চলতি বছরে এইচএসসি পরীক্ষা ফলাফল অটো পাসের ভিত্তিতে দেওয়ার কথা থাকলেও সেটি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবারের ২০১৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর এবং যে পরীক্ষাগুলো বাতিল হয়েছে সেগুলো জিএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এইচএসসি ২০২৪ এ যে সমস্ত শিক্ষার্থী ফলাফলে ফেল করলেই ওই শিক্ষার্থী সার্বিক ফলাফলে ফেল করবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এইচএসসি অটোপাস ২০২৪ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের প্রস্তাবনা এখন পর্যন্ত সেটি প্রস্তুত করা হয়নি। সোমবারে এই প্রস্তাবনা প্রস্তুতের দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তারা এ বিষয় নিয়ে নিশ্চিত করেছে।
২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ছাত্র জনতার আন্দোলনের জোরে স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো বিশে আগস্টে সম্পূর্ণভাবে বাতিল ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এমন পরিস্থিতিটা কি উপায়ে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে এই নিয়ে অনেকটাই দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে ছিল ছাত্ররা।
কি উপায়ে পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে এবং ফল প্রকাশ্য করা বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দায়িত্বে থাকা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড গুলো পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকরা বিশেষ একটি বৈঠক করেছে এবং সেই প্রস্তাবনা এখনো সেটির প্রস্তুত করা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তারা।
২০২৪ সালের অটোপাস 40 দিনের মধ্যে এ বিষয়ে কার্যকর করা হবে বলেও একটি রূপরেখা তৈরি করেছে বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আবুল বাশার এ বিষয়টি এখনো প্রস্তুত না হলেও পরীক্ষার ফলাফল বিখ্যাত হবে না সেটা একেবারে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করেছে।
তাই নিষেধ করে বলা যাচ্ছে অনুষ্ঠিত হওয়া পরীক্ষাগুলোতে কোন পরীক্ষার্থী যদি ফেল করে তাহলে তার ফলাফলেও ফেল আসবে বলে জানিয়েছে। আর যে বিষয়গুলো পরীক্ষা বাতিল হয়েছে সেগুলো সাবজেক্ট ম্যাপিং এর মাধ্যমে ফল প্রকাশের চিন্তাভাবনা করেছে বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড। এই প্রস্তাবনা এখন পর্যন্ত প্রস্তুত করা হয়েছে এবং বোর্ড গুলোর পক্ষ থেকে সিদ্ধান্তটা সকল মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
আন্দোলনের অত শিক্ষার্থীদের দাবি মুখে ১১ সেপ্টেম্বর এই অনুষ্ঠিত হওয়া পরীক্ষাগুলো পুনরায় সিদ্ধান্ত নিতে গত আগস্ট দুপুরে একটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সেখানে বিশেষ সভায় উপদেষ্টা অধ্যাপক ডক্টর ওয়াহিদ উদ্দিন শিক্ষক প্রশাসনের কর্মকর্তা আরো সবাই উপস্থিত ছিলেন এবং দুই সপ্তাহে পিছিয়ে অর্ধেক নম্বরে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
তবে পরীক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্ত জানতে পেরে তৎক্ষণিকভাবে সচিবালার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে একপর্যায়ে তারা সচিবালের প্রবেশ করে সিনিয়র সচিব আব্দুর রশিদের কক্ষের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকে। তখন সিনিয়র সচিব সহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের আন্দোলনের মুখে পরীক্ষা বাতিল করতে ঘোষণা করা হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন