আয়নাঘর কোথায় অবস্থিত | আয়নাঘর দেখতে কেমন

    আয়নাঘর দেখতে কেমন

    আয়না ঘর বাংলাদেশের ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত। আয়না ঘরে ১৬ টি কক্ষ এবং ৩০ জন বন্দি একটি রুমে রাখার সক্ষমতা রয়েছে। কাউন্টার টেরোরিজম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো দ্বারা আয়না ঘরটি পরিচালিত হয়। আয়নাঘরটির  নাম যতটা সাদামাটা ততটাই রহস্যময়। এই ঘরটির শেখ হাসিনার আমলে তৈরি করা হয়। আয়না ঘর একটি গোয়েন্দাদের গোপন বন্দিশালা


    আমলে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের এখানে রাখা হতো। যে সমস্ত সেনাবাহিনী আওয়ামী লীগ সরকারের বিপক্ষে ছিল তাদেরকেও এখানে গুম করে রাখা হতো। এ সমস্ত গুম হয়ে যাওয়া মানুষগুলো আয়না ঘুরে ১০ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত তারা অবস্থান করেছে এবং তাদের ফ্যামিলি ও এই বিষয়গুলো জানতো না এবং তাদেরকে কোন ধরনের খোঁজ খবর দেওয়া হতো না


    ২০১৭ সাল থেকে প্রায় ৪০২ জন মানুষ গুম হয়ে যায় এবং তার মধ্যে অনেকেই এই ঘরে অবস্থান করে এ তথ্যটি আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। যারা যারা ঘুমের শিকার হয়েছেন তাদের মধ্যে হাসানুর রহমান এবং শেখ মাহমুদ সেলিম গুম হয়ে যাওয়ার পরে আয়না ঘরে দীর্ঘদিন যাবত অবস্থান করে


    আয়নাঘর কি

    আয়না ঘর হচ্ছে গুমখানা, বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাউন্টার টেরোরিজম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো দ্বারা পরিচালিত একটি গোপন কক্ষ যার নাম আয়না ঘর। আয়নাটি আলো-বাতাসীন একটি ঘর। এখানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকা অবস্থায় বিপক্ষ দলের নেতাকর্মী এবং ন্যায় এবং নেতাকর্মীদের ঘুম অথবা আটক করে সেখানে বন্দি করে রাখা হতো


    ৬০০ জন নেতাকর্মী গোপনে আটক ছিল এবং তাদেরকে কখনোই আয়না ধর সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হতো না এবং এটি কোথায় অবস্থিত সেটাও বলা হতো না। সুইডেন ভিত্তিক একটি নিউজ পোর্টালে গোপন গোপন ভাবে এই তথ্যটি তারা নিশ্চিত করে এটি ঢাকার সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত


    আওয়ামী লীগ সরকার পতন হওয়ার পরে বাংলাদেশের জনগণ আয়না ঘর ভাঙতে চেয়েছে কিন্তু কেউই এর অবস্থান জানে না তবে এই কক্ষটিতে বর্তমানে কোন ধরনের মানুষ বন্দী নেই তাদের সবাইকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান একজন কমান্ডার সেখানে অবস্থান করছিল। তাকে দীর্ঘ ১০ বছর যাবত সেখানে বন্দী করে রাখা হয়েছিল


    আয়নাঘর দেখতে কেমন

    আয়না ঘর দেখতে অনেকটা ভয়ংকর নামটা শুনতে যতটা না সাদামাটা কিন্তু এর ভিতরে অনেক ভয়ংকর। এখান এটি মূলত মাটির নিচে অবস্থিত এখানকার কক্ষগুলো আলো বাতাস সিংহীন এখানে কোন ধরনের বাতাস এবং আলো প্রবেশ করে না


    সেখান থেকে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে বের করে নিয়ে আসে সুস্থ অবস্থায় পরবর্তীতে তার ফ্যামিলিতে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং সেখানে শেখ মোহাম্মদ সেলিম ও হাসিনুর রহমান সেখানে বন্দি ছিলেন দীর্ঘদিন অবস্থায়




    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন