কয়েক ধরনের হাই প্রেসারের ওষুধ রয়েছে। মূলত হাই প্রেসারের রোগীর অবস্থা এবং স্বাস্থ্য বিবেচনায় ডাক্তাররা বিভিন্ন ধরনের হাই প্রেসারের ঔষধ দিয়ে থাকে। হাই প্রেসারের ওষুধের নামের লিস্ট তুলে ধরা হলো। যে ওষুধগুলো সেবন করলে খুব সহজে হাই প্রেসার স্বাভাবিক মাত্রায় নেমে আসবে।
- হাইড্রোক্লোরোথিয়াজাইড
- র্যামিপ্রিল
- লিসিনোপ্রিল
- টেলমিসার্টান
- লোসার্টান
- এটেনলল
- মেটোপ্রোলল
- অ্যামলোডিপিন
- নিফিডিপিন
- ডক্সাজোসিন
হাই প্রেসার রোগের বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী এই ওষুধগুলো সেবন করা উচিত এক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো কোন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ওষুধগুলো সেবন করতে হবে। নিচ থেকে কখনোই এই ওষুধগুলো সেবন করতে যাবেন না অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হাই প্রেসার রোগীর ট্রিটমেন্ট নেওয়া উচিত।
ব্যথার ওষুধ কতটা ক্ষতি করতে পারে দেখুন
দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়
হাই প্রেসার কমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। হাই প্রেসারের মাত্রা ১৮০/১২০ এর থেকে বেশি হলে হাইপারটেন্সিভ হতে পারে। তাই রোগীর জীবন কিন্তু হুমকির মুখে পড়তে পারে তাই অবশ্যই তৎকালীনভাবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর জন্য প্রাথমিকভাবে কিছু ব্যবস্থা নিতে পারেন।
- রোগীকে আরাম করে বসাতে হবে
- গভীরভাবে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন এবং মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়তে হবে
- ঠান্ডা পানি ধীরে ধীরে পান করানোর চেষ্টা করুন
- লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন
- হালকা ব্যাম বা এক্সারসাইজ করান
- এক গ্লাস গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়াতে হবে
- কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন এতে করে দ্রুত হ্রাস পাবে।
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করান।
- রোগীর স্ট্রেস কমিয়ে আনতে হবে। মানে কোন দুশ্চিন্তা করলে সেটা থেকে বের করুন।
হাই প্রেসার রোগীর পাশে অবশ্যই সর্বদা একজন দেখভাল করার জন্য মানুষ প্রস্তুত থাকতে হবে কেননা হাই প্রেসার রোগীর যেকোনো সময় কিন্তু শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা হয় তাই অবশ্যই সঙ্গে থাকুন এবং তার প্রয়োজনীয় সমস্যা গুলো বোঝার চেষ্টা করুন।
প্রেসারের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
কিছু নিয়ম মেনে চললে হাই প্রেসার কমানো অনেকটাই সহজ। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত ট্রিটমেন্ট নেওয়া এবং রাতের ওষুধ অথবা দিনের যে কোন সময়ের ওষুধ গুলো সঠিক সময়ে সেবন করা। কিছু ওষুধ খাবারের সাথে খেতে হয় অথবা কিছু ওষুধ খালি পেটে খেতে হয় এগুলো মেন্টেন করা। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে হাই প্রেসারের ওষুধের কার্যকারিতা ভালো ভূমিকা রাখে।
- হাই প্রেসারের ওষুধ যাতে কোনভাবে মিস না হয়
- খাবারের সাথে অথবা খালি পেটে যেভাবে ডাক্তার খেতে বলে সঠিকভাবে ওষুধ সেবন
- প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে হাই প্রেসারের ওষুধ সেবন করুন
- কোন ভাবে যদি ওষুধ মিস হয়ে যায় তাহলে দ্রুত সেবন করুন
- দুইটি ডোজের ওষুধ একসঙ্গে কখনোই খাবেন না
- খাবার আগে না পরে ওষুধ খেতে হবে প্রেসক্রিপশন দেখে খান
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যদি এই নিয়মমাফিক আপনারা হাই প্রেসারের ওষুধ সেবন করেন তাহলে প্রেসারের ওষুধ এর কার্যকারিতা ভালো ভূমিকা রাখে তাই অবশ্যই উপরের দেওয়া নিয়ম গুলো সঠিকভাবে মেনে চলুন এবং হাই প্রেসার কমিয়ে রাখুন।
প্রেসারের ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রেসারের ওষুধ দীর্ঘদিন ব্যবহারের কারণে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। মূলত স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করেই বিভিন্ন ব্যক্তির ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে ওষুধের ডোজ এবং ওষুধের ধরন অনুযায়ী। মূলত দীর্ঘদিন প্রেসারের ওষুধ সেবন করলে, মাথা ঘোরা, রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া, ক্লান্তি এবং দুর্বলতা, হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, এবং শ্বাসকষ্ট জনিত নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এছাড়া ও আরো অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে মূলত দীর্ঘদিন যাবত প্রেসারের ওষুধ সেবন করলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে তাই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রেসারের ওষুধ সেবন করা উচিত এ থেকে কখনোই নিজ নিজ মতে কখনোই একা হাই প্রেসারের ওষুধ সেবন করবেন না মাঝেমধ্যেই ওষুধ চেঞ্জ করে নিয়ে আসবেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই সমস্ত ওষুধগুলো সেবন করবে।
ব্যথার ওষুধ কখন কিভাবে খেতে হয় বিস্তারিত দেখুন
প্রেসারের ঔষধ কি সারাজীবন খেতে হয়
প্রেসার মূলত দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা। প্রেসার কখনো সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা সম্ভব না। প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব তবে ওষুধ সারাজীবন খেতে হবে কিনা তা মূলত নির্ভর করে ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার উপর। মূলত হাই প্রেসার রোগের খাদ্যাভাস এবং ওষুধ বন্ধ করার সম্ভাবনা থাকলে কিন্তু ডাক্তার শারীরিক অবস্থা দেখে সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারবে এবং কতদিন ওষুধ খাওয়া লাগতে পারে সেটা ডাক্তার পর্যালোচনা করে বলতে পারবে।
দীর্ঘদিন পর্যন্ত প্রেসারের ওষুধ খেতে থাকলে কিন্তু নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয় এক্ষেত্রে অনেকেই কিন্তু অন্যান্য মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে হাই প্রেসার অনেকটাই কমিয়ে রাখে ক্ষেত্রে ব্যায়াম, খাদ্যাভাসার পরিবর্তন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এইভাবে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে সারতে হবে না।
প্রেসার যদি বেশি থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ না খেয়ে কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সে বিষয়গুলো ভালোমতো জেনে নিন তবে আপনার অবশ্যই শারীরিক অবস্থার পরিস্থিতি দেখেই মূলত এই সিদ্ধান্ত দিবে ডাক্তার তাই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনো নিচ থেকে কোন সিদ্ধান্ত নিবেন না।
হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়
হাই পেশার কমানোর কয়েকটি ঘরোয়া উপায় আছে যেগুলোর মাধ্যমে হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। অতিরিক্ত হাই প্রেসার দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনোই নিজ থেকে কখনো সিদ্ধান্ত নিবেন না তবে এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে ঘরোয়া কিছু উপায় উল্লেখ করা হলো যেগুলোর মাধ্যমে হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে
- শসা এবং তরমুজ জাতীয় খাবার খান
- দিনে অত্যন্ত ১০ থেকে ১২ ক্লাস পানি পান করুন
- প্রতিদিন হালকা ব্যান্ড করার চেষ্টা করুন
- দিনে অল্প পরিমাণ হলেও ডার্ক চকলেট খাওয়ার চেষ্টা করুন
- পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম পাড়তে হবে
- পাঁচ থেকে দশ মিনিটের মত মেথি ভিজিয়ে রেখে পানি পান করুন
- খাবারের সাথে লবন এর পরিমাণ একেবারে কমিয়ে ফেলুন
- প্রতিদিন এক থেকে দুইটি কলা খান এতে পটাশিয়াম প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে
এ বিষয়গুলো যদি সঠিকভাবে মেনে চলতে পারেন তাহলে হাই প্রেসার কমানোর বা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্পূর্ণভাবে সম্ভব। তাই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই খাবারগুলো খেতে পারেন অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে পারেন।
প্রেসার হাই হলে কি খেতে হবে
প্রেসার হাই হলে নির্দিষ্ট কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এতে করে প্রাকৃতিক উপায়ে রক্তনালী শিথিল করতে পারে। হাই প্রেসার রোগীকে ফলমূল খাওয়াতে হবে, শাক-সবজি খাওয়ান, কম লবণযুক্ত খাবার খাওয়াতে হবে, বাদাম বীজ, আখরোট, সূর্যমুখী বিচ খাওয়ালে হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এছাড়াও ছোট মাছ, রসুন, দুধ এবং দই হাইপ্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখার অন্যতম ভূমিকা পালন করে। তাই অবশ্যই এই হাই প্রেসার রোগীকে লেবু এবং লেবুর পানি বা লেবু জাতীয় শরবত খাওয়াতে পারেন এতে করে প্রেসার হাই হলে খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
লো প্রেসারের ঔষধের নাম
লো প্রেসারের জন্য চিকিৎসকের নির্দিষ্ট কোন এক ধরনের ওষুধ উল্লেখ করে না। মূলত লো প্রেসার রোগীর প্রেসার এর কারণ এবং লক্ষণের উপর নির্ভর করেই ওষুধ দিয়ে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তার লো প্রেসার রোগীর রক্তচাপ বাড়াতে কয়েকটি ওষুধ খেতে পরামর্শ দেয়।
- মিডোড্রিন
- ড্রোক্সিডোপা
- ক্যাফেইন
- ফ্লুড্রোকরটিসন
মূলত ডাক্তাররা লো প্রেসার রোগের জন্য এই ঔষধ গুলো সাজেস্ট করে থাকে তাই আপনারা এই অনুযায়ী লোকেশন রুগীর ওষুধ গুলো খাওয়ায় দেখতে পারেন তবে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং রোগীর বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী এই ওষুধগুলো খাওয়ানো উচিত।
ব্যথার ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কতটা ভয়ানক
হাই প্রেসারে রসুন খেলে কি হয়
হাই প্রেসার রোগীর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য রসুন অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। রসুন খেলে রক্তনালী প্রসারিত করতে পারে এবং হাই প্রেসার কমাতে সাহায্য করে। রসুন রক্তনালীকে শিথিল করে যা হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। লক্ষ্য রাখতে যদি কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকে তাহলে সেটা কমিয়ে আনে এবং রক্ত প্রবাহ উন্নত করে।
প্রতিদিন সকালবেলা এক থেকে দুইটা রসুনের কোয়া যদি চিবিয়ে খাওয়া যায় তাহলে হাই প্রেসার রোগের জন্য খুবই ভালো। অথবা রসুনের রস করে যদি এক থেকে দুই চামচ রস খেতে পারেন তাহলে আরো ভালো ভূমিকা পালন করবে। সেই সাথে রসুনের সালাদ বা অন্যান্য খাবারের সাথেও এটি খেতে পারেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন