পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বাংলাদেশের জন্য নতুন তথ্য তুলে ধরা হলো। বর্তমানে বাংলাদেশীদের জন্য পর্তুগালের ভিসা খুব সহজে পাওয়া যাচ্ছে এক্ষেত্রে যদি আপনি ভালো একটি কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে পর্তুগালের ভিসা করতে পারবেন এক্ষেত্রে বর্তমানে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হচ্ছে। সরকারি এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যদি পর্তুগালে যেতে চান তাহলে এই খরচের মধ্যে যেতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে কি কি কাগজের অভিজ্ঞতা আছে সে বিষয়গুলো আগে দেখতে হবে।
আপনার যদি ভালো কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি পর্তুগালের ভিসা নিতে পারবেন ৮ লক্ষ টাকা খরচ এবং প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র এবং বিএমইটি থেকে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। তাহলে আপনারা পর্তুগালের ভিসা করতে পারবেন এক্ষেত্রে কি কি কাগজ লাগবে এবং কাজের সুযোগ কিভাবে খুজবেন তা নিয়ে বিস্তারিত দেখুন।
পর্তুগালে কাজ করার সুযোগ ২০২৪
পর্তুগালের শ্রমবাজারে ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিদ্যমান, বিশেষ করে কিছু নির্দিষ্ট খাতে কাজের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান আছে। এক্ষেত্রে কি কি কাজের উপর দক্ষতা এবং বর্তমানে কোন কাজগুলোতে লোক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে তা নিয়ে বিস্তারিত দেখুন।- কৃষি: শাকসবজি, ফল, ওয়াইন এবং অন্যান্য কৃষি পণ্য উৎপাদনে কর্মসংস্থানের সুযোগ।
- পর্যটন: হোটেল, রেস্তোরাঁ, বার এবং অন্যান্য পর্যটন-সম্পর্কিত ব্যবসায় কর্মসংস্থানের সুযোগ।
- নির্মাণ: ভবন, রাস্তাঘাট এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে কর্মসংস্থানের সুযোগ।
- তথ্য প্রযুক্তি: সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডেটা এন্ট্রি এবং অন্যান্য আইটি-সম্পর্কিত কাজে কর্মসংস্থানের সুযোগ।
- স্বাস্থ্যসেবা: নার্স, ডাক্তার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ।
পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসার ধরণ
ডি-এক্স: কর্মসংস্থানের জন্য সবচেয়ে সাধারণ ভিসা, যা একটি নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার সাথে কাজ করার অনুমতি দেয়। তবে বাংলাদেশে বৈধ এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যদি আপনারা যেতে চান তাহলে তাদের মাধ্যমে পর্তুগালের ওয়ার্ক ভিসার ফরম পূরণ করতে হবে। এবং প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দিয়ে ফর্ম নিশ্চিত হয়ে গেলে আপনাকে নির্দিষ্ট কাজের উপর একটি ভাইভা নেওয়া হবে সেখানে যদি উত্তীর্ণ হতে পারেন তারপরে আপনি পর্তুগালের ওয়ার্ক ভিসা পেয়ে যাবেন।
এক্ষেত্রে কৃষি ওআইসিটি বিভাগ গুলোতে আপনারা কাজ করার সুযোগ করে নিতে পারবেন তবে অবশ্যই কিছু কিছু কাজের ক্ষেত্রে কিন্তু বয়সসীমা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অন্যান্য দক্ষতা দেখানো লাগে তবে এক্ষেত্রে সকল বিষয়গুলো আপনার এজেন্সির মাধ্যমে তথ্যগুলো জেনে নিতে পারবেন।
একজন বাংলাদেশী শেফ পর্তুগালের একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করার জন্য ডি-এক্স ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। একজন বাংলাদেশী সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার পর্তুগালের একটি আইটি কোম্পানিতে কাজ করার জন্য ডি-এক্স ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। তাছাড়া আপনারাও পর্তুগালের অন্যান্য আইটি সেক্টরগুলোতেও কাজ করার সুযোগ করে নিতে পারবেন। 6 মাসের জন্য পর্তুগালে চাকরি খোঁজার অনুমতি দেয়।
পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- বৈধ পাসপোর্ট ন্যূনতম 6 মাসের জন্য
- ভিসার আবেদনপত্র
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- নির্দিষ্ট কাজের উপর দক্ষতা
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- ইনভাইটেশন লেটার
বাংলাদেশীদের জন্য নির্দেশিকা অনুযায়ী আবেদন করা হয়ে থাকে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাদেরকে ভিসা আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট একটি ফর্ম এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য যে সমস্ত সত্যায়িত কাগজপত্র দেখানো লাগে তা সকলগুলোই এটাস্ট করতে হবে তা না হলে কিন্তু ভিসা প্রুভাল পাওয়া সম্ভব নয়।
পর্তুগাল ভিসা ক্যাটাগরি
- ছুটি কাটানো, পরিবার বা বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য।
- পর্তুগালে পড়াশোনার জন্য।
- পর্তুগালে কাজ করার জন্য।
- ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে পর্তুগাল ভ্রমণের জন্য।
- স্টুডেন্ট ভিসা
পর্তুগাল ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ২০২৪
পর্তুগাল ভিসার আবেদনপত্র পূরণ করার জন্য এই লিংকে থেকে আপনারা আবেদন করতে পারবেন:https://vistos.mne.gov.pt/images/formulario_visto_nacional_en.pdf থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করুন। প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংযোজন করে পর্তুগালের যেকোনো দূতাবাসে গিয়ে জমা দিলেই ভিসা আবেদন হয়ে যাবে।
- আবেদন পত্রটি ইংরেজিতে বা পর্তুগিজ ভাষায় পূরণ করতে হবে।
- সকল তথ্য সঠিকভাবে এবং স্পষ্টভাবে লিখুন কোন ভুল থাকা যাবে না।
- এনআইডি কার্ড এবং পাসপোর্ট এর নাম মিল থাকতে হবে
পর্তুগাল ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করুন ২০২৪
- বৈধ পাসপোর্ট
- ভিসা ফি প্রদানের রশিদ
- সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ভ্রমণ বীমা
- আবাসনের প্রমাণ
- পর্যাপ্ত আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ
- ভ্রমণের উদ্দেশ্যের প্রমাণ
পর্তুগাল ভিসা আবেদন জমা দিন
পর্তুগালের দূতাবাসে সরাসরি আবেদন জমা দিন। অন্যান্য শহর: VFS Global-এর মাধ্যমে আবেদন জমা দিতে পারবেন। তবে সরাসরি আপনারা ঢাকার অফিসের মাধ্যমেও পর্তুগালের ভিসা আবেদন জমা দেওয়া যায় এক্ষেত্রে অবশ্যই সকল বিষয়গুলো একটি খামে পড়ে জমা দিতে হবে।পর্তুগাল ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময়
ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াকরণে 15-30 দিন সময় লাগতে পারে। তবে কাজের ভিসা বা অন্যান্য ভিসার ক্ষেত্রে কিন্তু এক মাস থেকে তিন মাস পর্যন্ত সময় নিয়ে থাকে এর মধ্যে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ বা অন্যান্য বিষয়গুলো কিন্তু সংযোজন করার সুযোগ দিয়ে থাকে।পর্তুগাল ভিসা নিয়ে আরো তথ্য জানুন
- https://www.ivisa.com/portugal/blog/portugal-schengen-visa-for-bangladeshi-citizens
- https://visa.vfsglobal.com/usa/en/prt/apply-visa
- https://www.portugalconsulatebd.com/
ভিসা প্রদানের নিশ্চয়তা কতটুকু।
আবেদন প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরিবর্তিত হতে পারে। সর্বশেষ তথ্যের জন্য পর্তুগালের দূতাবাস বা VFS Global-এর সাথে যোগাযোগ করুন। অথবা তাদের ওয়েবসাইটে বা অথবা ফেসবুক পেজের মাধ্যমে তথ্যগুলো জেনে নিন। ভিসার জন্য আবেদন করার পূর্বে সকল নির্দেশিকা মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে সংগ্রহ করুন।
প্রয়োজনে যে সমস্ত তথ্যগুলো সংযোজন করা লাগে তা অবশ্যই সংযোজন করে তারপরেই ভিসা জমা দিন এক্ষেত্রে কোন ধরনের ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে তা আগে থেকে সংশোধন করে তারপরে জমা দিতে হবে কোন ধরনের ভুল থাকলে কিন্তু ভিসা ক্যানসেল হয়ে যাবে।
আপনি কি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন