আপনি কি সিঙ্গাপুর যেতে চান? তাহলে সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে জানেন না? আপনাদের সাথে সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে 2025 নিয়ে আলোচনা করবো। সিঙ্গাপুর ভিসা খরচ কত টাকা তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।
সিঙ্গাপুর অনেকেই যেতে চান টাকা ইনকাম করার জন্য বা ভ্রমণ করার জন্য। আপনিও যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে সিঙ্গাপুর কাজ করতে যেতে চান, তবে সিঙ্গাপুর যাতায়াত খরচ কত টাকা তা জেনে রাখতে হবে তা না হলে কিন্তু আপনারা বিভিন্ন প্রতারণার শিকার হতে পারেন। তো চলুন, সিঙ্গাপুর ভিসা খরচ কত টাকা জেনে নেয়া যাক বিমান ভাড়া সহ বিস্তারিত তথ্য পাবেন।
সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে ৪ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৫ লাখ টাকা লেগে থাকে। সিঙ্গাপুর স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে ২-৩ লাখ টাকা লাগে এবং ট্রাভেল ভিসায় যেতে ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকা লেগে থাকে।
সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫ তা নির্ভর করবে, কি উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুরের ভিসা আবেদন করছেন কার ওপর। কোনো সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্সির থেকে ভিসা আবেদন করে নিলে অল্প খরচে সিঙ্গাপুর যেতে পারবেন। দালালের থেকে সিঙ্গাপুর ভিসা করে নিলে খরচ অনেক বেশি পড়বে। এবং দালালদের মাধ্যমে কিন্তু সিঙ্গাপুরের ভিসা করলে এক্ষেত্রে কিন্তু প্রতারণার শিকার হতে পারেন সাবধান থাকবেন।
সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য ৮ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা লাগে। সরকারিভাবে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসার জন্য আবেদন করলে অল্প খরচে যেতে পারবেন। সরকারিভাবে যদি যান তাহলে খরচ ৫ টাকার মধ্যে যাওয়া সম্ভব।
সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকা ২০২৫
সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকা ২০২৫ বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে টাকা খরচ হয়ে থাকে। অর্থাৎ, কোন ধরণের ভিসা নিচ্ছেন তার উপর ভিত্তি করে সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা খরচ হবে। যদি কাজের ভিসা ২ থেকে ৫ বছর মেয়াদী ভিসা নিতে চান তাহলে খরচ পড়বে প্রায় ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
প্রায় প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে মানুষ সিঙ্গাপুর যান শ্রমিক ভিসায় কাজ করার জন্য। সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে সাধারণত ৫-৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে থাকে। ২০২৫ সালেও অনেকেই সিঙ্গাপুর যেতে চাচ্ছেন সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে।
২০২৫ সালের এ বছর যদি ওয়ার্ক সিঙ্গাপুর পারমিট ভিসা নিতে চান, তবে ৫-৬ লক্ষ টাকা খরচ হবে। যদি কোনো দালালের সাহায্য নেন, সেক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর ভিসার জন্য আরও বেশি খরচ হতে পারে। সরকারীভাবে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসায় গেলে আরও কম খরচে যেতে পারবেন এবং সুযোগ-সুবিধা বেশি থাকে।
শ্রমিক ভিসায় সিঙ্গাপুর যেতে চান, ৫-৬ লক্ষ টাকা খরচ হবে। ৫-৬ লক্ষ টাকা খরচ করে সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে পারবেন। যে কাজের ভিসা নিবেন তার উপর আপনার দক্ষতা থাকতে হবে। কাজের পূর্ব দক্ষতা না থাকলে ক্লিনার, গৃহকর্মী সহ বিভিন্ন কাজের ভিসা নিতে পারবেন দক্ষতা স্বরূপ অবশ্যই আপনাকে কিন্তু যে কোন একটি প্রতিষ্ঠান হতে ছয় মাসের ট্রেনিং লাগবে।
সিঙ্গাপুর কাজের বেতন কত টাকা ২০২৫
সিঙ্গাপুরে কাজের বেতন কত টাকা তা অনেকেরই জানার আগ্রহ থাকে। আপনি যদি সিঙ্গাপুরে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন তাহলে এই বিষয়ে জেনে রাখা উচিত। সিঙ্গাপুরে আপনি যদি কাজে যেতে চান তাহলে কাজে যদি দক্ষ ও অভিজ্ঞ হন, তাহলে প্রতি মাসে ৫০০-৬০০ মার্কিন ডলার বেতন তুলতে পারবেন।
কোন কাজ না জেনে সিঙ্গাপুর গেলে ৩০০-৪০০ মার্কিন ডলার অব্দি বেতন পাওয়া যায়। ১ মার্কিন ডলার সমান বাংলাদেশি টাকায় ১১৮ টাকা দিয়ে থাকে সাথে ২% প্রণোদনা। আপনি যদি সিঙ্গাপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে যেকোনো কাজের উপর প্রশিক্ষন নিয়ে সিঙ্গাপুর যেতে পারেন তাহলে প্রতি মাসে অনেক ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
বর্তমানে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসার উপর অনেক সময় বেতন কম-বেশি হয়ে থাকে। যদি ক্লিনার ভিসায় সিঙ্গাপুর যান, তবে বেতন কম পাবেন তবে সুযোগ-সুবিধা বেশি। আবার যদি ইলেক্ট্রিশিয়ান ভিসায় যান, তবে আরও বেশি বেতন পাবেন। তাছাড়া হার্ডওয়্যার ইলেকট্রনিক্স বা নেটওয়ার্কিং এসব সেক্টরে যদি কাজ করেন তাহলে কিন্তু আরো বেশি পরিমাণ মাস শেষে বেতন তোলা সম্ভব
সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে ২০২৫
সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য আপনাদের প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র লাগে এবং সেইসাথে আপনার মেডিকেল রিপোর্টসহ আরো অন্যান্য তথ্য সংযোজন করা লাগে। কাজের জন্য যদি সিঙ্গাপুর যেতে চান, সিঙ্গাপুর ভিসার আবেদন করতে হলে এ তথ্যগুলো লাগবে। সিঙ্গাপুর ভিসার জন্য আবেদন করার সময় ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়ে থাকে।
- ৬ মাস মেয়াদের ভ্যালিড পাসপোর্ট
- সিঙ্গাপুরের কোন কোম্পানি হতে আমন্ত্রণপত্র
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড রঙ্গিন ছবি
- ব্যক্তিগত সকল তথ্যাদি
- শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
- পূর্বে কোন কাজের অভিজ্ঞতা তার প্রমাণ
- এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদ
- মেডিকেল টেস্ট এর রিপোর্ট অবশ্যই তিন মাসের মধ্যে হতে হবে
সিঙ্গাপুর ওয়ারপার পারমিট ভিসা আবেদন করার সময় অবশ্যই এই তথ্যগুলো জমা দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো অনলাইনে সাবমিট করতে হবে এবং যদি কোন ধরনের স্বাক্ষর বা প্রয়োজন পড়ে তাহলে অবশ্যই আগে থেকে দিয়ে তারপরে জমা দিবেন তারপরে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ভিসা হাতে পেয়ে যাবেন।
সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা আবেদন ২০২৫
সিঙ্গাপুর কাজ করার জন্য যেতে চাইলে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা বা সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। সরকারিভাবে সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চাইলে আমি প্রবাসী অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে কাজের জন্য দক্ষতা অনুযায়ী আবেদন করতে হবে।
সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা আবেদন ২০২৫ এ সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে ভিসা করে সিঙ্গাপুর যেতে পারবেন। প্রবাসী অ্যাপ এর মাধ্যমে বিএমইটি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে আরও দক্ষ করে তুলতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট একটি কাজের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে সিঙ্গাপুরে যেতে পারবেন। সিঙ্গাপুর গিয়ে আরও ভালো বেতনে কাজ করতে পারবেন এবং ভালো পরিমাণ বেতন তুলতে পারবেন।
প্রথম অবস্থায় সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করুন এবং কাজের জন্য আবেদন করুন। যারা সিঙ্গাপুর কাজের আবেদন করার পর ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে ভিসা আবেদন করেছেন, তারা চাইলে তাদের ভিসা হয়েছে কিনা সেটি চেক করে দেখতে পারেন অনলাইনের মাধ্যমে। অথবা আপনার যদি নিকটস্থ ভিসা সার্ভিস অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে তাহলে যেকোনো সময় জেনে নিতে পারবেন।
বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা নেওয়ার জন্য অনেক এজেন্ট রয়েছে এবং সরকারি যে সমস্ত এজেন্ট রয়েছে তাদের তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো এখান থেকে আপনারা এই এজেন্টের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের কাজের ভিসা নিয়ে সিঙ্গাপুরে যেতে পারবেন। এর ২০২৫ সালের সেরা কিছু তালিকা নিচে তুলে ধরলাম।
সিল্কওয়ে কার্গো সার্ভিসেস লিমিটেড
স্থান: গুলশান
মোবাইল: 9888211-20
ইউনিয়ন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস লিমিটেড
স্থান: গুলশান
মোবাইল: 9854566-77
ভ্যালেন্সিয়া এয়ার ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস
স্থান: মতিঝিল
ফোন:7118695
ভিক্টরি ট্রাভেলস লিমিটেড
স্থান:বনানী
ফোন: 9550916
মেডিকনসাল্ট লিমিটেড
স্থান: গুলশান
ফোন:029840033
সিঙ্গাপুর স্কিল ট্রেনিং খরচ কত ২০২৫
২০২৫ সালে যদি আপনারা সিঙ্গাপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে এই স্কুল ট্রেনিং করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত টিটিসি কেন্দ্র গুলোর মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা খরচ করে ভালো একটি স্কিল ডেভেলপ করে সিঙ্গাপুরে আপনারা যেতে পারবেন। অথবা সরকার নিবন্ধিত অনেক এজেন্সি রয়েছে তারা কিনা আপনাদের একটি ভালো অভিজ্ঞ করে তুলবে।
এক্ষেত্রে যদি আপনারা অন্যান্য বেসরকারি এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যান তাহলে আপনারা তাদের মাধ্যমেও কিন্তু নির্দিষ্ট একটি কাজের উপর অভিজ্ঞতা অর্জন করেও যেতে পারবেন কি কি খরচ লাগবে নিচে তুলে ধরা হলো।
সিঙ্গাপুর ট্রেনিং ফি: সিঙ্গাপুর ট্রেনিং ফি বা প্রশিক্ষণের জন্য ফ্রি পঁচিশ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
ভিসা প্রসেসিং খরচ: সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য আপনি যদি কাজের ভিসা করতে চান তাহলে প্রসেসিং এর খরচ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ টাকা খরচ পড়বে।
যাতায়াত ও বিমান ভাড়া খরচ: সিঙ্গাপুরে যদি আপনি কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে নরমালি যে সমস্ত বিমান গুলো শ্রমিকদের নেওয়া আশা করে থাকে তাদের খরচ মোটামুটি ৬০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে কেননা যে কোন সময় বিমানের ভাড়া কম বেশি হয়।
সিঙ্গাপুর এজেন্সি ইন বাংলাদেশ
বাংলাদেশ থেকে আপনারা যদি সিঙ্গাপুরের ভিসা এজেন্সি খুঁজে থাকেন তাহলে আমরা উপরে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেছি এখান থেকে আপনারা বিশ্বস্ত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের ভিসা নিতে পারবেন এবং কত টাকা ভিসা খরচ এবং কি কি খরচ হয় এই নিয়েও আমরা বিস্তারিত তথ্য নিচে তুলে ধরেছি দেখুন বিস্তারিত
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন