বুয়েসেল এর মাধ্যমে যদি আগে রেজিস্ট্রেশন করে রাখেন তাহলে বাহরাইনের ফ্যাক্টরি ভিসা পাওয়া অনেকটাই সহজ হবে। এক্ষেত্রে বিশেষ কিছু কাজের জন্য পারদর্শী হওয়া লাগবে না শুধুমাত্র পরিশ্রম করতে পারলেই আপনি ফ্যাক্টরি ভিসাতে বাহরাইনে গিয়ে কাজ করতে পারবেন চলুন নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জেনেনি।
বাংলাদেশ সরকারের সাথে কিছুদিন আগেও ভিসা কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রেখেছিল। কিন্তু পুনরায় এই ভিসা কার্যক্রম আবারো চালু করেছে। এখন থেকে সকল ধরনের ভিসা নিয়ে যাওয়া যাবে এবং বাহরাইন স্টুডেন্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সহ সকল ধরনের ভিসা চালু আছে। তবে বিস্তারিতভাবে জানার জন্য আমরা পর্যায়ক্রমে কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি দেখুন।
এখান থেকে আপনারা বাহরাইনের ভিসা কবে খুলবে এবং কবে নাগাদ আপনারা ভিসা আবেদন করতে পারবেন এই সকল তথ্যগুলো এই কন্টেন্টের মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে। আজকে আমরা বর্তমানে বাহরাইনে নতুন ভিসা সম্পর্কে এবং নতুন নতুন নিয়ম সম্পর্কে বেতন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে এখানে তুলে ধরব তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সকল বিষয়গুলো দেখে নেয়া যাক।
বাহরাইন ভিসা কবে খুলবে ২০২৫
২০২৫ সালে ব্যাপকভাবে কর্মী নিবে বাহরাইন এক্ষেত্রে বর্তমানে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই এ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। তবে বিশেষ কিছু ক্যাটাগরিতে এবং নতুন ভাবে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে বিশেষ কিছু নিয়মে। যেমন এবারের নিয়মগুলোতে কিছু পরিবর্তন করে স্কিল এবং দক্ষ কর্মীদের চাহিদা বেশি দেখানো হয়েছে।
এক্ষেত্রে বাহারাইনেবিগত বছরগুলোতে ফ্যাক্টরি বা কনস্ট্রাকশন কর্মী হিসেবে কাজ করেছে তাদের ক্ষেত্রে এবার সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এবং ২০২৫ সালে আরো অন্যান্য কিছু নতুন ক্যাটাগরিতে কাজ করার জন্য সুযোগ পাবে বাংলাদেশের মানুষ।
বাহরাইন ভিসা ২০২৫ বর্তমান অবস্থা
২০২৫ সালের বাহরাইনের ভিসা কার্যক্রম আগের মতই নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে তবে আগের তুলনায় বেশ কিছু নিয়ম পরিবর্তন করেছে। যেমন আগের তুলনায় এখন কর্মীদের যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সেই কাজ সম্পর্কে দক্ষতা থাকতে হবে টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে এবং বিজনেস ভিসার ক্ষেত্রে কিন্তু আগের তুলনায় খরচ বেশি করেছে।
তাই 2025 সালে যদি আপনারা সেখানে বিজনেস করার উদ্দেশ্যে অথবা ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে কিন্তু ওই নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া উচিত কেননা এখানে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্য আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং অন্যান্য সকল বিষয়গুলো লাস্ট তিন মাসের আপডেট থাকতে হবে।
বর্তমানে সকল ধরনের কাজ নিয়ে বাহারাইনে যাওয়া যাচ্ছে তবে স্টুডেন্ট ভিসা এবং কয়েকটি ক্যাটাগরিতে যারা গিয়ে সেখানে কাজে নিয়োজিত হচ্ছে কিন্তু সেই অনুযায়ী তার ভিসা নেই তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু কঠোর ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছে বাহরাইন সরকার। বর্তমানে অনেক গোডাউন বা ফ্যাক্টরিতে যারা কাজ করছে কোন ধরনের ভিসা নেই অথবা টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে গিয়ে সেখানে কাজ করছে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু জরিমানা হতে পারে।
বাহরাইন নতুন ভিসা কবে খুলবে ২০২৫
২০২৫ সালের ভিসা কার্যক্রম জানুয়ারি মাস থেকে পুনরায় আবার চালু করা হবে বলে জানিয়েছে বাহরাইন সরকার। বাহরাইন গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাহরাইন সরকার জানিয়েছে যে এবার ফ্যাক্টরি ভিসা এবং বাহরাইনের শ্রমবাজার আরো উন্নতি করার লক্ষ্যে নতুন কিছু নিয়ম মেনে এবারের ভিসা কার্যক্রম চালু করা হবে।
এক্ষেত্রে ২০২৫ সালে যারা বাহরাইনে যাবে তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই দক্ষতা থাকতে হবে এবং নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী অবশ্যই সেই কর্মীকে এক বছরের যে কোন একটি কোম্পানিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকলেই সে আগের তুলনায় বেতন এবং সুযোগ-সুবিধা বেশি পাবে।
বাহরাইন ভিসা নিউজ আজকের ২০২৫
বর্তমানে বাহরাইনের সকল ধরনের ভিসা সার্ভিস চালু আছে এক্ষেত্রে ফ্যাক্টরি ভিসা এবং কনস্ট্রাকশন নবীদের চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে এই কাজগুলোতে সামান্য পরিমাণ অভিজ্ঞতা থাকলেও কিন্তু আবেদন করতে পারবেন এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে আপনারা চাইলে খুব সহজে আবেদন করে যেতে পারবেন।
তাছাড়া ইলেকট্রিশিয়ান বা অন্যান্য কাজগুলো তো যদি বাহরাইনে ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে সময় লাগবে এক্ষেত্রে বিএমআইটি অথবা বোয়েসেলের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যেতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগতে পারে তবে বর্তমানে ফ্যাক্টরি বা কনস্ট্রাকশন কর্মী হিসেবে গেলে খুব সহজে ভিসা পাবেন।
বাহরাইন ভিসা ২০২৫ ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
২০২৫ সালের সম্পূর্ণভাবে নতুন কিছু নিয়মে বাহরাইন সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মী নিচ্ছে। এক্ষেত্রে বেশ কিছু কোম্পানিতে নতুন নতুন সার্কুলার প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে বিগত বছরগুলোতে যারা কাজ করেছে তারা চাইলেও এখন আবেদন করতে পারবে।
2025 সালে বেশ কিছু নিয়ম পরিবর্তন করে বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে এক্ষেত্রে বিশেষ কিছু কোম্পানি রয়েছে যারা কিনা আগের তুলনায় বেতন বৃদ্ধি করেছে এবং থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা সহ কোম্পানির নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা বহন করছে। এছাড়াও আরো কিছু সুযোগ রাখা হয়েছে যেমন বাড়িতে যাতায়াতের খরচ সহ আরো অন্যান্য খরচ বহন করছে।
বাহরাইন ভিসা ২০২৫ ভিসা সম্পর্কে আপডেট
- ২০২৫ সালের সম্পূর্ণ ভাবে ভিসা চালু আছে
- বাহরাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট দেখুন
- বাহরাইনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ
- বাংলাদেশের জাতীয় সংবাদ মাধ্যম
- বুয়েছেলে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান আছে
- পূর্বের কর্মীরাও বর্তমানে কাজের জন্য ভিসা করতে পারবে
বর্তমানে বাহার আইনে নতুন ভিসা নিয়ে যাওয়ার সুযোগ আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে । এখন যারা যেতে চাচ্ছেন তবে অবশ্যই নতুন কিছু নিয়ম চালু করা হয়েছে এই নিয়মগুলো ফলো করতে হবে তা না হলে কিন্তু আপনি বাহরাইনে গিয়ে কাজ করতে পারবেন না। এখন বাহরাইনের বিশেষ কোম্পানিগুলোতে ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে অথবা আগে থেকেই ট্রেনিং নিয়ে কাজে যেতে হবে।
কিছু কিছু সেক্টরে এই নিয়মে চালু করা হয়েছে তবে সবচেয়ে গুলোতে না তাই আপনি বাহরাইনে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট একটি ক্যাটাগরিতে কাজ শিখে তারপরে যাবেন এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক এজেন্সি রয়েছে অথবা সরকার নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে আপনারা বাহারাইনের ভিসার জন্য ট্রেনিং নিতে পারবেন।
বাহারাইন ভিসা কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- অনলাইনে আবেদন করতে হবে
- স্পন্সর বা নিয়োগকর্তা আবেদন করতে পারবেন
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে
- বি এম ই টি কার্ড থাকতে হবে
বাহরাইন ভিসা ফি 2025
বর্তমানে বাহরাইন ভিসা ফি ৬২০০ টাকা। এছাড়া আরো অন্যান্য খরচ এবং কাগজপত্র উত্তোলন মেডিকেল খরচসহ এজেন্সি ফি আলাদা আলাদা হিসাবে গণ্য করা হয়। তবে যখন আপনি আপনার কোম্পানির মাধ্যমে নির্ধারিত একটি ভিসার দামের উপর নির্ভর করে যখন যাবেন তখন কিন্তু খরচ আরো বেশি পড়বে।
ভিসার মেয়াদ: তিন বছর
ভিসার ধরণ অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে
উপদেশ: অবশ্যই ভালো কোনো এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার কার্যক্রম সম্পন্ন করা উচিত
বাহরাইন ভিসার জন্য আবেদন করার আগে
- বাহরাইন সরকারের সর্বশেষ নির্দেশিকা সম্পর্কে জেনে নিন
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রস্তুত করুন
- স্পন্সর বা নিয়োগকর্তার সাথে যোগাযোগ করুন
আবেদন করার আগে অবশ্যই জেনে নিবেন আপনি কত টাকা দিয়ে আবেদন করছেন এবং কত লাখ টাকা লাগছে বাহরাইনে যেতে এ বিষয়টি আগে থেকে বিবেচনা করা নিয়ে উচিত। কেননা বর্তমানে বাহরাই না অনেক কোম্পানি আছে যেখানে বেতন শুধুমাত্র ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তাই আপনি যদি সেখানে ৫ লাখ টাকা খরচ করে যান তাহলে এই টাকা তুলতে প্রায় তিন বছরের মত লেগে যাবে তাহলে আপনার সেখানে গিয়ে ভালো লাভ করতে পারবেন না।
তাই চেষ্টা করুন আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে যাচ্ছেন তারা কত টাকা নিচ্ছে এবং কিভাবে এই টাকা শোধ করবেন এবং আপনার পর্যাপ্ত টাকা আছে কিনা এবং আপনি সেখানে গেলে ভালো কাজ পাবেন কিনা তা সকল বিষয়গুলো আগে থেকে বিবেচনা করা উচিত। এ বিষয়গুলো দেখাশোনার পরেই আপনি ডিসাইড করবেন এখন ভিসা আবেদন করবেন কিনা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন