ফিজি কোন দেশে অবস্থিত | ফিজি যেতে কি ভিসা নিতে হয়

    ফিজি যেতে কি ভিসা নিতে হয়

    ফিজি প্রশান্ত মহাসাগরের অঞ্চলে একটি দ্বীপ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। এখানে ছোট বড় মিলে প্রায় 300 টিরও বেশি দ্বীপের সমন্বয়ে ফিজি দেশটি গঠিত হয়েছে। প্রথম প্রধান জীব গুলো শহর হচ্ছে আর নদী, সিগাটোকা, লামচা, সাবু সাবু, রাজধানী হলো সুভা।


    থ্রিজি দেশটি দেখতে অনেক সুন্দর এখানে মানুষগুলো অনেক উচ্চমানের এবং ভদ্র এবং শিক্ষিত এখানে কাজ করলে দক্ষ এবং অদক্ষ ব্যক্তিরা সবাই সুযোগ-সুবিধা নিতে পারে তবে ওখানে কাজে পরিধি প্রতিনিয়ত বাড়তেই আছে কিভাবে কোথায় কোন দেশের মাধ্যমে যাবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আমরা এখানে তুলে ধরব।


    ফিজি দেশটির লোক সংখ্যা কত

    ফিজিতে অবস্থিত বর্তমান দেশটির জনসংখ্যা নয় লক্ষের মত। জনগোষ্ঠীর প্রায় 55 ভাগ মানসিক ফিজিয়ান। যাদেরকে স্থানীয় ভাষা বলতে দেখা যায় এছাড়া আরো 40% ভারতীয়। এবং বাকি অন্যান্য জাতি গোষ্ঠীর মানুষ সেখানে বসবাস করে।


    বর্তমানে দেশটিতে প্রায় বৈদেশিক ভাবে প্রতিনিয়ত মানুষের সংখ্যা বাড়তেই আছে এবং সেই সাথে বিদেশীরা এখানে টুরিস্ট স্পট হিসেবেও জায়গা করে নিচ্ছে। তাই এখানে কাজের চাহিদা বাড়তেই আছে।


    ফিজি যেতে কি ভিসা নিতে হয়

    বাংলাদেশি পাসপোর্ট ভাইদের জন্য ফ্রিজের ভ্রমণে কোন ধরনের ভিসা প্রয়োজন হয় না। বিমানবন্দরের আন এরাইভাল ভিসা নিলেই আপনি ভ্রমণ করতে পারবেন। এইভাবে আপনি ফিজিতে তিন মাস পর্যন্ত অবস্থান করতে পারবেন এবং তিন মাস পরেই ফিজি ত্যাগ করতে হবে। কোন ব্যক্তি যদি ফিজিতে অবৈধভাবে অবস্থান করে তাহলে তাকে পুলিশের গ্রেফতার করে নির্দিষ্ট সেন্টারে নিয়ে যাবে।

    ফিজিতে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা কত

    বর্তমানে ফিজিতে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি সেখানে বৈধভাবে কাজ করে। পাঁচ হাজারের মধ্যে অর্ধেকের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক সেখানে কাজ করছে এছাড়াও ভারত ইন্দোনেশিয়া বা অন্যান্য রাষ্ট্রগুলো থেকেও কিন্তু প্রতিনিয়ত কাজে আসছে ফিজিতে।


    ফিজির ভাষা কি

    বর্তমানে ফিজিতে প্রায় সব থেকে ইংরেজি ভাষাতে বেশি কথা বলা হয়ে থাকে অনেকে হিন্দিতে কথা বলে বা অন্যান্য দেশের সামান্য ভাষার মাধ্যমেই মূলত প্রধান যোগাযোগ করে থাকে।


    ফিজি ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ কতদিন

    ফিজি ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ এক বছর পর্যন্ত। এই মেয়াদকাল পরবর্তীতে তিন বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যায় এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কর্মীকে তার নিজ ইচ্ছাই কোম্পানির মালিক কে ৬ মাস আগে জানালে পুনরায় আবার মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়।


    ফিজিতে কাজ করার যোগ্যতা কি

    ফিজিতে কাজ করার যোগ্যতা এটাক কোম্পানিতে এক এক রকম আপনি কোন কোম্পানিতে কাজে যাচ্ছেন তার উপরে নির্ভর করে কাজের যোগ্যতা। সর্বনিম্ন যোগ্যতা হলো অষ্টম শ্রেণী পাস হতে হবে এবং বাংলা ভাষায় নাম ঠিকানা লিখতে পড়তে জানতে হবে। ইংরেজি পড়তে জানতে হবে হিন্দি ভাষায় কথা বলতে এবং বুঝতে পারলেই যে কোন ব্যাক্তি ফিজিতে যোগ্য হবে কাজ করতে পারব।


    ফিজিতে কাজ করার সুযোগ আছে কি

    প্রতিটি দেশে ফিজিতে কাজ করার সুযোগ দিয়ে থাকে। বর্তমানে বিদেশি শ্রমিকরাই বেশি পরিমাণে কাজ করছে। তার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বেশি পরিমাণ দক্ষ শ্রমিকগণ সেখানে গিয়ে কাজ করে থাকে। এখানে অদক্ষ শ্রমিকাও কিন্তু সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারে না। যোগ্য কাজের ব্যক্তিরা সেখানে গিয়ে কাজে আগ্রহীন হয় এবং ভালো ভালো কাজে চুক্তিবদ্ধ হয়ে থাকে। তাই ফিজিতে অবশ্যই যাওয়ার আগে কাজ শিখে তারপরে যাওয়া উচিত


    ফিজিতে সর্বনিম্ন বেতন কত

    ২০২৪ সালে ফিজিতে সর্বনিম্ন বেতন ধরা হয়েছে ৫.২৫ ফিজি ডলার প্রতি ঘন্টা। মাসিক ভাবে কাজ করা যায় তাহলে বাংলাদেশী বা অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে কিন্তু একই রকম ভাবেই ফিজিতে কাজের বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ৪ ডলার পর্যন্ত কিন্তু ঘন্টা ভাবে চুক্তি করেও কাজ করা হয়ে থাকে ফিজি ডলার।


    ফিজি ১ ডলার সমান বাংলাদেশি কত টাকা

    ফিজি  ১ ডলার সমান বাংলাদেশী ৪১ টাকা। ফিজি ডলারের মান বিভিন্ন সময় পরিবর্তন হয়ে থাকে।


    ফিজিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি

    ফিজিতে নানা পেশার কাজের চাহিদা রয়েছে। তবে বর্তমানে নির্মাণ কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি এছাড়া ওয়েল্ডার, গার্মেন্টস, ড্রাইভিং, কৃষি কাজে সব থেকে বেশি পরিমাণ সুযোগ রয়েছে। এবং এই কাজগুলোতে বর্তমানে বেতন অনেকটাই বেশি। বাংলাদেশের প্রতিনিয়ত সেখানে গিয়ে এই সমস্ত কাজগুলো করছে এবং ভালো পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে।


    ফিজিতে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা

    ফিজিতে সাধারণত কাজ করা অবস্থায় দুপুরের জন্য খাবার দেওয়া হয় এবং অন্যান্য সময়ের খাবারের জন্য নিজে রান্না করে খেতে হয় অথবা চুক্তিভিত্তিক উল্লেখযোগ্য কোন মাধ্যমেই এই ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে আপনি আপনার কোম্পানির মাধ্যমে এ বিষয়টি জেনে নেবেন।


    ফিজিতে কাজ করার সুবিধা কি

    কোম্পানির মাধ্যমে থাকার জায়গা করে দিলে সেখানে শেয়ার করে থাকতে হয় এক্ষেত্রে খাবার তৈরি জিনিসপত্র এবং বাসা থেকে যাতায়াতের সুযোগ কোম্পানি নিজেই বহন করে থাকে আবার কোন কোন কোম্পানি খরচ দিয়ে দেয় পরিবহন ব্যবস্থা অনেক সময় নিজেকেও করা লাগতে পারে এ বিষয়ে আপনার কোম্পানির মাধ্যমে জেনে নেওয়া উচিত। পানি বিল বিদ্যুৎ বিল এবং গ্যাসের বিল সহ সকল সুবিধা চুক্তিভিত্তিক থাকা বঞ্চনীয় হতে পারে।


    ফিজিতে থাকা খাওয়ার খরচ কত

    চুক্তিভিত্তিক কোন কোম্পানিতে কর্মীদের থাকার জন্য কোন ধরনের খরচ লাগে না। একসঙ্গে যদি কয়েকজন কর্মী থাকা যায় তাহলে ২০০ থেকে ২৪০ ডলারের মধ্যেই মোটামুটি খাবারের ব্যবস্থা এবং আর কিছু ডলার বাড়ালেই থাকার ব্যবস্থাও হয়ে যায়।


    ফিজিতে কত টাকা বেতন পাওয়া যায়

    এটা মূলত নির্ভর করে কোম্পানিতে কাজের চুক্তির উপর সাধারণত বাংলাদেশি শ্রমিক যারা কাজ করছে তারা 750 ডলার থেকে শুরু করে ১ হাজার ফিজি ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে তবে দক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা বেশি এবং বেতন অন্যান্য কাজের তুলনায় অনেকটা বেশি পাওয়া যায়।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন