বাংলাদেশে প্রত্যেকটি জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে গুলোতেই অথবা লোকাল পর্যায়ে কিন্তু পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে পাওয়া যায়। তবে এই পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। মূলত পুরাতন ল্যাপটপ কেনার জন্য যদি আপনি চিন্তা ভাবনা করে থাকেন তাহলে আজকের এই পোস্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে করুন এবং আপনি পুরাতন ল্যাপটপ কোথায় কিনবেন এবং কোন বিষয়গুলো লক্ষ্য করা উচিত তা নিয়ে বিস্তারিত জানাবো।
বর্তমানে বিদেশ থেকে পুরাতন ল্যাপটপ আমদানি করা হয় আর এই ল্যাপটপের পার্টস ঠিক থাকে না এগুলো সঠিকভাবে চেক করে নিতে হয় অথবা অনেক দোকানদার রয়েছে যারা আপনাকে নির্ধারিত একটি ওয়ারেন্টি দিবে তবে এরপরই কিন্তু এই সমস্যাটা শুরু হয়। তাহলে প্রথমে জেনে নেওয়া যাক পুরাতন ল্যাপটপ কোথা থেকে আসে এবং কোথায় পাবেন এবং পুরাতন ল্যাপটপের সবথেকে বড় বাজার কোনগুলো। তা সকল বিষয়গুলো আস্তে আস্তে আমরা পর্যায়ক্রমে জানাবো।
পুরাতন ল্যাপটপ মার্কেট ঢাকা
ঢাকার মধ্যে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সবথেকে বড় মার্কেট আইডিবি ভবন, আগারগাঁও, মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার, এলিফ্যান্ট রোড এই জায়গাগুলোতে আপনারা যে কোন ব্যান্ডের পুরাতন ল্যাপটপ কম দাম থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ দামের ল্যাপটপ গুলো কিনতে পারবেন। এখানে অনেক বড় বড় সব রয়েছে যেখানে অনেকগুলো পুরাতন ল্যাপটপ দেখে আপনি যেকোন একটি পুরাতন ল্যাপটপ পছন্দ মত কিনতে পারবেন।
এছাড়াও বাংলাদেশের ঢাকার মধ্যে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স, যমুনা ফিউচার পার্ক, গুলশান, বনানী, উত্তরা, মিরপুর ধানমন্ডি এসব ও এলাকাগুলোতেও আপনারা পুরাতন ল্যাপটপের বড় বড় দোকান পাবেন। বিদেশী পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে পারবেন তবে এই সমস্ত ল্যাপটপ বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় এবং এগুলোর দাম কত এবং কিভাবে ভালো পুরাতন ল্যাপটপ কিনবেন তা বিস্তারিত দেখুন।
ঢাকার মধ্যে এই মার্কেট গুলোতে মূলত ইমপোর্ট এন্ড রি সেলার অনেকগুলো দোকান পাবেন তারা সাধারণত দেশের বাহির থেকে বিভিন্ন কোম্পানির সাথে চুক্তি করে তারা এই পুরাতন সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপগুলো নিয়ে আসে থাকে। এগুলো কতটা নিরাপদ এবং এগুলা নেওয়া যায় কিনা এবং কতদিন পর্যন্ত এবং কি কি কাজ করতে পারবেন পুরাতন ল্যাপটপগুলো নিয়ে তা আলোচনা করব।
পুরাতন লেপটপ ক্রয় বিক্রয় মিরপুর
ঢাকার মিরপুরে বর্তমানে পুরাতন ল্যাপটপের অনেকগুলো দোকান রয়েছে সেখান থেকে আপনারা ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকার মধ্যে অন্যতমনের ভালো ব্যান্ডের পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে পারবেন। মূলত এই ল্যাপটপ গুলো বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে আর এই ল্যাপটপগুলো বাংলাদেশের বাজারে কম দামে কিছুদিনের ওয়ারেন্টি দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।
যারা মিরপুর থেকে এ সমস্ত ল্যাপটপগুলো কিনছে তারা অনেকেই ভালো রিভিউ দিচ্ছে বর্তমানে যারা এই ল্যাপটপগুলো কিনেছে তাদের দুই বছর তিন বছর পর্যন্ত চালাতে পারছে। তারা যারা দীর্ঘদিন যাবত অথবা টুকিটাকি হালকা কাজ করছে তাদের এই ল্যাপটপগুলো নিতে হলে খরচ করবে ৩৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে নরমাল এবং ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে পাওয়া যায় মিরপুরে।
বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন
পুরাতন লেপটপ ক্রয় বিক্রয় চট্টগ্রাম
বর্তমানে পুরাতন ল্যাপটপের সবথেকে বড় কারখানা হল চট্টগ্রাম। এখান থেকে আপনারা পুরাতন যে কোন ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন কিনতে পারবেন। তবে অনেকেই শুধুমাত্র পুরাতন ল্যাপটপ কেনার জন্যই কিন্তু চট্টগ্রামে যাই। চট্টগ্রামে প্রথমত কার্গ জাহাজের মাধ্যমে এ সমস্ত ল্যাপটপগুলো বিদেশ থেকে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানে খুবই কম মূল্যে পুরাতন ল্যাপটপগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়।
মূলত বাংলাদেশের যারা পুরাতন ল্যাপটপ বিজনেস করে তারা সেখান থেকে নিয়ে আসে এবং সেখানে গিয়ে নিজের ইচ্ছামতো এবং পছন্দ মত ল্যাপটপগুলো বাছাই করে নিয়ে নাই। কেননা সেখানে গিয়ে বাছাই করে আপনাকে পছন্দ মত কত পিস নিবেন এবং কোন ব্যান্ডের নিবেন। সেগুলো নিজেকেই খুঁজে নিতে হবে তাই আপনি যদি পুরাতন ল্যাপটপ নেওয়ার চিন্তাভাবনা করেন তাহলে কিন্তু চট্টগ্রামে গিয়ে নিতে পারেন এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাদেরকে কয়েকটি বিষয় চিনে রাখা লাগবে।
5000 টাকায় ল্যাপটপ
বর্তমানে ৫০০০ টাকার মধ্যে লেনোভো ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া যদি আপনি পুরাতন ল্যাপটপ নিতে চান তাহলে কিন্তু 5000 টাকার মধ্যে কখনো সম্ভব না। একেবারে নরমাল এবং নষ্ট এবং দুইবার থেকে তিনবার পর্যন্ত ঠিক করা হয়েছে এ সমস্ত ল্যাপটপগুলো সাধারণত ৫০০০ টাকায় পাবেন। তবেগুলোতে হাই লেভেলের কাজ কখনোই করা সম্ভব না।
আপনি যদি সাধারণভাবে নরমালি নেট ব্রাউজ করার জন্য ল্যাপটপ নিতে চান তাহলে ৫ হাজার টাকার মধ্যে কিন্তু নরমাল প্যাড টাইপের ল্যাপটপগুলো নিতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো রেজাল্ট কখনোই পাবেন না তাই চেষ্টা করুন একটু বাজেট বাড়িয়ে ত্রিশ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মানের ল্যাপটপ নেওয়ার।
পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহে আপনি পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় করতে পারবেন এবং বিক্রিও করতে পারবেন। ময়মনসিংহের কম্পিউটার শপ এবং কম্পিউটার ফেয়ারে বর্তমানে পুরাতন ল্যাপটপ বিক্রি করা হচ্ছে এবং পুরাতন ল্যাপটপগুলো কিনে নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ত্রিশ হাজার টাকা থেকে শুরু করে আপনি ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ময়মনসিংহে ভালো মানের পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে আপনি যদি ভালো মানের ল্যাপটপগুলো পুরাতনভাবে বিক্রি করতে চান তাহলে খুবই কম মূল্যে বিক্রি করতে পারবেন এক্ষেত্রে লাভ অনেকটাই কম হয়। ময়মনসিংহের যে কোন দোকানে গেলে আপনারা পুরাতন ল্যাপটপগুলো বিক্রি করতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই দাম কম পাবেন এই বিষয়টা আপনাদের আগেই অবগত করে রাখা হলো।
সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ প্রাইস
বাংলাদেশের সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ প্রাইস ৩৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকার মধ্যে বিভিন্ন ব্যান্ডের ল্যাপটপ পাওয়া যায়। তবে আপনি যদি আসস অথবা এইচপি ব্যান্ডের ল্যাপটপগুলো নিতে চান তাহলে সাধারণত ৩৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মানের ল্যাপটপ পাওয়া যায়। এই ল্যাপটপগুলো থেকে আপনারা ফ্রিল্যান্সিং গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজগুলো করতে পারবেন।
তাছাড়া অফিসিয়াল ভাবে কাজ করার জন্য অথবা আপনার ল্যাবের জন্য এই ল্যাপটপ গুলো অত্যন্ত কার্যকরী এবং এখানে ভালো মানের ব্যাকআপ দিয়ে এবং ব্যাটারি কোয়ালিটি সহ অন্যান্য ফিচার অনেক ভালো থাকে। তবে এই ল্যাপটপগুলো নেওয়ার পরে আপনি সর্বোচ্চ ১৫ দিন থেকে ২০ দিন পর্যন্ত ওয়ারেন্টি পাবেন। এর মধ্যে যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তারা যেকোনো সময় চেঞ্জ করে দেয়।
টিকটক কিভাবে অটো লাইক নিতে পারবেন
কিস্তিতে ল্যাপটপ কোথায় পাওয়া যায়
বাংলাদেশের অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা কিনা কিস্তিতে ল্যাপটপ দিচ্ছে। এক্ষেত্রে ল্যাপটপের মূল্য অনুযায়ী মাসে মাসে কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। ওয়ালটন, স্টারটেক, রায়ান্স কম্পিউটার এই কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ কিস্তির মাধ্যমে ল্যাপটপ দিচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে কোন ব্রাঞ্চ থেকে আপনারা কিস্তির মাধ্যমে ল্যাপটপ ক্রয় করতে পারবেন।
তবে কিস্তির মাধ্যমে ল্যাপটপ ক্রয় করতে হলে অবশ্যই আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং কার্ড থাকতে হবে তাহলে আপনারা বাংলাদেশের যেকোনো জায়গা থেকে কিস্তির মাধ্যমে ল্যাপটপ কিনতে পারবেন। এক্ষেত্রে যে কোন দামের এবং যেকোনো মডেলের ল্যাপটপগুলো কুস্তির মাধ্যমে কেনার সুযোগ থাকে। এগুলো কিনতে হলে প্রথমে ওয়ালটন শোরুমে গিয়ে আপনার পছন্দ মত ল্যাপটপ চয়েজ করে সেগুলোর দাম নির্ধারণ করে ব্যাংকের মাধ্যমে আপনাকে এগুলো কিনতে হবে।
ল্যাপটপ এর দাম ২০২৪ বাংলাদেশ
বাংলাদেশে বর্তমানে ল্যাপটপ ১৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে আপনি চাইলে ১ লক্ষ ২০ হাজার এবং ২ লক্ষ টাকার মধ্যে ভাল মানের ল্যাপটপ কিনতে পারবেন। তবে আপনি যদি নরমালি গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা ফ্রিল্যান্সিং অথবা নরমাল অফিসিয়াল কাজ করার জন্য ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে কিন্তু ৩০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মানের ল্যাপটপ বাংলাদেশের বাজার থেকে আপনারা কিনতে পারবেন।
তবে একটা জিনিস মাথায় রাখবেন ৩০ হাজার টাকার মধ্যে ল্যাপটপ কিনলে কিন্তু নরমালি আপনার পাঁচ বছরের মধ্যে ভালো একটা কাজ করার সুযোগ করে নিতে পারবেন তবে যদি আপনার বাজেট এবং কোয়ালিটি ভালো মানের ল্যাপটপ নিতে চান তাহলে কিন্তু আপনার বাজেট মিনিমাম ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে নিতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই গ্রাফিক্স কার্ড এবং অন্যান্য বিষয়গুলো দেখে শুনে কিনতে হবে।
পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় রাজশাহী
রাজশাহীর নিউমার্কেট এলাকায় যে কোন দোকানেই পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় করা যায়। এছাড়াও রাজশাহীর লোকালে আরো অনেক দোকান রয়েছে যেগুলোতে পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় করে এবং বিক্রি করে। এগুলো মূলত ৩৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে আরো ভালো মানের বেশি দামের ল্যাপটপ কিনতে পারবেন।
তবে বেশিরভাগই ৩৫ হাজার টাকা থেকে 50000 টাকার মধ্যে ভালো মানের ল্যাপটপ বিক্রি হচ্ছে। তবে যদি আপনার নির্ধারিত কোন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ পছন্দ থাকে তাদেরকে জানালে তারা কিছুদিনের মধ্যেই এই সমস্ত ল্যাপটপগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করে আপনাকে নিয়ে এসে দিতে পারবে। তবে এগুলোর দাম কিন্তু অনেক অংশের বেশি পড়ে যায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন