ব্যথার ওষুধের সাথে গ্যাসের ওষুধ না খেলে পেটব্যথা হতে পারে, বুক জ্বালাপোড়া করবে, পেটে আলসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, রক্তক্ষরণ হতে পারে তাই অবশ্যই ডাক্তার যদি প্রেসক্রিপশনের সাথে ব্যথার ওষুধের জন্য গ্যাসের ওষুধ লিখে দেয় তাহলে অবশ্যই গ্যাসের ওষুধ খাওয়া উচিত।
ব্যথা নাশক ওষুধের কারণে কোষ থেকে প্রচুর এসিডিটি নিঃসরিত হয়। যা পাকস্থলী অঞ্চলের প্রাচীরের স্পর্শে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। ফলে এসিডের নিয়ন্ত্রণ আনতে দুটি ঔষধি ব্যবহার করা হয় যাতে ব্যথার ওষুধ খাওয়ার ফলেও কোন ধরনের অন্তরের অন্ত্রের কোন ক্ষতি না হয়।
এ সাধারণ ব্যাপার হচ্ছে ব্যথার ট্যাবলেট এসিডিটি বৃদ্ধিতে কাজ করে থাকে। এটির মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিক জুইস বিতরণ করে থাকে তাই এর এসিড বিতরণ হয়। পরে এটি গ্যাস তৈরিতে ভূমিকা রাখে। এই গ্যাসের ট্যাবলেট খাওয়ার মাধ্যমে ভালো করে গ্যাস বা এসিডিটি মেলানো সম্ভব হয় না। তাই এটি ব্যথার আসার জন্য খুবই কার্যকরী।
একটাই তাতে অন্য কোন সমস্যা না হয় এবং ওষুধের যাতে সাইড ইফেক্টেডে অন্য কোন রোগের সমস্যা দেখা না দেয় এই কারণেই মূলত ডাক্তাররা ব্যথার ওষুধের সাথে গ্যাসের ওষুধ দিয়ে থাকে। তাই আপনার যদি অন্য কোন সমস্যা থেকে থাকে অথবা গ্যাসের যদি মারাত্মক সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যথার ওষুধের সাথে গ্যাসের ওষুধ খেতেই হবে।
প্রথমত অবস্থায় যদি আপনার গ্যাসের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কিন্তু ব্যথার ওষুধ খাওয়ার পরে এটা আরো বেড়ে যেতে পারে আবার অনেক সময় গ্যাসের ওষুধ কাজ নাও করতে পারে, পেটে আলসার বা অন্য কোন সমস্যা থাকলে কিন্তু এটা আরো বেড়ে যাবে তাই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথার ওষুধের সাথে গ্যাসের ওষুধ খাওয়া উচিত।
তবে এক্ষেত্রে অনেক গ্যাসের ওষুধ কিন্তু ভিন্ন ভূমিকা পালন করে তাই অবশ্যই আপনি যেই ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ট্যাবলেট নিচ্ছেন গ্যাসের ওষুধ নিচ্ছেন তার মাধ্যমে অবশ্যই জেনে নেবেন কোন গ্যাসের ওষুধ কি খাওয়া উচিত এবং সেই অনুযায়ী অবশ্যই ডাক্তারের ব্যথার ওষুধ অনুযায়ী গ্যাসের ওষুধ ডেসক্রিপশন করে নেবেন।
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর ঔষধ
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর জন্য কার্যকরী কিছু ওষুধ সেবন করতে পারেন, ডাইজিন,রেনিটিডিন, ওমেপ্রাজ, আরো যদি ট্যাবলেটের মাধ্যমে গ্যাস কমাতে চান তাহলে নেক্সিয়াম,প্যানটোপ্রাজল,ওমেপ্রাজল সেবন করুন তাহলে দ্রুত পেটের গ্যাস কমে যাবে।
এছাড়াও প্রাকৃতিক উপায়ে দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর জন্য হলুদ পানি, জিরা পানি, তুলসী পাতা খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। হলুদ পানি গরম পানি মিশিয়ে খেলে দ্রুত পেটের গ্যাস কমে যায়। এছাড়া পানি হালকা গরম পানিতে ফুটিয়ে পান করুন। তুলসী পাতা চিবিয়ে রস খেয়ে ফেললে দ্রুত পেটের গ্যাস কমে যায়। এই তিনটা পদ্ধতির যে কোন একটি করলেই ঘরোয়া হবে দ্রুত পেটের গ্যাস কমে যাবে।
গ্যাসের ঔষধ দিনে কয়বার খাওয়া যায়
গ্যাসের ওষুধ বেশি খাওয়া উচিত না। সাধারণত ২অথবা ৩ গ্যাসের ওষুধ খাওয়া যায়। যাদের অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা আছে খাওয়া-দাওয়া করে গ্যাসের সমস্যা হয় তবে ক্ষেত্রে অবশ্যই খাবার ১৫ মিনিট বা ৩০ মিনিট আগে গ্যাসের ওষুধ সেবন করুন।
যদি অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ২ থেকে ৪ বার দেশের ওষুধ সেবন করতে পারবেন। গ্যাসের ওষুধ কখনো ইচ্ছামত খাওয়া ঠিক না এক্ষেত্রে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে যদি আরও বেশি সমস্যা দেখা দেয় এত ওষুধ না খেয়ে সরাসরি দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন।
খালি পেটে ব্যথার ওষুধ খেলে কি হয়
খালি পেটে ব্যথার ওষুধ খাওয়া উচিত না। খালি পেটে গ্যাসের ওষুধ খেলে এটি বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যদি ব্যথার ওষুধ অথবা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খান তাহলে অবশ্যই খালি পেটে গ্যাসের ওষুধ সেবন করা অনেক ক্ষতিকর হতে পারে।
খালি পেটে যদি গ্যাসের ওষুধ সেবন করা হয় তাহলে পাকস্থলীর সাথে প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে অথবা আলসার জনিত যদি সমস্যা থাকে মাথা ঘোরা বা বমি হওয়া সহ আরো নানা ধরনের সমস্যা হয়। খালি পেটে গ্যাসের ওষুধ খেলে অনেক সময় ব্লাড সুগারের ভারসাম্য বিকৃত হতে পারে। ডাক্তার যদি বলে থাকে আধা ঘন্টা আগে খেতে হবে তাহলে সেই অনুযায়ী খেয়ে তারপরে অন্যান্য খাবার খেতে পারবেন।
খালি পেটে প্রেসারের ঔষধ খেলে কি হয়
খালি পেটে প্রেসারের ওষুধ সেবন করলে ওষুধের ধরন এবং ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে থাকে। কিছু কিছু প্রেসারের ওষুধ খাবার আগে সেবন করা লাগে। তবে আপনি কি ধরনের প্রেসারে ওষুধ খাচ্ছেন সেটা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন। এক্ষেত্রে প্রেসারের অবস্থা অথবা আপনার শরীরের বর্তমান অবস্থার উপর নির্ভর করে ডাক্তার প্রেসারের ওষুধ খাবার পরামর্শ দিবেন।
খালি পেটেও প্রেসারের ওষুধ নেওয়া যাই অথবা ভরা পেটেও প্রেসারের ওষুধ খাওয়া যায় দুই ধরনেরই প্রেসারের ওষুধ পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে ডাক্তার যেভাবে নির্দেশনা দিয়ে থাকে সেভাবেই প্রেসারের ওষুধ সেবন করুন। এতে করে কোন সমস্যা হবে না কেননা ডাক্তার আপনার স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই তারা সেই অনুযায়ী প্রেসারের ওষুধ প্রেসক্রিপশন করে থাকে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন