বর্ডার ক্রস বাইক রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম

    বর্ডার ক্রস বাইক রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম

    বর্ডার ক্রস বাইক বাংলাদেশে কখনোই রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব হয় না। যদি কেউ আপনাকে বলে বর্ডার ক্রস বাইক আপনাকে লাইসেন্স করে দেবে একেবারে ১০০% ভাবে তাহলে এটি সম্পূর্ণভাবেই এটা মিথ্যা কথা। যদিও বা কেউ আপনাকে অরজিনাল ভাবে রেজিস্ট্রেশন করে দিতে চাই তাহলে বিআরটিএ এর মত হুবহু অরজিনাল কাগজ দিতে পারে তবে এই কাগজে সরকারিভাবে কোন অনুমোদন থাকবে না।


    বাংলাদেশে কিছু অসাধু কর্মকর্তা রয়েছে যারা আপনাকে ধোকা দেওয়ার জন্য এই ধরনের কাগজ তৈরি করে দিতে পারেন যা আপনার বাইকের জন্য কখনোই রেজিস্ট্রেশন বৈধতা প্রমাণ করে না। যদি এভাবে আপনি কোনদিন আপনার গাড়ির রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স করে নেন তাহলে কখনোই আপনি আপনার গাড়ির বৈধতা পাবেন না কোন একদিন আপনার গাড়ি সরকারের কাছে ধরা খেতেই হবে।


    বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ ধরনের অনেক দালাল রয়েছে যারা কিনা আপনাকে ভুয়া লাইসেন্স তৈরি করার বুদ্ধি দিবে অথবা আপনার কাছ থেকে এটার জন্য মোটা অংকের টাকা নিতে পারে তবে অবশ্যই মনে রাখবেন এটা কিন্তু কখনোই বৈধতা প্রমাণ করে না তাই আপনি চেষ্টা করুন সঠিক পথে এবং সঠিকভাবে বাইক কিনে সেটার বৈধতা নেওয়ার বা রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা।


    বর্ডার ক্রস বাইক রেজিস্ট্রেশন করা যায়

    মনে রাখবেন বর্ডার ক্রস বাই কখনো রেডি স্টেশন করা যায় না এটা একেবারে সম্পূর্ণ অবৈধ। আপনি কোনভাবে যদি এটা রেজিস্ট্রেশন করতে চান তাহলে অফিশিয়ালি ভাবে এটা রেজিস্ট্রেশন হবে না অনেক দালাল রয়েছে যারা ডুবলিকেট ভাবে আপনাকে একটি কাগজ তৈরি করে দিতে পারবে কিন্তু সেটা কখনোই বৈধ নয়।


    আপনাকে এটি রেজিস্ট্রেশন করতে হলে আপনার মেমো কার্ড থাকা লাগবে সেই সাথে আপনি কোথা থেকে গাড়ি কিনেছেন সেই শোরুম এর ঠিকানা এবং শোরুম থেকে যে কিনেছেন তার একটু প্রমাণ দেখাতে হবে এবং আপনার ভোটার আইডি কার্ড সহ অন্যান্য সকল বিষয়গুলো দেখানো লাগে।


    এই পদ্ধতিগুলোতেই সাধারণত মানুষ আটকে যায় তাই বর্ডার ক্রস গাড়িগুলোতে কখনোই লাইসেন্স করা সম্ভব হয় না কেউ যদি অবৈধভাবে করে থাকে তাহলে কিন্তু কোন না কোন একদিন ধরে ফেলবেই এবং সেই দিন কিন্তু সে গাড়িটিও হারিয়ে ফেলবে।


    বর্ডার ক্রস বাইক লাইসেন্স কারা করে

    বর্ডার ক্রস লাইসেন্স কখনোই করা যায় না তবে বাংলাদেশে কিছু দালাল রয়েছে যারা কিনা ডুপ্লিকেট ভাবে লাইসেন্স করে দিতে পারে। তবে এই লাইসেন্সের কাগজ দিয়ে কখনোই আপনি বৈধতা প্রমাণ করতে পারবেন না। মূলত বর্ডার ক্রস গাড়িগুলোতে অরজিনাল কাগজ কখনোই পাওয়া যায় না দেখতে হুবহু বিআরটিএর মত একটি কাগজ তৈরি করে দেওয়া হয়।


    কিন্তু এই কাগজ দিয়ে কখনোই আপনি আপনার বাইক বৈধভাবে বাংলাদেশে ব্যবহার করতে পারবেন না। এটি বৈধভাবে ব্যবহার করার জন্য আপনি যেকোনো বিআরটিএ অফিসে যাবেন না কেন আপনার গাড়ি কখনোই লাইসেন্স করে দিবে না


    আপনি যদি বাংলাদেশের কোন ব্যক্তির মাধ্যমে বর্ডার ক্রস বাইকের লাইসেন্স করে নিতে চান তাহলে এটি কখনোই সম্ভব হবে না। শুধুমাত্র আপনার টাকা খরচ হবে কিন্তু কখনোই আপনি বৈধভাবে বাংলাদেশ এই গাড়িটি লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন না।


    টানা মোটরসাইকেল বৈধ করার উপায়

    টানা মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করা যায় না। এটি বাংলাদেশের যে কোন বিআরটিএ অফিসে গেলেই আপনার এই গাড়িটি বৈধতা দিবে না। এবং কোন ব্যক্তি যদি এই গাড়ির বৈধতা দিয়ে থাকে তাহলে সেটা হবে অবৈধ এই কাগজ দিয়ে আপনি কখনোই আপনার গাড়ির প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করতে পারবেন না।


    দালালের মাধ্যমে অবৈধ কাজ করে আপনি আরো আপনার টাকা হারিয়ে ফেলবেন কিন্তু আপনার কাজের কাজ কখনোই হবে না। টানা মোটরসাইকেল গুলো বাংলাদেশে অনেক রয়েছে তারা কখনোই বৈধভাবে তারা ব্যবহার করতে পারছে না। তবে টানা মোটরসাইকেলের জন্য বৈধ কাগজের মত দেখতে হুবহু ডুপ্লিকেট একটি কাগজ তৈরি করে রাখতে পারবেন তবে এটাতে কখনোই বৈধতা প্রমাণ করা যায় না।


    বর্ডার ক্রস বাইক কোথায় পাওয়া যায়

    বর্ডার ক্রস বাইক বাংলাদেশের যে কোন বর্ডার অঞ্চলে গেলেই পাওয়া যায় যেমন, সিলেট, যশোর, বেনাপোল, হিলি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সহ বাংলাদেশের আরো কিছু বর্ডার অঞ্চল রয়েছে সেগুলোতে বর্ডার ক্রস বাইক কোথায় পাওয়া যায়। এই বাইকগুলোর দাম অনেক কম হয় এবং ইন্ডিয়াতে থেকে অবৈধভাবে আসার কারণে কোন ধরনের ট্যাক্স প্রদান করা লাগে না।


    ইন্ডিয়া থেকে অবৈধ হয়ে বাইক নিয়ে আসার কারণে এগুলোতে টেক্সট প্রদান করা লাগে না এমনকি বাংলাদেশ নিয়ে আসার পরেও কিন্তু এটার বৈধতা পাওয়া যায় না এটি শুধুমাত্র আপনি লোকালে ব্যবহার করতে পারবেন তবে কোন না কোন একদিন কিন্তু আপনার এই বাইক ধরে নিতে পারে পুলিশ। তাই এই গাড়িগুলোতে বৈধতা নেওয়ার জন্য কখনোই আপনি বিআরটিএ অফিসে নিয়ে যেতে পারবেন না।


    বর্ডার ক্রস বাইক সিলেট

    সিলেটে বর্ডার ক্রস বাইক সেল করা হয় এবং খুবই কম দামের মধ্যে এই বাইকগুলো কিনতে পারবেন। সিলেটের বর্ডার অঞ্চলে গেলে এই ধরনের বাইকগুলো আপনি কিনতে পারবেন তবে সব জায়গায় কিন্তু এই বাইকগুলো এভেলেবল নাও থাকতে পারে। কিছু কিছু অঞ্চলে এই বাইক গুলো পাওয়া যায়।


    বডার ক্রস বাইক যশোর

    বর্তমানে যশোরেও কিন্তু বর্ডার ক্রস বাইক পাওয়া যাচ্ছে এবং খুবই কম দামের মধ্যে এই বাইকগুলো যশোর থেকে কিনতে পারবেন। যশোরের বর্ডার অঞ্চলগুলোতে এই বাইকগুলো বিক্রি হয়ে থাকে এটি অবৈধভাবে ভারত থেকে নিয়ে আসা হয় এই বাইকগুলো। যশোর তুলনায় সিলেটে খুবই কম দামে বিক্রি হয় যশোরে বর্তমানে আগের তুলনায় কিছুটা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।


    বডার ক্রস বাইক বেনাপোল

    বেনাপোল এ সবথেকে বেশি পরিমাণ বাইক আমদানি হয় বর্ডার ক্রস বাইকগুলো এই বাইকগুলো খুবই কম দামের মধ্যে আপনারা নিতে পারবেন। তবে অনেক সময় এই বাইকগুলো নেওয়ার পরে কিন্তু পুলিশি হয়রানীর মুখে পড়তে হয়। তবে এক্ষেত্রে আপনারা যদি লোকাল এই গাড়িগুলো ব্যবহার করেন তাহলে কোন সমস্যা হবে না।


    সব থেকে বেশি পরিমাণ বেনাপোল আমদানি বেশি হওয়ার কারণে সেখানে পুলিশের সমস্যা বেশি থাকে এবং কিভাবে নিয়ে আসবেন এবং কোথায় কি করবেন তা সকল বিষয়গুলো আপনি যার কাছ থেকে কিনবেন সেই দেখায় দিতে পারবে।


    বর্ডার ক্রস বাইক কি

    বর্ডার ক্রস বাইক হল ভারত থেকে যে সমস্ত বাইক চোরাই ভাবে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয় সেগুলোই মূলত বর্ডার ক্রস বাইক। এই বাইক গুলো বাংলাদেশে নিয়ে আসার পরে খুবই কম দামে বিক্রি করা হয়ে থাকে এক্ষেত্রে চাপাই নবাবগঞ্জ, সিলেট, যশোর, বেনাপোল সহ বাংলাদেশের বেশ কিছু বর্ডার অঞ্চলে এইভাবে বাইক ভারত থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে। সেগুলোকে মূলত বর্ডার ক্রস বাইক বলা হয়।


    মনে রাখবেন এই সমস্ত বাইকগুলো নিলেই যে আপনি বাংলাদেশের মধ্যে বৈধভাবে চালাতে পারবেন তা কখনোই সম্ভব নয় এটি কখনোই বৈধতা পাবেন না এবং বৈধভাবে যদি রেজিস্ট্রেশন করতে চান তাহলে বিআরটিএ অফিস থেকেও কিন্তু আপনি এটি অরজিনাল ভাবে কখনোই বৈধতা প্রমাণ করতে পারবেন না। তাই উচিত হবে আপনি বৈধভাবে বাংলাদেশ বাইক কিনে নেন এবং বৈধভাবে যেকোনো শোরুম থেকে কাগজপত্র তৈরি করে নিয়ে বিআরটিএ অফিস থেকে আপনি রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারবেন।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন