এখন থেকে আর দিল্লীতে নাই সরাসরি বাংলাদেশের ঢাকা থেকে আপনারা হাঙ্গেরি ভিসা করতে পারবেন এক্ষেত্রে ভ্রমণ ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সহ সকল ধরনের ভিসা করা যাচ্ছে এক্ষেত্রে এখন থেকে আপনারা চাইলে দেশের বাহিরে থেকেও যেতে পারবেন অথবা বাংলাদেশ থেকেও যেতে পারবেন চলুন কিভাবে যাবেন দেখে নেওয়া যাক।
নতুন বছরে কোন নির্ধারিত কোম্পানিতে স্পেসিফিক লোক নিচ্ছে না এক্ষেত্রে যাদের নিকটস্থ কোন এজেন্সি রয়েছে অথবা কোন কোম্পানির মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন সেই হিসেবে আপনারা যেতে পারবেন তবে আগের মতো এখন বিএমআইটি কর্তৃক ছাড়া নিবন্ধিত কর্মীদের সরকারিভাবে যাওয়া যাচ্ছে না তাই অবশ্যই আপনার আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন করে রাখুন আপনার দক্ষতা অনুযায়ী আপনাকে ভাইবার মাধ্যমে নির্বাচিত করে হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রদান করা হবে।
তাই আপনারা যারা হাঙ্গেরিতে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তারা আজকের এই কন্টেন্টটি ভালো মতো দেখুন। কিভাবে যাবেন এবং আবেদন কিভাবে করবেন জানানো হলো। হাঙ্গেরী ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত এবং এটি কিভাবে পাবেন তা সকল তথ্যগুলো এখানেই তুলে ধরা হয়েছে।
হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫
২০২৫ সালে হাঙ্গেরি ভিসা করার জন্য এখন বাংলাদেশের গ্লোবাল ভিসা সার্ভিস সেন্টার থেকে আপনারা করতে পারবেন এক্ষেত্রে খরচ পড়বে ৬ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এক্ষেত্রে যদি সরকার নিবন্ধিত এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে যান সে ক্ষেত্রে খরচ আরো বেশি লাগতে পারে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে হওয়ার কারণে ভিসা ১২০ দিনের মধ্যেই পাওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশ থেকে এখন সরকারিভাবে যাওয়া যাচ্ছে এবং বেসরকারিভাবে আপনারা বিভিন্ন এজেন্টের সাহায্য নিয়েও যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন হাঙ্গেরিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং অন্যান্য কি কি বিষয় লাগে তার সকল গুলোই আগে থেকেই সংগ্রহ করে রাখতে এতে করে আপনার বি এম আই টি অথবা অন্যান্য রেজিস্ট্রেশন সবগুলো সম্পন্ন করে রাখবেন।
রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি কোথায় জেনে নিন
বর্তমানে সরকার নিবন্ধিত অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা কিনা আপনাকে ৫ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকার মধ্যে হাঙ্গেরি ওয়ার্ড পারমিট ভিসা দিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। তবে মনে রাখবেন এ সমস্ত এজেন্সি গুলো কিন্তু বিমান ভাড়া ধরে তবে এক্ষেত্রে আপনি যখন ১০ লক্ষ টাকার মধ্যে যাবেন তখন এই বিষয়টি জেনে নিবেন যে বিমান ভাড়া আলাদা কিনা।
হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন
হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট আবেদন করার জন্য বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে করা যাচ্ছে। তবে আপনি যদি নিজে করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে অবশ্যই ইন্ডিয়া থেকে আপনাকে হাঙ্গেরি ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ফি নিয়ে সেখানে গিয়ে আপনাকে জমা দিতে হবে।
হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নেওয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু আপনাদের কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে যে আপনি কোন দেশের নাগরিক। যদি আপনি বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু এটি পাওয়া অনেকটাই কঠিন হতে পারে তবে এক্ষেত্রে আপনারা বিদেশে দুই এক বছর থাকা অবস্থায় যদি হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করেন তাহলে কিন্তু খুব সহজেই করা যায়।
হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট পেতে কত দিন লাগে?
আঙ্কেল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করার পরে পরবর্তীতে ৪৫ দিনের মধ্যেই হাঙ্গেরি ওয়ার্ড পারমিট ভিসা পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে যদি আপনি ইন্ডিয়ার মাধ্যমে করেন তাহলে কিন্তু একই সময় লাগবে। বাংলাদেশী সরকারি নিবন্ধিত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার পরে সর্বোচ্চ ৩০ দিন সময় নেয়।
তবে সবথেকে ভালো হয় আপনারা যদি ইন্ডিয়া দূতাবাসের মাধ্যমে সেখানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো নিয়ে হাঙ্গেরি দূতাবাসে গিয়ে জমা দিলে তাড়াতাড়ি একটি রেজাল্ট পাওয়া যায় তবে এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় কাজের উপর দক্ষতা এবং অন্যান্য বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়ে থাকে।
বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন
হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত
হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ পড়ছে ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা। তবে এক্ষেত্রে অনেক এজেন্সি গুলো তাদের বিমান ভাড়া এবং অন্যান্য খরচ ভগবত কিন্তু হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ ভিন্ন রকম। তবে আপনি যদি দেশের বাহিরে থেকে যান তাহলে কিন্তু খরচ আরো কিছুটা কম হতে পারে।
এক্ষেত্রে চার লক্ষ টাকার মধ্যেও দেশের বাইরে থেকে হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যাচ্ছে। তবে ক্ষেত্রে আপনাদের অবশ্যই জেনে রাখা উচিত যে যদি ইন্ডিয়া অথবা বাংলাদেশি এজেন্সি গুলার মাধ্যমে যান তাহলে কিন্তু এরকম ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারে।
তবে এক্ষেত্রে কিন্তু বিমান ভাড়া বা অন্যান্য খরচ গুলো কিন্তু আলাদাভাবে ধরা হয়। বিমান ভাড়া এবং হোটেল খরচ গুলো ভিন্ন ভিন্ন হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট নেওয়ার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো আগে থেকেই সতর্ক থাকবেন এবং কয়েকটি এজেন্সি ঘুরে তারপরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন।
হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট দেখতে কেমন
হাঙ্গেরোয়ার পারমিট হল মূলত একটি কাজের ভিসা কাজ করার জন্য একটি অনুমোদন পত্র। এটা দেখতে অন্যান্য ওয়ার্ক পারমিট কাজের ভিসার মত। তাই নিচে একটি ছবি তুলে ধরা হলো আগেরবার পারমিট এর।
হাঙ্গেরী ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যারা দেখেননি তারা এটি দেখতে পারেন এবং এইভাবে আপনারা যে কোন ভিসা পর্যবেক্ষণ করে এবং ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারেন। পর্যায়ক্রমে আমরা হাঙ্গেরি রিলেটেড অন্যান্য পোস্টগুলো তুলে ধরব।বিদেশ যাওয়ার আগে যেগুলো জানা জরুরী
হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট চেক অনলাইন
www.vfsvisaonline.com/Global-Passporttracking এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনারা হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চেক করতে পারবেন। এখান থেকে আপনার ভিসার মেয়াদ কত দিন আছে এই বিষয়টি দেখা যায় এবং আপনি কি ভিজাতে হাঙ্গেরিতে কাজ করছেন সেটিও এখানে দেখা যাবে।
হাঙ্গেরী ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ কতদিন এবং কি কি সুযোগ সুবিধা আছে এবং কোন বিষয়গুলো লক্ষ্য করা উচিত। সকল বিষয়গুলোই দিকনির্দেশনা আকারে এখানে দেওয়া আছে পর্যায়ক্রমে আপনারা ইন্ডিয়ান যে কোন এম্বাসি কর্তৃক এই বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
হাঙ্গেরি সর্বনিম্ন বেতন কত ২০২৫
বর্তমানে হাঙ্গেরিতে একজন কর্মীর ৭০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পরিমাণ বেতন পাই। তবে আপনি যদি নির্দিষ্ট ভাল কোন কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে যেতে পারেন তাহলে এক্ষেত্রে আরো বেশি পরিমাণ পাবেন।
যারা পার্টটাইম জব করছে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু ভিন্ন রকম বেতন থাকে তবে এক্ষেত্রে আপনি যদি ইলেকট্রিশিয়ান অথবা ড্রাইভিং কাজের উপর দক্ষতা থাকে তাহলে কিন্তু সেখানে ভালো পরিমাণ বেতন পাবেন। এক্ষেত্রে ছাড়া ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু বেতনের ভিন্নতা রয়েছে ৭০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভালো ফ্যাক্টরিগুলোতে কাজ করা যায়।
এটি শুধুমাত্র আন্দেরিতে পার্টটাইম জবের ক্ষেত্রে ৫০,০০০ টাকা সর্বনিম্ন বেতন পাওয়া যায়। তবে আপনি যদি ভালো মানের একদম পার্টটাইম ছাড়া যদি একদম ফুলটাইম কাজ করেন তাহলে কিন্তু বেতন আনুমানিক তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত মাস শেষে তোলা যায়।
হাঙ্গেরি ভিসা ফর বাংলাদেশী
বাংলাদেশীদের জন্য হাঙ্গেরি ভিসা খোলা আছে তবে দেশের বাহিরে থেকে এবং বাংলাদেশের ভিতরে অনেক এজেন্সি রয়েছে যে সমস্ত এজেন্সি গুলো হাঙ্গেরিতে আপনাকে কাজ নিয়ে দিতে পারবে তবে এই কাজ নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী কেন না হাঙ্গেরিতে কিন্তু সরাসরি কোন কোম্পানি কর্তৃক এইভাবে লোক নিয়োগ দেয় না।
তাই এগুলো যারা করে তারা সাধারণত বিভিন্ন কোম্পানি হয়ে এই পরিচালনা করে থাকে। তাই বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি হাঙ্গেরিতে যেতে চান তাহলে আপনাকে ইন্ডিয়া দূতাবাস অথবা বাংলাদেশের বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে আপনারা যাওয়ার জন্য করতে পারবেন এক্ষেত্রে হাঙ্গেরি ভিসা ফর বাংলাদেশি হওয়া সম্ভব।
কাতারের ভিসা কবে থেকে খুলবে | কাতারে প্রবাসীদের বেতন কত ?
হাঙ্গেরি নাগরিকত্ব
হাঙ্গেরি নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে অবশ্যই হাঙ্গেরিতে পাঁচ বছর কাজ করতে হবে এবং হাজারীতে যদি আপনি গ্রীন কার্ড পেতে চান তাহলে সেখানে যদি বিয়ে করেন তাহলে দ্রুত গ্রীন কার্ড পাওয়া যায়। তাছাড়া হাঙ্গেরিতে বর্তমানে অবস্থান করছে এমন সব লয়ারের সাথে যদি আপনি যোগাযোগ করে রাখেন তারপরেও কিন্তু অনেকটাই সহজ হবে।
তাই নাগরিকত্ব পাওয়ার পরে চাইলে আপনি সেখানে থেকে যেতে পারবেন এবং চাইলে ওখান থেকে আপনারা অন্যান্য দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য ভিসা করে নিতে পারবেন। তাই প্রথম অবস্থায় আপনাদেরকে সেখানে গিয়ে বিয়ে করতে হবে অথবা ভাল কোন লয়ার ধরতে হবে।
সকল প্রসেস গুলো ঠিক থাকলে আপনি যথাসমূহের মধ্যে এটা পেয়ে যাবেন। আপনার কাগজপত্র যদি কোন ভুল ত্রুটি না থাকে তাহলে সর্বোচ্চ 90 দিনের মধ্যেই পাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে নামের ভুল অথবা আপনার কাগজপত্রের কোনো যদি আপনার অন্যান্য ডেটাতে ভুল থাকে সেক্ষেত্রে কিন্তু এটা আরও ১২০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন