্ছে। তাই আপনি যেকোন এজেন্সির মাধ্যমে গেলেই আপনারা নিজের ইচ্ছামত কাজ বাছাই করে এবং সে অনুযায়ী ট্রেনিং করে সিঙ্গাপুরে যেতে পারবেন


    সিঙ্গাপুরে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার নিবন্ধিত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যাওয়া উচিত তা না হলে কিন্তু প্রতারণার শিকার হতে পারেন যতদিন সময় লাগুক না কেন সরকার নিবন্ধিত অথবা যেকোনো পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করুন তা না হলে কিন্তু সিঙ্গাপুরের বিষয়গুলো না বুঝতে পারলে আপনার বড় অংকের টাকা কিন্তু হাতে নিতে পারে তাই অবশ্যই চেষ্টা করুন এজেন্সি এবং অনলাইনের মাধ্যমে এগুলো চেক করে তারপরে যাওয়া


    সিঙ্গাপুর যেতে কত বয়স লাগে ২০২৪

    ২০২৪ সালে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য বয়স অনেক ধারণা করা আছে ১৮ থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত। তবে এক্ষেত্রে যেই কাজের উপর যাচ্ছেন সেই কাজের বয়সসীমা কত উল্লেখ করা আছে সেই অনুযায়ী মূলত বয়স নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। যদি আপনি ভাল কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে চান সেখানে যদি অভিজ্ঞ কোন ব্যক্তি চেয়ে থাকে তাহলে বয়স সীমা কিন্তু ৩৫ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে হওয়া লাগে। আবার অনেক কোম্পানি আছে যারা কিনা কম বয়সের নিয়োগ দিয়ে থাকে


    মূলত এটি নির্ভর করে আপনি কি ধরনের কাজ করবেন এবং কতদিনের অভিজ্ঞতা কোম্পানি নিবে তার উপর। তাই আপনার কাজের এবং বয়স সীমা অনুযায়ী যে কোন কাজে আবেদন করে আপনারা সে অনুযায়ী সিঙ্গাপুরের ভিসা করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন সিঙ্গাপুরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু অবশ্যই প্রশিক্ষণ জরুরী


    সিঙ্গাপুর শ্রমিক নিয়োগ ২০২৪

    ২০২৪ সালে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে প্রায় ১২ হাজারের মতো কর্মী নিয়োগ দেবে সিঙ্গাপুর সরকার। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে ৬ হাজারের মতো প্রথম অবস্থায় কর্মী নিবে। সিঙ্গাপুরের বেশ কিছু কোম্পানিতে এই সার্কুলার প্রকাশ করা হয়েছে তাই বাংলাদেশের এজেন্সি গুলো মূলত এই সার্কুলার অনুযায়ী তাদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে

    কাজের ধরন: ফ্যাক্টরি কর্মী
    কাজের বেতন: ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা
    কাজের সময়: দৈনিক 10 ঘন্টা
    বয়সসীমা: ১৮ থেকে ৩৫
    কর্মী সংখ্যা: ১৭০০ জন
    আবেদনের নিয়ম: নিচে দেখুন
    আবেদন করতে: ক্লিক করুন


    ২০২৪ সালে আরও ব্যাপকভাবে কর্মী নিয়োগ দেবে তবে এক্ষেত্রে না ড্রাইভিং ভিসা বা অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে কিন্তু কর্মী নিয়োগ দেওয়ার কথা রয়েছে তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের সার্কুলার প্রকাশ করা হয়নি প্রকাশ হওয়া মাত্রই আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করব সেইসাথে সরকার নিবন্ধিত সকল পর্যায়ের ওয়েবসাইটগুলোতেই আপনারা এ ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পাবেন চলুন তাহলে পর্যায়ক্রমে আরও বিস্তারিত দেখে নেওয়া যাক


    সিঙ্গাপুর এজেন্সি ইন বাংলাদেশ

    বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক সরকারি এজেন্সির হয়েছে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য। তবে মনে রাখবেন এ সমস্ত এজেন্সিগুলোতে সিঙ্গাপুরের ভিসা করার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রশিক্ষণসহ সকল বিষয়গুলোই তারা সাপোর্ট দিয়ে থাকে। সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের স্বনামধন্য একটি এজেন্সির নাম হলো সাইমন ওভারসিজ এজেন্সি। এই এজেন্সির মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য আপনারা সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন


    এছাড়া আরো অনেক এজেন্সি রয়েছে যে সমস্ত এজেন্সি গুলো সিঙ্গাপুরে যে কোন কাজের ভিসা অথবা টুরিস্ট ভিসা বা অন্যান্য যেকোনো ধরনের ভিসা নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে পারবে তবে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বা নতুন নতুন কাজের সুযোগ অনুযায়ী যদি যেতে চান তাহলে সেই এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে আবেদন করা উচিত কেননা ঐ সমস্ত এজেন্সি মূলত সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ করে থাকে তাই তারা সেভাবেই কর্মী পাঠাতে পারে


    সিঙ্গাপুর ভিসা প্রাইস

    বর্তমানে সিঙ্গাপুরের ভিসার প্রাইজ তিন ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তবে কি ধরনের ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তার উপরে মূলত নির্ভর করে ভিসার প্রাইজ। ভিসার প্রাইজ বিভিন্ন সময় কম ভাড়া হতে পারে কেননা বিমান ভাড়া সহ অন্যান্য বিষয় থাকে যার কারণে ভিসার প্রাইস কিন্তু যে কোন সময়ই চেঞ্জ হতে পারে। অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা কিনা বিমান ভাড়া তারাই বহন করে থাকে অথবা অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা বিমান ভাড়া নিজেকেই বহন করার অনুমতি দিয়ে থাকে


    তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি নিজেই এজেন্সির মাধ্যমে যাচ্ছেন সেই এজেন্সি করতে এই বিষয়টা জেনে নেওয়া উচিত যে বিমান ভাড়া কাকে প্রোভাইড করতে হবে যদি আপনাকে প্রোভাইড করতে হয় তাহলে তারা কত টাকা খরচ করে নিয়ে যাচ্ছে সেই বিষয়গুলো আগে থেকেই জেনে নিবেন। কেননা সিঙ্গাপুরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের মানার চেষ্টা করুন


    সিঙ্গাপুর যেতে কোন টিকা নিতে হবে

    সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য এখন আর কোন ধরনের টিকা দেওয়া লাগছে না। করোনা ভ্যাকসিনের যেকোনো ধরনের টিকা দেওয়া থাকলেই হবে। তবে বর্তমানে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু তিন মাসের মধ্যকার একটি মেডিকেল রিপোর্ট দেখানো লাগে। যখন আপনি ভিসার জন্য আবেদন করবেন তখন এই মেডিকেল রিপোর্ট দেখানো লাগবে তারপরেই ভিসা অ্যাপ্রভাল পাওয়া যায়


    তবে মেডিকেল রিপোর্টে কোন ধরনের ভুল ত্রুটি থাকলে তা কিন্তু আগে থেকে সংশোধন করে নিতে হবে যদি মেডিকেল রিপোর্ট সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তারপরও যদি সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনার এজেন্সির সঙ্গে কথা বলুন কেননা এজেন্সি পারে এই সমস্ত সমস্যাগুলো সমাধান করে দিতে কেননা অনেক সময় আছে যারা কিনা সামান্য কিছু টাকার জন্য মেডিকেল রিপোর্ট আটকে দিতে পারে


    সিঙ্গাপুর আন স্কিল ভিসা

    সিঙ্গাপুর অন স্কিল ভিসা বলতে বোঝানো হয়েছে যে কোন একটি নির্দিষ্ট কাজের উপর দক্ষতা থাকার পরে আপনারা সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন সেই বিষয়টি। এভাবে যদি আপনারা সেখানে যেতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার কাজের বেতন এবং সুযোগ-সুবিধা বেশি থাকে তাই অবশ্যই নির্ধারিত একটি কাজের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হয়ে তারপরে সিঙ্গাপুরে যাওয়া উচিত


    বর্তমানে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু এই বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়ে থাকে কেউ যদি কোন কাজ না জেনে সেখানে যাই তাহলে কিন্তু তাকে দেশে ফেরত আসা লাগতে পারে যদি পরিচিত কোন ব্যক্তি থাকে তাদের মাধ্যমে এই বিষয়টা কিছুটা ছাড় পাওয়া যায় তাছাড়া কিন্তু সিঙ্গাপুরের এ ধরনের ভিসা পাওয়া সম্ভব হয় না


    ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে 


    সিঙ্গাপুর হোটেল ভিসা

    সিঙ্গাপুর হোটেল ভিসাতে কাজ করতে হলে প্রথম অবস্থায় হোটেল বিষয়ে প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। তবে হোটেলের আরো ভালো পর্যায়গুলোতে কাজ করার জন্য অবশ্যই হোটেল বিষয়ে পড়াশোনা থাকলে তারপরে সেখানে কাজ করার সুযোগ থাকে। সিঙ্গাপুর হোটেলগুলো তো অনেক উন্নতমানের হওয়ার কারণেই মূলত সেখানে শিক্ষিত পার্সনদেরকে গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়ে থাকে। তাই আপনারা যদি সিঙ্গাপুরের হোটেলগুলোতে কাজ করার সুযোগ করে নিতে চান তাহলে কিন্তু অবশ্যই হোটেল বিষয়ে অভিজ্ঞ থাকলেই সেখানে কাজ করার সুযোগ পাবেন


    বাংলাদেশে অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা কিনা হোটেল বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে এবং সেই অনুযায়ী পড়াশোনা করিয়ে থাকে তাই আপনি যখন সিঙ্গাপুরের কাজের ভিসা নিয়ে যাবেন তখন হোটেল বিষয়ে অনেক কাজ থাকে যেমন সে ফের কাজ এবং ক্লিনিং ফুড সার্ভিস থাকে সেই অনুযায়ী আপনারা কাজের ভিসা নিতে পারবেন তাই আপনার এজেন্সের সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে কথা বলে সেই অনুযায়ী আপনারা ভিসা আবেদন করুন


    সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকা

    বর্তমানে সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে খরচ পড়ছে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। তবে এক্ষেত্রে সরকারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যেতে চান তাহলে খরচ ৩ লক্ষ টাকার নিচেই পড়বে। ভালো বেতনের কাজ নিয়ে যদি সিঙ্গাপুরে যান তাহলে খরচ একটু বেশি পড়তে পারে। লক্ষ্য করে দেখা যায় যে যে সমস্ত কাজের বেতন বেশি সেই কাজগুলোতে ভিসা নিতে হলে কিন্তু খরচ বেশি পরে। তাই আপনারা যদি ভালো মানের কাজ নিয়ে যেতে চান তাহলে আরো বেশি পরিমাণ টাকা লাগবে


    নরমালি বাংলাদেশিরা যে সমস্ত ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার অথবা নরমাল কাজ করে থাকে এ ধরনের কাজদের ভিসা নিতে হলে সাধারণত ৪ লক্ষ টাকার নিচেই ভিসা পাওয়া যায়। কাজের ভিসা মূলত বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কোম্পানির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদন করে থাকে এবং সেই অনুযায়ী খরচ নির্ধারণ করে থাকে। তাই আপনারা যখন কাজের ভিসা করবেন তখন অন্যান্য এজেন্সি গুলোর মাধ্যমেও খোঁজ নিয়ে দেখবেন আসলে যদি অন্যান্য এজেন্সিগুলোতে কম খরচে করে দিয়ে থাকে বা করেছে তাহলে কিন্তু সে অনুযায়ী ভিসা নেওয়া উচিত


    অনেক সময় দেখা যায় যে অনেকে আছে ৮ লক্ষ অথবা ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে বিচার নিয়ে যাচ্ছে এক্ষেত্রে কিন্তু তাদের বেলায় কিন্তু সেখানে গিয়ে দু এক বছর সেখানে পরিশ্রম করলে তারপরেই ভিসার টাকা তুলতে পারে। তাই অবশ্যই আপনারা আগে যাচাই-বাছাই করে দেখবেন যে আসলে আপনি সেখানে গেলে কত টাকা বেতন পাবেন এবং আপনার এই টাকা উত্তোলন করতে কত দিন লাগবে সে বিষয়গুলো


    সিঙ্গাপুর ভিসা চেক ২০২৪

    ২০২৪ সালের সিঙ্গাপুর ভিসা চেক করার জন্য www.mom.gov.sg এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরেই check work pass and application status এই অপশনে ক্লিক করে পাসপোর্ট নম্বর এবং ভিসা নম্বর প্রদান করলেই সিঙ্গাপুর ভিসা চেক করতে পারবেন। সিঙ্গাপুরের যেকোনো ধরনের ভিসা এই ওয়েবসাইট থেকে চেক করা যায়। টুরিস্ট ভিসা কাজের ভিসা বা অন্যান্য যেকোনো ধরনের বিজনেস ভিসা হলেও এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে চেক করতে পারবেন


    বর্তমানে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা ও অন্যান্য ভিসা তৈরি করার ক্ষেত্রে অনেকেই প্রতারণার শিকার হয়ে থাকে। বর্তমানে যারা বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অন্যান্য প্রান্ত থেকে যারা বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে দেশের বাহিরে গিয়ে থাকে তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ভিসা চেক করা জরুরী। তাই আপনারা যদি অনলাইনের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর বা অন্যান্য যেকোনো ধরনের ভিসা চেক করতে চান তাহলে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনারা ভিসা চেক করে নিতে পারবেন


    এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর ভিসা চেক করার পরে আপনি কোন কোম্পানিতে কাজ করছেন এবং কত টাকা বেতন এবং কত দিন পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করতে পারবেন এই সকল বিষয়গুলো সেখান থেকে দেখা যায়। তাই আপনি সিঙ্গাপুরের ভিসা হাতে পাওয়ার পরে অবশ্যই এই ওয়েবসাইট থেকে চেক করে নিতে পারেন এবং জেনে নিতে পারেন আপনার ভিসাটি আসল নাকি নকল


    সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্সি

    বাংলাদেশে সরকার নিবন্ধিত এবং বেসরকারি অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা কিনা সিঙ্গাপুরের ভিসা প্রদান করে থাকে তাই আপনি যে কোন এজেন্সি হতেই সিঙ্গাপুরের ভিসা নিতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারি মাধ্যমে যদি আপনি ভিসা নিতে চান তাহলে বিএমইটি অথবা বাংলাদেশে সরকার নিবন্ধিত লাইসেন্স ধারে আরো অনেক এজেন্সি রয়েছে তাদের মাধ্যমে আপনারা সিঙ্গাপুরের ভিসার নিতে পারেন


    কিভাবে আপনারা সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা নিবেন এবং কত টাকা খরচ হবে তা সকল বিষয়গুলো আমরা উপরে উল্লেখ করেছি এছাড়া সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি কোনগুলো এবং লাইসেন্স নাম্বার কিভাবে আপনারা যাচাই বাছাই করবেন সেই বিষয়গুলো উপরে আমরা আলোচনা করেছি। অনেক অবৈধ এজেন্সি রয়েছে এই সমস্ত এজেন্সি গুলো থেকে দূরে থাকা উচিত কেননা অনেক অবৈধ এজেন্সি রয়েছে যারা কিনা আপনাকে অবৈধ বিচার দিতে পারে তাই চেষ্টা করুন অবশ্যই বৈধ ভিসানিয়ে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার এক্ষেত্রে কোন ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়বেন না


    সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার ২০২৪

    ২০২৪ সালে যারা সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য ট্রেনিং করতে চাচ্ছেন তারা বাংলাদেশের সকল পর্যায়ে গুলোতেই ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে তবে এক্ষেত্রে সরকার নিবন্ধিত যে সমস্ত ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে সেগুলো থেকে যদি ট্রেনিং নিয়ে থাকেন তাহলে নামমাত্র খরচে আপনারা ট্রেনিং নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে কিভাবে আপনারা সরকার নিবন্ধিত যে সমস্ত ট্রেনিং সেন্টার আছে সেগুলোতে আবেদন করবেন এই সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে হলে আমাদের নিচের দেওয়া এই কন্টেন্টটি পড়ে আসতে পারেন


    সরকারিভাবে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার ট্রেনিং সেন্টার


    বাংলাদেশের প্রত্যেকটি বিভাগীয় পর্যায়ে গুলোতে টিটিসি কেন্দ্র রয়েছে যেখান থেকে আপনারা সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে কাজে যাওয়ার জন্য কিন্তু ট্রেনিং নিতে পারবেন। কেননা বর্তমান সময়ে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু ট্রেনিং বাধ্যতামূলক। নির্দিষ্ট একটি কাজের উপর প্রশিক্ষণ থাকলে তারপরেই আপনি সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন


    প্রায় এখন প্রত্যেকটি দেশেই কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য কিন্তু প্রশিক্ষণ নেওয়া জরুরী তাই আপনারা যারা সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে চাচ্ছেন তারা চাইলে "টিটিসি" কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনারা নির্দিষ্ট একটি কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে সিঙ্গাপুরের ভিসা করতে পারেন। আপনাদের জেনে রাখা উচিত যে, নির্দিষ্ট একটি কাজের উপর প্রশিক্ষণ নেওয়া থাকলে কাজের বেতন এবং সুযোগ সুবিধা বেশি পাওয়া যায় তাই অবশ্যই প্রশিক্ষণ জরুরী


    সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিং ২০২৪

    ২০২৪ সালে যারা সিঙ্গাপুরের ভিসা প্রসেসিং এর কাজ সম্পূর্ণ করতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে বলা যায় যে এখন শুধুমাত্র ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগছে। সিঙ্গাপুরের ভিসা বর্তমানে করার জন্য যে এক মাসের ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করা লাগে সেটা দিয়েও ১৫ দিনের মত ভিসা হাতে পাওয়ার সময় লাগে। তাই বর্তমানে যারা সিঙ্গাপুরের ভিসা নিতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বোচ্চ ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় দেওয়া লাগবে


    এক্ষেত্রে যদি আপনার পূর্বে কোন অভিজ্ঞতা থেকে থাকে অথবা আপনি যদি পড়বে কোথাও কাজ করে থাকেন তাহলে কিন্তু অনেকটাই সহজ হবে সিঙ্গাপুরের ভিসা পাওয়া। আজকে আমরা মূলত কথা বলছি সিঙ্গাপুরের ভিসা প্রসেসিং হতে সময় কতদিন লাগে এবং কি কি বিষয় লক্ষ্য করা লাগে এ বিষয়গুলো নিয়ে পরবর্তীতে আমরা বিস্তারিতভাবে সিঙ্গাপুরের যাবতীয় বিষয় গুলো আজকে এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করব


    সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা ২০২৪

    ২০২৪ সালে সিঙ্গাপুরের কাজের ভিসা নিতে হলে খরচ পড়বে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে আপনারা বিভিন্ন কাজের ভিসা নিয়ে সেখানে যেতে পারবেন এবং বেতন আনুমানিক ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসে ইনকাম করার সুযোগ থাকে। তবে কিছু কিছু কাজের ক্ষেত্রে কিন্তু ৬ লক্ষ অথবা বেসরকারি কিছুই এজেন্সি রয়েছে যারা কিনা এর থেকেও বেশি পরিমাণ টাকা নিয়ে ভালো কাজে সিঙ্গাপুর পাঠিয়ে থাকে


    তবে অবশ্যই যেই ভিসার মাধ্যমে আপনি সিঙ্গাপুর যান না কেন অবশ্যই অনলাইন থেকে চেক করে নিবেন। ২০২৪ সালে বেশ কিছু নতুন ভিসা ক্যাটাগরি চালু করা হয়েছে এক্ষেত্রে এই সমস্ত ভিসা ক্যাটাগরিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু প্রশিক্ষণ থাকা লাগবে সেইসাথে সিঙ্গাপুরে অবশ্যই যাওয়ার জন্য আপনাকে এক মাসের একটি প্রশিক্ষণ নিয়ে তারপরেই আপনাকে সিঙ্গাপুরে যেতে হবে


    আপনি যেকোন এজেন্সির মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে যান না কেন সেই এজেন্সি কর্তৃক আপনাকে একটি নির্ধারিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেবে সেই সাথে আপনি যদি সরকারি মাধ্যমে যেতে চান তাহলে অবশ্যই এই প্রশিক্ষণটাও কিন্তু বাধ্যতামূলক থাকা লাগবে তা না হলে সিঙ্গাপুরের কাজের ভিসা পাবেন না কোথায় কিভাবে প্রশিক্ষণ নিবেন এবং কত টাকা খরচ হবে জানতে আমাদের সম্পূর্ণ পড়ুন


    সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

    সিঙ্গাপুরের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পন্ন ভাবে চালু আছে আপনারা যারা ড্রাইভিং, ক্লিনিং, কনস্ট্রাকশন, কেয়ারিং ম্যান, ফুড কালেক্ট, ফ্যাক্টরি, মেকানিক্যাল যেকোনো ধরনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সিঙ্গাপুরের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আগের তুলনায় কিছুটা দাম বেড়েছে। আপনারা যারা সরকার নিবন্ধিত এজেন্স গুলার মাধ্যমে যাবেন প্রায় একই ধরনের দাম থাকে তবে বেসরকারি এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যেতে চাইলে কিন্তু দাম কিছুটা বেশি পড়ে


    এখানে বেসরকারি এজেন্সি বলতে বোঝানো হয়েছে যে সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি না মূলত তাদের নিজস্ব কোম্পানির মাধ্যমে বিদেশে কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে তাদের ক্ষেত্রে। নিজ নিজ কোম্পানির দায়িত্বেই তারা বিদেশে কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে এক্ষেত্রে সরকারি ভাবে কোন ধরনের সাহায্য প্রদান করা হয় না। তাই আপনারা যারা এই মাধ্যমগুলোতে সিঙ্গাপুর যেতে যাচ্ছেন তারা অবশ্যই চিন্তাভাবনা করে তারপরেই সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করবেন


    তবে সরকারিভাবে কিন্তু এর দাম ভিন্ন থাকে এবং বেতন কাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা কিন্তু ভিন্ন থাকে তাই অবশ্যই আপনি যখন আপনার এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন তখন তাদের মাধ্যমে এই বিষয়টি ক্লিয়ার হয়ে নিবেন এবং বেতন নিজে পাবেন নাকি কোম্পানির মাধ্যমে আসবে সেই বিষয়টি তাদের মাধ্যমে আগে থেকেই জেনে নেওয়া উচিত


    বাংলাদেশ কোরিয়া ট্রেনিং সেন্টার | কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার


    বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত সময় লাগে

    বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরের দূরত্ব ২৮৯২ কিলোমিটার। বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে সময় লাগে ৪ ঘন্টা ১০ মিনিট। ২৯২ কিলোমিটার পথ বিমানে পাড়ি দিতে ৪ ঘন্টা ১০ মিনিট অথবা ৪ ঘন্টা ৩০ মিনিটের মতো সময় কম বেশি লাগতে পারে। বিমান পথে যাতায়াতের সময় কোন ধরনের ত্রুটি ছাড়া যেতে সময় লাগে ৪ ঘন্টা ১০ মিনিট


    এই ক্ষেত্রে বিমান যদি অন্যান্য দেশে কিছু সময় বেশি দেরি করে থাকে অথবা আবহাওয়া দুর্ঘটনা জনিত কোন প্রবলেম না হলে একেবারে চার ঘন্টা দশ মিনিটের মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে বিমান পৌঁছে যাই। এক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে আসতেও কিন্তু একই সময় লাগে। ২৮৯২ কিলোমিটার পথ বিমান সহ অন্যান্য দেশের মাধ্যমে যাওয়ার সুযোগ সুবিধা থাকে


    সিঙ্গাপুর ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

    সিঙ্গাপুরের ১ টাকা বাংলাদেশের ৮৩.৪৫ পয়সা। বর্তমানে প্রত্যেকদিন বাংলাদেশের থেকে সিঙ্গাপুরের ডলারের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে ডলারের উর্ধ্বগতি বাজার রয়েছে এক্ষেত্রে খুচরা বাজারে আরও বেশি পরিমাণে সিঙ্গাপুরের ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে সিঙ্গাপুরের ডলারের দাম আরো ঊর্ধ্ব গতিতে রয়েছে


    মনে রাখবেন সিঙ্গাপুরের ডলারের দাম প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে এক্ষেত্রে আপনারা যখন ডলার কেনাবেচা করবেন তখন অনলাইন থেকেই বর্তমানে সিঙ্গাপুরের ডলারের রেট কত এই বিষয়গুলো জেনে নিতে পারবেন। তাই ডলার কেনাবেচার ক্ষেত্রে অবশ্যই গুগল থেকে অথবা অন্যান্য যে কোন এক্সচেঞ্জ ওয়েবসাইট থেকে আপনারা ডলারের বর্তমান দাম কত সেটা জেনে নিতে পারেন


    সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪

    ২০২৪ সালের সিঙ্গাপুরে যেতে কত টাকা লাগে সেটা নির্ভর করে মূলত আপনি কি ধরনের ভিসা নিয়ে যাচ্ছেন তার ওপর। যদি কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে সর্বনিম্ন ৪ লক্ষ টাকা লাগবে। এছাড়া যদি স্টুডেন্ট ভিসা বা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে ৩৩ লক্ষ ৫০ হাজার  টাকা লাগবে। এছাড়া অন্যান্য কাজের ভিসা অথবা ভালো মানের কাজের ভিসা নিতে হলে কিন্তু খরচ আরো বেশি পড়বে


    ২০২৪ সালের এখন পর্যন্ত এই দামেই বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার খরচ পড়ছে তবে যদি আপনি অন্যান্য মাধ্যমে অথবা বিমান সেবা যদি আরো উন্নত নিতে চান তাহলে কিন্তু খরচ আরো বেশি পড়বে তবে সাধারণ। কর্মীদের ক্ষেত্রে নরমাল বিমানে যাতায়াত করার জন্যই মূলত এই ধরনের খরচ উল্লেখ করা হয়েছে। তবে আপনার সুযোগ-সুবিধা এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর লক্ষ্য করে মূলত আপনার এজেন্সি এ বিষয়ে একটি তালিকা দেখাতে পারে


    সিঙ্গাপুর ড্রাইভিং ভিসা ২০২৪

    আপনারা যারা সিঙ্গাপুরে ২০২৪ সালে ড্রাইভিং ভিসা তে কাজ করার জন্য যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এবারের সুবর্ণ সুযোগ আসছে। ২০২৪ সালে বেশ কিছু কোম্পানিতে ডাইভিং ভিসার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করার জন্য বোয়েসেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করে রাখলেই ড্রাইভিং ভিসার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ভিসা প্রদান করা হবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই ড্রাইভিং দক্ষতা থাকলে শুধুমাত্র তাদের ক্ষেত্রেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে


    সিঙ্গাপুর ড্রাইভিং ভিসা তে কাজ করতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ভারী যানবাহন চালানোর দক্ষতা থাকতে হবে এবং সেই সাথে ইন্টারন্যাশনাল মানে ড্রাইভিং লাইসেন্স করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশসহ সিঙ্গাপুরে গিয়ে ড্রাইভিং ভিসাতে কাজ করার জন্য সেখানে পরীক্ষা দিয়ে তারপর আপনাদেরকে ড্রাইভিং কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারবেন


    সিঙ্গাপুর ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত

    বর্তমানে সিঙ্গাপুরের ড্রাইভিং ভিসা বেতন ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা পাওয়া যাচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে আপনি যদি নিজের ইচ্ছামত বিভিন্ন কোম্পানিতে অথবা ডেলিভারি বয় হিসাবে ডাইভিং কাজ করতে পারেন তাহলে কিন্তু বেতন আরও বেশি পরিমাণ পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে ড্রাইভিং ভিসাই কাজের নিয়োজিত অনেক কর্মী আছে যারা কিনা মাসে দুই লক্ষ বিশ হাজার টাকা এবং ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করার সুযোগ পায়


    তবে এটা নির্ভর করবে মূলত আপনার কাজের উপর আপনি যদি বেশি পরিমাণ সময় দিয়ে কাজ করেন এবং ওভারটাইম কাজ করার সুযোগ করে নিতে পারেন তাহলে কিন্তু এর থেকেও ভালো পরিমাণ বেতন তোলা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এবং ড্রাইভিং এর উপর লাইসেন্স তৈরি করে তারপরে আপনাদেরকে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার ভিসা করতে হবে


    সিঙ্গাপুর ড্রাইভিং ভিসা আবেদন

    সিঙ্গাপুর ড্রাইভিং ভিসা আবেদন করার জন্য প্রথম অবস্থায় আপনাদেরকে সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে অথবা আপনি যদি নিজেই করতে চান তাহলে বুয়েসেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে এবং সেই সাথে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে এবং পাসপোর্ট নিয়ে অনলাইনে আবেদন করা যায়


    সিঙ্গাপুর ড্রাইভিং ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

    সিঙ্গাপুর ড্রাইভিং ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র দেখানো লাগে এক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল লাইসেন্স এবং আপনি কোথায় ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং কতদিন যাবত ড্রাইভিং নিয়োজিত ছিলেন এই বিষয়গুলো দেখানোর জন্য অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখানো বাধ্যতামূলক। ড্রাইভিং পেশায় মূলত অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে বেতন এবং নিয়োগ পাওয়া যায়

    • ড্রাইভিং লাইসেন্স
    • পাসপোর্ট
    • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
    • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
    • মেডিকেল রিপোর্টের কপি
    • প্রশিক্ষণের সনদ

    এছাড়া প্রয়োজনে আরো অনেক কাগজপত্র লাগতে পারে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার এজেন্সি অথবা আপনি যেই মাধ্যমে যাচ্ছেন সেখান থেকেই বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া উচিত। ড্রাইভিং ভিসা আবেদন করার জন্য কোন ধরনের ফ্রি প্রদান করা লাগে না প্রথম অবস্থায় নিজে যদি অনলাইনের মাধ্যমে কোন কম্পিউটারের দোকান থেকে করেন সেক্ষেত্রে কিছু খরচ লাগতে পারে


    সিঙ্গাপুরে সর্বনিম্ন মাসিক বেতন কত

    সিঙ্গাপুরে একজন কর্মীর সর্বনিম্ন মাসিক বেতন ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এটি শুধুমাত্র নরমাল কাজের জন্য তবে নির্দিষ্ট কোন কোম্পানিতে কাজ করলে এবং শুধু ওভারটাইমে কাজ করলে এমন বেতন পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরে কাজের বিষয়ে কঠিন কোনো রিকোয়ারমেন্ট দেওয়া থাকে না সেইসাথে ঘন্টায় এবং দিন চুক্তিভিত্তিক কাজ করার সুযোগ থাকে


    সিঙ্গাপুরে মূলত ঘন্টা এবং দিন অনুযায়ী এবং মাসিক বেতন ভিত্তিতেও কাজ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনি কি কাজ করছেন এবং রিকোয়ারমেন্ট গুলো কি কি সেটা কোম্পানির মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যায়। তাই আপনি যখন কাজে নিয়োজিত হবে তখন মাসিক চুক্তিতে কাজ করবেন নাকি ঘন্টা সেই অনুযায়ী তাদের সাথে ডিল করা যায়


     দুবাই থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় এবং খরচ


    সিঙ্গাপুর ইলেকট্রিশিয়ান বেতন কত

    সিঙ্গাপুরে একজন ইলেকট্রিশিয়ানের বেতন ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। অন্যান্য কাজের জন্য সিঙ্গাপুরে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন ভবন নির্মাণের পরে এবং বিভিন্ন ইলেকট্রিক কোম্পানিগুলোতে বর্তমানে ইলেকট্রিশিয়ানদের চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে। সিঙ্গাপুরের মূলত যে কাজের চাহিদা বেশি সেই কাজে বেতন বেশি থাকে। তাই কেউ যদি সিঙ্গাপুরের ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করে তাহলে মাস গেলে প্রায় দুই লক্ষ বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করার সুযোগ থাকে


    তবে সিঙ্গাপুরে ইলেকট্রিশিয়ান কাজ করার জন্য অবশ্যই দক্ষতা জরুরী এক্ষেত্রে কি কি দক্ষতা থাকা লাগবে এবং কি কি কাগজপত্র লাগবে আবেদন কিভাবে করবেন তার সকল বিষয়গুলো নিয়ে আজকে আমরা বিস্তারিত ভাবে সিঙ্গাপুরের বিষয়গুলো এখানে ক্লিয়ার করেছি। তাই অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়লে সিঙ্গাপুরে ইলেকট্রিশিয়ান ভিসা কিভাবে পাবেন তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে জানুন


    সিঙ্গাপুর ইলেকট্রিশিয়ান কাজ কিভাবে পাবেন

    সিঙ্গাপুরে যদি ইলেকট্রিশিয়ান বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক এজেন্সি রয়েছে তাদের মাধ্যমে আপনারা সিঙ্গাপুরের ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর ইলেক্ট্রিশিয়ান এর কাজ করার জন্য বাংলাদেশের টিটিসি গুলো থেকে আপনারা কাজের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে পারবেন


    এক্ষেত্রে নামমাত্র খরচে কিন্তু সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য ইলেকট্রিশিয়ান কাজের উপর দক্ষতা তৈরি করা যায়। তাছাড়া যদি আপনি বেসরকারি কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য ইলেকট্রিক কাজের প্রশিক্ষণ নিতে পারেন তারপরেও আপনি সেখান থেকেও যেতে পারবেন। সবার বলে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য এবং ইলেকট্রিশিয়ান কাজ করার জন্য অবশ্যই প্রশিক্ষণ জরুরী


    সিঙ্গাপুর স্কেল

    সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য স্কিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তাই আপনাকে নির্দিষ্ট কাজের উপর দক্ষতা থাকতে হবে তারপরে আপনি সিঙ্গাপুর বিভিন্ন কাজ করে ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন কেননা অন্যান্য দেশের মতো সিঙ্গাপুরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু কোন কাজের প্রশিক্ষণ লাগে না এমন নয়। সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য অবশ্যই নির্ধারিত একটি কাজের উপর স্কিল থাকতেই হবে তারপরে আপনি সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য ভিসা পাবেন


    সিঙ্গাপুর জাহাজের কাজ

    সিঙ্গাপুরের জাহাজের কাজ অনেক বেশি থাকে। সিঙ্গাপুরে জাহাজ থেকে মাল খালাস করা এবং মাল উঠানো সহ নানা ধরনের কাজ থাকে। তাই আপনারা যারা সিঙ্গাপুরে জাহাজের কাজ করতে চাচ্ছেন তাদেরকে ক্ষেত্রে অবশ্যই এই কাজের উপর তেমন কোন প্রশিক্ষণ নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না মিনিমাম ২৫ দিনের একটি সাধারণ প্রশিক্ষণ নিলেই সেখানে গিয়ে আপনারা জাহাজের কাজ করতে পারবেন


    তবে জাহাজের কাজের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পার্থক্য রয়েছে অনেক সময় জাহাজ মেকানিক অথবা জাহাজের নিরাপত্তার জন্য কিন্তু কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে তাই আপনি যখন আপনার কোম্পানির মাধ্যমে যাবেন তখন নির্ধারিত একটি কাজের উপর ভিসা তৈরি করে নিয়ে যাওয়া উচিত অনেক সময় দেখা যায় যে এক ধরনের কাজের প্রশিক্ষণ নিয়ে সেখানে গিয়ে আবার অন্য ধরনের কাজ করা লাগতে পারে। তাই এ বিষয়ে আগে থেকেই জেনে তারপরেই মূলত ভিসা করা উচিত


    সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে 2024

    • ৬ মাস মেয়াদী ভ্যালিড পাসপোর্ট
    • এন আই ডি কার্ডের কপি
    • ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
    • ড্রাইভিং ভিসা হলে লাইসেন্স
    • স্টুডেন্ট হলে All educational information
    • কর্মী হলে নির্দিষ্ট কাজের উপর প্রশিক্ষণ
    • প্রশিক্ষণ এর সনদের কপি
    • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
    • তিন মাসের মধ্যকার মেডিকেল রিপোর্ট

    এছাড়া প্রয়োজনে আরো কিছু কাগজপত্র লাগবে যেগুলো আপনার এজেন্সি করতে এ বিষয়গুলো জানিয়ে দেওয়া হবে তবে কাগজপত্র মধ্যে কোন ধরনের ভুল ত্রুটি থাকলে সেগুলো অবশ্যই সংশোধন করে তারপরেই এজেন্সি অথবা দূতাবাসে জমা দিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাদেরকে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে যে কোন ধরনের নামের বানান অথবা সাক্ষরে ভুল দুটি থাকা যাবে না। সেইসাথে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সত্যায়িত করে নিতে হবে


    সিঙ্গাপুর এস পাস ভিসা ২০২৪

    ২০২৪ সালে যারা সিঙ্গাপুরে এস পাস ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে আগের নিয়ম অনুযায়ী এস পাস ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে ক্ষেত্রে নেওয়ার প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট গুলো আগের তুলনায় খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তাই যেকোনো এজেন্সির মাধ্যমেই আপনারা সিঙ্গাপুর এস পাস ভিসা সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে ভিসা ফি এবং সকল কাগজপত্র নিয়ে দূতাবাসে গিয়ে জমা দিতে হবে


    তবে বাংলাদেশে ২০২৪ সালে সিঙ্গাপুর এস পাস ভিসা নানা ধরনের জটিলতা রয়েছে এগুলো যদি আপনার সঠিক এজেন্সির মাধ্যমে করে থাকেন তাহলে কিন্তু এই সমস্ত জটিলতা একেবারে থাকবে না এবং সমস্ত কাগজপত্র গুলো যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে খুব সহজে আপনারা এস পাস ভিসা পেয়ে যাবেন


    বিদেশী কর্মীদের জন্য সিঙ্গাপুরের খবর

    বর্তমানে যারা বিদেশ কর্মী রয়েছেন তাদের জন্য এবারে সিঙ্গাপুর সরকার আরো দারুন সুখবর দিচ্ছে। যারা অন্যান্য দেশে বিদেশে কর্মী নিয়োগ আছেন তারা চাইলে সিঙ্গাপুরের ভিসা এখন খুব সহজেই নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাদের জেনে রাখা উচিত যে সিঙ্গাপুরের ভিসা আগের তুলনায় অনেকটা সহজ করেছে সে ক্ষেত্রে যারা দক্ষ কর্মী রয়েছে পূর্বে বিদেশে কাজ করেছে তাদের ক্ষেত্রে এখন খুব সহজেই এই ভিসা পাওয়া যাচ্ছে


    ২০২৪ সালে বেশ কিছু কোম্পানিতে পুরনো কর্মীদের আগ্রহ দেখিয়েছে। এর আগে যদি আপনারা সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন কাজের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন তাহলে এখন যাওয়া অনেকটাই সহজ অথবা বিদেশে যদি আপনারা নির্ধারিত কাজের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করে থাকেন তাহলে তাদেরকে ক্ষেত্রে আরো খুব সহজেই সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য ভিসা প্রদান করা হচ্ছে


    সিঙ্গাপুর আন স্কিল ভিসা

    বর্তমানে সিঙ্গাপুরে যারা নির্দিষ্ট একটি স্কেলের উপর যাচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু সরাসরি সেখানে কাজে নিয়োজিত হতে পারছে এবং ভালো পরিমাণ বেতন তুলতে পারছে। তাই আপনারা যে কোন সময় সিঙ্গাপুরে যাওয়ার ক্ষেত্রে অন স্কিল ভিসা নিয়েই যাওয়া উচিত এক্ষেত্রে খুব সহজে কাজ পাওয়া যায় এবং ভালো পরিমাণ বেতন এবং সুযোগ সুবিধা আরো বেশি পাওয়া যায়। তাই অবশ্যই চেষ্টা করুন নির্দিষ্ট কাজের উপর দক্ষতা তৈরি করে যাওয়া এক্ষেত্রে তাহলে খুব সহজেই কাজ পাওয়া যাবে এবং সুযোগ-সুবিধা বেশি পাওয়া যাবে


    সিঙ্গাপুর শ্রমিক নিয়োগ ২০২৪

    সিঙ্গাপুরের কনস্ট্রাকশন কাজের জন্য ব্যাপকভাবে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান আছে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে প্রায় ১২ হাজার কর্মী নেবে সিঙ্গাপুর সরকার। এক্ষেত্রে আপনাদের জেনে রাখা উচিত যে কনস্ট্রাকশন কাজের উপর দক্ষতা থাকলে শুধুমাত্র তাদেরকেই অগ্রধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়

    কাজের ধরন: কনস্ট্রাকশন কাজ

    কাজের বেতন: ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা

    বয়স সীমা: ২১ থেকে ৪৫ বছর

    আবেদন: সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি

    আবেদনের সময়সীমা: মার্চ মাস

    আবেদন কিভাবে করবেন: এজেন্সির মাধ্যমে নিবন্ধন


    এক্ষেত্রে বর্তমানে যারা সিঙ্গাপুরে অন্যান্য কাজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যেতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই নির্ধারিত একটি এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করুন এবং সেই গিয়ে যোগাযোগ করে নতুন কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যেতে পারবেন তবে অবশ্যই আমাদের দেওয়া ওপরের লিস্ট থেকে দেওয়া এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যদি যেতে পারেন তাহলে সব থেকে ভালো হয় এবং বিশ্বস্ততার সাথে আপনারা যেতে পারবেন


    বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন


    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন