জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪: একটি বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আজকে আমরা জানাবো জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে আবেদন করবেন এবং বর্তমানে ২০২৪ সালে কত টাকা খরচ হচ্ছে এই নিয়ে বিস্তারিত। বর্তমানে ২০২৪ সালে জাপানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চালু আছে তা সকল প্রসেস গুলো জানতে হলে পর্যায়ক্রমে আমাদের এই কনটেন্টটি পড়তে থাকুন।
জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভূমিকা
জাপান সরকার ২০২৪ সালে দুটি নতুন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা শ্রেণি চালু রয়েছে। ২০২৪ সালে আরও ব্যাপকভাবে জাপানে কর্মী নিয়োগ দিবে বলে জানিয়েছে এই দুইটি পদে। যারা বর্তমানে জাপানে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তারা চাইলেই যে কোন মুহূর্তেই জাপান দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
ভিসা শ্রেণি ১: নির্দিষ্ট দক্ষ শ্রমিকদের জন্য।
ভিসা শ্রেণি ২: উচ্চ দক্ষ শ্রমিকদের জন্য।
এই নতুন ভিসাগুলি জাপানের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং শ্রমিক ঘাটতি মোকাবেলায় সাহায্য করার জন্য নিয়ম করা হয়েছে। এছাড়া আরো অন্যান্য ক্যাটাগরি রয়েছে সেটার মাধ্যমে আপনারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে জাপানি যেতে পারবেন।
জাপান ভিসা শ্রেণি ১
ভিসা শ্রেণি ১ ১৪টি শিল্পে নির্দিষ্ট দক্ষ শ্রমিকদের জন্য উন্মুক্ত। উপরোক্তই পথ গুলোর মাধ্যমে আপনারা চাইলে যে কোন একটি কাজের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে জাপানে কাজ করার সুযোগ করে নিতে পারবেন। যে সমস্ত কাজগুলোতে আপনারা আবেদন করতে পারবেন সেগুলো নিয়ে বিস্তারিতভাবে নিচে তুলে ধরা হলো এই শিল্পগুলি হল:
- নার্সিং
- নির্মাণ
- জাহাজ নির্মাণ
- বৈদ্যুতিক এবং ইলেকট্রনিক্স
- যানবাহন
- খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ
- ড্রাইভিং
- মেকানিক্যাল
- গ্রাফিক্স ডিজাইনার
- পর্যটন
- মাছ ধরা
- কৃষি
- খনন
- ধাতু প্রক্রিয়াজাতকরণ
- মেশিনারি
- প্লাস্টিক এবং রাবার
ভিসা শ্রেণি ১ এর জন্য আবেদনকারীদের অবশ্যই নিম্নলিখিত যোগ্যতা পূরণ করতে হবে: প্রাসঙ্গিক দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা: একটি স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রমাণপত্র, জাপানি ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, জাপানে থাকার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল। ভিসা শ্রেণি ১ ধারকদের সর্বোচ্চ ৫ বছর জাপানে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে। তারা তাদের পরিবারের সদস্যদেরও তাদের সাথে নিয়ে যেতে পারবে।
জাপান ভিসা ভিসা শ্রেণি ২
ভিসা শ্রেণি ২ উচ্চ দক্ষ শ্রমিকদের জন্য উন্মুক্ত যারা তাদের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা প্রদর্শন করতে পারে। ভিসা শ্রেণি ২ এর জন্য আবেদনকারীদের অবশ্যই নিম্নলিখিত যোগ্যতা পূরণ করতে হবে:
উচ্চ শিক্ষা: একটি স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক ডিগ্রি বা তার সমতুল্য।
অভিজ্ঞতা: তাদের ক্ষেত্রে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা।
জাপানি ভাষা: জাপানি ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
আর্থিক স্থিতিশীলতা: জাপানে থাকার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল।
ভিসা শ্রেণি ২ ধারকদের সর্বোচ্চ ৫ বছর জাপানে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে। তারা তাদের পরিবারের সদস্যদেরও তাদের সাথে নিয়ে যেতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে যদি আরও দীর্ঘদিন ধরে কাজ করার সুযোগ পান সে ক্ষেত্রে ফ্যামিলি সদস্য ছাড়া আরো অন্যান্য কর্মী নিয়ে যাওয়ারও সুযোগ করে নিতে পারবেন। পরবর্তীতে ভিসা বাড়ানোর মেয়াদ এবং অন্যান্য বিষয়গুলো তো আছেই।
জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আরও কিছু তথ্য:
আবেদন প্রক্রিয়া: জাপানের ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস এজেন্সি (আইএসএ) এর মাধ্যমে।
আবেদন ফি: ৩৫০০ জাপানি ইয়েন।
প্রক্রিয়াকরণের সময়: কয়েক মাস।
খরচ: ১১ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা (বাংলাদেশী টাকা)।
বর্তমানে ১১ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ বাংলাদেশি টাকা খরচ হয় এক্ষেত্রে আপনারা যারা যেতে চাচ্ছেন তারা ভাল কোন এজেন্সের মাধ্যমে খুব সহজেই যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে আমরা বেশ কিছু কনটেন্ট এর মাধ্যমে এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি পর্যায়ক্রমে আরো বিস্তারিত জানার জন্য এখনই ভিজিট করুন আমাদের এই ওয়েবসাইট গুলোতে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন